তীব্র গরমে কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তাপদাহে কুষ্টিয়ার হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। তীব্র গরমে এ অঞ্চলের শিশুরা ডায়রিয়া ও সর্দি-জ্বরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

শনিবার রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ শয্যায় দুজন করে রোগী রয়েছেন। বারান্দা ও ওয়ার্ডের মেঝেতেও বিছানা করে আছেন অনেক রোগী। বেডে জায়গা নেই। ঠাঁই হচ্ছে মেঝে ও বারান্দায়।

এদিকে, শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। চলতি মাসের শুরু থেকেই কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এক সপ্তাহ আগে থেকে এ তীব্র তাপদাহ শুরু হয়।

তীব্র গরমে হাসপাতালে রোগীর চাপ অন্যান্য সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এতে করে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। শয্যা খালি না থাকায় মেঝেতেও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। তবে গরমে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতালের গরমের কারণে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ৪ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে ২০টি শয্যা। তবে এখানে এখন রোগী থাকছেন ২শ ১৫ জন। একটি বেডেই দুই থেকে তিনজন করে রোগী এবং ১৫ শয্যা বিশিষ্ট ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি আছেন ৭১ জন। এসব অতিরিক্ত রোগীদের অনেককে রাখা হচ্ছে, হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায়।

হাসপাতালের ৪ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স রূপালী খাতুন বলেন, গত সপ্তাহ থেকে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রচণ্ড দাপদাহের কারণে ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

শহরের হাউজিং থেকে দুই বছরের শিশু রহমানকে হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন তা মা আনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, চারদিন ধরে ভর্তি আছি। বেড পাইনি। ডায়রিয়াও ভালো হয়নি। গরমের কারণে বাচ্চার ডায়রিয়া হয়েছে। হাসপাতালের গরমের মধ্যেও গাদাগাদি করে থাকতে গিয়ে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

মিরপুর থেকে আমেনা বেগম তার ছোট ছেলেকে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে বাচ্চার ডায়রিয়া হয়েছে। ভালো হচ্ছে না। পাঁচদিন ধরে ভর্তি রয়েছে।

চৌড়হাস এলাকার হাবিবা চারদিন হাসপাতালের মেঝেতে ছিলেন তার ছেলে হাবিবুর রহমানকে নিয়ে। তিনি বলেন, বেড পাইনি। রোগীর অনেক চাপ।

শিশু হুমায়রাকে নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় চারদিন ধরে ভর্তি আছেন, শহরের কাটাইখানা এলাকার সুরভী বেগম। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরম! গরমে বাচ্চার ডায়রিয়া হয়েছে। এখনও ভালো হচ্ছে না। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। প্রচুর রোগী। সবাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। হাসপাতালে কোনো জায়গা নেই।

হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান ডা. নাজিম উদ্দীন বলেন, প্রচণ্ড গরমে শিশুদের ডায়রিয়া ও সর্দি-জ্বর বেড়ে গেছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়। এ রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। তাদের কোনোভাবেই রোদে যেতে দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে সকাল ৯টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একদম রোদে যাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, শীতল জায়গায় তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বেশি বেশি পানি ও বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। গোসল করাতে হবে। এছাড়া সুতির হালকা জামা-কাপড় পরাতে হবে। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা খাবার শিশুকে দেওয়া যাবে না। গরমে হঠাৎ ঠান্ডা পানি বা খাবার খেয়ে বাচ্চারা সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, গত কয়েকদিনের গরমে শিশুরা নানান ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই গরমের কারণে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।

এক্ষেত্রে অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বর্তমানে আমার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেশি। শিশু ওয়ার্ডে ২০টি শয্যা হলেও এখানে এখন রোগী আছে ২শ ১৫ জন এবং ১৫ শয্যা বিশিষ্ট ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি আছে ৭১ জন।

এসব অতিরিক্ত রোগীদের অনেককে রাখা হচ্ছে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায়। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার রোগী তো আছেই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আক্রান্তের এ হার আমরা অস্বাভাবিক বলছি।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া শেষ পর্যায়ে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

ছবি: সংগৃহীত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মেডিকেল প্রফেশনাল এবং রোগীদের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরির জন্য ইতোমধ্যে অনেকবার মন্ত্রণালয়ে সভা করা হয়েছে এবং বর্তমানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজগুলো ডাক্তার তৈরি করে। মেডিকেল কলেজগুলোকে উন্নত ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলে ও শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হলে আরো সুদক্ষ ডাক্তার পাওয়া যাবে। এজন্য আমাদের মেডিকেল কলেজগুলোর সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়াতে হবে।

রোববার (১৪ জুলাই) দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ডাক্তারদের বিদ্যমান সব বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট (স্নাতকোত্তর) সম্পন্ন করার গুরত্ব তুলে ধরেন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারদের জন্য ‘সুপার নিউমারি’ পদ সৃষ্টির উদ্যোগের কথা বলেন।

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এফ এম নূরুউল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

রথযাত্রায় আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রথযাত্রায় গুরুতর আহতদের দেখতে হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, ছবি: সংগৃহীত

রথযাত্রায় গুরুতর আহতদের দেখতে হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রথযাত্রায় গুরুতর আহতদের দেখতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এ সময় রথযাত্রায় আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, আহতদের যথাযথ ও সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বগুড়ায় সরকারি হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রথযাত্রায় গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি দু’জন রোগীকে দেখতে যান। এ সময় তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। সেই সঙ্গে আহতদের আত্মীয়-স্বজনদের সান্ত্বনা দেয়ার পাশাপাশি তাদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শনকালে এদিন অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, রোববার (৭ জুলাই) হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রার সময় বিদ‌্যুতা‌য়িত হয়ে ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

;

পিপিডির রাষ্ট্রগুলির অংশীদারিত্বে জনসংখ্যা-উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি)-র সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত, পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি)-র সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করলে জনসংখ্যা ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

তিনি পিপিডির সদস্য দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা দৃঢ় করারও আহ্বান জানান।

রোববার (৭ জুলাই) রাজধানী ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি)’-এর ৩৯তম নির্বাহী কমিটির সভা এবং ২৭তম বোর্ড কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব, নেটওয়ার্কিং, যুগোপযোগী উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে উদ্ভূত নানা সমস্যায় সদস্য রাষ্ট্র একসাথে কাজ করলে সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, পিপিডির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রজনন স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নের সেরা দৃষ্টান্তগুলো আদানপ্রদান করা উচিত, যাতে একে অপরের কাছ থেকে শিখে পারষ্পরিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হওয়া উচিত যাতে জনগণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।

সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণপ্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পিপিডি বোর্ডের সেক্রেটারি মোহাম্মদ দোয়াগি, চায়না স্বাস্থ্য কমিশনের উপমহাপরিচালক লি ওয়েইসহ ইন্দোনেশিয়া, বেনিন, তিউনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পিপিডি একটি আন্তঃসরকারি সংগঠন যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার জনসংখ্যাজনিত ও উন্নয়নভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে থাকে। সভায় পিপিডির সদস্য রাষ্ট্রের ২৩টি দেশের মন্ত্রী ও সহযোগী সমন্বয়কারীরা অংশগ্রহণ করেন।

;

দেশে থ্যালাসেমিয়ার বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১১.৪ শতাংশ

ছবি: বার্তা২৪, পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১১.৪ শতাংশ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে বর্তমানে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

থ্যালাসেমিয়া সার্ভে-২০২৪ প্রথমবারের মতো করেছে পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠান- বিবিএস।

রোববার (৭ জুলাই) সকালে আগারগাঁও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবনে এ জরিপের তথ্য জানানো হয়। জরিপ কার্যক্রম উপস্থাপন করেন জরিপের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা লিজেন শাহ নঈম।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যিনি থ্যালেসিমায় রোগের বাহক তার সন্তানদের ‘থ্যালাসেমিয়া রোগী’ বলা হয়। সেই হিসাবে আট হাজার ৬শ ৮০ পরিবারের নমুনা সংগ্রহ শেষে ১১ শতাংশ লোকের মধ্যে এই রোগের বাহক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জরিপ কার্যক্রমে ১৪ থেকে ৩৫ বছর বয়েসি বিবাহিত ও অবিবাহিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় করা হয়।

এই রোগের বাহক বেশি রংপুর বিভাগে। কম রোগী সিলেট বিভাগে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহিদুজ্জামান সরকার, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, এনডিসি ও স্বাস্থ্য পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়হিদুজ্জামান।

;