অর্ধযুগেও হয়নি জাবি ছাত্রদলের কমিটি



মাহমুদুল হাসান (জাবি প্রতিনিধি) বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেয়াদোত্তীর্ণের অর্ধযুগ পেরিয়ে গেলেও নানা জটিলতায় গঠিত হচ্ছে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের কমিটি। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী সোহেল রানাকে সভাপতি ও আব্দুর রহিম সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ।

এরপর কমিটি বিলুপ্তির একমাসের মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষনার কথা উল্লেখ করে ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর সোহেল-সৈকতের নেতৃত্বাধীন কমিটির বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়।

পূর্বের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আর কোনো কমিটি গঠিত না হলেও এই সময়সীমার মধ্যে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি কমিটি গঠিত হয়েছে।

এরপরও অজানা কারণে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের গড়িমসি বিলম্বিত করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনে।

এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জন্য তিনবার কর্মী সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ। সর্বশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মতবিনিময় করেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল। এ সময় তিনি খুব শীঘ্রই নতুন কমিটি করবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন। তবে তার সে আশ্বাসও আলোর মুখ দেখেনি।

তবে দীর্ঘদিন কমিটি না থাকলেও কেন্দ্রীয় সকল কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহন করতে দেখা গেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিকের অনুসারীদের।

হরতাল-অবরোধ কর্মসূচীতে ঢাকার সুপার ইউনিট খ্যাত সকল ইউনিটের ন্যায় কর্মসূচী পালন করেতে রাজপথে অবস্থান করতে দেখা যায় পারভেজ মল্লিকের অনুসারী ক্যাম্পাসের বর্তমান নেতা-কর্মীদের।

জাতীয় নির্বাচনকালীন চলতে থাকা অবরোধ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ ৮টি গেইট একই সময়ে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবরুদ্ধ করে রাখে তার অনুসারীরা। পরবর্তীতে যেটি দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা-কর্মীদের অনুকরণ করতে দেখা যায়। কর্মসূচিটি দেশে প্রায় শতাধিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিল।

কমিটি গঠনে বিলম্ব : উদাসীনতা না জটিলতা?

কারণ অনুসন্ধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বললে নানা প্রতিবন্ধকতার বিষয় উঠে আসে। নেতা-কর্মীদের অনেকে মনে করেন আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতৃত্ব প্রদানের আগ্রহীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান করতে পারে না এবং তারা দীর্ঘদিন পূর্বেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যক্রম শেষ করেছে।

আবার অনেকেই মনে করেন শিক্ষকেরা অধিকতর জুনিয়র ছাত্রদের কমিটিতে আনতে আগ্রহী বলে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে থাকতে পারেন।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিতে সোহেল রানাকে সভাপতি ও আব্দুর রহিম সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ১৯ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষিত হয়।

এরপর ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সেই কমিটির সভাপতি সোহেল রানাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকতের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।

পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৫টি কলেজ ও ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এ তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নাম উল্লেখ থাকায় সেই সময়কার সোহেল-সৈকতের নেতৃত্বাধীন কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়া কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, এক মাসের মধ্যে অর্থাৎ সে বছরের ১৫ ই নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এরপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একাধিকবার কমিটির পুনর্বিন্যাস হলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় সংসদের কোনো সদিচ্ছা লক্ষ্য করা যায়নি।

এদিকে মেয়াদোত্তীর্ণের দীর্ঘ ৬ বছরের বেশী সময় পার হলেও একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি না হওয়াকে কারো কারো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।

তৎকালীন শ্রাবণ-জুয়েলের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটির দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান। সকল বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দের পরামর্শে তিনি একটি প্রস্তাবিত কমিটি তালিকা দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে জমা দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তবে অদৃশ্য কারনে সেই কমিটিও আলোর মুখ দেখেনি। কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকার অনেক তথ্য, যে তথ্যগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ অনেকের কাছেই ছিলো অজানা।

নেতাকর্মীদের দৃষ্টিতে কমিটি ঘোষণায় দীর্ঘসূত্রিতার কারন

বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের স্ত্রী শামীমা পারভীন শিল্পী বর্তমান পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী ছিলেন।

পুলিশের চাকুরিতে কর্মরত থেকেও তিনি তার সাবেক অনুসারীদের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আগামী নেতৃত্ব গঠন করার জন্য তার স্বামী বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদককে ব্যবহার করছেন। অনেকে এটিকেও কমিটি গঠনে দীর্ঘসূত্রিতার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন।

আবার অনেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিকের অনুসারীদের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার জন্যেও এই দীর্ঘসূত্রিতা হতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন।

নেতা-কর্মীদের অনেকের মতেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির রকিবুল ইসলাম বকুলের নির্দেশে বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা জাবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিকের বিরোধীতা করতে অনেককেই অনুপ্রাণিত করে থাকেন।

যত দ্রুত সম্ভব নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন এখন সময়ের দাবী উল্লেখ পূর্বক নেতা-কর্মীরা আরও জানান, ছাত্র রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, অছাত্র, পোষ্য, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী ও ঢাকার অধিবাসী ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের কমিটিতে স্থান দিতে একটি মহলকে সক্রিয় হতে দেখা যায় এবং তাদের পক্ষে বিভিন্ন সময় কথা বলতে শোনা যায় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদককে।

ব্যক্তিগত রাজনৈতিক বিরোধ চরিতার্থ করতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি মুখথুবড়ে পড়ে আছে, যেটি কোনো মহলের জন্যই স্বস্তিকর নয়।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্টজনদের ভাবনা

কমিটি গঠনের ব্যাপারে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বার্তা২৪.কমকে বলেন, জাবি ছাত্রদলের কমিটি না থাকার পরও কেন্দ্র ঘোষিত হরতাল অবরোধসহ সকল কর্মসূচী যেভাবে পালন করেছে তা অন্য যেকোনো ইউনিটের জন্য অনুকরণীয়। জাবির কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে যোগ্য, ত্যাগী, সক্রিয় এবং ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রত্বের বিষয়টি সংগতি রেখে কমিটি হলে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই কমিটি ভারসাম্যপূর্ন হবে। এ ছাড়া যারা বাদ পড়বে তাদের সাথে বৈষম্য না করে তাদেরকে যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা উচিৎ।

তিনি আরও বলেন, কমিটি গঠনে জাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক নেতাদের ও জাবির সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক ভাইসহ যেসকল নেতৃবৃন্দ কর্মীদের সার্বিক সহায়তা ও দিকনির্দেশনা দিয়ে ছাত্রদলকে সক্রিয় রেখেছেন তাদের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাবি অফিসার্স সমিতির বর্তমান সভাপতি আব্দুর রহমান বাবুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নিয়মিত কমিটি দেওয়া হলে ছাত্র রাজনীতি বিকশিত হয়। নতুন নতুন নেতা তৈরি হয়। কমিটি না দেওয়াতে রাজনীতিতে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হয়, নেতৃত্বে গতিশীলতা আসে না। ঠিক সময়ে কমিটি দিলে এতদিনে দুই-তিনটা কমিটি হয়ে যেত, নতুন নতুন নেতৃত্ব উঠে আসতো, রাজনীতিতে গতিশীলতা আসতো। আমি মনে করি দ্রুতই কমিটি দেয়া উচিত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি নাই, এটা দ্রুত হওয়া উচিৎ। কারণ, একটা সংগঠনের কমিটি না থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই সংগঠনটা দূর্বল হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় যাবৎ কমিটি না থাকলে নেতা-কর্মীদের মাঝে একটা হতাশা চলে আসে। যদি কমিটি থাকতো তাহলে ছাত্রদলের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিটটা আরও শক্তিশালী হতো। অন্যান্য সংগঠন যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে তাহলে ছাত্রদলও নিশ্চয়ই পারবে, কেননা এ সংগঠন তো নিষিদ্ধ কোনো সংগঠন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনেট মেম্বার হিসেবে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সহাবস্থানের ব্যাপারে প্রায়ই আমরা সিনেট অধিবেশনে কথা বলি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলসহ অন্যান্য যারাই এখানকার স্টুডেন্ট তাদের স্বার্থে কোন ব্যাঘাত ঘটলে অবশ্যই কথা বলবো। বিষয়গুলো নিয়ে সিনেটে আমাদের কথা বলার একটা সুযোগ থাকে, আমরা যারা জাতীয়তাবাদী প্যানেলের আছি প্রত্যেকেই প্রতিবারই এ নিয়ে কথা বলি। যেহেতু কথা বলার সুযোগ আছে, সিনেটের পরবর্তী অধিবেশনে আমরা এটা নিয়েই কথা বলবো।’

নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কমিটির রদবদল কাম্য মন্তব্য করে কমিটি গঠনের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক কামরুল আহসান বার্তা ২৪.কমকে জানান, ‘যেহেতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় সেহেতু ছাত্রত্ব থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিয়মিত কমিটি গঠিত হলে সেটি অধিক কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে ছাত্রনেতারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যারা রাজনীতি করেন তারা প্রত্যাশা করেন কমিটি পাওয়ার। তবে ছাত্রদলের কমিটি প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতার দায়ভার কিন্তু শিক্ষার্থীদের না। আমি মনে করি যারা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, সংগঠনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের রাজনীতি যারা করছেন তাদেরকে ও বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাবা উচিৎ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এতোদিন কমিটি না দেয়ার দায় আমাদের উপর-ও বর্তায় মন্তব্য করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘এটা সত্য বেশ কয়েক বছর যাবত আমাদের অন্যতম সুপার ইউনিট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমরা কমিটি ঘোষনা করতে পারিনি। তবে আমরা খুব দ্রুতই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠন করতে পারবো বলে আশাবাদী। এ নিয়ে আমরা কাজ-ও শুরু করেছি। এ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও আমাদেরকে এ ব্যাপারে দ্রুত কাজ করার ব্যাপারে তাগাদা দিয়েছেন।’

কমিটিতে কারা থাকছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘সিনিয়র-জুনিয়র যেই আসুক শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, সংগঠনের স্বার্থে যারা কাজ করবেন তাদের নিয়েই কমিটি গঠন করা হবে। এক্ষেত্রে আমরা সকলের মতামতের প্রেক্ষিতে গ্রহণযোগ্য পথ বিবেচনায় নিবো।’

খুব দ্রুতই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনার হবে মন্তব্য করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দেশের অগনতান্ত্রিক পরিবেশসহ রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এতোদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি দিতে পারিনি। এখন জেলা কমিটিগুলো দেওয়ার কাজ চলছে। দুই-তিনটে জেলা কমিটি হয়ে যাওয়ার পরই আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করে দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকল সংকট উপেক্ষা করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী তাদেরসহ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ছাত্রলীগের হামল-মামলা উপেক্ষা করে যারা রাজপথে থেকে এতোদিন ছাত্রদলের রাজনীতি করে গেছেন, তাদের নিয়ে শীঘ্রই কমিটি দিতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।’

এদিকে কমিটি গঠনে বিলম্ব, দীর্ঘসূত্রিতা ও সার্বিক বিষয়ে জানতে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দুইবারের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিকের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

   

বর্তমান সরকার অনেক সমস্যার মধ্যে আছে: মান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার অনেক সমস্যার মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, শেখ হাসিনার তৈরি করা সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা করেন, কিছুদিন পর শেখ হাসিনাও স্যাংশন খাবে।

শ‌নিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটরচালক দলের আয়োজনে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহারসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির’ দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে তি‌নি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক প্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ কত ধরনের দুর্নীতি করেছে। এখন হাইকোর্ট তার সবকিছু বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বেনজীরের অবৈধ সম্পদ নিয়ে দুদক আগেই তদন্ত করতে চেয়েছিল, হাইকোর্টের নির্দেশের সেই তদন্ত বন্ধ হয়ে গেল এটা কার নির্দেশ ছিল জনগণ জানতে চায়।

তিনি বলেন, একজন এমপির বিরুদ্ধে খুন ধর্ষণের মামলা ছিল, সে আবার এমপি হয়। আবার সেই এমপি কিভাবে খুন হলো।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে জেলের তালা ভাঙতে হবে, তবেই খালেদা জিয়া মুক্ত হবে তাছাড়া মুক্ত হবে না।

সংগঠনের সভাপতি সেলিম রেজা বাবুর সভাপ‌তিত্বে কর্মসুূচিতে আরও উপ‌স্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপি'র সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম,গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম। ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ।

;

‘আজিজ-বেনজীরকে দিয়ে অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান (অব.) আজিজ আহমেদ এবং সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদকে দিয়ে অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে যাত্রাপথে দুঘর্টনায় মৃত্যুর ভয়াবহতা ও জনদুর্ভোগ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ-এ্যাব ঢাকা সেন্টার।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, আজকে দেশে শেখ হাসিনাকে একচেটিয়াভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য কাজ করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ। তিনি ২০১৮ সালের মিডনাইট নির্বাচনের আর্কিটেকচার তথা স্থপতি। এভাবে তাকে দিয়ে অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকার সকল প্রোটেকশন দিয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান।

অন্যদিকে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীরের ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং অবৈধ সম্পদ বন্ধের নির্দেশ আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করেন রিজভী। তিনি বলেন, কদিন পর দেখবেন যে আরেকটি ঘটনা ঘটিয়ে জনদৃষ্টি সেদিকে নিয়ে যাবে। কারণ বেনজীরকে দিয়েও অসংখ্য অমানবিক কাজ করিয়েছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, আসলে সরকার চাচ্ছে জাতিকে একটি শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে। আজকে দেশের নাগরিকদের সকল অধিকার হরণ করা হয়েছে। মানুষ যেন একটি বেড়ার মধ্যে বাস করছে। তাদের নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের উচিত জনগণের কাছে যাওয়া।

এ্যাব ঢাকা সেন্টারের সিনিয়র সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন আহমেদ, এ্যাব রুয়েটের সেন্টারের সহসভাপতি প্রকৌশলী এসএম আব্দুর রাজ্জাক, প্রকৌশলী মো. হানিফ, রুহুল আমিন প্রমুখ। এসময় প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান সাইফুল, গোলাম রহমান রাজীব, প্রকৌশলী আসিফ হোসেন রচিসহ আনেক প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। এতে মুল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন এ্যাব ঢাকা সেন্টার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মাহাবুব আলম প্রমুখ।

;

দুর্নীতির আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার করতে হবে: ১২ দলীয় জোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু কয়েকজন ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিচার করলে হবে না বরং যারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দেন তাদেরও বিচার করতে হবে।

শ‌নিবার (২৫ মে জাতীয়) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে ‘সীমাহীন লুটতরাজ, দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃ‌ন্দরা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অতি সম্প্রতি দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের অন্যায়-দুর্নীতির ঘটনা সবাই জানেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন শুধু তাদের বিচার করলে হবে না। তাদেরকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তাদেরও বিচার করতে হবে। সেজন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি আমাদের আন্দোলন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ও অসহায়। তারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো দেশের তাবেদারি মেনে নেওয়া হবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আজকে বাংলাদেশ ডুবন্ত নৌকায় আসিন। চারিদিকে হাহাকার। আজকে আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করা হচ্ছে। বাহিনীর সাবেক প্রধান আজিজ দুর্নীতির দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীরের দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য হচ্ছেন। তাদের দুর্নীতির দায় তো সরকারের ওপর বর্তায়।

তিনি বলেন, আজকে দশ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি। ডলার ও রিজার্ভ সংকটের কারণে এটি হয়েছে। এর মধ্যেই রিজার্ভ চুরি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা ফ্যাসিস্ট ও ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে চাই। একইসঙ্গে প্রতিবেশী দেশের ভেজাল পণ্য বয়কট এবং চলমান আন্দোলনে সকলকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান এহসানুল হুদা।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন , জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আব্বাস আলী খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান প্রমুখ।

;

যারা দুর্বৃত্ত, অপরাধী তাদের জেল জুলুম হবেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানোর এজেন্ডা আমাদের নেই। তবে যারা দুর্বৃত্ত, অপরাধী তাদের জেল জুলুম হবেই।

শনিবার (২৫ মে) সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, কাজী নজরুল ইসলাম তাদের আন্দোলনের বাতিঘর। কিন্তু তারা যখনই আন্দোলন-সংগ্রাম করে তখনই সরকার তাদের জেল জুলুম শুরু করে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি অথবা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের নির্যাতন কিংবা জেলে পাঠনোর চিন্তা করেনি আওয়ামী লীগ। কিন্তু যারা দুর্বৃত্ত, অগ্নিসন্ত্রাস, খুনি, অস্ত্র ব্যবস্থা করে, তাদের অপরাধের মানদন্ডে জেল জুলুম হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেক্ষেত্রে কোনো দল বিবেচনা করা হয় না।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি তৎপর। সাম্প্রদায়িক বিষ বৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন আওয়ামী লীগের আঙ্গীকার।

জাতীয় কবিকে স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহ-বেদনার কবি, যৌবনের কবি। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। যে কবিকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর প্রতিবেশী দেশ থেকে বাংলাদেশে এনেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনায় মৃত্যুর পর কবিকে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।

নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম এই মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন তার প্রেরণার উৎস ছিলেন কবি নজরুল ইসলাম। তার গান ও কবিতা স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সংগ্রামে উৎসাহ জুগিয়েছে। আজ আমরা সেই কবিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স্থপতি আব্দুস সবুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;