স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসার সরকারি হাসপাতাল নিউরোসায়েন্সেস



রুহুল আমিন ও রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

হাসপাতালের মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পথে বামে পরিষ্কার সাজানো ফুলের বাগান। চারদিক বেশ পরিপাটি। হাসপাতালে ঢোকার পথটিও বেশ পরিচ্ছন্ন। বামদিকে একটি নির্মাণাধীন ভবন। পাশে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট নতুন ভবনটিও হতে চলেছে এই হাসপাতালের অংশ। মূল ভবনে ঢুকতেই সিঁড়ির বাম পাশে টিকিট কাউন্টার। পাশে ফার্মেসি। সেখান থেকে দেওয়া হচ্ছ, সরকারি বিনামূল্যের ওষুধ। কাউন্টারে এসে রোগীদের যেন হয়রানি শিকার না হতে হয়, সে জন্য আছে বিশাল বোর্ডে সরকারি ওষুধের তালিকা।

এছাড়াও ইমার্জেন্সিতে আসা রোগীদের জন্য স্ট্রেচার ও হাঁটাচলা করতে না পারা রোগীদের জন্য রাখা আছে পর্যাপ্ত হুইল চেয়ার। হাসপাতালের লবি থেকে হাতের বামে ইমার্জেন্সি ও ডানে বহিঃবিভাগ। ওদিকটায় একটু বেশি ভিড়। তবে চারদিকটাই সাজানো গোছানো ও সুন্দর।

অপরিচ্ছন্ন, অপরিষ্কার আর নোংরা পরিবেশই যেন সরকারি হাসপাতালের নিয়মিত চিত্র। তারই বিপরীতে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে, উন্নত মেশিনারিজ আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবামূলক আচরণে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল।

সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে কম খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়ায় খুশি সেবা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনেরাও। পুরো হাসপাতাল সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকায় নেই দালালের উৎপাতও। ওয়ার্ড বয়, স্ট্রেচার বয় ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহারেও আছে সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। কম খরচে এমন উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারায় মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই সুনাম কুড়িয়েছে দেশ জুড়ে এই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল।

এমন নাম কুড়িয়েও শয্যা সংখ্যার অপ্রতুলতায় ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে অনেককেই। তবে আশার কথা হলো, ৪শ ৫০ শয্যা থেকে ৯শ ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। পুরোপুরি কাজ শেষ হলে সে আক্ষেপ অনেকটাই ঘুচবে বলে আশা করছেন সবাই।

ইতিমধ্যেই হাসপাতালটিতে চালু হয়েছে, অত্যাধুনিক ১০০ শয্যা বিশিষ্ট স্ট্রোক ইউনিট। জানা যায়, অত্যাধুনিক এই স্ট্রোক ইউনিটে স্ট্রোক হওয়ার চার থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে নিয়ে আসতে পারলে লাঘব করা যাবে পঙ্গুত্বসহ নানা শারীরিক সমস্যা। এছাড়াও রয়েছে মাথাব্যথা, এপিলেপসি, মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার ক্লিনিক। নিউরোলোজি, নিউরোসার্জারি, পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি, পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জারি, নিউরোফিজিওলজি, নিউরোইন্টারভেনশন, নিউরোরিহাবিলিটেশন, নিউরোরেডিওলজি, নিউরোপ্যাথোলজি, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এবং মেডিসিনসহ আরও বেশ কিছু বিভাগ। আছে অপারেশন থিয়েটার, ক্যাথ ল্যাব, ল্যাবরেটরি সার্ভিস ও আইসিইউর মতো জরুরি প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার ব্যবস্থাও।

সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আদলে গড়ে তোলা হাসপাতালটি চালু হয়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে নির্মিত এই হাসপাতালের প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ২০০৩ সালে। তবে দীর্ঘদিন পরিকল্পনায় আটকে থাকার পর ২০০৯ সালে শুরু হয়, হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম। দেশের বৃহত্তম নিউরোলজি ও নিউরো সার্জারিবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবার এই হাসপাতালটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২শ ৩১ কোটি টাকা। চিকিৎসার পাশাপাশি প্রতিবছর নিউরোলজি ও নিউরো সার্জারিবিষয়ক উচ্চতর ডিগ্রিধারী বিশেষজ্ঞ তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

সরেজমিন হাসপাতালটিতে ঢুকতেই চোখে পড়ে এর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকগুলো। হাসপাতালের লবি থেকে হাতের বামে ইমার্জেন্সি ও ডানে বহিঃবিভাগ। এখানে মানুষের জটলাটা একটু বেশি। জানা গেল, কয়েক হাজার রোগীর তুলনায় বহিঃবিভাগ ছোট হওয়ায় ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে রোগীদের থাকতে হয় দীর্ঘ অপেক্ষায়। এছাড়াও নেই পর্যাপ্ত বসার স্থান। সে কারণে অসুস্থ শরীর নিয়েও বাধ্য হয়ে সেবা প্রত্যাশীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। 

হাসপাতালটিতে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের অনেকেই বার্তা২৪.কম প্রতিবেদককে জানান, তাদের সন্তুষ্টির কথা। হাসপাতালের পরিবেশ, সেবার মান ও উন্নত সরঞ্জামাদি থাকায় অনেকটায় নিশ্চিন্তে সেবা নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেন অনেকে। রোগী ও তাদের স্বজনরা বলেন, সরকারি হাসপাতালে এমন উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা কখনো কল্পনাও করতে পারেননি তারা। এখানকার খাবারের মানও অনেক ভালো। রোগীর সেবায় থাকা নার্স ও ওয়ার্ডবয়রাও রোগীর সেবাযত্নে কোনো ত্রুটি রাখেন না। অনেক বেসরকারি নামিদামি হাসপাতালের চেয়েও এখানকার চিকিৎসা সেবা উন্নত বলেই মনে হয় আমাদের, বলছিলেন একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনেরা।

বাগেরহাট থেকে স্ট্রোক করা মা-কে নিয়ে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে এসেছেন নজরুল মিয়া। জানালেন, চারদিন আগে হাঁটতে গিয়ে বাড়ির উঠানেই পড়ে যান তার মা। পরে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে রেফার করেন ঢাকার এই হাসপাতালে। এখানে নিয়ে আসার পর থেকে গত চারদিনে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন তার মা। দুই-একদিনের মধ্যে ছুটিও দিয়ে দিতে পারে বলে জানান তিনি।

বার্তা২৪.কমকে নজরুল মিয়া বলেন, কখনো ভাবিনি সরকারি হাসপাতালে এমন সেবা পাবো। হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে কোথাও কোনো দালাল নেই। কর্মচারীদের ব্যবহারও ছিল ভালো। ওয়ার্ডে থাকার জন্যও আমাদের কিছু নিয়ে আসতে হয়নি বাইরে থেকে। আমার মায়ের দেখভালের জন্যও আমাকে থাকতে হয়নি। তারাই দায়িত্ব নিয়ে আমার মাকে সুস্থ করে তুলেছেন।

পটুয়াখালী থেকে শাশুড়িকে নিয়ে এসেছেন বিল্লাল হোসেন। সিট না পাওয়ায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করলেও হাসপাতালের পরিবেশ ও ডাক্তারদের ব্যবহারে অনেকটাই সন্তুষ্ট জানিয়ে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, ‘আমি তো নিউরোসাইন্সের কথা আগেও শুনছি। এখানকার ডাক্তার নাকি অনেক ভালো। ডাক্তার ভালোই। চিকিৎসাও তো ভালোই হইতাছে। শাশুড়ি স্ট্রোক করছে। হেরে নিয়া আইছি। এইখানকার ডাক্তার দেখছে। দেইখা কইছে, ভর্তি করাইতে হইবো। কিন্তু আজকে নাকি সিট খালি নাই। কইছে কালকে আইতে।‘

হাসপাতালে আসা অধিকাংশ রোগীদের বক্তব্যই ছিল এমন। সিট না-পাওয়া ও লম্বা সিরিয়াল থাকায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করলেও হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থায় সন্তুষ্টির কথায় জানান তারা। বিনামূল্যে ঔষধ, কম খরচে উন্নত টেস্টের ব্যবস্থা ও ওয়ার্ড-কেবিনের পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতায় তাদের সন্তুষ্টির মূল কারণ বলেও জানান সেবাপ্রত্যাশীরা।

তবে ৫০০ শয্যার বর্ধিতাংশ প্রস্তুত হয়ে গেলে সে সংকটও কাটবে, এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সবার। 

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া শেষ পর্যায়ে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

ছবি: সংগৃহীত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মেডিকেল প্রফেশনাল এবং রোগীদের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরির জন্য ইতোমধ্যে অনেকবার মন্ত্রণালয়ে সভা করা হয়েছে এবং বর্তমানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজগুলো ডাক্তার তৈরি করে। মেডিকেল কলেজগুলোকে উন্নত ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলে ও শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হলে আরো সুদক্ষ ডাক্তার পাওয়া যাবে। এজন্য আমাদের মেডিকেল কলেজগুলোর সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়াতে হবে।

রোববার (১৪ জুলাই) দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ডাক্তারদের বিদ্যমান সব বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট (স্নাতকোত্তর) সম্পন্ন করার গুরত্ব তুলে ধরেন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারদের জন্য ‘সুপার নিউমারি’ পদ সৃষ্টির উদ্যোগের কথা বলেন।

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এফ এম নূরুউল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

রথযাত্রায় আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রথযাত্রায় গুরুতর আহতদের দেখতে হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, ছবি: সংগৃহীত

রথযাত্রায় গুরুতর আহতদের দেখতে হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রথযাত্রায় গুরুতর আহতদের দেখতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এ সময় রথযাত্রায় আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, আহতদের যথাযথ ও সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বগুড়ায় সরকারি হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রথযাত্রায় গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি দু’জন রোগীকে দেখতে যান। এ সময় তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। সেই সঙ্গে আহতদের আত্মীয়-স্বজনদের সান্ত্বনা দেয়ার পাশাপাশি তাদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শনকালে এদিন অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, রোববার (৭ জুলাই) হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রার সময় বিদ‌্যুতা‌য়িত হয়ে ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

;

পিপিডির রাষ্ট্রগুলির অংশীদারিত্বে জনসংখ্যা-উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি)-র সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত, পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি)-র সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করলে জনসংখ্যা ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

তিনি পিপিডির সদস্য দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা দৃঢ় করারও আহ্বান জানান।

রোববার (৭ জুলাই) রাজধানী ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি)’-এর ৩৯তম নির্বাহী কমিটির সভা এবং ২৭তম বোর্ড কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব, নেটওয়ার্কিং, যুগোপযোগী উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে উদ্ভূত নানা সমস্যায় সদস্য রাষ্ট্র একসাথে কাজ করলে সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, পিপিডির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রজনন স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নের সেরা দৃষ্টান্তগুলো আদানপ্রদান করা উচিত, যাতে একে অপরের কাছ থেকে শিখে পারষ্পরিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হওয়া উচিত যাতে জনগণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।

সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণপ্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পিপিডি বোর্ডের সেক্রেটারি মোহাম্মদ দোয়াগি, চায়না স্বাস্থ্য কমিশনের উপমহাপরিচালক লি ওয়েইসহ ইন্দোনেশিয়া, বেনিন, তিউনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পিপিডি একটি আন্তঃসরকারি সংগঠন যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার জনসংখ্যাজনিত ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে থাকে। সভায় পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রের ২৩টি দেশের মন্ত্রী ও সহযোগী সমন্বয়কারীরা অংশগ্রহণ করেন।

;

দেশে থ্যালাসেমিয়ার বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১১.৪ শতাংশ

ছবি: বার্তা২৪, পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১১.৪ শতাংশ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে বর্তমানে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

থ্যালাসেমিয়া সার্ভে-২০২৪ প্রথমবারের মতো করেছে পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠান- বিবিএস।

রোববার (৭ জুলাই) সকালে আগারগাঁও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবনে এ জরিপের তথ্য জানানো হয়। জরিপ কার্যক্রম উপস্থাপন করেন জরিপের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা লিজেন শাহ নঈম।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যিনি থ্যালেসিমায় রোগের বাহক তার সন্তানদের ‘থ্যালাসেমিয়া রোগী’ বলা হয়। সেই হিসাবে আট হাজার ৬শ ৮০ পরিবারের নমুনা সংগ্রহ শেষে ১১ শতাংশ লোকের মধ্যে এই রোগের বাহক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জরিপ কার্যক্রমে ১৪ থেকে ৩৫ বছর বয়েসি বিবাহিত ও অবিবাহিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় করা হয়।

এই রোগের বাহক বেশি রংপুর বিভাগে। কম রোগী সিলেট বিভাগে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহিদুজ্জামান সরকার, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, এনডিসি ও স্বাস্থ্য পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়হিদুজ্জামান।

;