কেন সকালে খালি পেটে পানি পান করবেন?



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাইপের ভেতর দিয়ে পানি ঢাললে পানি প্রবাহিত হওয়ার সময় পাইপের ভেতরে থাকা সকল ময়লা পরিষ্কার করে বেরিয়ে যাবে।

ঠিক একইভাবে কাজ করে সকালে খালি পেটে পানি পান করা। সাধারণত সবসময় উপদেশ দেওয়া হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানের জন্য। কারণ পানি শরীরের স্বাভাবিক কার্যকারিতা সচল রাখে এবং শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বের করে দিতে কাজ করে। সেই উপকারিতার মাত্রা আরও খানিকটা বৃদ্ধি পায় সকালে খালি পেটে পানি পান করলে।

সাধারণত এই নিয়মটি জাপানে খুব কঠোরভাবে মানা হয়। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম।

১. সকালে দাঁত মাজার আগেই একদম খালি পেটে ৬০০ মিলিগ্রাম পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানি ঘরোয়া তাপমাত্রার হলেই হবে। ঠাণ্ডা বা গরম পানির প্রয়োজন নেই।

২. পরবর্তিতে দাঁত মাজার ৪৫-৬০ মিনিটের মধ্যে কিছু খাওয়া যাবে না।

৩. নাস্তা করার পরবর্তী ২ ঘণ্টার মাঝে কিছু খাওয়া যাবে না।

খুবই সহজ এই নিয়ম মেনে চলতে পারলে পাওয়া যাবে দারুণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। তার মাঝে কয়েকটি তুলে ধরা হলো।

পাকস্থলী পরিষ্কার করে

পেট পরিষ্কার ও সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে এটা অন্যতম চমৎকার একটি উপায়। আপনি যদি পেটের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে টানা এক সপ্তাহ উপরের নিয়ম মেনে চললেই লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা দিবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/10/1547116728839.jpeg

কোলন ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে

গ্রহণকৃত খাদ্য ‘ফুড পাইপ’ এর ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় খাদ্যের ধ্বংসাবশেষ (Debris) পাইপের দেওয়ালে রয়ে যায়। সকালে খালি পেটে পানি পানের ফলে ফুড পাইপ ভালোভাবে পরিষ্কার হবার সুযোগ পায়।

খাবারে রুচি বৃদ্ধি করে

খালি পেটে পানি পানের ফলে পাকস্থলী ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে একেবারে খালি হবার সুযোগ পায়। এতে করে ক্ষুধাভাব বৃদ্ধি পায় এবং খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।

মাথাব্যথা প্রতিরোধ করে

মাথাব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয় শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দেওয়া। পানিস্বল্পতা দেখা দিলে শরীরের কোষ তার কার্যকারিতা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারে না, ফলে দেখা দেয় মাথাব্যথা। পানি পান, বিশেষত খালি পেটে পানি পানের ফলে কোষ তার প্রয়োজনীয় পানি পেয়ে যায়। ফলে সহজে পানিস্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয় না।

ওজন কমবে সহজেই

একেবারেই ক্যালোরিবিহীন কিছু খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে চাইলে অবশ্যই পানি পান করতে হবে। ঠিক এই কাজটাই একেবারে খালি পেটে করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। যা একইসাথে পেটফোলা ভাব দূর করবে এবং মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। ফলে ওজন কমবে খুব দ্রুততার সাথে। যদি বাড়তি ওজন দ্রুত ঝড়াতে চান তবে পানির সঙ্গে দুই টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।

আরও পড়ুন: খাদ্যাভাসের যে পাঁচ বদভ্যাসে কমছে না ওজন

আরও পড়ুন: শরীরে যখন আয়োডিনের অভাব!

   

গরমেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে সুপারফুডে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মের এই সময়টাতে নিয়মিত সুপারফুড খাওয়ার অভ্যাস ত্বকের  সুস্থতা ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। গ্রীষ্মকাল সাধারণত সূর্যালোক এবং উচ্চ তাপমাত্রার এক্সপোজার নিয়ে আসে। এতে  পানিশূন্যতা ও সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব ত্বকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

এই সময়ে ডায়েটে পুষ্টিকর সুপারফুড অন্তর্ভুক্ত থাকলেই মিলবে সমস্যার সমাধান। ত্বককে সুরক্ষা এবং পুষ্টি সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইড্রেশন সরবরাহ করতে পারে এসব সুপারফুডগুলো। 

গ্রীষ্মকালীন এমন প্রয়োজনীয় সুপারফুডগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এসব খাবার স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডায়েটে যোগ করতে পারেন আপনিও।

উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গ্রীষ্মকালীন ১০টি সুপারফুড:

১. বেরি

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরি জাতীয় খাবার ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ; যা ফ্রি র‌্যাডিকেলের সাথে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। স্যালাড, স্মুদি বা স্ন্যাক হিসাবে এগুলো তাজা খাওঅর চেষ্টা করুন।

২. তরমুজ

এই হাইড্রেটিং ফলের মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করে ত্বককে স্বাস্থ্যকর আভা দেয়। এর সতেজ রস শরীরের ও ত্বকের সুস্থতা বাড়ায়।

৩. শসা

উচ্চ পানিগ্রাহী খাবার শসা আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং টক্সিনগুলোকে বের করে দেয়। শসায় সিলিকাও রয়েছে, যা দৃঢ় এবং কোমল ত্বকের জন্য কোলাজেন উত্পাদনকে উত্সাহ দেয়। সালাদ, তরকারি বা নাস্তার উপাদান  হিসেবে শসা উপভোগ করুন।

৪. টমেটো

লাইকোপেন সমৃদ্ধ টমেটো ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের গঠন উন্নত করে। রান্না করা টমেটো বা টমেটো পেস্ট আরও বেশি উপকারী; কারণ লাইকোপিন আরও জৈব উপলভ্য হয়ে ওঠে। সালাদ, স্যুপ বা সস হিসেবেও টমেটো খেতে পারেন।

৫. অ্যাভোকাডো

স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ই দিয়ে পরিপূর্ণ, অ্যাভোকাডোস ত্বককে ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে এবং অকাল বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। টোস্টে, সালাদে, বা ক্রিমি স্মুদিতে মিশ্রিত করে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।

৬. পালং শাক

এই সবুজ পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি, যা ত্বকের মেরামত এবং পুনর্নবীকরণ করে। এতে আয়রন এবং ক্লোরোফিলও রয়েছে, যা ত্বককে ডিটক্সিফাই করে এবং বর্ণ উন্নত করে। সালাদে কাঁচা, ভাজা বা স্মুদিতে মিশিয়ে পালং শাক খেতে পারেন।

৭. সালমন

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্যামন ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। এটিতে অ্যাটাক্সান্থিনও রয়েছে, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। একটি সুস্বাদু এবং ত্বকের জন্যও পুষ্টিকর- এমন খাবারের জন্য গ্রিলড, বেকড বা পোচড খেতে পারেন।

৮. নারকেল

নারকেলের পানি বা তেল বা মাংসের অংশ সবকিছুই হাইড্রেটিং করে এবং এতে মাঝারি-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। নারকেল তেলকে ময়শ্চারাইজার হিসেবে বা স্কিনকেয়ার রেসিপিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৯. হলুদ

এই সোনালি মশলাটিতে কারকিউমিন রয়েছে, যার মধ্যে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একটি পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল বর্ণকে উন্নীত করে।ত্বকের উন্নতির জন্য তরকারি, স্মুদি বা গোল্ডেন মিল্কের সাথে এটি যোগ করতে পারেন।

১০. ডার্ক চকোলেট

কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কোকোসহ উচ্চমানের ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা ত্বকে রক্ত​​প্রবাহ উন্নত করে একটি স্বাস্থ্যকর আভা দেয়। এটি পরিমিতভাবে খেতে পারেন বা স্মুদি বা ডেজার্টে কোকো পাউডার হিসেবে যোগ করতে পারেন।

মনে রাখবেন, যদিও এই সুপারফুডগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত করতে সক্ষম, তবে সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং পুরো শস্য সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, হাইড্রেটেড থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া এবং ত্বকের যত্নের ভালো অভ্যাস অনুশীলন করা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অপরিহার্য।

;

গরমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড রোদে চারদিকে সবার অবস্থা যখন নাজেহাল তখন উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অবস্থা আরও করুণ। কারণ অতিরিক্ত গরমে এসব রোগীদের শারীরিক অবস্থা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে রোদে বের না হওয়াই ভালো। কারণ রোদে বেরিয়ে হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। আবার কেউ কেউ মাথার যন্ত্রণারও শিকার হতে পারেন।

উচ্চ রক্তচাপের রোগী হলে সাধারণ দিনেই নিজের যত্ন নিতে হয়। কারণ এই রোগের হাত ধরে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগ আসে। আর এই তীব্র গরমে প্রেশারের রোগীদের একটি বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কারণ প্রখর রোদে রক্তচাপ আরো বেড়ে যেতে পারে। গরমে রক্তনালী স্ফীত হয়ে যায়। এর জেরেই বাড়ে রক্তচাপ। তখন সাবধান না থাকলে ঘটতে পারে মৃত্যুও।

উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বাড়তি সতর্কতা মানতে হবে

হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, চোখে অন্ধকার দেখার মতোও উপসর্গ দেখা দিতে পারে। রাস্তায় বেরিয়ে এমন ঘটনা ঘটলে কী করবেন?

রোদে বেরিয়ে হঠাৎ করে মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে বা মাথা ঘোরা অনুভব করলে সাবধান হয়ে যান। তখন রোদ থেকে সরে দাঁড়ান। গাছের নিচে বা কোনো ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিতে পারেন। এই কারণে চিকিৎসকেরা বলছেন, রোদে বের হলে ছাতা ও পানির বোতল সাথে রাখা ভীষণ জরুরি। রোদে বেরিয়ে হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে শরীরে মারাত্মক অস্বস্তি তৈরি হয়। তখন শীতল কোনো জায়গায় বসে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিন। ঠান্ডা পানি পান করুন। মুখে-চোখে, ঘাড়ে পানি দিন। এরপরও যদি অস্বস্তি না কমে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

এই গরমে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কয়েকটি পরামর্শও মেনে চলতে পারেন।

১. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন প্রেশারের ওষুধ খেতেই হবে। এক্ষেত্রে একদিন প্রেশারের ওষুধ না খেলেই মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

২. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

৩. লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময় নোনতা জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। ৪. গরমে বাইরের খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।

৫. গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে দিনে দুইবার গোসল করুন।

 

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা 

;

গরমে যে ৫ সবজি শরীর ঠান্ডা রাখে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অসহনীয় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খেতে হবে সবজি। যে হারে গরম বাড়ছে, তাতে শরীর যেন ঠান্ডা থাকে, সে দিকেও নজর দিতে হবে। পেট ঠান্ডা রাখতে অনেকেই ডাবের জল, লেবু কিংবা পুদিনার শরবত খাচ্ছেন। শরীরের ভেতরে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে বলে ঘন ঘন আইসক্রিমও খাচ্ছেন।

তবে কী খেলে এই গরমে শরীরের ভেতর ঠান্ডা থাকবে জেনে নিন। 

শসা

এই গরমে শসা না খেলে পেটের সমস্যা অবধারিত। শসাতে জলের পরিমাণ বেশি। ফলে শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এই ফল। শরীরে যে তাপ উৎপন্ন হয়, শসা তা শোষণ করে নিতে পারে। হজমের গোলমাল কমাতেও শসা উপকারী।

লাউ

গরমে লাউ খেতে পারেন। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে। এই সময়ে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। লাউ কিন্তু সেই ঘাটতি পূরণ করবে। তা ছাড়া, পেটের সমস্যা যাদের রয়েছে, লাউ তাদের জন্য বেশ উপকারী।

ঝিঙে

রুই মাছ দিয়ে ঝিঙের ঝোল বাঙালির আলাদা একটা প্রেম আছে। এই সবজি রান্না করার সময়ে যে পরিমাণ জল বেরোয়, তাতেই বোঝা যায় এতে কতটা পরিমাণ জল আছে। গ্রীষ্মকালীন নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমায় ঝিঙে।

বিট

বিট শীতকালীন সবজি। তবে সারা বছরই বাজারে চোখে পড়ে বিট। ‘হিট ওয়েভ’-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুস্থ থাকতে বিট খাওয়া জরুরি। বিট পেটের গোলমাল কমায়। শরীরের ভেতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। বিট খেলে হজমের সমস্যাও কমে।

লেটুস

বাজারে গিয়ে লেটুস দেখতে পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে কিনে নিন। গরমে লেটুস খাওয়া সত্যিই উপকারী। লেটুস পাতায় জলের ভাগ বেশি। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে এই পাতা। এ ছাড়া, শরীরের তাপমাত্রা কমাতে লেটুসের জুড়ি মেলা ভার। পেটের সমস্যাও কমায় এই পাতা। লেটুসের গুণে গরমেও চাঙ্গা থাকা যায়।

সূত্র: আনন্দবাজার

 

;

গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করে নিজের যে ক্ষতি করছেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকেই বাইরে থেকে ঘরে ঢুকেই ফ্রিজের দরজা খুলে হাতে তুলে নেন ঠান্ডা পানির বোতল। তারপর ঢকঢক করে গলাধঃকরণ করেন। তারপর তার মনে হয়, আহ শান্তি। তবে এই শান্তির সঙ্গে সঙ্গে আপনি কিন্তু কিছু ঝুঁকিকেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।

পুষ্টিবিদের মতে, হিমশীতল পানি শরীরের বহু ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিপানের অভ্যাস হজমে বিঘ্ন ঘটায়। এর থেকে পেট ব্যথা হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গলার রক্তনালিকাও। পরবর্তীতে যার থেকে দেখা দিতে পারে জটিল সংক্রমণ।

টনসিল–ঠান্ডা–কাশি–জ্বর

গরমের মধ্যে বাইরে থেকে ফিরেই সরাসরি ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি খেলে গলা খুসখুস থেকে শুরু করে ঠান্ডা লাগা পর্যন্ত অনেক আশঙ্কাই আছে। শরীরের তাপমাত্রা সাধারণভাবে ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করার কারণে দেহের কিছু অংশের তাপমাত্রা হুট করে কমে যায়। বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে শরীর।

ফলে নিয়মিত এ রকম ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফলে মিউকাস বা শ্লেষ্মা বেড়ে টনসিলের সমস্যা, মাইগ্রেনের সমস্যা, দাঁতে ব্যথা, খাদ্যনালির সমস্যা, সর্দি, কাশি বা জ্বরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তৈরি হওয়া মিউকাস বা শ্লেষ্মা শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা তৈরি করে। তখন নানা প্রদাহযুক্ত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের গলায় শ্বাসনালির ওপরের অংশে কিছু ‘সুবিধাবাদী জীবাণু’ বাস করে। সুবিধাজনক অবস্থা পেলেই এরা আক্রমণ করে। যখন চারপাশে গরম, তখন হঠাৎ করে ঠান্ডা পানি গলায় গেলে গলার তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। ঠান্ডা পানিতে এই জীবাণুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে।

হৃৎস্পন্দন ‘ড্রপ’ করতে পারে

ঠান্ডা পানি সাময়িক সময়ের জন্য স্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনে বাধা দেয়। দশম ক্র্যানিয়াল নার্ভ বা ভেগাস নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। ফলে হৃৎস্পন্দনের পতন ঘটে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। যাঁদের সাইনাস বা মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, তাদের ঠান্ডা পানি খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

হজমে বাধা

হজমের সময় যে পুষ্টি শোষিত হয়, সেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাধা দেয় ঠান্ডা পানি। শরীর তখন হজমপ্রক্রিয়ার চেয়ে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শরীরে বেশি পানিশূন্যতা দেখা যায়।

চর্বিজাতীয় পদার্থ জমে যাওয়া

শরীরের চর্বিজাতীয় পদার্থ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে এসে জমে যায়। ফলে সেগুলো শোষণ করা বা পুড়িয়ে ফেলা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এমনিতেই চর্বিজাতীয় পদার্থ হজম করতে শরীরে সবচেয়ে বেশি তাপ উৎপন্ন হয়। তাই কিছু ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফলে শরীর তো ঠান্ডা হবেই না, আরও গরম হবে। আর ওজন কমানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

দাঁতের শিরশিরানি

ঠান্ডা পানি দাঁতের এনামেল অংশটাকে দুর্বল করে তোলে। তখন দাঁতে যেকোনো সংক্রমণের সুযোগ তৈরি হয়। আর ঠান্ডা পানি খাওয়ার ফলে দাঁতে শিরশিরেভাব হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

 

তথ্যসূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া

;