ফুটবলার হতে না পেরে নাট্যকার হলেন বৃন্দাবন দাস



নজরুল ইসলাম তোফা
নাট্যকার বৃন্দাবন দাস/ ছবি: সংগৃহীত

নাট্যকার বৃন্দাবন দাস/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। তবে সফলতার সীমা পরিসীমা নেই। যে যার মতো সফল হয়ে তুষ্ট থাকেন। আবার কেউ সফলতার সীমানা নির্ধারণ করতে পারেন না, অসন্তুষ্টি নিয়ে তারা সারা জীবন পার করেন। প্রকৃত ও যথার্থ পরিশ্রম একটি মানুষের জীবনে ‘সৌভাগ্যের লক্ষ্মী’ ডেকে আনে। বলতে চাই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাট্যকারের কথা।

ভালো ফুটবল খেলতেন। তার স্বপ্নও ছিল তিনি সেরা ফুটবলার হবেন। কিন্তু দেশসেরা ফুটবলার তিনি হতে পারেননি। হয়তো বা সেই সফলতার জায়গা তার জন্য নয়। তার জায়গা হলো- নাটক লেখা, নাটক করা আবার তা পরিচালনা করা। তিনি হলেন প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা ও পরিচালক পাবনা জেলার কৃতী সন্তান বৃন্দাবন দাস। দেশসেরা ফুটবলার হতে না পারলেও দেশসেরা নাট্যকার হলেন বৃন্দাবন।

তার ইচ্ছা ছিল ফুটবলে জাতীয় দল তথা আবাহনীর হয়ে আকাশি-নীল রঙের জার্সি গায়ে দিয়ে খেলবেন। ১৯৮১ সালে এই স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে অচেনা শহর ঢাকায় এলেন। আবাহনী ক্লাবে হাজির হয়ে স্বপ্নের সেই কথাগুলো জানান কিংবদন্তিতূল্য ফুটবলার অমলেশ সেনের কাছে।

কিন্তু মনোবাসনার কথা জানানোর পর সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন পাবনার চাটমোহরে। অমলেশ সেন তাকে বুঝে উঠতে না পারলেও তিনি ১৯৮৪ সাল হতে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত চাটমোহর সবুজ সংঘের এক অন্যতম সংগঠক ও কৃতী ফুটবল খেলোয়াড় হয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/20/1561049201040.jpg
যমজ দুই সন্তানের সাথে বৃন্দাবন দাস/ ছবি: সংগৃহীত

 

পাবনা জেলা যুব ফুটবল দলসহ পাবনা মোহামেডান ক্লাব ও পাবনা ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে অংশগ্রহণসহ ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগের সিটি ক্লাব, আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব ও আদমজি জুট মিলস এর অন্যতম খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছিলেন।

কিন্তু অনুশীলনের সময় আহত হয়ে অনেক দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় বৃন্দাবন দাসকে। বিভিন্ন জেলায় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে বেশ কয়েকটিতে শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৪-৮৬ সাল পর্যন্ত পর পর তিন বছর চাটমোহর উপজেলার বর্ষসেরা ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে সবুজ-পদকে ভূষিত হয়েছিলেন।

পাবনায় ফুটবল খেলার মাঠের পাশেই ছিল চাটমোহর সাংস্কৃতিক পরিষদ। নাটক করা যায় কিনা! যথারীতি সেখানে তিনি উপস্থিতও হয়েছিলেন। ১৯৮৫ সালের কথা। সাংস্কৃতিক পরিষদের পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ফারুককে ঠাট্টা করে বলেছিলেন, ‘নাটকে অভিনয়ের সুযোগ দিতে হবে।’ এ কথা শুনে গোলাম মোহাম্মদ ফারুক তাকে সালাম সাকলায়েন রচিত 'চোর’ নাটকে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। সেখান থেকেই তার সৃষ্টিশীলতার শুরু।

এরপর সেখানেই বাংলাদেশ মুক্ত-নাটক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। সেই সুবাদে ‘আরণ্যক নাট্যদল’-এর কর্ণধার- মামুনুর রশীদের সঙ্গে পরিচয় এবং ঢাকার আরণ্যক নাট্যদলের সদস্য পদ লাভ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মামুনুর রশীদের সহকারী হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/20/1561048993690.jpg
স্ত্রী শাহনাজ ফেরদৌস খুশি ও দুই ছেলের সাথে বৃন্দাবন দাস/ ছবি: সংগৃহীত

 

তারপর ১৯৯৪ সালে বৃন্দাবন দাস বেশ কিছুদিন অবশ্য কাজ করেছিলেন ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে জুনিয়র অফিসার পদে। ১৯৯৭ সালে আরণ্যক ছেড়ে তিনি ‘প্রাচ্যনা্ট’ গঠন করেন। তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘কেয়ার বাংলাদেশে’ কাজ করেন ২০০৬ সাল পর্যন্ত।

বৃন্দাবন দাস জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৬৩ সালে ৭ ডিসেম্বর- পাবনা জেলার চাট মোহর উপজেলার সাঁরোড়া গ্রামে। বৃন্দাবন দাসের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চাটমোহরে। ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার চিন্তা এখনো তিনি নাটকেই যেন ব্যবহার করেন। তিনি পড়াশোনাতেও খুব মনোযোগী ছিলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সম্পন্ন করার পরে চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু সম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি আর চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ অর্থাৎ বর্তমানে চাটমোহর সরকারি কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাস করেন।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জগন্নাথ কলেজও পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএসএস (সম্মান) ও এম এস এস ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে চাটমোহরের মেয়ে শাহনাজ ফেরদৌস খুশির সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। খুশিও একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রী। তাদের 'যমজ পুত্র সন্তান দিব্য জ্যোতি আর সৌম্য জ্যোতি এখন অধ্যয়নরত এব উভয়েই অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। সুতরাং এখন পুরো পরিবার মিডিয়া জগতের সঙ্গে যুক্ত।

বৃন্দাবন দাসের গুণাবলির মূল উত্তরসূরি তার বাবা স্বর্গীয় দয়াল কৃষ্ণ দাস। তিনি ১৯২৫ সাল হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একজন প্রখ্যাত কীর্তন শিল্পী; পদাবলী কীর্তন এবং সাহিত্যে যেন 'অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী' ছিলেন। দয়াল কৃষ্ণ দাস প্রায় ৫০ বছর কীর্তন গেয়ে ছিলেন। তার মাতা ময়নারানী, তিনিও সংস্কৃতিমনা ছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/20/1561049161788.jpg

প্রাচ্যনাটের প্রয়োজনে ছোট একটি মঞ্চ নাটক 'কাঁদতে মানা' লিখেছিলেন বৃন্দাবন। মূলত এ নাটকটি মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে প্রাচ্যনাটের শুভ যাত্রা হয়। এরপর প্রখ্যাত নাট্য-পরিচালক সাইদুল আনাম টুটুলের পরিচালনায় নির্মিত হলো বৃন্দাবন দাসের লেখা প্রথম টেলিভিশন ধারাবাহিক-নাটক ‘বন্ধুবরেষু’। নাটকটি ১৯৯৯ সালে একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত ও দর্শকনন্দিত হয়।

পাবনার আঞ্চলিক ভাষাকে বৃন্দাবন তার নাটকে শক্তিশালী এক বৃহৎ স্থান করে দিয়েছেন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটক: বন্ধুবরেষু, মানিক চোর, বিয়ের ফুল, ঘরকুটুম, পাত্রী চাই, হাড় কিপটে, গরু চোর, আলতা সুন্দরী, সার্ভিস হোল্ডার, ভালোবাসার তিন কাল, সাকিন সারি সুরি, লেখক শ্রীনারায়ণ চন্দ্রদাস, কতা দিল্যেমতো, মোহর শেখ, ওয়ারেন, টক শো, পত্র মিতালী, ফিরে পাওয়া ঠিকানা, সম্পত্তি, সম্পর্ক, উঁট, ডায়রী, কাসু দালাল ও তিন গেদাসহ প্রায় দুই শতাধিক নাটক রচনা করেছেন। তার লেখা মঞ্চ নাটক : কাঁদতে মানা, দড়ির খেলা, অরণ্য সংবাদ, কন্যা ইত্যাদি।

নাটকে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি' ও 'বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন' কর্তৃক সেরা নাট্যকারের পুরস্কার পেয়েছেন বৃন্দাবন দাস। তাছাড়া তিনি বিনোদন বিচিত্রা, টেনাশিনাস, ট্যাব, আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড, প্রতিবিম্ব (অস্ট্রেলিয়া) সহ বহু সম্মাননা ও পুরস্কার লাভ করেন।

লেখক: নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও প্রভাষক।

   

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;

গানে ইরান সরকারের সমালোচনা, জনপ্রিয় র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সরকারের সমালোচনা করে গান করায় জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ইরানের আদালত। ইতিমধ্যে তোমাজ সালেহির ফাঁসির আদেশ জারি করা হয়েছে বলে এক্সে জানিয়েছেন এই র‍্যাপারের আইনজীবী আমির রেসিয়ান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কেউ এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মুখ খোলেননি।

দুই বছর আগে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি পুলিশের হেফাজতে মারা যান। কিন্তু এ ঘটনায় কেন পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হবে, সেটা নিয়ে সোচ্চার হয় দেশটির অনেক মানুষ। দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নামেন।

 

কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর পরে বিক্ষোভ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে

ইরানজুড়ে যখন আন্দোলন হচ্ছিল, তখন ৩৩ বছর বয়সী তোমাজ সালেহি দেশের দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা, সরকারের নানা রকম সমালোচনা করে গান করেন। এমন ঘটনায় তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হন। বিভিন্ন সময় তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু গান দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া থেকে থামেননি তিনি। তাঁর গান ছিল ইরানে পরিবর্তন চাওয়া মানুষের মুখে।

এই ঘটনায় সমালোচনা করেছে ‘দ্য রেকর্ডিং একাডেমি’। তারা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোনো শিল্পী যখন শৈল্পিক কোনো কিছু নিজেদের মতো করে প্রকাশ করেন, তখন সেটা জীবনের জন্য ভয় বা হুমকির কারণ হতে পারে না। সব সময়ই সংগীত ভাব প্রকাশের শক্তিশালী মাধ্যম। এই শিল্পীদের সুরক্ষায় আমরা আগেও কাজ করেছি। এখন আমরা তাঁদের পাশে আছি।’

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

যুক্তরাষ্ট্রের র‍্যাপার মিক মিলার সালেহিকে গ্রেপ্তার করা ও তার শাস্তির ঘটনায় সমালোচনা জানিয়ে এক্স এ লিখেছেন, ‘আমরা সালেহি মুক্তি চাই। কুর্দি ও ইরানিয়ান র‍্যাপার সামন ইয়াসিনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাতিল চাই। তাঁদের দ্রুত মুক্তি চাই।’

ইরানের পুলিশ ২০২২ সালে সালেহিকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিকভাবে তাকে ছয় বছর তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। পরে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি জামিনে বের হন। পরবর্তী সময়ে কিছুদিন পরেই তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। এই র‍্যাপারের মুক্তির জন্য নাজানীন বনিয়াদি, আরিয়ান মোয়েদ, মাজ জোবরানিসহ বেশ কিছু অভিনয়শিল্পী মতামত প্রকাশ করেছেন।

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

জোবরানি একটি ভিডিওতে জানান, যখন শান্তিপূর্ণ মানবাধিকার নিয়ে কথা হচ্ছিল, সাধারণ মানুষ পথে নেমেছিলেন, তখন তাঁদের হয়ে তোমাজ নিজের মতো করে গান করেছিলেন। এটাই তাঁর একমাত্র অপরাধ। তিনি ভিডিওতে বলেন, ‘একজন কমেডিয়ান হয়ে আমি কল্পনাই করতে পারি না, একজন শিল্পীকে তাঁর গানের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

তথ্যসূত্র : বিবিসি ও ভ্যারাইটি।

 

;

টয়া লিখেছেন, ‘বেস্ট বার্থডে পার্টি এভার’, দেখে নিন দারুণ ছবিগুলো



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
স্বামী শাওনের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তে টয়া /  ছবি : ফেসবুক

স্বামী শাওনের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তে টয়া / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া একাধারে জনপ্রিয় একজন মডেল, নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী। তার অভিনীত অনেক টেলিভিশন নাটক এবং ধারাবাহিক নাটক দর্শক উপভোগ করেছে। 

জন্মদিনের পার্টিতে টয়ার আনন্দ /  ছবি : ফেসবুক

মেধা, গ্ল্যামার আর স্মার্টনেস টয়াকে করেছে অনন্য। বর্তমানে কাজ বাছাইয়ে দারুণ সচেতন এই অভিনেত্রী। তাই খুব কম কাজে তাকে পাওয়া যাচ্ছে। তবে যে কাজটিই করেন না কেন তা যেন ভালো মানের হয়, সেদিকে তিনি খেয়াল রাখছেন।

টয়া লিখেছেন, ‘বেস্ট বার্থডে পার্টি এভার’ /  ছবি : ফেসবুক

গত ২৪ এপ্রিল ছিল এই তারকার জন্মদিন। সেই জন্মদিনের দারুণ সব ছবি আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। ছবিগুলোর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘বেস্ট বার্থডে পার্টি এভার’। অর্থাৎ এ যাবৎকালে এটাই ছিল তার জন্মদিনের সেরা পার্টি। 

জন্মদিনের পার্টিতে টয়া পরেছিলেন টুকটুকে লাল শর্ট গাউন /  ছবি : ফেসবুক

জন্মদিনের পার্টির জন্য টয়া পরেছিলেন টুকটুকে লাল রঙের একটি ভিন্ন কাটিংয়ের শর্ট গাউন।

স্বামী শাওনের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তে টয়া /  ছবি : ফেসবুক

টয়ার জন্মদিনের পার্টির ছবিতে অবধারিতভাবে তার স্বামী অভিনেতা সৈয়দ জামান শাওন তো থাকবেনই। জীবনের বিশেষ এই দিনে এই লাভ বার্ড ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন দারুণ সব রোমান্টিক মুহূর্তে।

সাফা কবিরের সঙ্গে টয়ার বন্ধুত্ব / ছবি : ফেসবুক

শুধু স্বামীই নয়, টয়ার জন্মদিনের পার্টিতে এসেছিলেন তার বেশ ক’জন বন্ধু। জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবিরের সঙ্গে টয়ার বন্ধুত্বের কথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। সাফা এসেছিলেন সাদা পোশাক পরে। দুই অভিনেত্রীর খুনসুটি বরাবরের মতো লেগেই ছিল।

তামিম মৃধা ও টয়া / ছবি : ফেসবুক

শোবিজের মধ্যে টয়ার আরেক ভালো বন্ধু অভিনেতা তামিম মৃধা। তিনিও এসেছিলেন বন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। তবে টয়ার বন্ধুদের মধ্যে সিয়াম আহমেদ, জোভান আর তেসিফ মাহবুবকে মিস করেছে ভক্তরা।

পরিবারের বাচ্চাদের নিয়ে কেক কাটেন টয়া / ছবি : ফেসবুক

২০১০ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন টয়া। ১৯৯১ সালের ২৪ এপ্রিল রাঙ্গামাটিতে একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পারিবারিক নাম মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, তবে তিনি টয়া নামেই বহুল পরিচিত। তার বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মা একজন স্কুল শিক্ষিকা। দু'বোনের মাঝে টয়া ছোট।

স্বামী শাওনের সঙ্গে টয়া / ছবি : ফেসবুক

২০১৯ সালের শেষের দিকে ভারতে একটি অভিনয় প্রশিক্ষণ কর্মশালাতে অংশগ্রহণের সময় অভিনেতা শাওনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল টয়ার। ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি শাওনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

স্বামী শাওন ও বন্ধুদের সঙ্গে টয়া / ছবি : ফেসবুক

রুমানা রশিদ ঈশিতা পরিচালিত ‘অদেখা মেঘের কাব্য’ নাটকের মাধ্যমে তার অভিনয়ের জীবন শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি অনেক টেলিভিশন অনুষ্ঠান, নাটক, টেলিফিল্ম এবং বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি অনেক ভিডিও গানেও কাজ করেছেন। 

স্বামী শাওনের সঙ্গে টয়া / ছবি : ফেসবুক

২০১৮ সালে ইফতেখার রাহশান নূর পরিচালিত ‘বেঙ্গলি বিউটি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার বড়পর্দায় অভিষেক হয়। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারণামূলক কাজ, টিভি নাটক এবং ওটিটিতে কাজ করছেন। 

;

মডেল পিয়ার আইনজীবী লুক ভাইরাল, যা বললেন তারকা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

পিয়া জান্নাতুল / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী-অনেক পরিচয়েই চেনানো যায় পিয়া জান্নাতুলকে। স্পষ্ট বক্তা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়ার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বিভিন্ন গানের সঙ্গে পিয়ার ওই ভিডিও বসিয়ে দিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে। ভিডিওতে তার মুচকি হাসিতে ঘায়েল নেটিজেনরা।

আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

এ নিয়েই তোলপাড় চলছে নেট দুনিয়ায়। হাসির কারণে রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে গেছেন পিয়া জান্নাতুল। ভিডিও ক্লিপটি নিয়ে বানানো হচ্ছে রিলস, মিম আর ভিডিও।

যাকে নিয়ে এত হইচই, তার চোখেও পড়েছে বিষয়টি। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ, আমি বুঝি, যারা দুই সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে এক সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।’

পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

ভিডিওটি দেখে অনেক তরুণ যেন পিয়ার প্রেমে বুঁদ হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, যারা কনটেন্ট বা রিলস তৈরি করছেন, বেশির ভাগই তরুণ-যুবক। আসলে এগুলো ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে, যখন যে ট্রেন্ড আসে, সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে অসুবিধার কিছু নেই।’

স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব জেতেন পিয়া। ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন তিনি।

;