কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৭)

আত্মজীবনী, শিল্প-সাহিত্য

জিনি লকারবি ।। অনুবাদ: আলম খোরশেদ | 2023-08-30 00:06:48

আমার শত্রুদের উপস্থিতিতে

[পূর্ব প্রকাশের পর] দাশদের তের বছরের কন্যা রাচেল খুব ভয় পেয়েছিল। তার বাবামা আমাদের প্রতিজ্ঞা করান, যেন আমাদের কোথাও চলে যেতে হলে আমরা তাকেও সঙ্গে নিয়ে যাই।

সেই সোমবার বিকালে আমাদের গির্জার দুই তরুণ সদস্য স্টিফেন ও পল (যাকে আমরা সবসময় তার ডাকনামে বাবলা বলে ডাকতাম) প্রবল গোলাগুলির মধ্যেই গা বাঁচিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে হাজির হয়। পাকিস্তানি প্লেনগুলো উড়ছিল মাথার উপরে, আর সর্বত্র আগুনের শিখাসমূহ উৎক্ষিপ্ত হচ্ছিল আকাশের দিকে। ছেলেদুটো গোলাগুলি একটু কমার অপেক্ষা করে, তারপর ফাঁক বুঝে দৌড়ে বাড়ি ফিরে যায়। আমি তাদেরকে আর আসতে বারণ করি।

আমরা বিকাল সাড়ে চারটায় আবার একত্র হই বাইবেল পাঠ ও প্রার্থনা করার জন্য। আমরা তা শেষ করা মাত্রই একটা গোটা পরিবার এসে আমাদের দোরগোড়ায় উপস্থিত হয়। তারা এমন একটা এলাকা থেকে আসে, যেখানে আমরা গোটা পাড়াকে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে দেখেছি। এই পরিবারটি বাড়ির ভেতরে রেডিও শুনছিল, যখন একটা গোলা এসে ঢোকে জানালা দিয়ে। গুলির হাত থেকে বাচঁতে গিয়ে তরুণী বধূটি পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে ফেলে। আমরা তাকে ব্যথা কমানোর অষুধ দিয়ে, বাঁশের কঞ্চি দুই ভাগ করে তার হাতের দুদিকে রেখে কাপড় জড়িয়ে শক্ত করে বেঁধে দিই।

সে-রাতে রান্না শেষ করে খাবার খাওয়ার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। আমরা তখন বসার ঘরের মেঝেতে চুপচাপ বসে থাকি দরজাটা একটু ফাঁক করে, যেন কিছুটা বাতাস আসে। সময় কাটানোর জন্য আমরা বাইবেলের শ্লোক আওড়াই স্মৃতি থেকে। সেগুলো বাংলায় বলতে গিয়ে দ্রুত আমাদের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যায়, এবং বাচ্চারাও ত্বরিতে পালিয়ে যায়। তারপর আমরা ‘আমি যা বলি তা ইংরেজিতে বলো’ খেলাটা খেলতে চেষ্টা করি। আমরা আস্তে আস্তে একটা ইংরেজি বাক্য বলি, আর বাচ্চারা সেটা শুনে তার প্রতিধ্বনি করে। আমরা ’ওপেন দ্য ডোর, শাট দ্য ডোর’ করার মধ্যেই দিদিমা দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকেন।

“তোমরা দরজা বন্ধ করতে চাচ্ছো কেন? এখানে তো প্রচণ্ড গরম,” তিনি অভিযোগ করেন, আমরা কী করছিলাম সেটা না বুঝেই।

আমরা হাসিতে ভেঙে পড়ি এবং সত্যি সত্যি দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হই, পাছে আমাদের হাসির শব্দ বাইরে রাস্তার কোনো ট্রিগার-সুখী সৈন্যের কানে চলে যায়।

আমরা যার যার বরাদ্দকৃত ঘরে যাই, কিন্তু কিছুতেই ঘুমাতে পারি না। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, শেলিংয়ের শব্দ বাড়ির বেশি কাছে চলে এলে, আমরা আমাদের ঘর ছেড়ে, হামাগুড়ি দিয়ে বসবার ঘরে চলে আসব, যেটাকে আমাদের ‘বম্ব শেল্টার’ হিসাবে ঠিক করা হয়েছিল। আসবাবগুলোকে দেয়ালের পাশে সারবেঁধে রেখে বালিশ, কুশন, কম্বল দিয়ে সব জানালা ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। ঘরটা বেশ একটা আরামদায়ক কুঠুরি হয়ে উঠেছিল, যদিও তার মধ্যে চোদ্দজন লোকের উপস্থিতিতে একে খুব একটা আরামের মনে হচ্ছিল না আর। আমাদের কুকুর চিত্রা বারান্দায় ছিল, কিন্তু মর্টার শেলের হিসহিস শব্দ তার কানে গিয়ে আঘাত করছিল, এবং প্রতিবার গোলাবর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে সে চিৎকার করে উঠছিল। শেষ পর্যন্ত দরজা খুলে আমরা তাকেও ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে দিই।

সারা মেয়েটি মেঝের ঠিক মাঝখানে শুয়ে ছিল, তার হাতগুলো উঁচু করে শূন্যে তোলা। সে একটা নিয়ম করে সেগুলোকে নাড়াচ্ছিল, মশা তাড়ানোর উদ্দেশ্যে। চিত্রা তার দিকে একবার ভালো করে তাকিয়ে, তার পাশে গিয়ে শোয়, পিঠে ভর করে, তারই মতো চার হাত-পা শূন্যে মেলে দিয়ে। আমরা মোমবাতির মৃদু আলোয় এই যুগলের দিকে চেয়ে হাসিতে ফেটে পড়ি। আমাদের সেই হাসির হল্লা সবাইকে শান্ত করে এবং আমরা যার যার মতো হয় ঘুমে ঢলে পড়ি, অথবা মশাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যুদ্ধে অবতীর্ণ হই।

সকালের দিকে বিদ্যুৎ আসে, এবং তাতে মাথার ওপরের বিশাল ঘূর্ণ্যমান ফ্যানটি মশাদের তাড়িয়ে দিলে আমরা নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারি। কিন্তু পাছে আমরা বেশিক্ষণ আরামে ঘুমিয়ে ফেলি, তাই গোলাগুলি শুরু হয়ে যায় ফের: ভারী কামান ও মর্টারের গোলার বিকট শব্দ শোনা যেতে থাকে পুনরায়।

হাতভাঙা মহিলাটি সকালে ফেরত আসেন। বোঝা গেল তিনি আমাদের চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্যটাই ধরতে পারেননি, কেননা স্নান করার সময় তিনি তাঁর হাতের ব্যান্ডেজ ও বাঁধুনিটি খুব যত্ন করে খুলে রেখেছিলেন। আমরা আবার শুরু করি, এবার তিনটি কাঠি এবং মজবুত টেপের সাহায্য নিয়ে। আমরা তাঁর স্বামীকে বলি তাঁকে মেডিকেলে নিয়ে গিয়ে প্লাস্টারের ব্যবস্থা করতে, কিন্তু তিনি জানতেন যে, সেখানে তখন কোনো চিকিৎসারই বন্দোবস্ত ছিল না। তাকে তাই আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

আমরা যখন একটু দিবানিদ্রা দিয়ে আমাদের ঘুমের ঘাটতিটুকু পুষিয়ে দিতে চাচ্ছিলাম ঠিক তখনই দুপুর দুটো নাগাদ, নির্মল আমাদেরকে ঘুম থেকে তুলে জানায় যে, পাকসেনারা আমাদের বাসার সামনের পাহাড়ে ভারী কামান-বন্দুক বসাচ্ছে। আড়াইটার দিকে তারা একেবারে পাহাড়ের চূড়ায় পাকিস্তানি পতাকা টাঙায়। একই সঙ্গে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর দুটো বিমান মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায়, একবার গোত্তা খেয়ে দু’দুটো বোমাও ফেলে যায়। তাদের লক্ষ্য ছিল শহরের উপকণ্ঠের রেডিও স্টেশনখানি। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম এটা নিয়ে, কেননা রেডিও স্টেশনটির একেবারে কাছেই ছিল গাড়িঘোড়া ও ট্রেনচলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কালুরঘাট সেতু, এবং আমাদের মালুমঘাট হাসপাতালে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাখানি।

পাকিস্তানি পতাকা দেখে ছাত্র ও অন্যান্য তরুণেরা পাহাড়ে চড়ে দেখতে গিয়েছিল এটা আসলে কাদের শিবির। কেউ ভেবেছিল বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরাই বুঝি কৌশল হিসাবে এটা ব্যবহার করছিল, অন্যেরা সৈন্যদের ভাঙা বাংলা শুনে বুঝতে পেরেছিল তারা বাঙালি নয়।

জব্বার আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, এরা সেই সৈন্যই যারা সামনের রাস্তা দিয়ে আসাযাওয়া করা লোকজনের ওপর গুলি ছুড়ছিল। আমাদের বাসায় যে আহত বাঙালি সৈন্যরা আসছিল চিকিৎসার জন্য সেটা তারা নাকি ঠিকই দেখতে পাচ্ছে। আমাদের বাসার মাত্র পাঁচশ গজ দূরে অবস্থান নেওয়া তারা যদি সত্যি সত্যি পাঞ্জাবি সৈন্য হয়ে থাকে তাহলে আমাদের বিপদ আছে বৈকি। সে বুঝতে পারছিল আমাদের এখান থেকে সরে যাওয়া উচিত।

তবে ইতোমধ্যে বেলা পড়ে আসাতে বাড়ি ছাড়ার জন্য সেটা ঠিক অনুকূল সময় ছিল না। রিড ও নির্মল পেছনের গলি দিয়ে রিডের বাসায় যায়। রিড বাস্তবে সাদাপোশাকে কোনো পাঞ্জাবি কিনা, লোকেদের এরকম ফিসফিসানি শুনে তিনি বাংলায় কথা বলা শুরু করেন। তিনি যাওয়ার পথে বারবার থেমে চেনা অচেনা সবার সঙ্গেই কথাবার্তা বলেন। তিনি কথাবার্তার মাঝে খুব কৌশলে এটাও জানান দিতে থাকেন যে, তিনি একজন আমেরিকান নাগরিক। বাসায় গিয়ে তার পেছনখোলা ল্যান্ডরোভার গাড়িতে তেল আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখেন রিড এবং ব্যাটারি চার্জ দেবার তারটাও জায়গামতো লাগিয়ে নেন।

সেই সন্ধ্যার বাইবেল পাঠ খুব জীবন্ত ও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে, যখন আমরা শত্রুর পাহাড়ের নিচে বসে আবৃত্তি করি, “আপনি শত্রুর উপস্থিতিতেই আমাদের টেবিলে খাবার তুলে দেন।” এবং টেবিলখানি সত্যিই পূর্ণ ছিল ঘরে বানানো রুটিসহ হরেকরকম খাবারে, যা রান্না করা হয়েছিল আমাদের সানবিম বৈদ্যুতিক কড়াইয়ে।

সে-রাতে আমাদের যার যার ঘরেই থাকতে পেরেছিলাম আমরা, যদিও দূর থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছিল ঠিকই। অবশ্য কোনো কারণে আমরা সবাই খুব অস্থির ও উদ্বিগ্ন ছিলাম সবাই; তবে রিড নন, তিনি দিনের বেলায় মশা ঢোকার সবগুলো ছিদ্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন, এবং রাতে খুব গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন।

সকালের নাস্তার পরপরই জব্বার ও রিড আমাদের প্রস্থানের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। আমাদের হাতে বেশি টাকা ছিল না এবং আমরা কোথায় যাচ্ছি সেটা কাউকে না জানিয়ে বেরিয়েও যেতে পারছিলাম না। দুইজনকে তো একমাইল হেঁটে গিয়ে একটা রিকশা নিতে হয়েছিল, যার চালক পাঞ্জাবি সৈন্য অধ্যুষিত এলাকার ভেতর দিয়ে রিকশা নিয়ে যেতে রাজি হয়ে যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়েছিল।

আমাদের বাইবেল ইনফরমেশন সেন্টারে গিয়ে তাঁরা দেখেন, সেটা একুশজনের একটা ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে, যারা বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে এমন সব লোকের। জন সরকার, এই সেন্টারেরই কর্মী ও বাসিন্দা, সে এই পুরো দলের দায়িত্ব নেয়, এবং প্রবল নৈরাজ্যের মধ্যেও এক ধরনের শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছিল।


বার্তা২৪.কম-এর শিল্প-সাহিত্য বিভাগে লেখা পাঠানোর ঠিকানা
arts.barta@gmail.com


সেই মুহূর্তের উত্তেজনার কারণ হিসাবে জন ব্যাখ্যা করে বলে, গতকাল রাতে তাদের দুই অতিথি গুর্‌গানসের বাড়িতে যাবার জন্য বেরিয়ে তখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি। জন আমাদের চার্চের আরো কয়েকজনের ভাগ্যে কী ঘটেছিল তা জানত। পাঞ্জাবি সৈন্যরা ঢোকার পর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করা খ্রিস্টান নার্সরা সবাই চলে গিয়েছিল। কয়েকজন এমনকি ছোট ভাইদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটেই রওনা হয়ে গিয়েছিল, পঁচিশ মাইল দূরের চন্দ্রঘোনা মিশনারি হাসপাতালের উদ্দেশে।

বাইবেল ইনফরমেশন সেন্টারটি তখন পর্যন্ত ছিল মুক্তিবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায়, কিন্তু পাঞ্জাবিরা দ্রুত এগুচ্ছিল তার দিকে। গুর্‌গানস ও বাকি বিদেশিরা যে-অঞ্চলে ছিলেন সেটা অবশ্য তাদের দখলে ছিল। সেজন্যই আমাদের সেন্টারের বাঙালিরা ভেবেছিল জব্বারের পক্ষে নো ম্যান্স ল্যান্ড পার হয়ে পাঞ্জাবি এলাকায় ঢোকাটা নিরাপদ হবে না। তত্ত্বগতভাবে রিডের অবশ্য দুই এলাকাতেই নিরাপদ থাকার কথা।

দুপুরের মধ্যে ফিরে না এলে, জব্বার যেন বাকিদের কাছে ফেরত যায়, এই নির্দেশনা দিয়ে রিড একাই বেরিয়ে গেলেন। আধা মাইল মতো হাঁটার পর তিনি একটা বড় চৌরাস্তায় গিয়ে পৌঁছান। এর একদিকে চিটাগাং মেডিকেল কলেজ, আরেক পাশে প্রবর্তক পাহাড়ের ওপর হিন্দু অনাথাশ্রম, আর এই দুই রাস্তার মিলনস্থলে আমাদের বাজার-সদাইয়ের দোকান। সেখানে পাকিস্তানি সেনারা রিডকে থামিয়ে জেরা করে, এবং তাকে আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে সামনে না বাড়ার নির্দেশ দেয়। “আমরা একটা অভিযান চালাচ্ছি এখানে,” তারা ব্যাখ্যা করে।

এই অপেক্ষার মধ্যেই এক জার্মান অভিবাসী এসে যোগ দেন রিডের সঙ্গে। মুদি দোকানের পেছনেই তাঁর বাসা, এবং তিনি ঢাকায় গিয়ে উদ্ধারকারী বিমান ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে বাঙালি যোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধের বর্ণনা দেন এবং জানান যে, এর মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের সব গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় পাকিস্তানিরা তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছে।

এই অপেক্ষার মধ্যেই রিড দেখেন পাকিন্তানি সেনারা আশেপাশের দোকানপাটে ঢুকে তাদের ইচ্ছামতো জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। একজন উর্দুভাষী লোক তাদেরকে মিনতি করে জিনিসপত্র লুট না করতে, কিন্তু তারা তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। [চলবে]


কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৬)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৫)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৪)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৩)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ২)

এ সম্পর্কিত আরও খবর