ঝোড়ো হাওয়াসহ ৫ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ পাঁচ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আর শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা শুধু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

এদিকে বাগেরহাটের মোংলায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, যা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

   

ঝালকাঠির সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন

লাইসেন্সবিহীন চালক, ওভারলোডিং, অবকাঠামোর ত্রুটিই দায়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝালকাঠি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝালকাঠির গাবখান টোলপ্লাজায় ট্রাকচাপায় ১৪ জন নিহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি জেলা প্রশাসনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চালকদের লাইসেন্স ও ট্রাকের ফিটনেস না থাকা, ওভারটেকিং করা, সড়কে অবৈধ যান, সড়কের অবকাঠামোয় ত্রুটি, ট্রাকে ওভারলোড, অতিরিক্ত গতি এবং গতিরোধের জন্য নির্দেশনা না-থাকা দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৭ এপ্রিল ঝালকাঠির গাবখান সেতু টোলপ্লাজায় সিমেন্ট বোঝাই একটিড ট্রাক সামনে থাকা একটি মিনি ট্রাক, একটি প্রাইভেটকার এবং ৩টি ইজিবাইককে চাপা দেওয়ায় ১৪ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ১৭ জন। এ দুর্ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। ঈদযাত্রার আলোচিত এ দুর্ঘটনার কারণ জানাতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গাবখান সেতুসংলগ্ন দুর্ঘটনার জন্য ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরোজকে প্রধান করে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিতুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ঝালকাঠি জোনের সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) মো. মাহবুবুর রহমান ও বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হককে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ বিষয়ে কথা হলে তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের এআরআই’র সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক বলেন, অনেক সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত করেছি। কিছু বিষয় ছাড়া সড়কের অবকাঠামো ত্রুটি চিহ্নিত করা হয় না। এ ছাড়া দুর্ঘটনা ঘটলে প্রথমেই চালককে দোষারোপ করি। কিন্তু সড়কের অবকাঠামো ত্রুটির বিষয়টি সামনে আনেন না কেউ।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনা কমাতে হলে শুধু সড়কের উন্নয়ন করলেই হবে না; অবকাঠামোগত ত্রুটিও দূর করতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রধান কারণ হিসেবে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের ওভারলোড এবং অতিরিক্ত গতি দায়ী করা হয়েছে। ট্রাকটির ধারণ ক্ষমতা ১৫ টন হলেও সিমেন্টের পরিমাণ ছিল ২০ টন।

সড়কটিতে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৫০ কিলোমিটার হলেও ট্রাকটি ৬৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলছিল। এ ছাড়া ট্রাকচালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। তিনি ছিলেন বদলি ড্রাইভার। মূল চালক ঈদের ছুটিতে ছিলেন।

সাধারণত বদলি চালকদের দ্রুততম সময়ে ট্রিপ শেষ করার তাগিদ থাকে। সে কারণে এ দুর্ঘটনায় চালকের গাফিলতিও রয়েছে। অন্যদিকে, যেকোনো টোলপ্লাজা ও সড়ক জংশনের ৫শ মিটার আগেই গতি কমানোর নির্দেশনা থাকে। ‘সামনে টোলপ্লাজা, গতি কমান’ এ ধরনের সাইনবোর্ড থাকে।

কিন্তু গাবখান সেতুর ১শ ৩০ ফুট আগে সেই নির্দেশনা ছিল। সে নির্দেশিকাও (সাইনবোর্ড) চোখে পড়ার মতো নয়। টোলপ্লাজায় গতি নিয়ন্ত্রণে ‘রাম্বল স্ট্রিপস’ থাকার কথা থাকলেও সেখানে তা ছিল না। কাজেই এত অল্প দূরত্বের সাইনবোর্ড দেখে চালক গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি আর সেতু থেকে নামার পর স্বভাবতই গাড়ির গতি বেশি থাকে, যার ফলেই ঘটে এ দুর্ঘটনা।

ড. আরমানা আরো বলেন, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের সড়কে কিছুটা দূরত্ব পরপর ভয়াবহ বাঁক রয়েছে। গাবখান ব্রিজটিও স্পাইরাল কার্ভের মতো। সেতু থেকে নামার পরে সড়কের দুই পাশে ১২ ফুট করে গভীর খাদ রয়েছে। নিয়মানুযায়ী সেখানে প্রতিবন্ধক থাকার কথা থাকলেও এর দেখা মেলেনি।

সড়কের দুই পাশে ১০ মিটার ট্রাভার্সাল ক্লিয়ারিং জোন থাকার কথা। কোনো গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে তা সড়কের পাশে থেকে সেই ক্লিয়ারিং জোনে চলে যাবে। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে এলে আবার মূল সড়কে এসে চলবে। ঝালকাঠির ওই সড়কের পাশে ক্লিয়ারিং জোন দূরে থাক, সেখানে গড়ে উঠেছে নানা অবকাঠামো।

গাবখানে যে অংশে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার খুব কাছে ছিল চায়ের দোকান। ট্রাক আরেকটু এগিয়ে গেলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারতো। এ ছাড়া নিয়মানুযায়ী, সড়কের প্রশস্ত অংশে টোলপ্লাজা হওয়ার কথা। কিন্তু সড়কের সরু অংশে টোলপ্লাজা করা হয়েছে। এটিও ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি সেতু এলাকায় মূল সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি সংযোগ সড়ক ছিল।

এ ছাড়া ঝালকাঠির সড়কে থ্রি-হুইলার, নছিমন-করিমন, অটোরিকশাসহ নানা অবৈধ যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহনের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। এসব বাহনের চালকেরা হুট করেই আঞ্চলিক মহাসড়কে চলে আসেন। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। এসব যানবাহনে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে বেশি প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

ঝালকাঠির দুর্ঘটনার পরে তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকটি সুপারিশ প্রস্তাব করেছে।

এতে সড়কের যেসব অংশে দুইপাশে গভীর খাদ রয়েছে, সেখানে ভরাট করা; আঞ্চলিক সড়কগুলোর দুইপাশে ট্রাভার্সাল ক্লিয়ারিং জোন তৈরি করা করা; পাশাপাশি যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনে গতি নিয়ন্ত্রক যন্ত্রাংশ (স্পিড ওয়ার্নিং ডিভাইস) বসাতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া সিমেন্টবোঝাই ট্রাকে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত সিমেন্ট পরিবহনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। ওই সুপারিশমালায় সড়কে থ্রি-হুইলার বা অনিবন্ধিত যানবাহন চলাচলকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এগুলো চলাচল বন্ধের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ড. আরমানা সাবিহা হক বলেন, গাবখান সেতু এলাকায় মাল্টি ডিসিপ্লিনারি প্রবলেম ছিল। এখানে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের পাশাপাশি বিআরটিএ, হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জনবল সংকট রয়েছে, কিন্তু যে জনবল রয়েছে, তাদের দক্ষতাও কম। সড়ক আইন কার্যকরের বিষয়টি পুলিশের ওপরও বর্তায়। গাবখানে হাইওয়ে পুলিশের কাছে স্পিড রাডার গান ছিল না।

জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, দুঘটনা রোধে তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো সংশ্লষ্ট দপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

 

;

চলমান তাপদাহ নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তাপদাহ নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরে বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের এই কর্মসূচি দেশজুড়ে হচ্ছে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা। সেই নির্দেশনা মেনেই আমরা কাজ করছি। তবে এই যে তাপদাহ এটি নিয়ে যাতে কেউ রাজনীতি না করে। এখানে আমরা সবাই সামাজিকভাবে কাজ করি। এই অনুরোধটি আজকের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি থেকে সমস্ত রাজনৈতিক বন্ধুদের কাছে রাখলাম।

আসাদ বলেন, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের জীবনী শক্তি। শুধু তাপদাহের কারণে বৃক্ষরোপণ করছে তা নয়। এটি ছাত্রলীগের প্রতিবছরের কর্মসূচির অংশ। এই তাপদাহ আমাদের জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। গোটা পৃথিবীর পরিবেশ বিপর্যয়ের ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। একদিকে আমাদের যেমন সামাজিক ভাবে সচেতন হতে হবে, রাজনৈতিক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি পরম করুণাময়ের কাছেও প্রার্থনা করতে হবে যেন তিনি আমাদের এই তাপদাহ থেকে রক্ষা করেন।

এদিন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সাগরের আয়োজনে ৫ হাজার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.এম তৌহিল আল তুহিন, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবু, সহ-সভাপতি শাহরিয়ার শিমুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ প্রমুখ।

;

ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এতথ্য তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ ও সাহসী মানুষ। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে সবার কথা বলি। সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে স্থানীয়রা আমাকে চাচ্ছে। তারা বলেছে, দু-একদিনের মধ্যেই মনোনয়নপত্র তুলবেন। আমি আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে।

তবে শেষপর্যন্ত মাঠে থাকতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

ঝিনাইদহ-১ আসনের ভোট হবে আগামী ৫ জুন। এ উপ-নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে। প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে ও ভোট হবে ৫ জুন।

এর আগে, জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও অংশ নেন তিনি। এই আসনটি রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। তবে কোনো নির্বাচনেই তিনি জিততে পারেননি।

;

ছাত্রলীগ নেতা সজিব হত্যা মামলার আসামি দুলাল অস্ত্রসহ গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে এম সজিব হত্যা মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন দুলাল ওরফে বামহাতি দুলালকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পরে তার দেওয়া তথ্যে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার মৃত আবদুল আজিজের ছেলে। সে সজিব হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৮ নম্বর আসামি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর পাহাড়ি দুলালকে গ্রেফতার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনা জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে খুলনার ডুমুরিয়া থানাধীন শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সেখান থেকে তাকে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, দুলালকে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোররাতে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিফ্রিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশীদ বলেন, আসামি দুলাল জিজ্ঞাসাবাদে অন্য আসামিদের নামও বলেছে। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকেও গ্রেফটতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজিবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের
উপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সোমবার রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাজী বাবলুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এম সজিব। এ মামলায় বিভিন্ন সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

;