ক্রেতা থাকলেও নেই বিক্রি, লোকসানের আশঙ্কা



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
রাজশাহী সিটি হাটে কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতাদের ভিড়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী সিটি হাটে কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতাদের ভিড়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কাল বাদে পরশু কোরবানি ঈদ। উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুহাট রাজশাহী সিটি হাটে গরু-মহিষ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে পা ফেলা দায়। অথচ হাটে কেনাবেচা একেবারেই কম।

ক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি চাওয়ায় তারা শেষ সময়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। বিক্রেতা ও খামারিরা বলছেন, আজ (শনিবার- ১০ আগস্ট) বিক্রি না হলে কাল (রোববার- ১১ আগস্ট) থেকে লোকসানে ছেড়ে দিতে হবে গরু-মহিষ।

আরও পড়ুন: ‘খাইট্টা লিবেন নাকি মামা, তেঁতুলের খাইট্টা’

শুধু সিটি হাট নয়, মহানগরীর উপকণ্ঠের নওহাটা, দামকুড়া, কাঁটাখালী, পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাট, ঝলমলিয়া হাট, গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট, মহিষালবাড়ি হাট, বাগমারার ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর হাট, মোহনপুরের কেশরহাট, তানোরের মুণ্ডুমালা হাটেরও একই চিত্র।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565434960712.jpg

গরু-মহিষ-ছাগলে ভর্তি হাট, ক্রেতা-বিক্রেতাতে মুখর। অথচ বেচাকেনা খুবই কম। ফলে খামারি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে লোকসানের শঙ্কা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। বিক্রি না হওয়ায় আশঙ্কায় তারা এক হাট থেকে গরু নিয়ে অন্য হাটে যাচ্ছেন। গরু নিয়ে এভাবে ঘুরতে ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত পরিবহসহ নানান খরচ।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সাইজের গরু, মহিষ, ছাগল রয়েছে। বেশিরভাগ রাজশাহীসহ আশেপাশের জেলা-উপজেলাগুলো থেকে এসেছে পশুগুলো। স্থানীয় খামারিদের পাশাপাশি ব্যাপারিরা কুষ্টিয়া, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিক্রির জন্য পশু নিয়ে এসেছেন। হাটে ভারতীয় গরুরে উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ- গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। ছোট সাইজের গরুর দাম ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। মাঝারি সাইজের গরু ৭০ থেকে ৮৫ হাজার ও বড় সাইজের গরু ৯০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত দাম হাঁকানো হচ্ছে। ছোট ছাগলের দাম ৮ থেকে ১০ হাজার, মাঝারি সাইজের দাম ছাগল ১২ থেকে ১৫ হাজার ও বড় সাইজের ছাগলের দাম ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাইছে বিক্রেতারা।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, টাকা ছিনতাই

নওগাঁর মান্দা থেকে রাজশাহীর সিটি হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছেন আবদুল লতিফ। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম বলেন, ‘আমি তিনটি গরু লালন-পালন করেছি। সারাবছর ধানের গুঁড়া, ভূষি, নালিসহ বিভিন্ন উপাদান ক্রয় এবং শ্রমিক দিয়ে গরুর পরিচর্যা করতে গিয়ে লাখ টাকার উপরে খরচ পড়েছে। লাভ করতে হলে অবশ্যই দাম বেশি চাইতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমি গরু নিয়ে বাগমারার তাহেরপুর হাটে গেছিলাম। সেখানে দু’টো গরু বিক্রি করেছি। আর বিক্রি না হওয়ায় ভালো দাম এবং দ্রুত বিক্রি করার আশায় আজ (শনিবার) সিটি হাটে এসেছি। কিন্তু এখানেও একই অবস্থা।’

খলিলুর রহমান নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘১১টা গরু বেচতে আমাকে পাঁচ হাটে ঘুরতে হয়েছে। সবশেষে সিটি হাটে এসেছি। এখনো ছয়টি গরু রয়েছে। কাল (রোববার) বিক্রি করতেই হবে। সেটা কম দামে হলেও ছেড়ে দিতে হবে। না হলে ধার-দেনা পরিশোধ করতে পারব না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/10/1565434987930.jpg

বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আটটি গরু নিয়ে এসেছি। একটি বিক্রি করেছি। আরও সাতটি গরু রয়েছে। দাম শুনেই চলে যাচ্ছে, কেউ সেভাবে দাম করছে না। আশেপাশের অন্য বিক্রেতারাও তাই বলছেন। আজকে যদি বিক্রি করতে না পারি, কাল কম দামে ছেড়ে দিতে হতে পারে। এছাড়া কোনো উপায় নেই।’

সিটি হাটে গরু কিনতে আসা আবদুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘গত চার দিন ধরে হাটে ঘুরছি। তবে আমার যে বাজেট, সেই হিসেবে গরু মিলছে না। বিক্রেতারা খুবই চড়া দাম চাইছেন। আজও যদি না হয়, তবে কাল শেষ দিনে এসে যেকোনো একটা কিনে নিয়ে ফিরব।’

রাজশাহী নগরীর কাজীহাটা এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) থেকে গরু হাটে আসা শুরু করেছি। শুক্রবার (৯ আগস্ট) হাট বেশ জমজমাট ছিল। তবে দামে এখনো ছাড় দিচ্ছে না বিক্রেতারা। হিসেবে মণ প্রতি গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা। তবে আমি ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা মণ হিসেবে গরু খুঁজছি। তেমন পেলে আজই কিনে নিয়ে যাব। যদি না হয় তবে রোববার (১১ আগস্ট) শেষবার হাটে আসতে হবে। শেষ দিনে গরুর দাম কমবে বলে হাটে এসে শুনছি।’

রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বছর রাজশাহীতে কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা চার লাখ চার হাজার ৫১৯টি। আর জেলার নয় উপজেলায় ১৭ হাজার ৭০০ খামারে তিন লাখ ৬৯ হাজার ৫৭৪টি কোরবানির পশু লালন-পালন করা হয়েছে। এছাড়া বসতবাড়িতে আরও প্রায় ৫০ হাজার পশু রয়েছে। ফলে অঞ্চলভিত্তিক উৎপাদিত পশু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। অথচ এরই মধ্যে হাটে ঢুকেছে কয়েক হাজার ভারতীয় গরু।

   

সারাদেশে আবহাওয়া কেমন থাকবে আজ, জানাল অধিদপ্তর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। চলমান এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজমান থাকতে পারে।

তবে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একইসময়ে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

;

বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এ বছরই আম নিতে চেয়েছে চীন। সেইসঙ্গে চীনের একটি এক্সপার্ট প্রতিনিধি দল আম পাকার সময়ে আম বাগান ও উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম দিকে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসতে চায়। প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চীনের কাস্টমস বিভাগ বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন।

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, যুগ্মসচিব মো. মাহমুদুর রহমান, চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সঙ ইয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিতে চীনের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণ করতে চীনের বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশের কৃষকেরা যাতে কম দামে আধুনিক কৃষিযন্ত্র পেতে পারে, এক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, চীন থেকে তুলনামূলক কম দামে আমরা যন্ত্র কিনতে পারি।’

এর আগে দুপুরে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন বৈঠক করেন। বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও চালুর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এ সংরক্ষণাগারে সারা বছর পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানানো হয়।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফসল। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে আমরা পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করছি। নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে সংরক্ষণাগার নির্মাণ এক্ষেত্রে খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় নির্মিত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগারটি আগামী ২ মে কৃষিমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

;

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব্ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মোঃ জাফর ওয়াজেদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়। তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলো। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে ১১ জন কাউন্সিলরের আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মাল লুট, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়র এর পদ থেকে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী 'পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা' এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মেয়র এর পদ থেকে আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এতে আরও বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে ২০২২ সালে ২৭ নভেম্বর জামালপুর জেলা প্রশাসকের কাছে মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জন। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও আবেদন করেন তারা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র (বরখাস্ত) আব্দুল কাদের সেখের মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

;