সংগীতের মাধ্যমে ডাটা স্থানান্তরের উপায় খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা



ফিচার ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ডাটা স্থানান্তর করা যাবে সংগীতের মাধ্যমে

ডাটা স্থানান্তর করা যাবে সংগীতের মাধ্যমে

  • Font increase
  • Font Decrease

কল্পনা করুন এমন এক বিশ্বের কথা যেখানে ক্যাফে বা হোটেলে অবস্থানকালে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজনই হচ্ছে না আপনার। এর বদলে, ডাটা স্থানান্তরিত হবে সংগীতের মাধ্যমে। না, কোনো ‘পাসওয়ার্ড ওয়ান-টু-থ্রি’ বলা জিঙ্গেলের মতো কিছু এটি হবে না। তবে, ইটিএইচ জুরিখের একদল গবেষক সম্প্রতি একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে সংগীতের মাধ্যমে ডাটা স্থানান্তর করা সম্ভব হবে। এই সংগীত অবশ্য মানুষের কানে শ্রবণযোগ্য নয়, তবে তা সহজেই পাঠোদ্ধার করা যাবে স্মার্টফোনের সাহায্যে।

এক নতুন তরঙ্গ

ব্লুটুথের মতো কিছু তারহীন যোগাযোগ প্রযুক্তি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে রেডিও তরঙ্গের সাহায্যে ডাটা স্থানান্তর করে। তবে, ব্লুটুথের ক্ষেত্রে ফটো বা ফাইল শেয়ার করার জন্য একজোড়া ডিভাইস দরকার হয়। আর এয়ারড্রপে বন্ধু খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে, এমন যে কেউই জানে, কখনো কখনো ব্লুটুথ হতে পারে একটু বেশিই খুঁতখুঁতে।

নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুবই সাধারণ একটি মাধ্যম। সেটি হলো শব্দ। বর্তমানের প্রায় সব সেলফোনেই একটি করে বিল্ট-ইন মাইক্রোফোন রয়েছে যা সংগীত বা বাজনা থেকে ধরতে পারে অডিও ডাটাকে। সেই ডাটার পাঠোদ্ধার করাটা হতে পারে স্মার্টফোন অ্যাপ ডাউনলোড করার মতোই সহজ, যখন সেখানে থাকবে ইটিএইচ জুরিখের গবেষকদলের তৈরি করা অ্যালগরিদম। তবে, অ্যাপটি এখনো সবার ব্যবহারের জন্য ছাড়া হয়নি।

যদিও চার্প ও লিসনারের মতো কোম্পানি ২০০৯ থেকে শব্দতরঙ্গের মাধ্যমে ডাটা স্থানান্তর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, তবে জুরিখের দলটিকে আলাদা করে রেখেছে একটি অনন্য বিষয়। সেটি হলো শ্রোতার সন্তুষ্টিতে প্রভাব বিস্তার করা ছাড়াই তারা ডাটাকে সংগীতের সাথে একীভূত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

অত্যন্ত উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে নোটগুলোকে ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এত উঁচুতে যে মানুষের শ্রবণশক্তি তা খুব কমই ধরতে পারবে। কোথায় ডিকোডার অ্যালগরিদম ডাটার অনুসন্ধান করবে সেটার নির্দেশ করাই হলো এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য। এরপর, নির্দিষ্ট সংগীত-অংশের প্রবল ফ্রিকোয়েন্সির উপরে, একটু ধীরলয়ে উচ্চ ও নিম্ন নোট যোগ করেন তারা। উপরে যোগ করা নোটটিই বহন করে ডাটাকে।

বাইনারি বিট ও সংগীতের বিট

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে, গবেষকরা প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ বিট ডাটা স্থানান্তরে সক্ষম হয়েছেন। একইসাথে মূল সংগীতটিকেও রাখতে পারছেন অটুট। সন্দেহ থাকলে, যে কেউ ইটিএইচ বিগ ব্যান্ডের দুটো অডিও স্যাম্পল শুনে দেখতে পারেন। কোনো পার্থক্য কি ধরতে পারা যাচ্ছে? প্রথম ক্লিপে প্রেস রিলিজ হিসেবে পাঠানো মিউজিক-পিসটি রিপিট হচ্ছে প্রতি ০.৭ সেকেন্ড অন্তর অন্তর।

ভিডিও লিঙ্ক https://i.rmbl.ws/s8/2/5/l/l/Z/5llZa.caa.2.mp4?b=0&u=age1
ভিডিও লিঙ্ক https://i.rmbl.ws/s8/2/_/m/l/Z/_mlZa.caa.2.mp4?b=0&u=age1

এটির মতো উচ্চলয়ের সংগীতই ডাটা স্থানান্তরের জন্য আদর্শ, কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডমিন্যান্ট ফ্রিকোয়েন্সি। বেশিরভাগ পপ ও রক সংগীতও এক্ষেত্রে ভালো কাজে দেয়। যেমন, কুইন ব্যান্ডের “দ্য শো মাস্ট গো অন” আর ভ্যান হেলেনের “অ্যান্ড দ্য ক্র্যাডল উইল রক” গানদুটোই লিসেনিং টেস্টে ভালো করেছে। এক্ষেত্রে শ্রোতাদের আসল ও পরিবর্তিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য ধরতে বলা হয়েছিল। ৪০ শতাংশের বেশি শ্রোতা পরিবর্তনটা ধরতে পারেনি। যেখানে সংগীতের পার্থক্য নিয়ে তারা ছিল খুবই খুঁতখুঁতে, সেখানে এই পরিমাণটা একটু বেশিই বলা চলে।

ইটিএইচ দল উল্লেখ করেছে ডাটা স্থানান্তরের হার প্রতি সেকেন্ডে হবে ২০০ বিটের কাছাকাছি, কেননা নির্ভুলতা ও মান নিশ্চিত করার জন্য দরকার কিছু ডাটার পুনরাবৃত্তি। ডাটা স্থানান্তরের হার, ডাটার মান, আর সংগীতের মানের ব্যাপার মাথায় রাখলে, এই প্রযুক্তি সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করবে ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ডের মতো ছোট ও সহজ ডাটার ক্ষেত্রে।

প্রক্সিমিটি মার্কেটিংয়ের মতো আরেকটি শিল্পে সংগীতের মাধ্যমে ডাটা শেয়ার করা হতে পারে দারুণ সহায়ক। কোনো একদিন হয়তো, স্পেশাল প্রমোশন ও পণ্যের তথ্যের মতো বিষয় পেয়ে যাবেন কোনো বিপণীবিতানের স্পিকারে বাজা সংগীতের মাধ্যমেই। যেখানে ব্যকগ্রাউন্ড মিউজিক ও স্মার্টফোন রয়েছে, সেখানে এর কাজ করার সম্ভাবনা আসলেই অফুরন্ত!

   

বিশ্ব চা দিবস



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চা / ছবি: বিং এআই

চা / ছবি: বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

কনকনে শীতে কাপছেন। সোয়েটার-চাদর মুড়ে বসলেও গাঁ ভেতর থেকে কাঁপুনি কমছে না। অথবা কাজ করতে করতে মাথা ঝিমঝিম করছে। অস্বস্তি সহ্যও হচ্ছে না অথচ এই স্বল্প ব্যথায় ঔষধও তো খাওয়া যায় না! কিংবা বাসায় আসা কোনো মেহমান বা বিকেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বসেছেন। শুধু মুখে বসে থেকে গল্প করতে কতক্ষণই বা ভালো লাগে? এরকম সব পরিস্থিতি সামাল দিতেই রয়েছে- চা।

আজ ২১ মে বিশ্ব চা দিবস। তথ্য অনুযায়ী ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম চায়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে একে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা চিন্তা করা হয়। বিশ্ব সামাজিক ফোরাম এই সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারপরের বছর ২০০৫ সালে প্রথমবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে বিশ্ব চা দিবস উদযাপন করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায়েএই দিবস পালন করা হয়। ২০১৫ সালে চা দিবসে উদযাপন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যায়। ২০১৯ সালে জোতিসংঘ কয়েকটি দেশের সম্মিলিত উপস্থিতিতে ২১ , চা দিবসের আয়োজন করে।   

 চা পাতা তোলা / ছবি: বিং এআই

চায়ের জন্ম হয় ঠিক কবে হয়েছিল তার নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয়, আজ থেকে ৫ হাজার বছরেরও আগে সৃষ্টি হয় এই পানীয়। এশিয়ারই বৃহত্তর দেশ চীনে এর জন্ম হয়। তৎকালীন সময়ের পাওয়া জিনিসপত্রে চায়ের অস্তিত্বের প্রমান মেলে। ক্যামেলিয়া সিনেনসিস উদ্ভিদ থেকে উৎপন্ন হয় এই পানীয় তাই চীনের নামের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।  সাধারণ পাহাড়ি অঞ্চলে শক্ত পাথুরে মাটিতে জুমচাষে চা উৎপন্ন করা হয়। আমাদের দেশেও বৃহত্তর সিলেটঅঞ্চল এবং চট্টগ্রামের কিছু অংশে চা পাতা চাষকরা হয়।    

কম-বেশি চা খান না- এমন মানুষ হাতে গুনতে পারা যায়। মূলত উদ্ভিজ এই পানীয় জনপ্রিয় তার অনন্য স্বাদ, ঘ্রাণ এবং উপকারের জন্য। কফি অনেকেই পছন্দ করেন। তবে চিকিৎসকরা অনেককে কফির উপর নিষেধাজ্ঞা দেন। চায়ের ক্ষেত্রে সেই বালাই নেই। তাই চা-কে অন্য সব পানীয়ের মতো শুধু একটি পানীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। বরং একে খাদ্যতালিকার পানির পরে পানীয় হিসেবে এক বিশেষ অংশ হিসেবে মনে করা হয়।  

চাষ করা চা পাতা শুকিয়ে নিয়ে, গরম পানি বা দুধে চিনি ও অনেকক্ষেত্রে মশলা মিশিয়ে শুকনো সেই পাতা দিয়ে বানানো হয় চা। আমাদের দেশ হোক বা বাইরের দেশে, অধিকাংশ মানুষের জীবন ধারার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো এই পানীয়।   

;

অকালে আম পাকে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অপরিপক্ক পাকা আম / ছবি: পিক্সাবে

অপরিপক্ক পাকা আম / ছবি: পিক্সাবে

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বৈশাখে তোর রূদ্র ভয়াল,

কেতন ওড়ায় কালবৈশাখী!

জষ্ঠি মাসে বনে বনে

আম কাঠালের হাট বসে কি...’

রবিঠাকুরের কলমে রচিত এ পংক্তি যেন, কেবল কাগজের উপর কালিতে সাজানো কিছু শব্দ নয়। বাংলা বছরের প্রথম ঋতুর সকল বৈশিষ্ট্য খুব অল্প ভাষায় সুসজ্জ্বিত করে গানের রূপে সামনে আনেন বিশ্বকবি।

দিন গুনতে গুনতে বছরের প্রথম মাসটি অনায়াসে কেটে গেল। চলছে জৈষ্ঠ্য মাস। ভয়ংকর কাল বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে; জৈষ্ঠ্যের পাকা আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুই যেন গ্রীষ্মের আসল আনন্দ।  

গ্রীষ্মের পরিপূরক হলো আম। আম পছন্দ নয়, এমন মানুষটি খুঁজে পাওয়া দায়! এজন্যই আমকে বলে ফলের রাজা। ত্যক্ত-বিরক্ত করা গরমেও পাকা টসটসে আমের সুঘ্রাণই যেন আনন্দের স্বস্তি। তবে সে আনন্দেও বালি ঢেলে দেয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ভোজন-রসিক মানুষরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে রসে টসটসে তাজা ফলের স্বাদ আস্বাদনের জন্য। অনেক ভোক্তদের সেই অপেক্ষা বৃথা হয়ে যায় অপরিপক্ক ফলের কারণে।

অনেক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশায় রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করে আম পাকানোর চেষ্টা করে। আম যখন কাঁচা অবস্থায় থাকে তখন এর মধ্যে সাইট্রিক এসিড ম্যালিক এসিড, টারটারিক এসিড থাকে। এ কারণে আমের হাইড্রোজেন আয়নের ঋণাত্মক ঘনমাত্রার লগারিদম মান খুব কম হয়, ফলে আম অম্লধর্মী হয়। এছাড়া কাঁচা অবস্থায় আমে উচ্চ ওজনের পেকটিনের মজুদ বেশি থাকে।

অপরিপক্ক পাকা আম

সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে পাঁকার সময় এই পেকটিনের ওজন কমতে থাকে। আমের মধ্যকার ভিটামিন ‘সি‘ কালক্রমে বদলে ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়। একই সঙ্গে ক্লোরোফিল পরিবর্তিত হয়ে গ্লোবুলার ক্রোমোপ্লাস্টে রূপান্তরিত হয়। অ্যান্থোসায়ানিন পিগমেন্ট ফিনাইলপ্রোপানয়েডের সেকেন্ডারি মেটাবোলাইটসের  উপসি্থতি বাড়তে থাকে।(‘বিজ্ঞানচিন্তা’র তথ্যমতে) এই কারণে কাঁচা আমের সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে লালচে-হলুদাভাব বর্ণ ধারণ করে। এভাবে পাকার ফলে আম হয় সুস্বাদু। আমের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে যায়।

তবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড (CaC2)  এর প্রয়োগের কারণে আমের মধ্যে পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে থাকা (৮০থেকে৮৫ভাগ) ক্যালসিয়ামের কারণে আমের অম্লত্ব নষ্ট হতে শুরু করে। অম্ল-ক্ষারের প্রশমনের কারণে আমের মধ্যে থাকা ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিডের পরিমাণ কমতে থাকে। তাই কাঁচা অবস্থাতেই আমের রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করে।

আমের ভিটামিন বি১ পানিতে দ্রবনীয়। আমের আর্দ্র অংশের সঙ্গে ক্যালসিয়াম কার্বাইড বিক্রিয়া করে অ্যাকটেলিন গ্যাস উৎপন্ন করে। এতে আম অসময়েই পাক শুরু করে। সামগ্রিকভাবে আমের রাসায়নিক পরিবর্তন না ঘটলেও বাহ্যিকভাবে রঙের পরিবর্তনের কারণে দেখলে মনে হয় আম পেকেছে। এই অপরিপক্ক আম খেলে কেবল রুচি ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, তাই নয়! শরীরের জন্যও অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।

;

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'ম্যাক্স' নামের একটি বিড়ালকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট অব লিটারেচার’ বা ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। দেশটির ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের স্নাতক অনুষ্ঠানে বিড়ালটিকে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়। তবে সেই অনুষ্ঠানে বিড়ালকে আমন্ত্রণ জানানোর নিয়ম না থাকায় উপস্থিত ছিল না ম্যাক্স। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুষ্ঠানে বিড়ালটি উপস্থিত ছিল না। তাই বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডোর কাছে খুব শিঘ্রই এই ডিগ্রি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।   

বন্ধুসুলভ এই বিড়ালটিকে তার ইঁদুর শিকারের দক্ষতা বা অতিরিক্ত ঘুমানোর জন্য নয় বরং তার সহচার্যের জন্যই স্বীকৃতি দিয়েছে।   বিড়ালটিকে এই ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!

বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ফেসবুক পোস্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্স দ্য ক্যাট, অনেক বছর ধরেই ক্যাসেলটন পরিবারের একজন আদুরে সদস্য। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তায় পাশেই বসবাস করে এক পরিবার। বিড়ালটি সেই পরিবারেরই পোষা।

বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডো বলেন, ‘বিড়ালটি ঠিক করেছে সে ক্যাম্পাসে যাবে। এরপর থেকেই সে কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করে। আর শিক্ষার্থীরাও তাকে আদর করতে শুরু করে।’

বিড়ালটি প্রায় চার বছর ধরে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করছে। বিড়ালটিকে পথের ধারে শুয়ে থাকতে দেখলেই সবাই তার সঙ্গে সেলফি নেয়।

এমনকি সাবেক ছাত্ররাও যখনই ক্যাম্পাসে আসেন তারা তখনই বিড়ালটির খোঁজ নিতে তার মালিক ডো-এর কাছে যান। ডো তাদের কাছে বিড়ালটির মা হিসেবেই বেশি পরিচিত।

;

৯৩ বছর বয়সে বৃদ্ধের অবিশ্বাস্য কর্মকাণ্ড



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

  • Font increase
  • Font Decrease

শৈশবে খেলা, কৈশরে পড়ালেখা, যৌবনে চাকরি, মধ্যবয়সে সংসার, বৃদ্ধবয়সে একটা মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজে অবসরে সময় কাটিয়ে দেওয়া। কপাল খারাপ থাকলে বিছানাতেই শোয়া বা আধশোয়া থেকে মৃত্যুর দিন গোণা। সাধারণত এভাবেই মানুষের জীবন কেটে যায়। অনেকে আবার মধ্যবয়সের পরেই নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অথবা শরীরকে বিভিন্ন রোগের আবাসস্থল বানিয়ে দুর্বল হয়েই বেঁচে থাকেন। তবে খড়ের গাদায় সূচের মতো দু-একজন থাকে যারা একেবারেই ব্যতিক্রম। তেমনভাবেই আলোচনায় এসেছেন ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধ।  তার ব্যতিক্রমী জীবনযাপনের ধারাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে যুসমাজে।     

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা জন স্টারব্রুক। তিনি একজন ওয়াটার পোলো খেলোয়াড়। এটি মূলত পানির মধ্যে বাস্কেটবলের মতো একধরনের খেলা। এইখেলার সাথে কুস্তি খেলারও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। জনের বর্তমান বয়স ৯৩ বছর। এই বয়সেও যথেষ্ট সুস্থ এবং সবল তিনি। সমবয়েসীদের যেখানে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও ২ জনের সহায়তা লাগে, সেখানে এখনো ম্যারাথনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বেশ দক্ষ সাঁতারুও বটে! ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাঁতার কাটা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

প্রায় শতাব্দি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের এমন কারিশমা দেখে চোখ ছানাবড়া হবার উপক্রম। জন মূলত একজন সাঁতারু। পেশাগতভাবে না হলেও অনেক ছোটবেলা থেকেই তিনি সাঁতার কাটেন তিনি। দেশের সম্মানজনক অনেপ্রতিযোগীতায় একাধিক বার চ্যাম্পিয়নের খেতাবও জেতেন। চাকরি করেছেন ‘ব্রিটিশ আর্মি মেডিক্যাল কর্পস’-। সেখানেও সাঁতারের দক্ষতার কারণে তার বেশ সুনাম ছিল।   

ম্যারাথনে দৌড়াচ্ছেন ৯৩ বছরের জন

তবে সাঁতারের পাশাপাশি এখন ম্যারাথেনেও অংশগ্রহণ করেছেন জন। ৫২ টির বেশি ম্যারাথনের দৌড় শেষ করেছেন তিনি। জানালেন এই বয়সেও তার এমন চ্যালেঞ্জিং সব কাজের অভিজ্ঞতা। সুস্থতা ধরে রাখার রহস্যও ফাঁস করলেন সকলের কাছে। ব্রিটিশ নাগরিক জন বন্ধুদের কাছে ‘দ্য লিজেন্ডনামেই পরিচিত। একই নামে তাকে আখ্যায়িত করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো

জন স্টারব্রুক জানান, তিনি এখনো সপ্তাহের ৬ দিনই জিমে যাতায়াত করেন। বিশেষ কোনো খাদ্যাভাস নেই তার। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখতে পছন্দ করেন- এই যা। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে পোরিজ খান তিনি। তবে তিনি কখনো ধূমপান করেননি। অ্যালকোহলও খুব সীমিত পরিমাণে সেবন করতেন। মূলত এই বয়সেও এটা সবল থাকার পেছনে বংশ পরম্পরায় পাওয়া নিজের জীন আসল কারণ- বিশ্বাস করেন জন।

কারণ যাই হোক, প্রানবন্ত এই বৃদ্ধ বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। তার মতোই দৃঢ় মানসিকতা ধরে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুবক-যুবতীরা।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

;