বিড়ির দাম ১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা করার দাবি
বিড়িতে সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে বিড়ির দাম ১৪ টাকা থেকে ১০ টাকা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।
রোববার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি এম কে বাঙালি।
লিখিত বক্তব্যে এম কে বাঙালি বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর অযৌক্তিকভাবে কম দামি সিগারেটের চেয়ে ৪ গুণ বেশি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। বিড়িতে ২৪.২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে কম দামি সিগারেটে মাত্র ৫.৭১ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিড়ির সম্পূরক শুল্ক ৩০% থেকে ৩৫% করা হয়েছে অর্থাৎ ৫% বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যদিকে বহুজাতিক কোম্পানির কমদামি সিগারেট ও বেশি দামি সিগারেটের সম্পুরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয় নাই।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিসমূহ হল: বিড়ির দাম ১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা করতে হবে, 'সম্পূরক শুল্ক' কমিয়ে ভারতের ন্যায় প্রতি হাজারে ১৪ টাকা করতে হবে,কম দামি ও বেশি দামি সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করতে হবে,বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বাতিল করতে হবে, বঙ্গবন্ধুর চালুকৃত বিড়িকে অবিলম্বে কুটির শিল্প ঘোষণা করতে হবে, নিম্নস্তর ও মধ্যম স্তরের সিগারেট একীভূত করে সমমূল্য করতে হবে, উচ্চস্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক অধিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে ও শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হাজার প্রতি ১০০ টাকা করতে হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. হারিক হোসেন, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সম্পাদক প্রণব দেনাথ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু প্রমুখ।