যে কারণে পিছিয়ে ময়মনসিংহের নারী ক্রিকেট



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
অনুশীলন করছে কিশোরী ক্রিকেটাররা, ছবি: বার্তা২৪.কম

অনুশীলন করছে কিশোরী ক্রিকেটাররা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কলসিন্দুর, নামটা উচ্চারণ করতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক ঝাঁক নারী ফুটবলারের মুখ! গারো পাহাড়ের পাদদেশে নিভৃত একটি গ্রামের নাম কলসিন্দুর। যাকে বলা হয় বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের আঁতুরঘর।


ময়মনসিংহ জেলার এই এলাকা থেকে উঠে এসেছেন মারিয়া, তহুরা, মার্জিয়া, সানজিদাসহ একদল নারী ফুটবলার। যারা জাতীয় দলের হয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

ব্রহ্মপুত্র পাড়ের এ জেলায় ফুটবলে নারীরা যতটা এগিয়ে, ঠিক ততটাই পিছিয়ে ক্রিকেটে। পর্যাপ্ত সুযোগ ‍সুবিধার অভাব আর লোকলজ্জার ভয়ে তৃণমূল থেকে উঠে আসছে না নারী ক্রিকেটার।

পাশাপাশি খেলার মাঠের অভাব, নিরাপত্তাহীনতা আর আর্থিক দৈনতার কারণে বাড়ছে না নারী ক্রিকেটারের সংখ্যা- বললেন ময়মনসিংহের নারী ক্রিকেটার তৈরির কারিগর শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের নারী দলের কোচ এস এম মুখলেছুর রহমান।

tes
অনুশীলন করছে কিশোরী ক্রিকেটাররা, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

তিনি বলেন, মেয়েদের ক্রিকেটে আসার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হচ্ছে পরিবার। আবার সামাজিক প্রতিবন্ধকতা তো রয়েছেই। যারা আসে তাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত সুব্যবস্থা। রয়েছে খেলার মাঠের অভাব৷ আলাদাভাবে অনুশীলন করার জন্য কোনো মাঠই নেই ময়মনসিংহে। মহিলা ক্রীড়া সংস্থার একটি মাঠ আছে, কিন্তু সেটি অনুশীলনের জন্য উপযুক্ত না। জেলা প্রশাসক যদি সেখানে সুব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে মেয়েরা প্রতিবন্ধকতা দূর করে অনুশীলন করতে পারবে। কারণ বাইরে অনেকেই বিরক্ত করে তাদের। অনেক কষ্ট করে আমরা অভিভাবকদের কাছ থেকে মেয়েদের নিয়ে আসি। এরপর যদি রাস্তাঘাটে তাদের কটূক্তি শুনতে হয়, তাহলে তো মেয়েরা আসবে না।

মুখলেছুর রহমান বলেন, ময়মনসিংহে অনেক সম্ভবনাময় নারী ক্রিকেটার আছে। তাদের ঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে এখান থেকেই অনেক মেয়ে বড় জায়গায় যেতে পারবে এবং তাদের দেখে অনেক মেয়েই অনুপ্রাণিত হবে। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে।

te
অনুশীলন করছে কিশোরী ক্রিকেটাররা, ছবি: বার্তা২৪.কম

পাশাপাশি নারী ক্রিকেটারের সঙ্কট কাটাতে বিসিবির কাছে মেয়েদের প্রতি সু-নজর দেওয়ার তাগিদ কোচ মুখলেছুর রহমানের।

সম্প্রতি জেলার রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম মাঠে দেখা মেলে অনুশীলনে ব্যস্ত স্বর্ণ, লাকী, লাবিবাসহ একদল কিশোরী। তাদের চোখে-মুখে স্বপ্ন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে একদিন জাতীয় দলের হয়ে মাঠ মাতাবে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলে জায়গা করে নিতে নিজেদের প্রস্তুত করছে তারা।

স্বর্ণলতা স্বর্ণ নামে এক কিশোরী ক্রিকেটারের মতে, প্রতিটি জেলাতেই একটি নারী একাডেমি থাকা দরকার, যেটি নেই। বিভিন্ন সরঞ্জামাদি সরকারিভাবে দেওয়া উচিত আগ্রহী নারীদের। একই সঙ্গে যারা অনুশীলন করবে তাদের জন্য জেলা ভিত্তিক নিয়মিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পারলে অনেক খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে।

a
অনুশীলন করছে কিশোরী ক্রিকেটাররা, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

সব প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে মেয়েদের ক্রিকেটে আসা উচিত বলে মনে করে আরেক কিশোরী ক্রিকেটার সাবিহা লাবিবা। তার ভাষায়, কে কি বলল সেটা কানে না নিয়ে নিজের আগ্রহ ও ইচ্ছা শক্তিকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

জাতীয় দলের সালমা-জাহানারাদের হাত ধরে এসেছে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারী ক্রিকেটকে আরো এগিয়ে নিতে সাকিব-তামিমদের মতো যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে উদীয়মান নারী ক্রিকেটারদের।

   

বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশেষ অর্থনৈতিক খাত, হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশি স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখারও প্রস্তাব দিয়েছি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি-একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র সই হয়।

বাংলাদেশ একটি নিকট প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণবন্ত অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে আমরা থাইল্যান্ডকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখছি।

বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বর্তমান পরিধি বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং শক্তিশালি দ্বিমুখী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড এই সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

দুই পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রীরা এই বিষয়ে একটি আগ্রহপত্রে সই করেছেন।

থাই এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহজ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা এবং ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য একটি চুক্তি রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে, শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি।

শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি সই হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করেছে।

সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাাগশিপ ‘ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরন করছে।

তিনি বলেন, আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

দুই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিমসটেক মোট ১৮০ কোটি জনসংখ্যার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।

তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ সময় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেছেন।

সূত্র- বাসস

;

টাঙ্গাইলে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর এলাকায় ছুরিকাঘাতে মো. সাইম (১৪) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের রানাগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সাইম। পরে তার বন্ধুরা সাইমকে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় সাইমের মা ছেলের কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলে মাচায় (বাঁশ দিয়ে তৈরি বসার স্থান) থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। পরে সাইমের মাথায় পানি ঢালতে গিয়ে স্বজনরা দেখে তার বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তাড়াতাড়ি টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইমকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘারিন্দা ইউনিয়নের মেম্বার সাদ্দাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত সাইমকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দীন বলেন, সাইম সারা দিন রোজা ছিলো। ওর বন্ধুর ডাকে সাইমরা চার বন্ধু ওই গ্রামের ওবায়দুল পাগলার বাড়িতে যান। ওবায়দুল পাগলার বাবার সাথে তাদের কোন এক বন্ধুর পরিবারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওবায়দুল ছুরিকাঘাত করে। তখনই সাইমের মৃত্যু হয়। পরে ওবায়দুল পাগলাকে পালিয়ে যেতে দেখে স্থানীয়রা। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;

তালতলীতে বৈদ্যুতিক পাখা ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলীতে বৈদ্যুতিক পাখা মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আফজাল মাতুব্বর (৫০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ছোট ভাইজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আফজাল মাতুব্বর একই গ্রামের ফুলমিয়া মাতুব্বরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি পেতে নিজ ঘরের বৈদ্যুতিক পাখা (ফ্যান) মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন আফজাল মাতুব্বর। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে দুপুরে ঘরের পুরাতন বৈদ্যুতিক পাখা মেরামত করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন।

তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক ডা. আইরিন আলোম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন আফজাল মাতুব্বর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিৎ কুমার সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্ট-এ মরিশাস আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ওপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো, তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ এবং আন্তঃসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পরিবার এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও ঔষধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।

উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো, সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্তীয় সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত এবং ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্রিত করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশী এবং কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো উঠে আসে তা হলো, ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা এবং নবায়ন, আইনি কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি এবং জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের অপব্যবহার এবং সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ওপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহিত হয়।

;