প্রকৃত মৎস্যজীবীরা হাওর লিজ নিতে পারছে না



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘হাওর ও চর উন্নয়নে আপনার জানা আপনার ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি/ছবি: বার্তা২৪.কম

‘হাওর ও চর উন্নয়নে আপনার জানা আপনার ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, রামদাশ-হরিদাশ নাম দিয়ে আমাদের কাছে আসে, আমরা সুপারিশ দেই, দিতে হয়। ডিসিরা অনুমোদন দেন তারা হাওর লিজ পান। কিন্ত পর্দার পেছনে থাকে বড়রা। পুরো পরিকল্পিত যে কারণে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা হাওর লিজ পাচ্ছে না।

রোববার (১৬ জুন) কেআইবি মিলনায়তনে ‘হাওর ও চর উন্নয়নে আপনার জানা আপনার ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, হাওরের জন্য প্রকল্প নিয়ে আসেন আমি অনুমোদন দিবো। তবে সেই প্রকল্প হতে হবে বাস্তবতা ও জনকল্যাণে নিবেদিত। হাওরে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সংকট থাকবে না।

গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক আক্ষেপ করেন কেনো গবেষণা হচ্ছে না। গবেষণা বাড়াতে হবে।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, হাওর অঞ্চলের বেশিরভাগ লোক মৎস্যজীবী। জলাশয় তারা পাচ্ছে না। সরকার তাদের সমিতির নামেই দিচ্ছে। কিন্তু পেছেনে রয়েছে বিত্তশালীরা। এক সময় যে হাওর ২ লাখ টাকায় লিজ হতো সেটি এখন ২ কোটি টাকায় লিজ হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের আওতার বাইরে চলে গেছে। চিন্তা করতে হবে কিভাবে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের হাতে দেওয়া যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/16/1560670434682.jpg

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, হাওরে একটি দ্বন্দ্ব রয়েছে কেউ চায় দ্রুত পানি নেমে যাক চাষাবাদ করব। আরেক গ্রুপ চান পানি থাকুক মাছ চাষ করব। হাওরের ক্ষুদ্র কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর বড় কৃষকরা কিন্তু জমি কন্ট্রাক্ট দিয়ে নিজের টাকা ঠিকই বুঝে নয়।  হাওরের  যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন হওয়ায় চিত্র বদলে যাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সে উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. রকিবুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ৭ জেলার ৫৭ উপজেলায় হাওরের বিস্তৃতি রয়েছে। প্রায় ৮ হাজার বর্গকিলোমিটার হাওরাঞ্চলে ১ হাজার ৯৩৭ মিলিয়ন লোক বাস করে। জলের নিচে থাকে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমি।

আকস্মিক ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, ভারি বৃষ্টিপাতে দুর্বল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, অনুন্নত হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশনের অভাব, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অভাব, সামাজিক অবক্ষয়, খারাপ যোগাযোগ ব্যবস্থা, বর্ষা মৌসুমে কৃষকের বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, অপ্রতুল শিক্ষা ব্যবস্থা, ঝরে পড়া শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তুলনামুলক কম উপস্থিতিকে সমস্যা বলে চিহ্নিত করেন।

প্রবন্ধে বলেন, হাওরে দেশের ১০ শতাংশ ধান উৎপাদিত হয়। সে কারণে জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন, মাছ রফতানি, আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ, স্কুল ফিডিং, পরিবেশ বান্ধব পর্যটন গড়ে তোলাসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৮ হেক্টর চরাঞ্চল রয়েছে। বহ্মপুত্র,  যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৫ শতাধিক শাখা প্রশাখা রয়েছে। এসব নদী বছরে ১ থেকে আড়াই মিলিয়ন টন পলি বহন করে। এই পলির ৩০ শতাংশ তলানি পড়ে চরের সৃষ্টি হচ্ছে।

চরাঞ্চলে ফসল উৎপাদনে লাগসই প্রযুক্তির অভাব, কৃষকের জ্ঞানের অভাব, মানসম্মত বীজের অভাব, যাতায়াত ও অনুন্নত বাজার ব্যবস্থাপনা, কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না করা, ফড়িয়াদের দৌরাত্ব্যসহ বেশ কিছু সমস্যা তুলে ধরা হয় প্রবন্ধে।

নদীর পলি বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি, সেচ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের সুপারিশ তুলে ধরেন রকিবুল ইসলাম খান।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর লুৎফুল হাসান।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;