‘আগের সেই দিন আর নেই সৌদি আরবে’



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সৌদি আরব (মক্কা)থেকে: বেকারত্ব আর আর্থিক মন্দায় বিপাকে পড়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের প্রবাসী ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। সেই সঙ্গে নতুন নতুন ফরমান জারি আর আর্থিক সংস্কারের কারণে যত দিন যাচ্ছে ততই কঠিন থেকে কঠোরতর পরিস্থিতি দাঁড়াচ্ছে সৌদি প্রবাসীদের।

সৌদি আরবে এসে চাকরি না পেয়ে যারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়ে মুদি, দর্জি, সেলুন, বোরকার দোকান, মাছ, সবজি,মোবাইল ফোনের দোকান ও হোটেল-রেস্তোঁরা খুলেছিলেন ভালো নেই তারাও। একদিকে যেমন ব্যবসা কমেছে অন্যদিকে বেড়েছে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়। সব মিলিয়ে বেশ বিপাকেই রয়েছেন এসব ব্যবসায়ীরা।

সৌদি আরবে নিজের দোকান বা হোটেল দৃশ্যমান থাকলেও আসলে কোন মালিক নয় তারা। বিনিয়োগ থেকে ব্যবসা পরিচালনা, ঝুঁকি মোকাবেলা, কঠোর শ্রমের বিনিময়ে টিকে থাকার অদম্য চেষ্টাসহ সব কিছুই করতে হয় প্রবাসীদের। তবে কাগজে কলমে এর মালিক সৌদি নাগরিক। যার লাইসেন্সে মূলত চলে ব্যবসা।

এই লাইসেন্সধারীদের ‘কফিল’ বা নিয়োগ কর্তা বলা হয়। ফলে তাদের হাতেই এক রকম জিম্মি জীবন ব্যবসায়ীদের। সৌদিতে থাকতে হলে কফিলকে মাসোয়ারা হিসেবে বছর শেষে দিতে হচ্ছে আয়ের একটি বড় অংশ। তার সঙ্গে রয়েছে ফি বছর দোকান ভাড়া ও ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় বেড়ে যাওয়া। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতির  সঙ্গে  তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রবাসী উদ্যোক্তরা।

সৌদিতে ব্যবসা করে টিকতে না পেরে দীর্ঘদিনে গড়ে তোলা ব্যবসা ছেড়ে দেশে পাড়ি দেওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তবে দেশে ফিরছেন রিক্ত আর নি:স্ব হয়ে। যারা রয়েছেন তারাও দেশে ফেরার  প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ব্যবসার এমন মন্দা পরিস্থিতিতে মক্কা নগরীর সেবা আমির জবলে সউদান নামে পাহাড়ের বুকে এখন এই প্রবাসীদের দীর্ঘশ্বাস।

সৌদি আরবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ (৩৮)। ১০ বছর ধরে সৌদিতে রয়েছে চট্রগ্রামের সাতকানিয়ার পশ্চিম ঘাটিয়াডেঙ্গা গ্রামের মোস্তাক। এখানে তার  একটি ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর রয়েছে। ব্যবসা জমজমাট হলে দেশ থেকে নিয়ে আসেন ছোট ভাই জসিম উদ্দিনসহ এক ভাগ্নেকে। গত ছয় মাস ধরে ব্যবসায়ীক মন্দায় কঠিন সময় অতিক্রম করতে হচ্ছে মোস্তাককে

এমনকি ব্যবসার পরিসর বাড়াতে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেখান থেকে সরে এসে উল্টো ব্যবসা পরিচালনা করাটাই তার কঠিন হয়ে পড়েছে।

মোস্তাক বার্তা২৪.কমকে বলেন, আরে ভাই, সৌদি আরব আর আগের মতো নেই। ক্রেতা কমেছে। ব্যবসায় ক্ষতি হলেও দোকান ভাড়া,বৈদ্যুতিক বিলসহ যাবতীয় ব্যয় বেড়ে যায়। তাই এসব মিটিয়ে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রবাসী ব্যবসায়িরা বলছেন, চলতি বছরের শুরু থেকে কঠিন মন্দার পথে হাঁটছেন প্রবাসী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তরা। এরমধ্যেও কেউ জমানো অর্থ ভাঙিয়ে খাচ্ছেন। কেউ বা সুদিন আসবে - এমন আশায় মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন।

মক্কার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা আর পারছি না। আগামী হজ্বের পর পরিস্থিতি দেখবো। টিকতে না পারলে চলেই যেতে হবে। ব্যবসার পরিস্থিতি ভালো না। পর্যাপ্ত কাজ নেই। আবার কাজ থাকলেও যথাযথ বেতন নেই। অশান্ত শ্রমবাজার। অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতকে সামনে রেখে বর্তমান সময়কে পাড়ি দিতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন অনেকে।

তবে এমন বৈরী পরিবেশেও দিবাস্বপ্ন নিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয়ে দলে দলে মানুষ ঢুকছে সৌদিতে। ফ্রি ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়ে গভীর সংকটের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছেন এই অভিবাসীরা। এমনিতেই কর্ম সংকট। তার ওপর দেশ থেকে আসা বাড়তি শ্রমিকের এই চাপ। সব মিলিয়ে ভারসাম্যহীন এখানকার শ্রম বাজার।

বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার সৌদি আরব। তবে দেশে থাকা মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের কারসাজিতে অভিবাসী ব্যয়ের ১৬ আনাই মিছে হয়ে যাচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকদের। বছর শেষে হিসেবে কষে দেখা যাচ্ছে অভিবাসন ব্যয় বাদ দিয়ে শ্রমের কোন মূল্য নেই।

অন্যদিকে স্থায়ী কাজের অভাব ও নারী শ্রমিকদের নিপীড়িত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের শুরুতে সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানি কমতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি।

অভিবাসন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অসাধু জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ভিসা-বাণিজ্যের কারণে অভিবাসন ব্যয় কমছে না। নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।

আগে দুই হাজার রিয়েলে আকামা (রেসিডেন্স পারমিট) পাওয়া গেলেও ক্ষেত্রে বিশেষে তা উঠেছে ১০/১২ হাজার রিয়ালে। চাহিদা মতো অর্থ দিতে না পারলে কফিল আকামা। নবায়নে গড়িমসি করে। আবার সময় মতো নবায়ন না করলে প্রবাসীদের ৫০০ রিয়াল জরিমানা গুণতে হয়।

ফলে ভাগ্য বদলের হাজারো স্বপ্ন নিয়ে এখানে পাড়ি দিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন অভিবাসী শ্রমিকরা।

মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। দেশ থেকে আসা প্রবাসী শ্রমিকদের চাহিদা মেটাতেই উদ্যোক্তা হয়েছিলেন মোস্তাকের মতো অনেকেই। তবে অসাধু জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ভিসা-বাণিজ্যের কারণে অভিবাসন ব্যয় দিন দিন বাড়ছে।

 

যার ফলে অবৈধভাবে সৌদিতে বসবাস ও শ্রম আইন লংঘন করা শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়ছে। ধর পাকড়ে আটক করা হয়েছে বহু শ্রমিক। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৭০২ জনকে আকামা ভঙ্গ, ৪ হাজার ৩৫৩ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘন করা এবং ৩ হাজার ৮৮৩ জনকে সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লংঘনের অভিযোগে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আবার নতুন শ্রমিক এসেও না পাচ্ছেন কাজ। না পারছেন বৈধভাবে বসবাস করতে।

সব মিলিয়ে চাপটা এসে পড়ছে এই শ্রেণিকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের উপর। সব মিলিয়ে শ্রম বাজার ঘিরে চলছে নিরব এক অস্তিরতা। এতে অনিশ্চয়তা আর শঙ্কার ভাঁজ পড়েছে মোস্তাকদের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কপালে।

   

বৃষ্টির আশায় পল্লবিতে ইসতিসকারের নামাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টি প্রার্থনা করে রাজধানীর মিরপুর পল্লবিতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় পল্লবি ১২ সেকশনের ডি ব্লক ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

মাদ্রাসা দারুর রাসাদ এর উদ্যোগে এ নামাজে ইমাম ছিলেন বাইতুল আজমত জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল হালিম।

এর আগে ভোর থেকে ওই মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশ নেয় এ ইসতিসকারের নামাজে।

;

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ. লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ও পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়া দফতরের নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ৯টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মধ্যরাতে ঘণ্টার বেশি সময়ে বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিজেছে। রাত আটটার পর থেকে নগরে বইতে শুরু করে বাতাস। পরে রাত ১১টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি।

এছাড়া মে মাসের শুরুতে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, এপ্রিল জুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। 

;

ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার শপিং মল সীমান্ত স্কয়ারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের তথ্য পাওয়া যায়। ৬তলা শপিং মলের তৃতীয় তলার আর কে ইলেকট্রনিকস নামের একটি মোবাইলের দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানটি পুড়ে গেছে। তবে অন্যকোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২টা ১৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর ৩টা ২২ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।

মোহাম্মদপুর ও পলাশী স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

;