কোন বিপদ সংকেতের কী অর্থ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে বৃহস্পতিবার মংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কিন্ত এই ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের অর্থ কী? জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ৭ নম্বরের অর্থ হচ্ছে, বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার ঝামেলাপূর্ণ এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরের উপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঝড়ের সময় আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া সমুদ্রের ক্ষেত্রে ১১ এবং নদীবন্দরের ক্ষেত্রে চারটি সংকেত নির্ধারিত আছে। এই সংকেতগুলো সমুদ্রবন্দর ও নদীবন্দরের ক্ষেত্রে ভিন্ন বার্তা বহন করে।

সমুদ্রবন্দরের সংকেত

১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত:

এর অর্থ হলো জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে, যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিমি, যা সামদ্রিক ঝড়ে পরিণত হতে পারে।

২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত:

দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিমি। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না। তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথিমধ্যে বিপদে পড়তে পারে।

৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত:

বন্দর ও বন্দরে নোঙ্গর করা জাহাজগুলো দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হতে পারে।

৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত:

বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপদজনক অবস্থা এখনো আসেনি।

৫ নম্বর বিপদ সংকেত:

বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার ঝামেলাপূর্ণ এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিক রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৬ নম্বর বিপদ সংকেত:

বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার ঝামেলাপূর্ণ এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিক রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৭ নম্বর বিপদ সংকেত:

বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার ঝামেলাপূর্ণ এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিমি। ঝড়টি বন্দরকে উপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত:

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ো বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার ঊর্ধ্বে হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত:

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ো বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার ঊর্ধ্বে হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত:

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ো বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার ঊর্ধ্বে হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরের উপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে।

১১ নম্বর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত:

আবহাওয়া বিপদ সংকেত প্রদানকারী কেন্দ্রের সঙ্গে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় কর্মকর্তা আবহাওয়া অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।

নদীবন্দরের সংকেত

১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত:

বন্দর এলাকা ক্ষণস্থায়ী ঝড়ো আবহাওয়ার কবলে নিপতিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিবেগের কালবৈশাখী ক্ষেত্রেও এই সংকেত প্রদর্শিত হয়। এই সংকেত আবহাওয়ার চলতি অবস্থার উপর সতর্ক নজর রাখারও তাগিদ দেয়।

২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত:

বন্দর এলাকা নিম্নচাপের সমতূল্য তীব্রতার একটি ঝড়, যার গতিবেগ ঘণ্টায় অনূর্ধ্ব ৬১ কিলোমিটার বা একটি কালবৈশাখী ঝড়, যার বাতাসের গতিবেগ ৬১ কিমি বা তদুর্ধ্ব। নৌযান এদের যে কোনটির কবলে নিপতিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬৫ ফুট বা তার কম দৈর্ঘ বিশিষ্ট নৌযানকে দ্র্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।

৩ নম্বর নৌ বিপদ সংকেত:

বন্দর এলাকা ঝড়ে কবলিত। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ একটানা ৬২-৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগের একটি সামুদ্রিক ঝড় সহসাই বন্দর এলাকায় আঘাত হানতে পারে। সকল নৌযানকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।

৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত:

বন্দর এলাকা একটি প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ে কবলিত এবং সহসাই বন্দর এলঅকায় আঘাত হানবে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তদূর্ধ্ব। সকল প্রকার নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে।

এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

অপরদিকে কক্সবাজার সমূদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় মংলা বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার দুরুল হুদা। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, বনবিভাগের সদস্যদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বনপ্রহরীদেরকে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি নিয়ে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঝড়ের আঘাত হানার আশঙ্কা ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন।

   

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

শুক্রবার (১০ মে) ১০টা ০৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর তার সম্মানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে।

এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে সড়কপথে গোপালগঞ্জ আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবেন।

পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন তিনি।

;

দেশের সব বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সব বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। দেশের সব বিভাগে ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে যশোরে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দেশের সর্বোচ্চ ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে শুক্র ও শনিবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে শনিবার রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং পরদিন রোববার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

;

উপজেলা ভোট

ডোমারে হামলার ঘটনায় মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৭০০



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা পরিষদ নির্নাচনে ফলাফল ঘোষণার সময়ে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ সময় চেয়ার টেবিল ও বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

শুক্রবার (১০) এপ্রিল সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসীন আলি। এরআগে উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ডোমার থানায় মামলা করেন।

গত বুধবার (৮ মে) রাত ৯টার দিকে ডোমার উপজেলা পরিষদের হল রুমে পরাজিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদের হলরুমের চেয়ার–টেবিল, দরজা–জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ও সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।

পরে রাত ১১টার সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ৩১ হাজার ৪২১ ভোট পেয়ে সরকার ফারহানা আকতার সুমি (টেলিফোন) বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট পান। ফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে আবারও হট্টগোলের সৃষ্টি করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।

এ বিষয়ে ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহশীন আলী বলেন, গতকালকের ঘটনায় রাতেই মামলা হয়েছে। নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আমরা সব কিছু তদন্ত করছি। যারা জড়িত ছিল সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

;

মেহেরপুরে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের কোপে স্ত্রী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর সদর উপজেলা গোভিপুর গ্রামে স্বামীর হাসুয়ার (দেশীয় অস্ত্র) কোপে স্ত্রী সালেহা খাতুন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাহি বক্সকে আটক করেছে পুলিশ হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) ভোরে গ্রামের স্কুলপাড়ায় তাদের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাহী বক্স ও তার স্ত্রী সালেহা খাতুন নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ভোরে নামাজ পড়তে উঠেন সালেহা খাতুন। এ সময় স্ত্রীর সাথে কোনো কারণে কথা কাটাকাটি হলে ঘরে থাকা হাসুয়া দিয়ে কোপ মারেন স্বামী এলাহি বক্স। স্ত্রী সালেহা খাতুনের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক সালেহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার শফিকুল ইসলাম বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় সালেহা খাতুনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

মেহেরপুর সদর থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, এলাহি বক্সকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। আরো তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

;