সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক পরিসরে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, প্রত্যেকটি স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক পরিসরে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার করবে ইসি। সংখ্যা নির্ধারণ না হলেও কমিশন ইতিমধ্যে বিপুল পরিমান ইভিএম তৈরির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ইভিএমের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু হয়েছে। নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করছে।

গত ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশনের পর আসন্ন গাজীপুর নির্বাচনেও চারটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করে ইসি।

ঘোষিত তফসিল বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে স্বল্প পরিসরে যন্ত্রের সহায়তা নিয়ে নির্বাচন করার পর আগামীতে স্থানীয় নির্বাচনের যে কোনো সিটি, উপজেলা কিংবা পৌরসভায় এককভাবে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কাজে এই যন্ত্রকে যুক্ত করে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছে কমিশন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইভিএম বিতর্ক নিরসনে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে ইসি।

এমনকি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদেরও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ রোধে সাংবাদিকদেরও ইভিএমের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.)  শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ইভিএমের ওপর পর্যায়ক্রমে সকলকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যেন এর সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর হয়।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক বলেন, ইভিএমের ওপর প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। শুধু সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে নয়, সব নির্বাচনের জন্য কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকা উচিত।

গত শনিবার উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রথম ব্যাচের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। ওই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ভবিষ্যতে ভোটগ্রহণে অধিক পরিমাণে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হবে। সোমবার দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে ইসির সচিব বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের টার্গেট নিয়ে কাজ চলছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন হয়নি সময় আছে পরে কমিশন জানাবে। তবে প্রতিটি স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইভিএমকে জনগণের কাছে পরিচিতি লাভের জন্যে কাজ করছে ইসি উল্লেখ করে সচিব বলেন, দশটি অঞ্চলে  মেলা করার চিন্তা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বরিশাল অঞ্চলে একটি মেলা করা হয়েছে সেখানে কিন্তু বেশ সাড়া পাওয়া গেছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবেও একটি মেলার করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি জেলাতে দুটি করে ইভিএম মেশিন পাঠানোর পরিকল্পনা আছে। তিনি বলেন, শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, প্রত্যেকটি স্থানীয় নির্বাচনে এটি ব্যবহারের চিন্তা রয়েছে।

একটি ইভিএম মেশিনের ব্যয় সম্পর্কে তিনি জানান, প্রতিটি ইভিএমে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়। শুধু মেশিন নয় এর সঙ্গে কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিসহ নানা বিষয় যুক্ত থাকে।

এরআগে সিইসি কেএম নূরুল হুদা জানিয়েছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নেই ইসির। রাজনৈতিক দল ও ভোটাররা সর্বসম্মতি দিলেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে। ইসির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে।

সূত্র জানায়, আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটির নির্বাচনে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে ইভিএমের পরিধি বৃদ্ধি করেছে কমিশন। এর মধ্যে বরিশাল সিটিতে ১০টি এবং রাজশাহী ও সিলেটে দুইটি করে কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেওয়া হবে। এর আগে সিটি নির্বাচনে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে একটি করে ওয়ার্ডে ইভিএমে নির্বাচন করে। গত সিটি নির্বাচনে বুয়েটের তৈরি ইভিএমে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাজশাহী সিটির পিটিআই কেন্দ্রে রণক্ষেত্র তৈরি হয়। ইভিএমের কারণে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া বিতর্কিত হয়ে পড়ে। সর্বপ্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএমের প্রচলন ঘটায়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সহায়তায় প্রথমে ২০১০ সালে এ প্রযুক্তির ৫৩০টি মেশিন কেনা হয়। নির্বাচনে ব্যবহার করতে গিয়ে দেশের প্রধান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুত করা ইভিএমে নানা যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে ২০১১ সালে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) প্রস্তুত করা ৭০০ ইভিএম কেনা হয়। এগুলো পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত ছিল না।

শামসুল হুদা কমিশন ২০১১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ২১ নং ওর্য়াডে বুয়েটের ইভিএম ব্যবহার করে। পরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি, টাঙ্গাইল পৌরসভা ও নরসিংদী পৌরসভায় এ প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় হুদা কমিশনের স্থলে বিধির নিয়মে নতুন কমিশন হিসেবে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদায়ী রকিব উদ্দিন কমিশন দায়িত্ব নেয়। তাদের মেয়াদে রাজশাহী সিটিতে ২০১৩ সালে ইভিএম ব্যবহার করে বিতর্কে মধ্যে পড়েন। পরে কমিশনার হিসেবে মেয়াদ পূর্ণের আগে ইভিএম ব্যবহার করেনি। তবে, নতুন ইভিএমের প্রচলন চালু রেখে যান।

ফেব্রুয়ারিতে কেএম নূরুল হুদার কমিশন দায়িত্বে এসে কমিটি করে পুরনো ইভিএমকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। নতুন প্রবর্তিত ইভিএমে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১৪১ নং কেন্দ্রের ৬টি কক্ষে ব্যবহার করে। কিন্তু সেখানে কিছুটা ত্রুটি দেখা দেয়। পুরনো ইভিএমের মতো ত্রুটি নিয়ে সেই নির্বাচন শেষ করে। এরপর গাজীপুর নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ ও ভোটারদের ভোগান্তিতে ফেলার অভিযোগ আসে।

   

নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ২০০ পিস ইয়াবাসহ এক গৃহবধূকে আটক করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আটক নাজমা আক্তার (৪০) নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মার্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিলের নুর নবীর স্ত্রী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেয়। এর আগে, গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিল থেকে তাকে আটক করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, আটক নাজমা নোয়াখালী পৌরসভার মাস্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিলে ভাড়া থাকত। ওই ভাড়া বাসা থেকে সে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে নাজমা তার পরিহিত স্যালোয়ারের ডান কোচের ভিতর থেকে ২০০ পিস ইয়াবা বের করে দেন।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই প্রধানমন্ত্রী জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দু’নেতা দ্বিপাক্ষিক পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। এরপর কিছু ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে সই হবে।
দুই নেতা একান্তেও বৈঠক করবেন।

গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান এবং এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন এবং এরআগে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।

গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ড গেছেন।

সূত্র-বাসস

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে. এন. রায় নিয়তি জানান, আসামিদের কাছ থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, ২২ কেজি ৫৮৯ গ্রাম গাঁজা, ১৯০ গ্রাম হেরোইন ও ১০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ, পৌর মেয়রের বিচারের দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রকাশ্যে অবমাননার ঘটনায় মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্তোরায় মেয়র রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অবমাননার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজল ইসলাম, জাফর আহমেদ ভূঁইয়া ও মোকতার আহমেদ ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে রায়পুর থানা মসজিদ সংলগ্ন আমি ও আমার অংশীদার যৌথভাবে একটি ৯ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করি। শুরু থেকেই মেয়র রুবেল ভাট আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে আসছে। কিন্তু আমি চাঁদা দেবো না বলছি। এরমধ্যেই পঞ্চম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ষষ্ঠ তলার কাজ চলমান রয়েছে। গত ৪ মার্চ মেয়র রুবেল ভাটের লোকজন এসে আমাদের ভবনের সামনে রাউন্ড দেওয়াল ভেঙে দেয়। আমি এসে কারণ জানতে চাইলে তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একইদিন আমি ওমরাহর জন্য রায়পুর থেকে চলে যায়। আমার অংশীদার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহম্মদ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপরও পরদিনের একটি মারামারির ঘটনা সাজিয়ে মেয়র তার কার্যালয়ের কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপুকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ চাঁদা দাবির ঘটনায় আমি মেয়র রুবেলভাটসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে ২১ এপ্রিল মামলা দায়ের করি। এর জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে মেয়রের লোকজন আমার কুশপুত্তলিকা দাহ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বর্তমান সরকারের অন্যতম স্লোগান। এরপরও মেয়র রুবেল ভাট একজন মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করিয়েছে। যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের এমন অপমান কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। আগে জানতাম না, পরে শুনেছি। আমি পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র আমার পক্ষে লোকজন আসতেই পারে। কেউ যদি এসে মিছিল বা অন্য কিছু করে তাতো আমার বিষয় না। পক্ষে-বিপক্ষে লোকজন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। আগামি ৬ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এছাড়া পৌর কর্মচারী বিপুও একটি মামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাই তদন্ত চলছে। মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাটি জানা নেই।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে শুনেছি। কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনাটি জানা নেই। কেউ আমাকে বলেনি। এমন ধরণের ঘটনা অবশ্যই ঘৃণিত কান্ড। এ ঘটনায় তিনি মানহানি মামলা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগীতা করা হবে।

;