‘সরকার লোভ এবং ভয়-ভীতির কারণে ক্ষমতা ছাড়তে চাচ্ছে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার লোভ এবং ভয়-ভীতির কারণে ক্ষমতা ছাড়তে চাচ্ছে না। তারা এত অন্যায় করেছে, তারা এখন চিন্তা করে ক্ষমতায় না থাকলে তাদের অন্যায়ের জন্য ন্যায় বিচার করা হলেও আজীবন জেলে থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) কর্তৃক আয়োজিত "দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন, অংশগ্রহণ ও ডামি ভোটাভুটি" শীর্ষক নির্দেশনামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষ চুরি করে গোপনে, ভোটের জালিয়াতিও হয় গোপনে, কিন্তু এদেশে ২০১৮ সালের নির্বাচন কোনো জালিয়াতি বা চুরি ছিল না এটা স্রেফ ডাকাতি। সবার চোখের সামনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। সরকার নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ, এবং সরকারি দলের যারা পান্ডা তারা সবাই মিলে রাতে এবং দিনে এ কাজটি করেছে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ইলেকশন কমিশনার বলেছে, বিদেশিরা নির্বাচনের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য গুপ্তচর লাগিয়েছে। এবার তারা (সরকার) ভোট চুরি করার ভয় পাচ্ছে। তারা (সরকার) খুব চেষ্টা করতেছে যাতে এবার ভোট কেন্দ্রে কিছু ভোটার আনা যায়। যার জন্য ইতিহাসে আমরা আরেকটা নতুন শব্দ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় দেখলাম সেটি হলো ডামি প্রার্থী। এবং সেই ডামি প্রার্থীদেরকে যাতে কেউ ডিস্টার্ব না করে এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান নেতারাও বক্তব্য দিচ্ছেন। যেভাবেই হোক তারা (আওয়ামী লীগ) কিছু ভোটার নিয়ে আসতে চায়। ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কিন্তু তার মধ্যে একটা বিরোধী দলও নির্বাচনের মধ্যে নেই। 

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, তারা ২৬ টি আসনে আপোষ করেছে। জাসদ ৩ টা, ওয়ার্কার্স পার্টি ২ টা ও তৃণমূল রয়েছে। এই হচ্ছে নির্বাচনের অবস্থা। আমি আর ডামি নির্বাচন হচ্ছে। ২০১৮ তে জাতীয় পার্টি ছাড়া যারা নির্বাচনে গিয়েছে তারা ২ শতাংশ-এর কম ভোট পেয়েছে। তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট সিন্ডিকেটের নামে আমাদের জনগণের পকেট কাটছে। একদিনে ডিমের দাম বাড়ানোর কারণে প্রতিদিন ১০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে।

এবি পার্টির আহবায়ক এ এফ এম সোলাইমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড.আহমদ আবদুল কাদের, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

   

সিলেটে দলীয় সিদ্ধান্তকে পাত্তা দিচ্ছেন না বিএনপি নেতাকর্মীরা



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কঠোর সতর্কবার্তা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচনে লড়তে অনড় রয়েছেন সিলেটের বিএনপির নেতারা। নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়া এবং প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে সমর্থন দেওয়ায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার ২৪ জন নেতাকার্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় এমন গণবহিষ্কার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে কতটা সফল হবে এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দল। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বারবার নেতাকর্মীদের কঠোর সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। যারা তাদের দলীয় নিয়ম-নীতি মানবেন না তাদের তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

কিন্তু দলের হাইকমান্ডের এমন নির্দেশনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি-দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে কর্মী-সমর্থকদের চাপে পড়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান জানান।

জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটের চারটি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ। মৌলভীবাজারের তিনটি; সুনামগঞ্জের দুটি; হবিগঞ্জের দুটি উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জেলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় সবকটি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে কোনো প্রতীক না থাকায় সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে বিএনপির নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

সিলেট জেলায় বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেবুল মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কাওছার খান, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না বেগম, সিলেট জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপন, সিলেট জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলিনা রহমান ও ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছাদ উদ্দিন সাদ্দাম।

সুনামগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেন্দ্র চন্দ্র দাস, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ও দিরাই উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছবি চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুনুর রমিদ দুলাল, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহন মিয়া বাচ্চু, সুনামগঞ্জ মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল হক আফিন্দি ও জামালগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মৌলভীবাজরে বহিষ্কৃতরা হলেন, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম, মৌলভীবাজার মহিলা দলের সহ-সভাপতি মোসা.ডলি বেগম, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাহেলা বেগম।

হবিগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, বাহুবল উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোসা. আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান সেফু ও নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম ইয়াছিন।

বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান বলেন, কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দল আমাকে বহিষ্কার করেছে এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে আমাদের উপর থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হবে।

মৌলভীবাজার জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বলেন, ঘরে বসে গণন্ত্র হয় না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা গণতন্ত্রের অধিকার। আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে। তারা আমাকে বলেছিলেন যে যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের বেলায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। কিন্তু ছোটখাটো পদধারীদের বাধা হবে না। তাদের আশ্বাস প্রার্থী হয়েছি।

তিনি বলেন, প্রার্থী হওয়ার ফলে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিয়মের সুযোগ হয়েছে। যদি নির্বাচনে অংশ না গ্রহণ করতাম তাহলে এই সুযোগটাও পেতাম না। আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে দল আবারো আমাদেরকে তাদের কাছে ফিরিয়ে নেবে। যদি নাও নেয় বিএনপি আমার হৃদয়ে থাকবে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, কঠোর সতর্কবার্তা ও বারবার নিষেধজ্ঞার পরও দলের সিদ্ধান্ত না মেনে যারাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের বহিষ্কার করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত দলের নেতা–কর্মীদের বলা হয়েছিল যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে আর দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে যে তা কিন্তু নয়। যারা তাদের পক্ষে মাঠে কাজ করবেন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামীতে আর যারাই প্রার্থী হবেন তাদের বেলায়ও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

আ. লীগের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবে বিএনপি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি (হীরক জয়ন্তী) অনুষ্ঠানে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের গত জাতীয় সম্মেলনসহ সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আমন্ত্রণপত্র বিএনপি পাবে। এটা আমি বলতে পারি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও পাবে।

উপজেলা নির্বাচনে অনেক সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের সময়মতো কোন না কোনভাবে শাস্তি পেতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনে দলের নির্দেশনা অনেক নেতাই মানছেন না। নির্বাচন প্রায় কাছাকাছি চলে আসলেও অনেক এমপি-মন্ত্রীর স্বজন এখনো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়নি। এক্ষেত্রে আপনারা কি সাংগঠনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

বিএনপি নেতা মঈন খান বলেছেন আওয়ামী লীগ সারাদিন স্বাধীনতার কথা বললেও তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে এর জবাবে তিনি বলেন, ৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। জিয়াউর রহমানের সময় হ্যাঁ-না ভোটে ১১৪ শতাংশ হ্যাঁ ভোট এসব কিন্তু তাদেরই সৃষ্টি। নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অধিনে ছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতিক বিষয়ক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করে ছাত্রলীগের সমাবেশ



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করে ছাত্রসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার (০৬ মে) বেলা ১২টার দিকে তারা মধুর ক্যান্টিন থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। এ সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা ও রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য ইউনিট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় তারা 'ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড', 'স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন', 'ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলেন, যারা গণতন্ত্রের মোড়ল ও বাকস্বাধীনতার সনদ দেয়, সম্প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আটক ও অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। সেখানে আন্দোলন করার কারণে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসাইন্স বিভাগের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে শুধু মাত্র ফিলিস্তিনের জন্যে আন্দোলন করার কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সাদ্দাম হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেন, স্কুলে-হাসপাতালে হামলা করে নারী ও শিশুদের হত্যা করে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে। বিশ্বমোড়লদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, কবে এটিকে গণহত্যা বলা হবে? আর কত হাজার প্রাণ গেলে?

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মজহারুল কবির শয়ন বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের দুর্দশা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি। টানা ৭৫ বছরের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর ভিন্ন জাতি ধর্ম, বর্ণের শিক্ষার্থীরা আজ এক হয়েছে।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধে হাসপাতালে বোমাবর্ষণের মতো নৃশংসতা দেখিনি। পৃথিবীর যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তারা আমাদের ভাই। এছাড়াও আমেরিকা ও ইসরায়েলের নাগরিক হয়েও যেসব শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।

উল্লেখ্য, এ সমাবেশে কলম্বিয়াসহ বিশ্বব্যাপী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি আনুষ্ঠানিক সংহতি জানিয়ে স্মারকলিপি পাঠ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

;

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে জবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইজরায়েলের বর্বরোচিত সামরিক অভিযানকে গণহত্যা, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং নিরীহ ফিলিস্তিনদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) বেলা ১২টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এ সময় মিছিলের নেতৃত্ব দেন জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস. এম. আকতার হোসাইন।

মিছিলটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কাঁঠাল তলা, বিজ্ঞান অনুষদ, শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে বাহাদুর শাহ পার্ক হয়ে ভিসি ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। গাজা যুদ্ধকে গণহত্যা উল্লেখ করে মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা "স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক", "গণহত্যা বন্ধ করো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো" ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

মিছিল শেষে ভিসি ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় শাখা জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ধর্ম হচ্ছে আবেগের জায়গা। যে এখানে হাত দিবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। গাজা যুদ্ধের ইন্ধনদাতা সন্ত্রাসী আমেরিকার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, কেউ ধর্ম নিয়ে খেলা করলে তাকে পুঁতে দেয়া হবে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. আকতার হোসাইন বলেন, যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে আমাদের নিরীহ মানুষদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, ইজরায়েলও একইভাবে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করতে হবে।

;