রাজশাহীর হাটে বাড়ছে ভারতীয় গরু, শঙ্কায় খামারিরা



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
রাজশাহীর হাটগুলোতে ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে, নগরীর সিটি হাট থেকে তোলা/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহীর হাটগুলোতে ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে, নগরীর সিটি হাট থেকে তোলা/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র পাঁচ দিন। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজশাহীর পশুর হাটগুলো। রাজশাহীতে সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসে মহানগরীর সিটি হাটে। নগরীর বাইরে বাগমারার তাহেরপুর, পুঠিয়ার বানেশ্বর, কাকনহাট, মচমইল, কেশরহাট, মহিষালবাড়ির পশুহাটেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আনাগোনা দেখা যায়। গত সপ্তাহ থেকে এসব হাটে খামারিরা তাদের গরু তুললেও কেনাবেচা জমেছে গত দুই/তিন দিন ধরে।

এদিকে, প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে প্রথম দিকে হাটে দেখা যায়নি ভারতীয় গরু। তবে হঠাৎ গত দুই দিনে সিটি হাটসহ বিভিন্ন হাটে ভারতীয় গরুর আমদানি বেড়েছে। ভারতীয় গরু দামে সস্তা হওয়ায় ক্রেতাও বেশি। ফলে লোকসানের শঙ্কা মাথায় নিয়ে হাটে হাটে গরু নিয়ে ঘুরছেন স্থানীয় খামারিরা।

রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বছর রাজশাহীতে কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা চার লাখ চার হাজার ৫১৯টি। আর জেলার ৯টি উপজেলায় ১৭ হাজার ৭০০ খামারে তিন লাখ ৬৯ হাজার ৫৭৪টি কোরবানির পশু লালন-পালন করা হয়েছে। এছাড়া বসতবাড়িতে আরও প্রায় ৫০ হাজার পশু রয়েছে। ফলে অঞ্চলভিত্তিক উৎপাদিত পশু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। অথচ এরই মধ্যে হাটে ঢুকেছে কয়েক হাজার ভারতীয় গরু।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565076987263.gif

জানা যায়, রাজশাহী সীমান্তে অনুমোদিত ছয়টি বিট খাটাল রয়েছে। যা দিয়ে সীমান্ত হয়ে ভারতীয় গরু রাজশাহী ঢোকে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর আরও কয়েকটি সীমান্ত খাটাল হয়ে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দেশি গরুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে গত ১৬ জুলাই থেকে সবগুলো খাটাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। খাটালগুলো দিয়ে যাতে ভারতীয় গরু প্রবেশ না করতে পারে সেই বিষয়ে সীমান্তে বিজিবি, কোস্ট গার্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তবে সীমান্তে বিভিন্ন পক্ষকে ম্যানেজ করে গত দুই সপ্তাহে দেদারসে ভারতীয় গরু রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত খাটাল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতে বন্যার কারণে ঐ সময়ে ব্যাপকহারে গরু বাংলাদেশে পার করেছে ওপারের বাসিন্দারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দু’জন খাটাল ইজারাদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, ১৬ জুলাই খাটাল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর তা চার থেকে পাঁচ দিন বন্ধ ছিল। পরে ২০-২২ জুলাই থেকে বিজিবি, কোস্টগার্ড সদস্যসহ বিভিন্ন পক্ষকে ম্যানেজ করে গরু ঢোকাতে হয়েছে। ৩০ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দিনে এক একটি খাটাল দিয়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ গরু ঢুকেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565077011894.gif

তারা বলেন, হাটে স্থানীয় খামারিরা তিন থেকে চার মণের গরু ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা বিক্রির জন্য দাম তোলে। তবে একই ওজনের ভারতীয় গরু ৫৫ থেকে ৬০ হাজারে ছেড়ে দিলেও সব খরচা বাদ দিয়ে গরুপ্রতি ১০ হাজার টাকা লাভ থাকবে।

রোববার (৪ আগস্ট) রাজশাহী সিটি হাটে গিয়ে ভারতীয় গরু বিক্রি করতে দেখা যায় মেহের আলী ও হাসিবুল ইসলাম নামে দুই ব্যবসায়ীকে। তারা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, গত ২৬ জুলাই তারা দুই জন ৯ জোড়া গরু পার করতে পেরেছেন। খাটালে জোড়াপ্রতি ছয় থেকে সাত হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে গরু দেশে ঢোকাতে হয়েছে। তারপর গোপনে চারজনের বসতবাড়ির গোয়ালঘরে রেখে আটটি গরু হাটে নিয়ে এসেছেন। তার মধ্যে তিনটি বিক্রিও করেছেন।

পবার খামারি আমজাদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমি চারটি গরু গত ৯/১০ মাস ধরে লালন-পালন করেছি। গরুর খাবারের দাম অনেক। দুই ছেলে ও আমি মিলে গরুগুলো হাটে নিয়ে এসেছি। ৭৫ থেকে ৯০ হাজারের মধ্যে দাম পেলে গরুগুলো বিক্রি করব। কেউ এখনো ৬২ থেকে ৬৫ হাজারের বেশি দাম বলেনি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/06/1565077030357.gif

বাগমারা তরুণ উদ্যোক্তা খামারি আহসান উল্লাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ভারতের গরুতে বাজার ভরে গেছে। তাহলে স্থানীয় খামারিরা কীভাবে বাঁচবে?’

রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু বলেন, ‘ভারতীয় গরুর চেয়ে দেশি গরুই হাটে বেশি। তবে ভারতীয় গরু যে নেই, তা বললে মিথ্যা বলা হবে।’

জানতে চাইলে রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) কল্যাণ কুমার ফৌজদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘গত ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে ভারতীয় গরু যাতে না ঢোকে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছি। তারা সীমান্তে ভারতীয় গরুর প্রবেশ ঠেকাতে তৎপর রয়েছে।’

   

সারাদেশে আবহাওয়া কেমন থাকবে আজ, জানাল অধিদপ্তর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। চলমান এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজমান থাকতে পারে।

তবে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একইসময়ে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

;

বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এ বছরই আম নিতে চেয়েছে চীন। সেইসঙ্গে চীনের একটি এক্সপার্ট প্রতিনিধি দল আম পাকার সময়ে আম বাগান ও উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম দিকে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসতে চায়। প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চীনের কাস্টমস বিভাগ বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন।

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, যুগ্মসচিব মো. মাহমুদুর রহমান, চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সঙ ইয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিতে চীনের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণ করতে চীনের বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশের কৃষকেরা যাতে কম দামে আধুনিক কৃষিযন্ত্র পেতে পারে, এক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, চীন থেকে তুলনামূলক কম দামে আমরা যন্ত্র কিনতে পারি।’

এর আগে দুপুরে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন বৈঠক করেন। বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও চালুর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এ সংরক্ষণাগারে সারা বছর পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানানো হয়।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফসল। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে আমরা পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করছি। নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে সংরক্ষণাগার নির্মাণ এক্ষেত্রে খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় নির্মিত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগারটি আগামী ২ মে কৃষিমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

;

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব্ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মোঃ জাফর ওয়াজেদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়। তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলো। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে ১১ জন কাউন্সিলরের আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মাল লুট, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়র এর পদ থেকে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী 'পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা' এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মেয়র এর পদ থেকে আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এতে আরও বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে ২০২২ সালে ২৭ নভেম্বর জামালপুর জেলা প্রশাসকের কাছে মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জন। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও আবেদন করেন তারা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র (বরখাস্ত) আব্দুল কাদের সেখের মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

;