পদ্মের হাসি দেখতে ছুটে আসছে দর্শনার্থীরা



সিদ্দিকুর রহমান, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বরিশাল নগরীর বান্দ রোডের পাশে অবস্থিত এই পদ্মপুকুরটি। ছবি: বার্তা২৪.কম

বরিশাল নগরীর বান্দ রোডের পাশে অবস্থিত এই পদ্মপুকুরটি। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার কেউ কথা রাখেনি কবিতায় বলেছিলেন, মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, ‘বড় হও দাদাঠাকুর-তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো, সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে’।

মৃদু বাতাসে দু’একটা শিরীষের পাতা বা হিজলের লালচে ফুলের পানিতে ঢলে পড়া। গাঙ ফড়িং এর চঞ্চল উড়াউড়ি, তার ভেতরে পদ্মপাতায় সাপ আর ভ্রমরের খেলা, কি অপার্থিব সুন্দর।

বর্তমানে সাদা বা লাল রঙের শাপলা ভরা দিঘি বা বিল চোখে পড়লেও আমাদের দেশে কিন্তু এমন পদ্মদিঘি মোটামুটি বিরলই বলা যায়।

কিন্তু ঠিক এমনই একটি স্থান রয়েছে বরিশাল নগরীতে। তবে সেটি একটি দিঘি বা বিল নয়। নগরবাসীর কাছে এটি শ্বেতপদ্ম পুকুর নামে পরিচিত। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের পাশে হিমনীড়, ছায়ানীড়, শিলানীড় ও চানবাংলোর সামনে এই পুকুরে আবার ফুটেছে পদ্মফুল।

প্রস্ফুটিত পদ্মের হাসি দেখতে সৌন্দর্য প্রিয় মানুষগুলো প্রতিদিন ভিড় করছে নগরীর বান্দ রোডের পাশে এই পুকুর পাড়ে।

জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে স্টিমার কোম্পানির কর্মকর্তাদের জন্য নগরীর রাজা বাহাদুর সড়কে বেলস পার্কের উওর প্রান্তে হিমনীড় বাড়িটি তৈরি করা হয়। ১৯৪২ সালের দিকে নির্মিত হিমনীড় ও পশ্চিম পাশের চাঁনবাংলোয় বিআইডব্লিউটিএ এর কার্যক্রম শুরু হয়। এ বাড়ির চত্বরে খনন করা হয় ওই পুকুর। এরপর তৈরি করা হয় একটি বাংলো। চারপাশে নানা রকম ফুল আর বনজ গাছগাছালি রোপন করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/01/1535796577516.jpg

আরও জানা গেছে, সৌন্দর্য প্রিয় কেউ একজন পুকুরে পদ্ম গাছ রোপন করে। এছাড়া পুকুরের চারপাশে কাঁঠাল চাপা, গোলাপ, রাধাচূড়া, হাসনাহেনা, নয়নতারা, ডালিয়া, জিনিয়াসহ নানা প্রজাতির দুর্লভ ফুল গাছও রোপন করা হয়েছিল।

বাড়ির আঙিনা জুড়ে হরেক প্রকার ফুলগাছ আর পুকুরের পদ্মফুলের সৌন্দর্যের সমারোহের কারণে এরশাদ সরকার আমলে হিমনীড়ে বিআইডব্লিউটিএর সদর দপ্তর স্থাপন করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। পরে আর তা করা হয়নি। বাড়িটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে অযত্ন-অবহেলায় গাছ মরে যায়। বাড়িটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা পুরনো বৃক্ষ গোপনে বিক্রি করে দেয়।

এছাড়াও লাভের আশায় পদ্ম পুকুরে হাইব্রিড জাতের মাছ চাষ করার জন্য সেচ দিয়ে চুন ও কীটনাশক প্রয়োগ করে। এতে পদ্মফুলের গাছ মারা যায়। যার কারণে বেশ কয়েক বছর পদ্মফুল আর ফোটেনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/01/1535796595404.jpg

এরই মধ্যে দুই বছর আগে পুকুরে পদ্মগাছগুলো আবার প্রকৃতির নিয়মে জেগে উঠতে শুরু করলেও ফুল ফোটেনি। তবে গত বছরের মতো এবার আবারো শ্বেতপদ্ম প্রস্ফুটিত হয়। নতুনভাবে প্রস্ফুটিত এই পদ্মফুল দেখতে এখন প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের।

ঐতিহ্যবাহী এই পদ্মপুকুরটি দেখতে এসে ফয়সাল আহমেদ নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘এই পুকুর ঘিরে যে স্থানটি রয়েছে সেটি একটি সংরক্ষিত এলাকা। এখানে যততত্র ভাবে কেউ আসতে পারে না। পুকুরটিতে ফোটা শ্বেতপদ্ম ফুলের এই দৃশ্য দেখে আসলেই আমরা মুগ্ধ।’

এদিকে বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ এর এ দপ্তরটি কালের সাক্ষী হিসেবে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। পুকুরটি দেখতে প্রতিদিনই এখানে প্রচুর মানুষ আসে।

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী চানবাংলোয় রয়েছে ভিভিআইপি এর বিশ্রামাগার। শিলানীড় ও ছায়ানীড়ে রয়েছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাস।

   

পঞ্চগড়ে নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার (১২) ও ইসরাত জাহান সিফাত (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নেট চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ নদীতে গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে আলমি৷ পরে দুজনে পানিতে ডুবে যায়। এসময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু বিষয়টি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় পানির নিচ থেকে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ মৃত দুই শিশুদের মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানতো, আরেকজন জানতো না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসাথে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মরদেহ সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

;

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;