বাঘ শুমারির ফলাফল কবে হবে?



আশরাফুল ইসলাম নূর, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা: বাংলাদেশের জাতীয় প্রাণী ও বীরত্বের প্রতীক ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’। তবে নির্বিকারে বন উজাড়, নানা ভাবে হত্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে এ প্রাণীটি আজ বিপন্নের পথে। ২০০৪ সালের গবেষণায় সুন্দরবনে ৪৪০টি এবং ২০১৫ সালের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ১০৬টি বাঘ রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে বাঘ প্রকল্প ক্যামেরা ট্রপিংয়ের মাধ্যমে গণনা শুরু করে মে মাসে সম্পন্ন হয়। কিন্তু ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। বাঘের সংখ্যা বাড়বে না কমতে পারে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন সংশ্লিষ্টরা।

এ অবস্থায় আগামী ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসের মূল কর্মসূচি পালিত হবে খুলনায়। ওইদিন সকাল ১০টায় শহীদ হাদিস পার্ক হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালির পরে খুলনা অফিসার্স ক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। গেস্ট অব অনার থাকবেন খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী। এ বছর অষ্টমবারের মতো বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হবে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে ৪৪০টি। এরমধ্যে পুরুষ ১২১টি, স্ত্রী ২৯৮টি এবং বাচ্চা রয়েছে ২১টি। ২০১০ সালে জানুয়ারিতে থাইল্যান্ডের হুয়ানে অনুষ্ঠিত হয় টাইগার রেঞ্জ দেশ সমূহের ‘এশিয়া মিনিস্ট্রয়াল কনফারেন্স’। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, প্রতি বছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হবে। ওই সাল থেকে এ দিবসটি পালিত হয়। সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণে নয় দফা পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা। ২০১৫ সালে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা করা হয়। এতে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়।

/uploads/files/fV09In3pcAU1Fty0I3K0gOO5l0dO8TTm7ojNosIz.jpeg

২০১৬ সালে আমেরিকার দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি অর্থায়নে বাঘ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যামেরার সাহায্যে গণনা করে। খুলনা বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এ প্রকল্পকে জনবল ও ৭০টি ডিজিটাল ক্যামেরা সরবরাহ করে। গত ফেব্রুয়ারিতে বাঘ প্রকল্প ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে গণনার কাজ শুরু হয়। গেল মে মাসে প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়। সুন্দরবনের তিনটি অভয়ারণ্য এলাকায় গাছের সঙ্গে ক্যামেরা বেঁধে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে এখনো ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। বাঘের সংখ্যা বাড়বে না কমতে পারে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মদিনুল আহসান বলেন, ‘কেবল মাত্র মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রতিবেদন তৈরি করতে সময়ের প্রয়োজন। তবে বাঘের সংখ্যা কমবে না বাড়তে পারে তা বলা যাচ্ছে না। বাঘ সংরক্ষণে মনিটরিং, টহল ব্যবস্থা জোরদার এবং বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’

বাঘ প্রকল্পের গবেষণা কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মোজাহিদ জানান, প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাঘের সংখ্যা প্রকাশ করবে সরকার। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে।

খুলনা সার্কেলের উপ-বন সংরক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বাঘ গণনার প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আগের চেয়ে এখন অধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গণনা করা হচ্ছে।

/uploads/files/oeOQFg50e2U4lsLqT3ttOOd4O4pgExJcYynt4slq.jpeg

পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. বশিরুল-আল-মামুন জানান, বাঘ শুমারি একটা কঠিন কাজ। আধুনিক পদ্ধতিতে গণনা হচ্ছে। প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের ১৩টি দেশে বাঘের অস্তিত্ব রয়েছে। ১৩টি বাঘ সমৃদ্ধ দেশকে বলা হয় ‘টাইগার রেঞ্জ কান্ট্রি’। বাঘ সমৃদ্ধ দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, বার্মা, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ভুটান, লাওস, নেপাল ও রাশিয়া। বাঘের নয়টি উপ-প্রজাতির মধ্যে বালিনিজ, জাভানিজ ও কাম্পিয়ান টাইগার বিশ্ব হতে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সাইবেরিয়ান, সুমাত্রান, সাউথ চায়না ও ইন্দো চায়না উপ-প্রজাতি টিকে আছে। সারা বিশ্বে লক্ষাধিক বাঘ ছিল। ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে বাঘের সংখ্যা মাত্র চার হাজার। আর সুন্দরবনে সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয় বাঘের সংখ্যা রয়েছে মোট ১০৬টি।

   

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনগুলোকেও মানুষ লাল কার্ড দেখিয়ে দেবে: সরোয়ার আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার আলমগীর বলেছেন, ডামি জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনগুলোকেও মানুষ লাল কার্ড দেখিয়ে দেবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দংয়ে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মোবারক হোসেন কাঞ্চন।

সরোয়ার আলমগীর বলেন, হিন্দুস্থানে এখন দেশটির জনগণের অংশগ্রহণে প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন হচ্ছে। আর বাংলাদেশে তাদের দোসররা একতরফা নির্বাচন করছে। তবে কথিত এই নির্বাচনকে এদেশের মানুষ বরাবরের মতো লাল কার্ড দেখিয়ে দেবেন। আগামী ২১ তারিখের এই 'আমি ডামি'র নির্বাচনেও ফটিকছড়িবাসী ভোট দিতে যাবেন না।

পাইন্দং ইউনিয়ন বিএনপি'র আহ্বায়ক আবু আজম তালুকদার এর সভাপতিত্বে এসময় বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন শাহীন, আহাম্মেদ সাফা মেম্বার, শাহারিয়ার চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, মহিন চৌধুরী, জিয়াদ মাহমুদ চৌধুরী, শাহাবুদ্দিন, মোঃ পারভেজ, উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এস এম আবু মুনসুর, প্রিন্স ওমর ফারুক, যুবদল নেতা মোজাহারুল ইকবাল লাভলু, হাছান, তারেক, ওসমান, আতাউল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

;