সামেক হাসপাতালে ডায়ালিসিস মেশিন বিকল, দুর্ভোগে রোগীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যন্ত শ্যামনগর উপজেলার বংশিপুরের আজিজ মোড়ল। অনেকদিন ধরেই তার ছেলে জয়নাল ক্রনিক কিডনি রোগে (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ- সিকেডি) আক্রান্ত।

পরিবারে স্বচ্ছল অবস্থা না থাকায় ভালো প্রাইভেট হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে পারছেন না। তবে তারই জেলা শহর সাতক্ষীরায় অবস্থিত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতাল। সেখানে কিডনি ডায়ালিসিস করাবেন, তারও উপায় নেই। কারণ, সামেক হাসপাতালের ১৯টি ডায়ালিসিস মেশিনের মধ্যে ১৬টিই মেশিন বর্তমানে বিকল।

এ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন জয়নালের মতো অসহায় কিডনি রোগীরা।

জয়নাল বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার মা ভিক্ষা করে আমার ডায়ালিসিসের খরচ চালান। এখন যদি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা বন্ধ করে দেয়, তাহলে যেকোনো সময় আমার মৃত্যু হবে। কারণ, প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ডায়ালিসিস করানোর সামর্থ্য আমাদের নেই।

শুধু জয়নাল নয়, তার মতো একজন জহুরুল কবীর। সাতক্ষীরা শহরের বাসিন্দা তিনি। পেশায় একজন সংবাদকর্মী। তার স্ত্রী অনেকদিন ধরেই সিকেডিতে আক্রান্ত। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় জমি বিক্রি করে তার চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে তিনটি সেশনে ১২ ঘণ্টা করে ডায়ালিসিস করা প্রয়োজন। কিন্তু সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের একাধিক মেশিন বিকল থাকায়, দুই সেশনে চার ঘণ্টা করে সপ্তাহে আট ঘণ্টা ডায়ালিসিস করানো হতো। কম খরচে এই হাসপাতাল থেকে সেবা নিয়ে স্ত্রীকে কোনো রকমে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

কিন্তু গত মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে আসা ফোন কলে তিনি চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। এখন থেকে তার স্ত্রী সপ্তাহে সর্বোচ্চ একবার ডায়ালিসিস করার সুযোগ পাবেন। ১৯টির মধ্যে মাত্র তিনটি মেশিন এখন সচল রয়েছে। রোগীর চাপের কারণে সপ্তাহে একবারের বেশি ডায়ালিসিস সেবা পাওয়া যাবে না।

জহুরুল কবীর বলেন, ‘সপ্তাহে চার ঘণ্টা ডায়ালিসিস করালে অধিকাংশ রোগীই বাঁচবে না। খবরটি শুনে অনেক কেঁদেছি!’ স্ত্রীকে বাঁচাতে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯টি ডায়ালিসিস মেশিনের মধ্যে ১৬টি বিকল। একটি পুরোপুরি সক্রিয় থাকলেও দুটোর কাজ চলছে জোড়াতালি দিয়ে। ফলে নিয়মিত চিকিৎসা করা কিডনি রোগীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। এ অবস্থায় তিনটি সচল মেশিন দিয়ে সপ্তাহে একদিন রোগীদের ডায়ালিসিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, অদক্ষ ব্যক্তি দিয়ে মেশিন পরিচালনা করায় হাসপাতালের ১৬টি ডায়ালিসিস মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি তিনটিও নষ্ট হওয়ার পথে।

কিডনি ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা ছাড়াও আশপাশের জেলার রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। ইউনিটের চালু থাকা প্রতিটি যন্ত্র দিয়ে দিনে দুই থেকে তিনজন রোগীর ডায়ালিসিস করানো হতো। ইউনিটে গড়ে ৩৫-৪০ জন রোগীর প্রতিদিন নিয়মিত ডায়ালিসিস করানো হতো। পর্যায়ক্রমে ৬০-৭০ জন সিরিয়ালে থাকতেন। একজন রোগীর সপ্তাহে দুদিন করে ডায়ালিসিস করা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ডায়ালিসিসের জন্য ২শ টাকা ফি নেওয়া হয়। এতে সাধারণ ও দরিদ্র রোগীরা কম খরচে সেবা পান। জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকেও রোগী আসেন।

কয়েক মাস আগেও ১৯টি যন্ত্রের সবগুলো চালু ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও সঠিক পরিচর্যার অভাবে একটি একটি করে যন্ত্রগুলো নষ্ট হতে থাকে। ফলে চাপ বাড়তে থাকে বাকি যন্ত্রগুলোর ওপর। অকেজো মেশিনগুলো সময়মতো মেরামত না করায় বর্তমানে তিনটি চালু আছে। তা দিয়ে তালিকাভুক্ত শতাধিক কিডনি রোগীকে ডায়ালিসিস সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ফলে গত মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০ মার্চ থেকে সপ্তাহে দুটির পরিবর্তে মাত্র একটি ডায়ালিসিস করানো হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণার পর বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। বর্তমানে আতঙ্কে ভুগছেন তারা।

হাসপাতালের কিডনি ডায়ালিসিস ইউনিটের ইনচার্জ নমিতা রানী বলেন, ‘১৯টি মেশিনের মধ্যে একটি ভালো থাকলেও অপর দুটি মেশিনে জোড়াতালি দিয়ে রোগীদের ডায়ালিসিস চলছে। ফলে এখন থেকে সপ্তাহে দুই অথবা তিনবার ডায়ালিসিস দেওয়া সম্ভব হবে না।’

এ ব্যাপারে সামেক হাসপাতালের পরিচালক শীতল চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের মোট ডায়ালিসিস মেশিন ১৯টি। এর মধ্যে বর্তমানে তিনটি সচল আছে।

মেশিন নষ্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, অদক্ষ ব্যক্তি দিয়ে মেশিন পরিচালনা করায় মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নষ্ট মেশিনগুলো মেরামত প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। মেরামতের জন্য কয়েক দফায় টেকনিশিয়ান এসেছেন। কিন্তু খুচরা যন্ত্রাংশ না পাওয়া যাওয়ায় মেশিনগুলো ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না।

নষ্ট মেশিনগুলো দ্রুত মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া শেষ পর্যায়ে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

ছবি: সংগৃহীত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মেডিকেল প্রফেশনাল এবং রোগীদের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরির জন্য ইতোমধ্যে অনেকবার মন্ত্রণালয়ে সভা করা হয়েছে এবং বর্তমানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজগুলো ডাক্তার তৈরি করে। মেডিকেল কলেজগুলোকে উন্নত ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলে ও শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হলে আরো সুদক্ষ ডাক্তার পাওয়া যাবে। এজন্য আমাদের মেডিকেল কলেজগুলোর সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়াতে হবে।

রোববার (১৪ জুলাই) দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ডাক্তারদের বিদ্যমান সব বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট (স্নাতকোত্তর) সম্পন্ন করার গুরত্ব তুলে ধরেন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারদের জন্য ‘সুপার নিউমারি’ পদ সৃষ্টির উদ্যোগের কথা বলেন।

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এফ এম নূরুউল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

রথযাত্রায় আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রথযাত্রায় গুরুতর আহতদের দেখতে হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, ছবি: সংগৃহীত

রথযাত্রায় গুরুতর আহতদের দেখতে হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রথযাত্রায় গুরুতর আহতদের দেখতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এ সময় রথযাত্রায় আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, আহতদের যথাযথ ও সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বগুড়ায় সরকারি হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রথযাত্রায় গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি দু’জন রোগীকে দেখতে যান। এ সময় তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। সেই সঙ্গে আহতদের আত্মীয়-স্বজনদের সান্ত্বনা দেয়ার পাশাপাশি তাদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শনকালে এদিন অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, রোববার (৭ জুলাই) হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রার সময় বিদ‌্যুতা‌য়িত হয়ে ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

;

পিপিডির রাষ্ট্রগুলির অংশীদারিত্বে জনসংখ্যা-উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি)-র সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত, পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি)-র সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করলে জনসংখ্যা ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

তিনি পিপিডির সদস্য দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা দৃঢ় করারও আহ্বান জানান।

রোববার (৭ জুলাই) রাজধানী ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি)’-এর ৩৯তম নির্বাহী কমিটির সভা এবং ২৭তম বোর্ড কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব, নেটওয়ার্কিং, যুগোপযোগী উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে উদ্ভূত নানা সমস্যায় সদস্য রাষ্ট্র একসাথে কাজ করলে সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, পিপিডির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রজনন স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নের সেরা দৃষ্টান্তগুলো আদানপ্রদান করা উচিত, যাতে একে অপরের কাছ থেকে শিখে পারষ্পরিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হওয়া উচিত যাতে জনগণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।

সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণপ্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পিপিডি বোর্ডের সেক্রেটারি মোহাম্মদ দোয়াগি, চায়না স্বাস্থ্য কমিশনের উপমহাপরিচালক লি ওয়েইসহ ইন্দোনেশিয়া, বেনিন, তিউনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পিপিডি একটি আন্তঃসরকারি সংগঠন যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার জনসংখ্যাজনিত ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে থাকে। সভায় পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রের ২৩টি দেশের মন্ত্রী ও সহযোগী সমন্বয়কারীরা অংশগ্রহণ করেন।

;

দেশে থ্যালাসেমিয়ার বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১১.৪ শতাংশ

ছবি: বার্তা২৪, পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১১.৪ শতাংশ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে বর্তমানে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

থ্যালাসেমিয়া সার্ভে-২০২৪ প্রথমবারের মতো করেছে পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠান- বিবিএস।

রোববার (৭ জুলাই) সকালে আগারগাঁও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবনে এ জরিপের তথ্য জানানো হয়। জরিপ কার্যক্রম উপস্থাপন করেন জরিপের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা লিজেন শাহ নঈম।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যিনি থ্যালেসিমায় রোগের বাহক তার সন্তানদের ‘থ্যালাসেমিয়া রোগী’ বলা হয়। সেই হিসাবে আট হাজার ৬শ ৮০ পরিবারের নমুনা সংগ্রহ শেষে ১১ শতাংশ লোকের মধ্যে এই রোগের বাহক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জরিপ কার্যক্রমে ১৪ থেকে ৩৫ বছর বয়েসি বিবাহিত ও অবিবাহিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় করা হয়।

এই রোগের বাহক বেশি রংপুর বিভাগে। কম রোগী সিলেট বিভাগে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহিদুজ্জামান সরকার, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, এনডিসি ও স্বাস্থ্য পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়হিদুজ্জামান।

;