খানাখন্দে ভরা রসিকের সড়ক, ক্ষুব্ধ নগরবাসী



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর: শিডিউলের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি রংপুর মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর। এতে প্রতিদিনই ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। খানাখন্দে ভরা বেশির ভাগ সড়কের বেহাল দশায় বেড়েছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। প্রায় ২০৫ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত রংপুর সিটির অর্ধেকেরও বেশি সড়ক এখনও কাঁচা রয়েছে। পাকা সড়কগুলোর কোথাও কোথাও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সেখানে ফের সংস্কার প্রয়োজন।

যোগাযোগ ব্যবস্থায় রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) কোনো পরিকল্পনা না থাকায় এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। তবে সিটি মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গাফিলতির কারণেই কিছু এলাকায় সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ ব্যাহত হওয়ায় এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার ১ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এখনও কাঁচা রয়েছে ৭২১ কিলোমিটার। বাকি ৭০৬ কিলোমিটার সড়ক পাকা হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। বিশেষ করে সিটির নতুন এলাকাগুলোতে এখনো পৌঁছায়নি উন্নত সড়কের সংযোগ। আধা কাঁচা সড়কই বেশি রয়েছে সিটির বর্ধিত এলাকাজুড়ে। আর নগরীর প্রাণকেন্দ্রের সড়কগুলোর অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। বেশির ভাগ সড়কই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে রংপুর মহানগরীর ব্যস্ততম সড়ক স্টেশন রোডে দাঁড়ালেই চোখে পড়বে বেহাল দশার চিত্র। এই রোডে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত। রংপুর রেলওয়ে স্টেশন, র‌্যাব-১৩ আঞ্চলিক কার্যালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়, তাজহাট ও মাহিগঞ্জ যাতায়াতে এ সড়কটি ব্যবহার করা হয়।

/uploads/files/uZeHjirvGfJ4MuCZPGJociprQqE3UTYeqBtbxJvY.jpeg

১২ কোটি টাকার টেন্ডারে তিন কিলোমিটার এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। কাজ পেয়েছিল রাকা এন্টারপ্রাইজ নামে রাজশাহীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটির বেশ কিছু স্থানে পাথর তুলে খোয়া দিয়ে মেরামতসহ নামে মাত্র কাজ করে প্রায় ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে ওই প্রতিষ্ঠানটি। এতে করে ওই বছরই বর্ষা মৌসুমে সড়কটির বেহাল দশা সৃষ্টি হয়।

এখন এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে গিয়ে সড়কে চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়ে। এছাড়া গোটা সড়কই ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে রোগীদের যাতায়াত, পণ্য পরিবহনে বেড়েছে ভোগান্তি। অটোচালক থেকে শুরু করে রিকশা চালক পর্যন্ত সবাই সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে বেশি ভাড়ায় ভাঙাচোরা এই সড়কে চলাচল করছে। এই ভাঙা সড়কের খানাখন্দে পড়ে অটোরিকশা, রিকশা, গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন বিকল হচ্ছে।

একই অবস্থা নগরীর শাপলা চত্বর থেকে তাজহাট, কামারপাড়া থেকে টার্মিনাল রোড, জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে পিটিসি মোড় যাওয়ার সড়কটিতেও। এছাড়াও নগরীর বাবুখাঁ, গণেশপুর, মুলাটোল, বেতপট্টি দেওয়ানবাড়ি রোড, গুপ্তপাড়া, সেনপাড়া রোড, সুপার মার্কেট রোড, মাহিগঞ্জ আমতলা রোড, দর্শনা মোড় থেকে রাণীপুকুর রোড, দক্ষিণ কামারপাড়া থেকে মন্দিরের মোড়, বাবুখাঁ নজরুল পাঠাগার মোড়, ঠিকাদারপাড়া বিকনের মোড়, হাবিবনগর কলেজ রোড, শালবন থেকে হারাগাছ সড়ক, বেগম রোকেয়া কলেজ সড়কসহ নগরীর অধিকাংশ সড়কের সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়ে না নগরবাসীর।

প্রতিদিন অটোরিকশায় যাতায়াত করেন মোখলেছুর রহমান, শহীদুল ইসলাম ও মিরা হুসাইন। তারা বলেন, ‘রংপুর মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর বেহাল দশা দেখে মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে সিটি করপোরেশনের প্রতি। বেশ কয়েকটি সড়ক বছরের পর বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা সিটি করপোরেশনে ট্যাক্স দিয়ে থাকি, এ সড়কগুলো কী তাদের নজরে আসে না। ভাঙাচোরা সড়কে চলাচল করে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। জরুরি কোনো কাজে সময় মতো পৌঁছানো সম্ভব হয় না। কোনো সংকটাপন্ন রোগী থাকলে অনেক দূর ঘুরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।’

অন্যদিকে রিকশা চালক বাবুল মিয়া জানান, রংপুর শহরের অনেক রাস্তাই ভাঙা। রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। প্রতিদিনই রিকশা মেরামত করতে হয়। যাত্রীরা তো ভাড়া বেশি দেয় না। রোদ বৃষ্টি ঝড়ের মধ্যেই এসব ভঙ্গুর সড়ক দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে।

/uploads/files/Tbf6XiiBG61A9BspapPzdbQEw4RztBvGlqR1mgsK.jpeg

এ ব্যাপারে স্টেশন রোড এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক কাউন্সিলর আকরাম হোসেন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির কাজ শেষ না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কীভাবে ৫ কোটি টাকার বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেল তা আমার বোধগম্য নয়। দ্রুত সিটি করপোরেশনকে উদ্যোগ নিয়ে সড়কটির সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।’

এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যে সিকিউরিটি আছে তা থেকে জরিমানা করা হবে এবং আইনের বিধান অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘শাপলা চত্বর থেকে তাজহাট পর্যন্ত, জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে পিটিসি মোড় পর্যন্ত সড়কটির কাজ শিডিউল সময়ে শেষ হয়নি। এছাড়া যারা ঠিকাদার তারা একজন কাজ নিয়ে আরেকজন ঠিকাদারকে দিয়েছে। যারা কাজ নিয়েছে তাদের তেমন আর্থিক সামর্থ্য নেই। তাই বিভিন্ন সময়ে নেয়া কাজগুলো এভাবে পেন্ডিং অবস্থায় পড়ে আছে। ঠিকাদারদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেও তাদের কাজে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। যেহেতু অর্থবছর শেষ, আমরা তাদের কাজের ফিডব্যাক না পেলে দ্রুতই তা বাতিল করা হবে। নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করব এবং অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করব।’

   

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শরিফুল ইসলাম শরিফ (৪২) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

শরিফ মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামের মৃত নাদের আলী মণ্ডলের ছেলে।

শরিফ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়কের তাঁতিবন্ধ এলাকায় জেটিআইয়ের সামনে পাখি ভ্যানের (তিন চাকার গাড়ি) সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে শরিফ গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

;

পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ উপরে উঠতে উঠতে এখন প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই অবস্থা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১১ শতাংশ। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, ২৬-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, সূর্যের প্রখরতায় ঘরের বাইরে বের হওয়া এক প্রকার দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। আকাশ থেকে মনে হচ্ছে গনগনে আগুনের ফুলকি ঝরছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশকিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।


চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। এসময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরও জানান, ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, বাইরে শরীর ঝলসানো রোদ ও তীব্র গরমে মানুষ এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। বাইরে না বেরিয়ে ঘরে অবস্থান করে ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে। তারা এই তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে অবস্থান করছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের ফুড ডেলিভারি বয় ফয়সাল ইকবাল বলেন, 'কী আর বলব, এই রোদ-গরমে বাইসাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে মানুষের খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে বসে থাকলেও হবে না। দিনশেষে নিজের পরিবারের জন্য খাবার কিনে বাসায় ফিরতে হবে।'

চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা চলাচলকারী একটি বাসের চালক বিল্লাল হোসেন জানান, এই তীব্র রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছে না। তাই তাদের যাত্রীও খুব একটা নেই। অন্যদিনের তুলনায় কম যাত্রী নিয়ে ট্রিপে যেতে হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

;

নওগাঁয় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জীববৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষা, নদী-খাল-বিল দখল ও দুষণের প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), গ্রীণ ভয়েজ ও একুশের পরিষদ নওগাঁর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাপার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন- আন্দাসুরা বিলে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেওয়া পদ্মফুলকে বিভিন্ন ভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই বিলের লিজ বাতিল করা প্রয়োজন। আলতাদীঘি শালবনে ৮বার আগুন লেগেছে। উন্নয়নের নামে প্রায় ৩ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিভাবে আগুন লেগেছে বা লাগানো হয়েছে তার সঠিক কোন তথ্য আমরা জানিনা। এগুলো তদন্ত করা প্রয়োজন।

নওগাঁ জেলা বাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন- আজ প্রকৃতির বিরুপ প্রভাপ পড়েছে। যা আমাদেরই সৃষ্টি। যেসব প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উটেছে তা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদী দুষণ ও দখলমুক্ত রক্ষা করা হোক। প্রকৃতিগুলোকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। শুধু মানববন্ধন করলেই হবে না তা বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় যতদুর যাওয়ার দরকার হবে আমরা যেতে চাই।

একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারি বলেন, একসময় ছোট যমুনা নদীতে পালতোলা নৌকা ও লঞ্চ চলতো। বিভিন্ন জেলা থেকে বণিকরা ব্যবসা করার জন্য আসতো। নদী দখল-দুষণ ও পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় সেই নৌকা আর আসেনা। নদী দুষণের ফলে জীববৈচিত্র আজ হুমকির মুখে। নদী আমাদের মা। নদী বাঁচাতে হবে। নদী বাঁচলে জীববৈচিত্র রক্ষা সহ নদীর ওপর নির্ভরশীলদের জীবন জীবিকা ও কর্মসংস্থান বাড়বে। এছাড়া প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা বন ও পদ্মফুল রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সদস্য ও একুশে পরিষদ নওগাঁ’র সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারি’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, একুশে পরিষদের সহসভাপতি প্রতাপ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক এমএম রাসেল, সহসাধারণ সম্পাদক নাইচ পারভীন, শাকিরুল ইসলাম রাসেল, সুবল চন্দ্র মন্ডল, নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা একুশে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামিম, বাপা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুকুল চন্দ্র কবিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

;

রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয় আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে এই ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;