থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই প্রধানমন্ত্রী জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দু’নেতা দ্বিপাক্ষিক পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। এরপর কিছু ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে সই হবে।
দুই নেতা একান্তেও বৈঠক করবেন।

গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান এবং এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন এবং এরআগে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।

গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ড গেছেন।

সূত্র-বাসস

   

বিসিএস উত্তীর্ণদের চাকরিপ্রাপ্তিতে সুযোগ বৃদ্ধির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) উত্তীর্ণদের চাকরি সুযোগ বাড়তে পারে বলে সংসদে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রণালয়ের দফতর ও সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সেই জন্য বাড়তি লোকবলের চাহিদা সৃষ্টি হবে। এই প্রক্ষিতে বিভিন্ন বিসিএস এ উত্তীর্ণদের চাকরি সুযোগ বাড়তে পারে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২৬টি ক্যাডারে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারের শূন্যপদে নিয়োগ প্রদান করে। শুরুতে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় হতে শূন্য পদের অধিযাচন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংগ্রহ করে। শূন্য পদের বিপরীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী সকল মন্ত্রণালয়ের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শূন্য পদের সংখ্যা সুনির্দিষ্টকরণ করা হয়। পরবর্তীতে সারসংক্ষেপ প্রেরণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে শূন্য পদ সংখ্যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে প্রেরণ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন উক্ত শূন্য পদের আলোকে বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারি কমিশন সুপারিশকৃত প্রার্থীর তালিকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে।

পরবর্তীতে তাদের সুপারিশকৃত প্রার্থীদের যথাযথ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-চাকরি জীবন বৃত্তান্ত যাচাইপূর্বক উপযুক্ত প্রার্থীদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিসিএস ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। বিসিএস নিয়োগ পদ্ধতিটি একটি সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনার অংশ। তবে কখনও কখনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরও কোনো মন্ত্রণালয় হতে সাপ্লিমেন্টারি অধিযাচন প্রাপ্তিসাপেক্ষে চূড়ান্ত নিয়োগের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে।

বিসিএস এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদে সুপারিশকৃত নন এমন প্রার্থীদেরকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার (৯ম-১২তম গ্রেড) শূন্য পদের অধিযাচনের পরিপ্রেক্ষিতে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী নন-ক্যাডার (৯ম-২২তম গ্রেড) পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তর উক্ত শূন্য পদে জনবল নিয়োগ প্রদান করে। এ যাবত ৪০তম, ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএস এর মাধ্যমে নন-ক্যাডার (৯ম- ১২তম গ্রেড) পদে মোট ৭,৪৪৭ (সাত হাজার চারশত সাতচল্লিশ) জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

;

উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় সিটি টোল বন্ধের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া, শিক্ষার্থীদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে রাজধানীতে সিটি টোল আদায় বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দ্বিতীয় বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠক সভাপতিত্ব করেন মো. শফিকুল ইসলাম।

বৈঠকে কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ সাইদ খোকন, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।

সংসদীয় কমিটির এই বৈঠকে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ এর উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, বিলের দফা ৯ এর প্রস্তাবিত ধারা ৩০ ও দফা ৭ এর প্রস্তাবিত ধারা ১ এর প্রয়োজনীয় সংশোধনীপূর্বক অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও পরিমার্জনপূর্বক বিলটি গৃহীত হয় এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিলটি সংশোধনী আকারে সংসদে উত্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সমবায় অধিদফতর, বোর্ড বিআরডিবি, আরডিএ, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

ফেনীতে কালবৈশাখীর তাণ্ডব: গাছ পড়ে মহাসড়কে তীব্র যানজট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর আকাশে হঠাৎ মেঘের ঘনঘটা। চারদিক অন্ধকার দুপুরের সময়ও যেন নেমে এসেছিল সন্ধ্যা। মুহূর্তেই শুরু হয় বাতাস। সাথে বিদ্যুৎ চমকানো বজ্রপাত। বাতাসের তীব্রতায় দিশেহারা হয়ে সাধারণ মানুষ খুঁজতে থাকে নিরাপদ আশ্রয়।

তীব্র তাপদাহের পর বৃষ্টি নামাতে জনমনে স্বস্তি ফিরলেও কালবৈশাখী ঝড়ের ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ও মহাসড়কে গাছপালা পড়ে যানচলাচল ধীরগতিতে সৃষ্টি হয় যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকঘন্টার চেষ্টায় গাছ অপসারণ করা হলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

সোমবার (০৬ মে) দুপুর ১২টা থেকেই ফেনীর আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা। মুহূর্তেই শুরু হয় বাতাস। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে বাতাসের গতিবেগ। মুহূর্তেই শুরু হয় কালবৈশাখীর তাণ্ডব। ঝড় পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, গাছপালা পড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।

খবর নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ে জেলার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এসময় ঝড়ের সঙ্গে কিছু কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।

এছাড়াও কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার ফেনী-সোনাগাজী সড়ক, ছাগলনাইয়া-শুভপুর সড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপোল, বিসিক ও ফেনী শহরে বিভিন্ন সড়কে গাছপালা পড়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে মহাসড়কের বিসিক ও লালপোলে এলাকায় গাছ পড়ে যাওয়াতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়৷ এতে দীর্ঘক্ষণ মহাসড়কের একমুখী যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরবর্তী কিছু জায়গায় গাছ অপসারণ করলেও ধীরগতিতে যানচলাচল করছে।

দুপুর ১টায় ফেনী শহরের ট্রাংক রোড় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দুপুরেই যেন সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসে। বাতাসের তীব্র বেগের কারণে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রিকশা থেকে দ্রুত নেমে লোকজনকে আশপাশের ভবনে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। ফুটপাতের দোকানিরাও আশ্রয় নেন পার্শ্ববর্তী ভবনে। মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে পড়ে ফেনী শহর। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন গাছপালার ঢাল বিদ্যুৎ এর তারে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় বিদুৎ সংযোগ। বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় পানি অপসারিত না হওয়াতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। এর পাশাপাশি স্কুল-কলেজ থেকে ঘরমুখো শিক্ষার্থীদের গাড়ির সংকটে পড়ে তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায়।

আব্দুর রহিম নামের এক পথচারী বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ উঠে। দুপুর থেকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। ১টার দিকে আচমকা অন্ধকার নেমে আসে। হঠাৎ তীব্র বাতাস আর বজ্রপাত শুরু হয়। সঙ্গে বৃষ্টিপাতও বেড়ে যায়।

ফেনী পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী ইফরাত জাহান তমা বলেন, কলেজ শেষ করে বাড়ি যাচ্ছি, কিন্তু কয়েকঘণ্টা বাসে বসে ছিলাম। গাছ পড়ে দীর্ঘ যানজট মহাসড়কে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি পৌঁছাতে পারিনি।

শহরের বাসিন্দা গ্যাস উদ্দিন বলেন, অফিস থেকে দুপুরে খেতে যাওয়ার উদ্দেশ্য বের হয়েছি। হঠাৎ ঝড় শুরু হওয়াতে দোকানে আটকে পড়েছি৷ অনেকদিন পর ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে এটি প্রশান্তির হলেও ঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়ছে, বিদ্যুৎ নেই। শহরে গাড়ি কমে গেছে। এতে মানুষের কিছুটা ভোগান্তি বেড়েছে।

ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদ্যুৎ নেই। রাস্তায় গাছপালা পড়ে আছে। যানচলাচল বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন সড়কে। এতে সাধারণ মানুষ কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছে।

হাসিনা আক্তার নামে একজন গৃহিণী বলেন, ঝড়ের পর থেকেই বিদ্যুৎ নেই। কখন আসবে তারও ঠিক ঠিকানা নেই। চারদিক অন্ধকার হয়ে যাওয়াতে দিনের আলোতেই লাইটের চার্জ শেষ। বিদ্যুৎ না আসলে রাতভর অন্ধকারে থাকতে হবে। এতে ভোগান্তি আরও বাড়বে।

রেদওয়ান ইসলাম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কোনো গাড়ি পাইনি। বৃষ্টিতে ভিজে হেঁটে হেঁটেই বাসায় যেতে হচ্ছে। পাশাপাশি কলেজে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা চলছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে যাওয়াতে পরীক্ষার্থীদেরও নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলে জানান তিনি।

ফেনীর নিজকুঞ্জরা এলাকার কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, মাঠে ধান রয়েছে। বৃষ্টিতে পানি জমে গিয়েছে। পানি না সরলে ধানে পচন ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু ধান কাটা হয়েছে, এখনও কিছু বাকী আছে। যথাসময়ে ধান কাটার লোক না পেলে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এ কৃষক।

এদিকে এ প্রতিবেদন লেখা অবধি (সন্ধ্যা  সাড়ে ৬টা) জেলার অধিকাংশ জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী পল্লী বিদুৎ এর জিএম ফজলুর রহমান। তিনি জানান, গাছপালা বিদুৎ এর তারে পড়াতে জেলাশহরসহ সব জায়গায় বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সব জায়গায় গাছপালা অপসারিত হওয়ার পরেই বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কতক্ষণ লাগবে নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি তিনি।

তবে এ ঝড়ে ফসলের তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ফেনীর উপ পরিচালক একরাম উদ্দিন। তিনি বলেন, বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকলেও কালবৈশাখী ঝড় উপর দিয়ে যাওয়াতে ফসলের তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই৷ এখন মাঠে ফসল রয়েছে শুধু ধান পাশাপাশি কিছু সবজি রয়েছে। এখন ধান কাটার সময় হয়েছে, অনেক জায়গায় ধান কর্তন করে জমিতে রাখা হয়েছে। কৃষকদের লেবার সংকট ও পানির কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই৷ সবজির ক্ষেত্রে পানি জমিতে বেশিক্ষণ থাকে না, উঁচু জমি হওয়াতে দ্রুত অপসারিত হয়ে যাবে। তবুও আমরা কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রাখছি, এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাইনি।

ফেনী ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, জেলার বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে যানচলাচল বন্ধ থাকার সংবাদে ফায়ার সার্ভিসের সব টিম একযোগে মাঠে কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন উপজেলা ইউনিট ও ইতোমধ্যে গাছ অপসারণে কাজ করছে। বিশেষ করে মহাসড়কের লালপোল ও বিসিক এলাকায় গাছ পড়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সেগুলো দ্রুত অপসারণে কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।

;

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কলকাতা-চট্রগ্রাম ফ্লাইট কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কলকাতা থেকে আসা ইউএস-বাংলার ফ্লাইট চট্টগ্রামে নামতে না পেরে কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করেছে। যেখানে ৪৫ জন যাত্রী রয়েছে। তারা সবাই নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (৬ মে) বিকেল ৫টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে আসা কলকাতা থেকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করেছে। যেখানে ৪৫ জন যাত্রী আছে। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। তাদেরকে বিমানের মধ্যেই খাবার দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজারের উপর দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে বজ্রপাতও হচ্ছে। এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সবাই আতঙ্কে আছে। তবে কোথাও ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবরাখবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

;