বগুড়ায় নৌকা ও ধানের শীষ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চড়পাড়া বাজারে নৌকা র্মাকার কর্মী সমর্থকদের  সাথে ধানের শীষ কর্মীদের ব্যাপক সংর্ঘষ হয়েছে। পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।

এসময়  কমপক্ষে ১৫ টি  মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয় এবং আওয়ামী লীগ অফিস ছাড়াও ৬টি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংর্ঘষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় চড়পাড়া ও পাকুল্যা বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর  সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংর্ঘষ চলে।

জানা গেছে, বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসুচি ঘোষণা করেন। প্রতিপক্ষ নৌকা মার্কার কর্মী সমর্থকরা ধানের শীষের প্রার্থীকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই এনিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। নৌকা মার্কার কর্মী সমর্থকরা  বগুড়া থেকে সোনাতলা যাওয়ার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে  অব্স্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশও সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। ধানের শীষের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহর থেকে বিএনপি ও যুবদলের তিনশতাধিক নেতাকর্মী সাথে নিয়ে বগুড়া শহর থেকে সোনাতলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে গাবতলী থানা পুলিশ কাজী রফিকুলের মোটরসাইকেল বহরে থাকা কর্মী সমর্থকদেরকে গাবতলী থানা এলাকার সুখানপুকুর এলাকায় আটকে দেয়। এঅবস্থায় কাজী রফিক অল্প সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে সোনাতলার উদ্দেশ্যে রওনা হলে সোনাতলা উপজেলা সৈয়দ  আহম্মেদ কলেজ বটতলা এলাকায় নৌকা মার্কার কর্মী সমর্থক কাজী রফিকের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ি বহরে থাকা ২টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। পরে পুলিশ কাজী রফিককে বিকল্প পথে সোনাতলা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। এদিকে ২টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে সুখান পুকুরে আটকে থাকা কাজী রফিকের তিন শতাধিক কর্মী সমর্থক পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সোনাতলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মোটরসাইকেল বহর চড়পাড়া বাজারে পৌছালে নৌকার কর্মী সমর্থকরা হামলা করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক সংর্ঘষ।  সংর্ঘষ চলাকালে ধানের শীষের শত-শত  নারী পুরুষ লাঠি শোটা হাতে নিয়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এ

সময় ধানের শীষের নেতাকর্মীর সংখ্যা অনেক বেশী হওয়ায় নৌকার কর্মী সমর্থকরা কোনঠাসা হয়ে পড়ে। ধানের শীষের নেতাকর্মীরা চড়পাড়া বাজারে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করে। ভাঙচুরে ধানের শীষের পক্ষে নারী কর্মীদেরকেও অংশ নিতে দেখা যায়। সংর্ঘষ চলাকালে অসংখ্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কমপক্ষে ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। চড়পাড়া বাজারে ৬টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌছে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে  বেলা  তিনটার  পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংর্ঘষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।

এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা কমেন্ট মিয়া (৪৫) ও রফিকুল ইসলাম(৪০), ইউনুছ আলী(৪০) পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে জানাগেছে।

ধানের শীষের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে সোনাতলা থানার ওসি ও ইউএনওকে জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবারের কর্মসুচি ব্যাপারে। নৌকা মার্কার কর্মী সমর্থকরা এলাকায় যেতে দিবে না মর্মে আগে থেকেই প্রচার করে আসছিল। একারনে পুলিশকে জানানো হয়েছিল বিষয়টি। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিইে নৌকা মার্কার কর্মী সমর্থকরা হামলা চালায় এবং মটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফ মন্ডলের নেতৃত্বে অতিরিক্তি পুলিশ ও বিজিবি চড়পাড়া এলাকায় অবস্থান করছ্ তবে পুলিশের কোন কর্মকর্তাই ফোন রিসিভ করেননি। সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) শরিফুল ইসলাম ফোন রিসিভ করে জানান তিনি রাজশাহীতে মিটিংএ আছেন।

   

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে সেটি কেন্দ্রের পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ছিনতাই হওয়া ব্যালটে পূর্ণ বাক্সটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দিলে প্রিসাইডিং অফিসার বাক্সটি অক্ষত থাকায় ভোটগুলো গণনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা লোকজন নিয়ে পৌর শহরের দেবগ্রাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট গণনার সময় একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা ব্যালট বাক্সটি পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পুকুর থেকে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে। শামীম মোল্লা আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর ফরহাদ শামীম। পরে তিনি ব্যালট বাক্সটি দেখে ভোট অক্ষত অবস্থায় থাকায় তা গণনার জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহ ইলিয়াস উদ্দিনকে নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির ফরহাদ শামীম বলেন, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে আমি দ্রুত সেখানে যাই। গিয়ে ব্যালট বাক্সটিকে অক্ষত অবস্থায় পাই। পাশাপাশি ব্যালট পেপারেও কোনো সমস্যা পাইনি। যার কারণে ব্যালট গুলো গণনা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে বলি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গিয়ে কাউকে পাইনি। যদি তাদের পাওয়া যেত তাহলে সাথে সাথে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হত।

;

মাগুরার ২ উপজেলায় আবদুল মান্নান ও শ্যামল কুমার দে বিজয়ী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২ জন।  শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। ভোট চলাকালে কোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি।

;

কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম নির্বাচনে হামলা, অবরোধ এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখা দিলেও ভোটগ্রহণ শেষ হতেই খবর আসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে টেলিফোন প্রতীকের এক কর্মী সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।

টেলিফোন মার্কার সমর্থক দেলোয়ার নামক এক ব্যক্তিকে আটক করে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকেরা এ খবরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হন নিহত সফুর আলম।

পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামমোরা পাড়া এলাকার নুর উদ্দিন এর ছেলে সফুর আলম।

দেলোয়ার জানান, তিনি একটি বাড়িতে খাবার খেতে গেলে সেখানে তাকে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মীরা সমর্থকেরা আটকে রাখে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে ছুটে গেলে সেখানে সফুর আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

পরে আহতকে উদ্ধার করে ৪ টা ২০ মিনিটের সময় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ড. সাজ্জাদুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেব।

;

সিলেটে ভোট কেন্দ্রে অসুস্থ ভোটার, হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ভোট দিতে গিয়ে মফিজ মিয়া নামের এক ভোটারের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ১টার দিকে তেলিকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে মারা যান তিনি।

মৃত মফিজ মিয়া (৫৫) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাতল পাড়ের বেলাজুর গ্রামের সাবেক মৃত তাজু ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর।

তিনি বলেন, ভোটের মাঠে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে শুনেছি।

;