উদাসীনতায় পাহাড় ধসে প্রাণহানি বাড়ছে



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার: পর্যটন নগরী কক্সবাজারের বিভিন্ন পাহাড়ে বসবাসরত পরিবারগুলোর উদাসীনতায় বাড়ছে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বার বার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাস করার কারণেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।

এদিকে অভিযান পরিচালনা করে ৬২৬ পরিবারকে পাহাড় থেকে নামিয়ে বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জানা যায়, গত বুধবার শহরের বাঁচা মিয়ারঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে চার ভাই-বোন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার কিছুদিন আগে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বাড়িতে গিয়ে তাদের দ্রুত সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে সেখানে থেকে যায়। আর গত বুধবার সেই বাড়িতেই ধসে পড়ে পাহাড়। আর মৃত্যু হয় চার ভাই-বোনের।

এ ঘটনার জন্য প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকে দায়ী করছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, পাহাড় ধসের পেছনে যতটা প্রকৃতি দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী মানুষ। স্থানীয় প্রভাবশালীরা পাহাড়গুলো দখল করছে দীর্ঘদিন ধরে। পাহাড় কেটে তারা বসতি গড়ে তুলছে। সেসব বসতি বিক্রি বা ভাড়া দিচ্ছে। আবার দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘরহারা, ছিন্নমূল মানুষরা আশ্রয় নিচ্ছে পাহাড়েই। শুধু তাই নয়, সরকার কর্তৃক পাহাড় ইজারা দেওয়া এবং ইজারাদার কর্তৃক অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, গাছপালা কাটা এবং পাহাড়ের ঢালে বসতি স্থাপনের কারণেই প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অসংখ্য প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

আবার অনেকেই বলছেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা পাহাড়গুলো দখল করছে দীর্ঘদিন ধরে। পাহাড় কেটে তারা বসতি গড়ে তুলছে। সেসব বসতি বিক্রি বা ভাড়া দিচ্ছে। এসব অবৈধ দখলদারদের কারণেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আর এ জন্য প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না।

/uploads/files/8g7VWLlc4UpoHQHb8z5cRIKfcSzKcrwcEHcysNws.jpeg

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ৬ শত ২৬ পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। আর এসব পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের ১২টি টিম কাজ করছে। অন্যদিকে ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫ হাজার ৫৮০ পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। এসব মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। তাই তাদের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ সহযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।

এ সব তথ্য জানিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিচ্ছি। সরিয়ে নেয়া পরিবারগুলোকে বিভিন্ন স্কুলে রাখা হচ্ছে। বৃষ্টি না কমা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পানিবন্দী হওয়া মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ত্রাণ আসলে বিতরণ শুরু করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরাতে দীর্ঘ সময় ধরে অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে আবারো ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসতি স্থাপন করছে স্থানীয়রা। গত বুধবার থেকে ১২টি টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করছি সকল ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীকে সরিয়ে নেয়া যাবে।’

   

বৃষ্টির আশায় পল্লবিতে ইসতিসকারের নামাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টি প্রার্থনা করে রাজধানীর মিরপুর পল্লবিতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় পল্লবি ১২ সেকশনের ডি ব্লক ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

মাদ্রাসা দারুর রাসাদ এর উদ্যোগে এ নামাজে ইমাম ছিলেন বাইতুল আজমত জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল হালিম।

এর আগে ভোর থেকে ওই মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশ নেয় এ ইসতিসকারের নামাজে।

;

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ. লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ও পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়া দফতরের নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ৯টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মধ্যরাতে ঘণ্টার বেশি সময়ে বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিজেছে। রাত আটটার পর থেকে নগরে বইতে শুরু করে বাতাস। পরে রাত ১১টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি।

এছাড়া মে মাসের শুরুতে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, এপ্রিল জুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। 

;

ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার শপিং মল সীমান্ত স্কয়ারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের তথ্য পাওয়া যায়। ৬তলা শপিং মলের তৃতীয় তলার আর কে ইলেকট্রনিকস নামের একটি মোবাইলের দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানটি পুড়ে গেছে। তবে অন্যকোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২টা ১৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর ৩টা ২২ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।

মোহাম্মদপুর ও পলাশী স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

;