কারিক্যুলামে ইসলামী শিক্ষা বাস্তবায়নে নতুন কমিশন গঠনের দাবি হেফাজতের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রত্যেকটা স্তরে ইসলামী শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য আলেমদের পরামর্শের আলোকে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে, হেফাজতে ইসলাম।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত বর্তমান ‘জাতীয় শিক্ষা কারিক্যুলাম ও নতুন পাঠ্যপুস্তকের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা এ দাবি জানান।

এসময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সম্পদ’।

গত রমজান মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে রং তামাশা করেছে, এটাকে কোনো সভ্য জাতি সমর্থন করতে পারে না। কওমি মাদ্রাসাকে যখন স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সংসদ অধিবেশনে যখন এটা নিয়ে কথা হয়েছে, তখন অনেকে আমাদের নামটাও ভালোভাবে উচ্চারণ করতে পারেনি। একটা জাতিকে ধ্বংস করার মূল হাতিয়ার হলো শিক্ষা এবং সংস্কৃতি।

তারা বলেন, ইসলাম এবং সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য এদেশে একটা মহল শিক্ষা সিলেবাস নিয়ে পাঁয়তারা করছে। আমরা যখন এগুলো নিয়ে আওয়াজ তুলি, তখন একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। যারা এদেশ থেকে ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়, তাদেরকে নিয়েই এই সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

৯০ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার শিক্ষানীতি শিক্ষা কারিক্যুলাম ও সিলেবাসসহ যতটি শাখা-প্রশাখা রয়েছে, প্রতিটা ক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা থাকা উচিত। শিক্ষাব্যবস্থা একটি ব্যাপক বিষয়। শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। তাদের ধর্মহীন হিসেবে গড়ে তোলার অপপ্রয়াস চলছে।

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের জাতীয় পাঠ্যবই নিয়ে একের পর এক বিতর্ক হচ্ছে। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কোনো জাতিকে পরাজিত করতে হলে সেই জাতির শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করাই যথেষ্ট। আজকে রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে সব দিক থেকে আমরা ‘হিন্দুত্ববাদী’ ও ‘ব্রাহ্মণ্যবাদী’ আগ্রাসনের শিকার। বিধর্মী ও মুশরিকদের চোখে আমাদের সবচেয়ে বড় অপরাধ যে, আমরা মুসলিম। আমাদের ঈমান ও মুসলিম পরিচয়কে তারা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চায়। সেজন্যই আমাদের ধ্বংস করার প্রথম ধাপ হিসেবে ‘হিন্দুত্ববাদীরা’ আমাদের জাতীয় পাঠ্যপুস্তককে টার্গেট করেছে। তাদের ষড়যন্ত্রেই আজকে স্কুল-কলেজ ও সরকারি মাদরাসার পাঠ্যপুস্তকের এই বেহাল দশা।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের জাতীয় পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামী মূল্যবোধ ও ভাবধারার রচনাপত্র বাদ দিয়ে মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দু লেখক ও ইসলামবিদ্বেষী সেকুলার কবি-সাহিত্যিকদের লেখা দিয়ে ভরে ফেলা হয়। তখন বিষয়টি হেফাজতে ইসলামের দৃষ্টিগোচর হয়। পাঠ্যবইয়ের হিন্দুত্বায়ন ঠেকাতে আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানাই যে, পাঠ্যপুস্তককে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।

বাবুনগরী বলেন, দুঃখজনকভাবে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে আরো নগ্নভাবে ‘হিন্দুত্ববাদের’ আগ্রাসন দেখা যায়। পাঠ্যপুস্তকের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ‘হিন্দুত্ববাদী’ ইতিহাসের বয়ান ও ‘হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইসলামী মূল্যবোধ ও মুসলমানের কোনো পরিচয় রাখা হয়নি। এছাড়া ইসলামবিরোধী বিবর্তনবাদ তত্ত্ব, পৌত্তলিকতা, গ্রিক দেবদেবীর পরিচয়, হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি, ট্রান্সজেন্ডারিজমের মতো বিকৃত ধ্যানধারণা, ছেলেমেয়ের অবাধ মেলামেশা, পর্দা বিদ্বেষসহ মুসলমানের ঈমানবিরোধী এমন কিছু নেই যা, পাঠ্যবইয়ে ঢোকানো হয়নি। আমাদের কোমলমতি শিশু-কিশোরদের মুসলিম আত্মপরিচয় ও ঈমানি চেতনা ভুলিয়ে দিতেই এসব করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি। এটা অনেক বড় ষড়যন্ত্রের অংশ। কারাবন্দি প্রতিবাদী আলেমদের অনুপস্থিতিতেই এসব ঘটানোর দুঃসাহস করেছে ইসলামবিরোধী অপশক্তি।

আমাদের নেতৃবৃন্দকে জেলে ঢুকিয়ে তারা ভেবেছিল, এদেশের আলেম-ওলামাকে স্তব্ধ করা গেছে। এটা কখনো সম্ভব নয়। আমরা সবর করেছি। আমাদের সবর করার মানে এই নয় যে, আমরা চুপ হয়ে গিয়েছি কিংবা পরাজিত হয়েছি। আমাদের সবর বরং আরো দ্বিগুণ শক্তি সঞ্চয়ের সুপ্ত বারুদ মাত্র।

বাবুনগরী বলেন, কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো বা কাউকে ক্ষমতায় বসানো আমাদের কাজ নয়। এদেশের মুসলমানদের ঈমান-আকিদা ও ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণ এবং দাওয়াতি কাজই হেফাজতে ইসলামের মূল উদ্দেশ্য।

হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ, ছবি- বার্তা২৪.কম

সুতরাং, আমরা সরকারকে সতর্ক করে বলতে চাই, ক্ষমতায় থাকার লোভে হিন্দুত্ববাদীদের ষড়যন্ত্রের খেলায় দেশকে ঠেলে দেবেন না। এটা ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ। সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় চেতনা, সংস্কৃতি ও স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা সম্ভব নয়। পাঠ্যপুস্তকের হিন্দুতায়ন ঠেকাতে আমরা ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে যারা ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করছে। তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করুন। তাদের বহিষ্কার করে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিন। সেইসঙ্গে নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শের আলোকে পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্কারের ব্যবস্থা করুন।

হেফাজতের আমির বলেন, দেশের সচেতন অভিভাবকদের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা আরো সরব হন। ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আপনাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হলে এই বর্তমান বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাখ্যানের বিকল্প নেই। ইসলামবিরোধী হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যবই প্রত্যাখ্যান করুন। স্কুলে আপনার সন্তানদের কী শেখানো হচ্ছে, তা জনসম্মুখে তুলে ধরুন। আমাদের জাতীয় পাঠ্যপুস্তক আজ হিন্দুত্ববাদের কবলে পড়েছে। অঙ্কুরেই মুসলমানের ছেলেমেয়েদের ঈমানি চেতনা ধ্বংস করার আয়োজন করা হচ্ছে। সেক্যুলারিজমের নাম দিয়ে ইসলাম নির্মূল করার এই চক্রান্ত আমরা সফল হতে দেবো না।

এসময় হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান সাতটি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে-

১. 'ইসলামী শিক্ষা বিষয়' প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সকল শাখায় আবশ্যিক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

২. দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়ন তথা বোর্ড পরীক্ষায় 'ইসলামী শিক্ষা বিষয়' পুনর্ববহাল করতে হবে।

৩. বিতর্কিত ও প্রত্যাখ্যাত কুরআনবিরোধী বিবর্তনবাদ ও ট্রান্সজেন্ডারবাদসহ ইসলামবিরোধী সকল পাঠ্যরচনা সিলেবাস থেকে অপসারণ করতে হবে।

৪. আরব দেশগুলোর শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য আরবি ভাষায় পাঠদান সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করতে হবে। উল্লেখ্য, ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও এ উদ্দেশ্যে আরবি ভাষা শিখে এগিয়ে রয়েছে।

৫. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিতকরণপূর্বক অপসারণ করে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

৬. ভবিষ্যতে বিতর্ক এড়াতে দেশের নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শের আলোকে পাঠ্যবইয়ের পুনর্সংস্করণ করতে হবে।

৭. ২০১৩ থেকে অদ্যাবধি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

আমরা সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের প্রতি আমাদের প্রস্তাব ও যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে দেশের জনগণকে ইসলামবিরোধী ও জাতীয় মূল্যবোধপরিপন্থী এ শিক্ষা কারিক্যুলামের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;