শাক, পেঁয়াজ ও টমেটো কীভাবে সংরক্ষণ করবেন ডিপ ফ্রিজে?



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
পেঁয়াজ সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম জানা থাকলে অনেকদিন পর্যন্ত পেঁয়াজ ভালো থাকবে, ছবি: বার্তা২৪.কম

পেঁয়াজ সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম জানা থাকলে অনেকদিন পর্যন্ত পেঁয়াজ ভালো থাকবে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের বন্ধে পরামর্শ দেওয়া হয় একবারে বেশি করে বাজারসদাই করে রাখার জন্য।

কারণ দীর্ঘদিনের বন্ধে, লম্বা সময় যাবত প্রয়োজনীয় ও নিত্যদিনের অনেক কিছুই বাজারে পাওয়া যাবে না। এই সমস্যা উত্তরণের জন্য কেনাকাটা করে রাখলেও, আসল সমস্যা দেখা দেয় পচনশীল উপাদান সংরক্ষণে।

মাছ-মাংস সংরক্ষণে সমস্যা না থাকলেও শাক কিংবা পেঁয়াজ ফ্রিজে ৩-৪ দিনের বেশি সময় ভালো থাকে না। এক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মেনে এই উপাদানগুলো সংরক্ষণ করতে পারলে পুরোপুরিভাবে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। গতকাল কিংবা আজ যদি বাজার করে থাকেন, তবে আজ দিনের মাঝেই পচনশীল এই উপাদানগুলো সঠিকবভাবে সংরক্ষণ করতে পারবেন। তাই চোখ বুলিয়ে নিন আজকের ভীষণ উপকারী এই ফিচারটিতে।

শাক

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/01/1559370447341.jpg

সবচেয়ে নাজুক ও দ্রুত পচনশীল প্রাকৃতিক উপাদানের মাঝে অন্যতম হলো শাক। শাকে অধিকাংশ অংশ জলীয় উপাদান হওয়ায় খুব দ্রুত শাক পাতা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। তাই শাক সংরক্ষণের জন্য শাক কেনার সময় নির্বাচন করতে হবে একদম ফ্রেশ ও তরতাজা শাক। যে সকল শাকের আঁটি ইতোমধ্যে কালচে হয়ে গিয়েছে বা শুকিয়ে গিয়েছে, সে শাকগুলো নেওয়া যাবে না।

শাক কেনার পর ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। শাকের ডাঁটা কিংবা পাতা কাটা যাবে না। শাকের পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে প্লাস্টিক বা জিপলক ব্যাগের ভেতরে কিচেন টিস্যু বিছিয়ে তার ভেতরে শাকগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে এবং ব্যাগের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ব্যাগের ভেতরে যেন ভেজা না থাকে। ভেজা থাকলে শাক এই পানি শোষণ করে নরম হয়ে যাবে। এই পদ্ধতিতে শাক ১০ দিন পর্যন্ত খুব ভালোভাবেই সংরক্ষণ করা যাবে।

পেঁয়াজ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/01/1559370461796.jpg

পেঁয়াজ সংরক্ষণের বিষয়টি বেশ কৌশলের। অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ায় পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে বিধায় পেঁয়াজ কেটে ডিপ ফ্রিজে রাখা হবে সবচেয়ে ভালো উপায়। কিন্তু যেমন-তেমনভাবে পেঁয়াজ ডিপ ফ্রিজে রাখা হলে তা রান্নায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। তাই পেঁয়াজ সংরক্ষণে জানা প্রয়োজন সঠিক পদ্ধতির। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য দুইটি ভিন্ন পদ্ধতি জানানো হলো।

প্রথম পদ্ধতি:

এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য পেঁয়াজ ধুয়ে, ছিলে মাঝারি আকৃতিতে কেটে নিতে হবে। পেঁয়াজের কুঁচি খুব বেশি চিকন বা মোটা করা যাবে না। পেঁয়াজের কুঁচিগুলো কিচেন টিস্যু পেপারের উপর বিছিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ, এতে পেঁয়াজের বাড়তি আর্দ্রতা টিস্যু শোষণ করে নেবে। এরপর এয়ার জিপলক ব্যাগে টেবিলে বিছিয়ে পেঁয়াজের কুঁচিগুলো ছড়িয়ে ব্যাগের ভেতরে রাখতে হবে এবং ব্যাগের মুখ বন্ধ করার আগে হাত দিয়ে চেপে ব্যাগের ভেতরের বাতাস বের করে নিতে হবে এবং ব্যাগের মুখ লাগিয়ে নিতে হবে। এবারে ডিপ ফ্রিজের থাকে সমান্তরালভাবে ব্যাগ বিছিয়ে দিতে হবে। এতে করে পেঁয়াজ খুব ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকে। সাধারণত ডিপ ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখলে পানি পানি হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এমনভাবে রাখলে সেই সমস্যাটি হবে না। এভাবে পনের দিন পর্যন্ত পেঁয়াজ সম্পূর্ণ ভালো থাকবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি:

এই পদ্ধতিটি অনেকেরই জানা থাকার কথা। পেঁয়াজ কুঁচি করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। আইস ট্রেতে ব্লেন্ড করা পেঁয়াজ পরিমাণমতো নিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে পেঁয়াজের আইস কিউব তৈরি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আইস ট্রের উপর প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। নতুবা ডিপ ফ্রিজে পেঁয়াজের গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে। পেঁয়াজের এই আইস কিউবগুলো সে সকল রান্নায় পেঁয়াজ বাটা ব্যবহার করা হয়, সেখানে ব্যবহার করা যাবে। এভাবে এক মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে।

টমেটো

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/01/1559370491136.JPG

বিভিন্ন ধরনের রান্না কিংবা সালাদ তৈরিতে টমেটো আবশ্যিক উপাদান। কিন্তু টমেটো রেফ্রিজারেটরে খুব বেশিদিন ভালো থাকে না। আবার ডিপ ফ্রিজে রাখা হলে খুব সহজেই পানি পানি হয়ে যায়। যা রান্নায় কিংবা সালাদে ব্যবহার করা যায় না। সেক্ষেত্রে সঠিক উপায়টি জানা প্রয়োজন।

টমেটো সংরক্ষণে আমরা সবাই যে ভুলটি করি, টমেটো কেটে টমেটোর টুকরো সংরক্ষণের চেষ্টা করি। এটা করা যাবে না। আস্ত টমেটো ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। সংরক্ষণের জন্য প্রথমেই নির্বাচন করতে হবে একদম ফ্রেশ টমেটো। টমেটোগুলো ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে সরাসরি ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিতে হবে। কয়েক ঘণ্টা পর টমেটোগুলো ফ্রোজেন হয়ে সম্পূর্ণ শক্ত হয়ে গেলে জিপলক ব্যাগে ঢুকিয়ে ব্যাগ থেকে বাতাস বের করে মুখ বন্ধ করে পুনরায় ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিতে হবে।

এভাবে সংরক্ষণ করলে টমেটো নরম বা পানি পানি হবে না। রান্নায় বা সালাদে ফ্রেশ টমেটোর মতোই ব্যবহার করা যাবে। তবে ডিপ ফ্রিজে থাকার ফলে টমেটোর খোসা আলগা হয়ে আসে, তাই ব্যবহারের আগে শুধু খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এভাবে টমেটো ১০-১৫ দিন সংরক্ষণ করা যাবে।

আরও পড়ুন: ছুটি নির্বিঘ্নে কাটাতে বাজার করে ফেলুন আজই!

আরও পড়ুন: ছুটির মাঝে গাছ কীভাবে ভালো থাকবে?

   

অত্যধিক গরমে শুধু শরীর নয়, ফোনও খারাপ হয়ে যেতে পারে! সুরক্ষায় যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মের দাপট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। গ্রীষ্মকাল যাদের পছন্দের ঋতু নয়, এই গরমে তাদের অনেকেরই মনখারাপ হয়ে যাচ্ছে। অত্যধিক গরমে শুধু মন নয়, খারাপ হতে পারে ফোনও। তাই গরমে ফোনের যত্ন নিতেও ভুলবেন না। গরমে অল্প ব্যবহার করলেই ফোন গরম হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ ফোন গরম হয়ে গেলে, কিভাবে সামাল দেবেন জেনে নিন এর সমাধান- 

১) বাইরে বের হলে ফোন হাতে নয়, ব্যাগের মধ্যে রাখুন। সূর্যের আলোয় ফোন অত্যধিক গরম হয়ে যায়। এখন রোদের যা তেজ, তা ফোন গরম হতে বেশিক্ষণ সময় নেবে না। এতে ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

২) ফোন ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। ফোনে একাধিক অ্যাপ একসঙ্গে খুলে রাখবেন না। এতে ফোনের ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। ফোন ক্রমশ গরম হতে থাকে। তাই যখন যে অ্যাপ প্রয়োজন, সেটাই খুলে রাখুন। বাকিগুলো বন্ধ করে দিন।

৩) একটানা বেশিক্ষণ ফোন ব্যবহার করবেন না। দীর্ঘক্ষণ ফোন ঘাঁটলে গরম হয়ে যায়। ব্যাটারির উপরেও এর প্রভাব পড়ে। সে ক্ষেত্রে অল্প দিনেই ব্যাটারি খারাপ হয়ে যেতে পারে।

৪) ফোন গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা করার একটি উপায় হল কুলিং ফ্যান। বাজারে বিভিন্ন ধরনের কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। শুধু ফোন ঠান্ডা করতেই নানা ধরনের কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়

তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, মধ্যবয়সী-যুবক প্রচন্ড গরমের সকলের নাজেহাল অবস্থা। তার উপর নেই বৃষ্টির ছিটেফোঁটা সম্ভাবনাও। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও কয়েক ডিগ্রি তাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

সরকারপক্ষ থেকে রাজধানীতে নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে৷ কৃত্রিম ভাবে পানি দিয়ে শহর ভিজিয়ে ক্ষণিকের জন্য হলেও প্রশান্তি দেওয়া বা ছাউনি তৈরি করা৷ এছাড়া গাছ লাগানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ চলছে জোরদমে৷ তবুও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া লোকের সংখ্যা কমছে না। সাধারণ কিছু গরম জনিত সমস্যা ছাড়াও হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ৷

গরমে সাধারণত দুইটা সমস্যার বেশি আধিপত্য দেখা যাচ্ছে৷ হিট এক্সহসশন বা তাপক্লান্তি এবং হিটস্ট্রোক৷ হিটস্ট্রোক খুবই গুরুতর একটি সমস্যা, যা মৃত্যু ঘটাতেও সক্ষম৷ হিট এক্সহসশনকে বলা যায় হিটস্ট্রোকের আগের অবস্থা। তবে অনেকেই এই সমস্যা দু'টোকে একই মনে করেন৷ তবে এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে৷  জেনে নেওয়া যাক সেসব পার্থক্য-

হিট এক্সহসশন বা ক্লান্তি: সাধারণত শরীর দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই হয়। গরমের মধ্যে বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হতে থাকে৷ 

তাপমাত্রা এখন দিন দিন আরও বাড়ার কারণে ঘামও তুলনামূলক বেশি হয়৷ এই কারণে শরীর থেকে পানি আর লবণ বের হয়ে যায়৷ ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। একেই হিট এক্সহসশন বলে৷

হিট এক্সহসশনের উপসর্গ হলো হিট ক্র‍্যাম্পস বা পেশিতে ব্যথা হওয়া।

পানিশূন্যতাও এর একটি সাধারণ সমস্যা। সাধারণত ১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩৮.৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই হিটএক্সহসশনের সমস্যা দেখা যায়৷

এছাড়া অনেকের বমি হয়৷ বা বমি বমি ভাব হয়৷ হিট এক্সহসশনের সময় হৃদকার্য দুর্বল হয়ে যায়। তবে হার্টবিট দ্রুত হতে থাকে৷

তাপক্লান্তি হলে করণীয়: তাপক্লান্তিতে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে৷ অথবা ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে৷ যেন শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়৷

দ্রুত হালকা ঠান্ডা পানি খাওয়াতে হবে৷। বা জলদি শক্তি আনার জন্য এনার্জি ড্রিংক (খেলোয়াড়দের জন্য ব্যবহৃত) খাওয়াতে হবে।

রোগীকে ঠান্ডা স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে। তাকে রিলাক্স করতে টান করে শুয়িয়ে রাখতে হবে৷

বমির সমস্যা গুরুতর প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বমিরোধী ঔষধ সেবন করাতে হবে।

হিটস্ট্রোক: যখন অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকে তখন শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে৷ সংকুচিত হওয়ার কারণে লোমকূপ ঘাম বের হতে পারেনা৷ এতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ব্যর্থ হয়৷

সে কারণে তাপ শরীরের ভেতরেই থেকে যায় আর শরীর শীতল হতে না পেরে স্ট্রোক হয়৷

সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি বেড়ে যায়৷ হৃদপিণ্ড খুব দ্রুত এবং শক্তিশালীভাবে কম্পিত হতে থাকে৷

হিটস্ট্রোক হলে মানুষ সাধারণত অজ্ঞান হয়ে যায়৷ অথবা সজ্ঞান হারিয়ে অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে। তাদের চোখ, ত্বক পরিবর্তন হয়ে যায়।

ত্বকে লালচে এবং শুষ্ক হয়ে যায়৷ অনেকের ক্ষেত্রে খিচুনি উঠতে দেখা যায়। শ্বাস প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হয়ে যায়। রোগীর প্রশ্বাস গ্রহণে অসুবিধা হতে দেখা যায়৷

হিটস্ট্রোক হলে করণীয়: রোগীকে দ্রুত ঠান্ডা এবং ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যেতে হবে৷

রোগীর গায়ের অতিরিক্ত কাপড় এবং জুতা খুলে দিতে হবে৷ যেন বাতাসের সংস্পর্শে আসতে পারে।

শরীর এবং মাথায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ঢালতে হবে। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাওয়াতেও হবে। কোনোভাবেই ঠান্ডা পানি খাওয়াবেন না। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপ আরও বেগতিক হবে৷

শরীরে ঠান্ডা বাতাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷ অতি দ্রুত জরুরি চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে৷ জরুরি প্রয়োজন ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে।

;

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;