দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে বরিশালের ৯টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হলো এ বছরের বই পড়া কার্যক্রম।
সোমবার (২০ মে) বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুনসহ অন্যান্যরা।
এর মধ্য দিয়ে, বরিশালের ব্যাপ্টিষ্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলেকান্দা রুপাতলী সাগরদী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আছমত আলী খান ইনস্টিটিউশন, কাউনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শহীদ আলতাফ স্মৃতি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মমতাজ মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ইউসেপ সৈয়দ বাড়ি আলেকান্দা টেকনিক্যাল স্কুলে সম্প্রসারিত হলো বইপড়া কর্মসূচি।
এর আগে, মিলনায়তনে স্কুলগুলোর প্রায় ৪৫০ জন ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ৪০ জন কুইজ বিজয়ীকে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য-পুস্তকের বাইরেও বই পড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে যাতে পরিপূর্ণ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ পায়, সে উদ্দেশ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশজুড়ে বই পড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্দেশ্যকে আরও প্রসারিত ও কার্যকরী করতে গত এক দশক ধরে বই পড়া কর্মসূচির সাথে যুক্ত আছে বিকাশ। এর আওতায়, এ পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ লাখেরও বেশি বই দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছে। এবছর এ কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া বইয়ের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৬০টি।
উল্লেখ্য, বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বই পড়াকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকেই বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলা আয়োজনে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সহযোগিতা করছে বিকাশ। এছাড়া, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সারাদেশে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫০০টি স্কুলে প্রতি বছর ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘মুজিব’ বিতরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করতে ২০১৯ সাল থেকে যশোরের বিশেষায়িত স্কুল প্রয়াস এর শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক শিক্ষাদান খরচও বহন করে আসছে বিকাশ।