ভোটগ্রহণ চলছে



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত ভোটাররা

ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত ভোটাররা

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও সব দলের অংশগ্রহণে হতে যাচ্ছে এবারের নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে ২৯৯ আসনে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভোটের লড়াইয়ে ভোটাররা যাদের পক্ষে রায় দেবেন তারাই আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠন করবেন।

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। এ সময় স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেছে ভোটারদের। ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে সতর্ক অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। এবার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদেশে বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় ছয় লাখ আট হাজার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। যানবাহন চলাচলের ওপর আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। আজ সারাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546137659302.jpg

ভোটের মাঠে দীর্ঘ ১০ বছর পর নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ১২টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিএনপিসহ জোটের শরিকরা।

দুই শীর্ষ জোটের প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বার্ধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দলীয় প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেওয়া, হামলা-মামলার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে বিএনপি জামায়াতের হামলায় তাদের ছয়জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। দুই দলের এমন অভিযোগের মধ্যেই আজ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের মাঝপথে ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপি ভোট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের প্রার্থীদের ফলাফল হাতে নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে। অভিযোগ করেন, বিএনপি জোট আওয়ামী লীগের উপর হামলা চালিয়ে, নিজেরাই সবার কাছে নালিশ করে বেড়ায়। জিতলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে আর হারলে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই বিএনপির নীতি, বলেন শেখ হাসিনা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546137681367.jpg

নির্বাচন কমিশন বলছে, শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে কোন শঙ্কার কারণ নেই। কমিশন ইতোমধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্ন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, দেশে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।"

জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫জন। আর মহিলা ভোটার ৫ কোটি ১৬  লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ জন। ভোটে ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার ( দুইজন বিভাগীয় কমিশন ও ৬৪ জন জেলা প্রশাসক) দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩। ভোকক্ষ ২ লাখ সাত হাজার ৩১২টি। ভোটে ৪০ হাজার ১৮৩জন প্রিসাইডিং অফিসার, দুই লাখ সাত হাজার ৩১২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬২৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছে।

ভোটে লড়ছেন প্রার্থী ১ হাজার ৮৬১ :

সব প্রক্রিয়া শেষে সংসদ নির্বাচনে ভোটের ব্যালটে থাকছে ১ হাজার ৮৬১ প্রার্থীর নাম; তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১৭৩৩ জন; বাকি ১২৮ জন স্বতন্ত্র। আওয়ামী লীগ ও শরিকদের মিলিয়ে নৌকার ২৭২ জন প্রার্থী চূড়ান্ত লড়াইয়ে আছেন। তাদের বিপরীতে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও শরিকদের প্রার্থী সংখ্যা ২৮২। স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ১২৮ জন।

দলগুলোর মধ্যে এলডিপির ৮ (ধানের শীষ ৪), জেপি ১১ (মহাজোট ২), সাম্যবাদী দল ২, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৮ (ধানের শীষ ৪), সিপিবি ৭৪, আওয়ামী লীগ ২৬০ (নৌকা ২৭২), বিএনপি ২৫৭ (ধানের শীষ ২৮২), গণতন্ত্রী পার্টি ৬, ন্যাপ ৯, জাতীয় পার্টি ১৭৫ (মহাজোট ২৫), বিকল্পধারা ২৬ (নৌকা ৩), ওয়ার্কার্স পার্টি ৮ (নৌকা ৫), জাসদ ১১ (নৌকা ৩), জেএসডি ১৯ (ধানের শীষ ৪), জাকের পার্টি ৯০, বাসদ ৪৪, বিজেপি ৩ (ধানের শীষ ১), তরিকত ফেডারেশন ১৭ (নৌকা ১), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ২৪, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ ৪৮, এনপিপি ৭৯, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম ৮ (ধানের শীষ ৩), গণফোরাম ২৮ (ধানের শীষ ৭), গণফ্রন্ট ১৩, পিডিপি ১৪, বাংলাদেশ ন্যাপ ৩, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১১, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৮, কল্যাণ পার্টি ২ (ধানের শীষ ১), ইসলামী ঐক্যজোট ২৫, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৫, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৯৮, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ২৫, জাগপা ৪, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২৮, খেলাফত মজলিস ১২ (ধানের শীষ ২), বিএমএল ১, মুক্তিজোট ২, বিএনএফ ৫৭ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন।

ভোটের মাঠে ৬ লাখ ৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য:

ভোটে ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৬ লাখ আট হাজার সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এরমধ্যে পুলিশ প্রায় এক লাখ ২১ হাজার, আনসার প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার, গ্রাম পুলিশ প্রায় ৪১ হাজার। ভোটে ৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৪১৪ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনীর ৪৮ প্লাটুন, ১২ উপজেলায় কোস্টগার্ডের ৪২ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), বিজিবির ৯৮৩ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), র‌্যাবের প্রায় ৬শ' প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন), মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের প্রায় ২ হাজার প্লাটুন (প্রায় ৬৫ হাজার) দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও সারাদেশে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের টহল দল নিয়োজিত আছেন।

ভোটের মাঠে ১ হাজার ৩২৮ জন অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট:

ভোটের মাঠে ১৩শ' ২৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ৬৫২ জন অবশিষ্ট ৬৭৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল/ স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও ৬৪০ জন জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে ১২২টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিতে ২৪৪জন দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচনে ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ২৫ হাজার ৯০০ জন দেশীয় পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। এছাড়াও ফেমবোসা, এএইএ, ওআইসি ও কমনওয়েলথ হতে আমন্ত্রিত ও অন্যান্য বিদেশী পর্যবেক্ষক ৩৮ জন, কূটনৈতিক ও বিদেশী মিশনের ৬৪ জন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশস্থ দূতাবাস, হাইকমিশন বিদেশী সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশী ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন দায়িত্ব পালন করবেন।

ছয় আসনে ইভিএমে ভোট

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ছয়টি সংসদীয় আসন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ছয়টি আসনে প্রায় ২১ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জন ভোটার সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন। ছয়টি আসনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাতটি আসন থেকে ঢাকা-১৩, ঢাকা দক্ষিণের সাতটি আসন থেকে ঢাকা-৬, চট্টগ্রাম সিটির তিনটি আসন থেকে চট্টগ্রাম-৯ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য সিটি করপোরেশনের মধ্যে রংপুর-৩ ও খুলনা- ২ আসন এবং বাকি ২১টি পৌরসভা ও সদর উপজেলা থেকে সাতক্ষীরা-২ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।

ফলাফল ঘোষণা

ফলাফল কেন্দ্রেই গণনা করা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফল গণনার পর উপস্থিত পোলিং এজেন্টদের কাছে হস্তান্তর করবেন। এরপর তিনি ফলাফল ও মালামাল সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের কার্যালয়ে এসে লিখিতভাবে জমা দেবেন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সেই ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। পরে রিটার্নিং অফিসাররা আরএমএস -এর মাধ্যমে (ইসির ইন্টারন্যাল সাইট) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাবেন। সচিবালয়ে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে ৮টি বিভাগের জন্য ৮টি মনিটর থাকবে। সেগুলো আমরা মনিটরে দেখাবো। এই ৮টি বিভাগকে একত্র করে একটি মনিটরে দেখানো হবে। আরও একটি মনিটর থাকবে রাজনৈতিক দলভিত্তিক। এই ১০টি মনিটরের মাধ্যমে ফলাফল দেখানো হবে। ওখানে একটি মঞ্চ থাকবে, সেখান থেকে ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করা হবে।

গাইবান্ধা- ৩ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত করে পুনঃতফসিল দেয়া হয়েছে। এই আসনে ২৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসি।

গত ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল করা হয়।

   

চুয়াডাঙ্গায় জামানাত হারাচ্ছেন বর্তমান দুই চেয়ারম্যানসহ ১১ প্রার্থী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নতুন দুই মুখ নির্বাচিত হয়েছে। আর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেনের। আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও ২ জন জামানত হারাচ্ছেন। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ দুই উপজেলার মোট ৭ জন প্রার্থী জামানত হারাতে বসেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩৮৮টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৯৮৬টি। আর বৈধ ভোট পড়েছে ৯৮ হাজার ৮০২টি। শর্ত অনুসারে কোনো প্রার্থীকে জামানত টিকাতে হলে ভোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। এখানে একজন প্রার্থীকে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৩০০টি ভোট। এই নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫০ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ভাইপো নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। আর বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ৪১৯টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৭১৪টি। আর বৈধ ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৯৯৪টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ২৮০টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কে এম মঞ্জিলুর রহমান। আর দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব হোসেন। নির্বাচনে জামানত টিকাতে তার প্রয়োজন ছিল ৯ হাজার ৭৪৯ ভোট। এই সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় তিনি জামানত হারিয়েছেন।

এছাড়া আলমডাঙ্গায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪ ভোট। আর আনারস প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ১০৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন মো. মোমিন চৌধুরী ডাবু।

অপর দিকে, এই নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩ ও আলমডাঙ্গায় ৪ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভাইস চেয়ারম্যানদের ফলাফলে দেখা যায়, ৯৬ হাজার ৫৮২টি বৈধ ভোট পড়েছে। এখানে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ জন জামানত হারিয়েছেন। এখানে একজন প্রার্থীকে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৭২টি ভোট। তবে এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে তালা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়েছেন মো. মামুন-অর রশীদ, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে মো. মিরাজুল ইসলাম (কাবা) পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৫ ভোট এবং মাইক প্রতীক নিয়ে মো. শামীম হোসেন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৯৫ ভোট। তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন। এর মধ্যে ৪ জন জামানত খুইয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ ভোট পড়েছে ৭৪ হাজার ৯৫৪টি। এখানে জামানত টিকাতে প্রয়োজন ছিল ৯ হাজার ৩৬৯টি ভোট। তবে বই প্রতীক নিয়ে মো. মামুনার রহমান পেয়েছেন ৮ হাজার ৭০৪ ভোট, টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে মো. আজিজুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৬ ভোট, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে আরেক আজিজুল হক পেয়েছেন ৬ হাজার ১০৯ ভোট এবং পালকি প্রতীক নিয়ে মো. সোহেল রানা (শাহীন) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৩ ভোট। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।

;

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে সেটি কেন্দ্রের পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ছিনতাই হওয়া ব্যালটে পূর্ণ বাক্সটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দিলে প্রিসাইডিং অফিসার বাক্সটি অক্ষত থাকায় ভোটগুলো গণনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা লোকজন নিয়ে পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট গণনার সময় একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা ব্যালট বাক্সটি পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পুকুর থেকে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে। শামীম মোল্লা আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর ফরহাদ শামীম। পরে তিনি ব্যালট বাক্সটি দেখে ভোট অক্ষত অবস্থায় থাকায় তা গণনার জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহ ইলিয়াস উদ্দিনকে নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির ফরহাদ শামীম বলেন, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে আমি দ্রুত সেখানে যাই। গিয়ে ব্যালট বাক্সটিকে অক্ষত অবস্থায় পাই। পাশাপাশি ব্যালট পেপারেও কোনো সমস্যা পাইনি। যার কারণে ব্যালট গুলো গণনা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে বলি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গিয়ে কাউকে পাইনি। যদি তাদের পাওয়া যেত তাহলে সাথে সাথে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হত।

;

মাগুরার ২ উপজেলায় আবদুল মান্নান ও শ্যামল কুমার দে বিজয়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২ জন।  শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। ভোট চলাকালে কোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি।

;

কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম নির্বাচনে হামলা, অবরোধ এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখা দিলেও ভোটগ্রহণ শেষ হতেই খবর আসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে টেলিফোন প্রতীকের এক কর্মী সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।

টেলিফোন মার্কার সমর্থক দেলোয়ার নামক এক ব্যক্তিকে আটক করে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকেরা এ খবরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হন নিহত সফুর আলম।

পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামমোরা পাড়া এলাকার নুর উদ্দিন এর ছেলে সফুর আলম।

দেলোয়ার জানান, তিনি একটি বাড়িতে খাবার খেতে গেলে সেখানে তাকে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মীরা সমর্থকেরা আটকে রাখে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে ছুটে গেলে সেখানে সফুর আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

পরে আহতকে উদ্ধার করে ৪ টা ২০ মিনিটের সময় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ড. সাজ্জাদুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেব।

;