আমার ভাইয়ের পোড়া লাশটাই এনে দে!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
ভাইয়ের জন্য বোনের আহাজারি, ছবি: বার্তা২৪

ভাইয়ের জন্য বোনের আহাজারি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মেডিকেলের মর্গ এখন স্বজন হারানোর আর্তনাদ আর কান্নার রোল পড়েছে। ভাই হারানো বোন জানে আগুন তার ভাইয়ের শরীরের কিছুই রাখেনি। তবুও মর্গের প্রধান ফটকের সামনে তাই গড়াগড়ি খাচ্ছেন আর বিলাপ করে বলছেন, 'আমার ভাইয়ের পোড়া লাশটাই এনে দে, আমি আর কিছু চাই না।'

বৃহস্পতিবার (২১ শে ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সামনে ভাই হারানো বোনের এমন আর্তনাদ শোনা যায়।

বোন সুমাইয়া আজিজ পেশায় একজন অ্যাডভোকেট। চকবাজারে গতকাল যে বহুতল ভবনে একাধিক তালা পুড়ে গেছে, সেখানকার একটি তলায় খান এন্টারপ্রাইজ নামে ব্যবসা করতেন ছোট ভাই আনিসুর খাঁন। 'বিস্ফোরণের আগুন যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তখন ছটফট করে এদিক ওদিক বের হওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বের হতে পারেননি ভাই', এমনটা বলছেন বোন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/21/1550716550766.jpg

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সকালের দিকে যখন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ভবনের ঐ খান এন্টারপ্রাইজ থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে। তখন বড় বোন তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করতে চায়। তবে সংশ্লিষ্ট ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, 'লাশের যে অবস্থা এতে লাশ সনাক্ত ভুল হবে।'

পরে লাশের গাড়ি যখন ঘটনাস্থল থেকে মর্গের দিকে ছুটছিল পেছন পেছন চলে এসেছে বোন। ছোট ভাইয়ের লাশ মর্গের পাঠাতে দিবেন না বোন।

দুজন ফায়ার ফাইটার সদস্য লাশের প্যাকেট ধরে ভেতরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে। তখন বোন চিৎকার করে বলছেন, 'এটাই আমার ভাইয়ের লাশ। আমার ভাইয়ের পোড়া লাশটায় এনে দে, আমি বাড়ি নিয়ে যাবো।'

আজকে ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে আরও ১০/৫ টি ঘটনার মধ্যে এটি একটি ঘটনা। এখানে প্রত্যেক জন তার প্রিয়জনের লাশ শনাক্ত করতে এসেছে।

বহু দিনের পরিচিত মুখটা আজ অপরিচিত হয়ে গেছে। প্রিয়জনকে চিনতে না পারার বেদনা সহ্য করা সত্যি কঠিন!

   

চুয়াডাঙ্গায় শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ মুদি দোকানি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের একটি কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলায় সুন্নত আলী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ মুদি দোকানিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত পিরু মণ্ডলের ছেলে।

ভুক্তভোগী শিশু ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী শিশুকে তার মা সুন্নত আলীর দোকান থেকে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড (মিনিট কার্ড) কিনতে পাঠায়। এসময় বৃদ্ধ দোকানি শিশুটিকে দোকানের মধ্যে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত দর্শনা থানায় যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, মঙ্গলবার রাতে একটি শিশুকে তার পরিবারের সদস্যরা জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছিল। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (আরএমও) কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারহানা পলাশ বলেন, রাতেই শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, শিশুটির বাবা ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় অভিযুক্ত মুদি দোকানি সুন্নত আলীকে গ্রেফতার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সরাসরি ধর্ষণ না হলেও যৌন চাহিদা পূরণ করতেই শিশুটির সাথে এমন কাজ করেছে। এছাড়া ধর্ষণ হয়েছে কি না সেই বিষয়ে আমরা চিকিৎসকের মতামত নেব। তদন্ত করে যেটা পাব, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

;

‘ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমেই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন ও ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) উদ্যোগে বুধবার (০১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা একথা বলেন। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিলস ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন, বিলস নির্বাহী পরিষদ সদস্য উম্মে হাসান ঝলমল, নাসরিন আক্তার দিনা, শামীম আরা, বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ, পরিচালক কোহিনুর মাহমুদ, নাজমা ইয়াসমিন সহ যুব ও নারী ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা মহান মে দিবসের চেতনা ও গৌরবের ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন, মে দিবসের মূলমন্ত্রকে ধারণ করে একটি সত্যিকার ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলে এবং ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করেই সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব।

তারা বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে শ্রমিকের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে, আইন কানুন ও নীতিমালার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে, শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে রাসায়নিক, বিদ্যুৎ ও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইউনিয়নের মাধ্যমে শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শ্রমিকের ক্ষমতায়নও জরুরি বলে তারা উল্লেখ করেন।

আরও বলেন, অটোমেশনকে শ্রমিকের বিপরীতে দাঁড় না করিয়ে বরং এর মাধ্যমে শ্রমিকের কষ্ট লাঘব করতে সচেষ্ট হতে হবে। বক্তারা উল্লেখ করেন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, আবর্জনা ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও পানির যথাযথ ব্যবহার, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার উৎসাহিত করাসহ সর্বপরি দায়িত্বশীল উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন অনুশীলন করা সম্ভব। এজন্য চাই শ্রমিকের সবুজ সামাজিক আন্দোলন ও সংলাপ।

ভ্রাম্যমাণ তথ্য কেন্দ্রে বিলস সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে গণসংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়।

;

মে দিবসে সরব শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মহান মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। দিনটি ঘিরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের বিভিন্ন শ্রমিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন সভা, সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করেছে। এসব আয়োজনে নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের দাবি নিয়ে সমাবেত হয়েছেন শ্রমিকরা।

বুধবার (১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন সভা- সমাবেশে এই চিত্র দেখা যায়।

নিজেদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে গান-স্লোগান- মিছিল ও সমাবেশ নিয়ে রাজপথে অবস্থান করছেন ভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে শ্রমিকসহ নেতারা। তাদের দাবি- বেতন- ভাতা-মজুরি বৃদ্ধি, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কমানো, ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধ, নারীবান্ধব কর্ম পরিবেশ, রানা প্লাজা শ্রমিক হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো উল্লেখযোগ্য।

শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, ১৯৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন করেছে। আজ সে দিন। পৃথিবীর সব দেশে এই মে দিবস পালিত হচ্ছে। দিবস পালিত হলেও শ্রমিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন নেই।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের শ্রমিক নেতারা বলেন, অনেক শিল্প কারখানায় শ্রমিক নেতাদের ৮ ঘণ্টার অধিক কাজ করানো হয়। চরম মজুরি শোষণের কারণে শ্রমিকরা বাধ্য হন ওভারটাইম করতে। বেশি কাজ করার ফলে শ্রমিকদের শরীরের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি বিপর্যস্ত হয় তাদের পারবারিক জীবন।

এছাড়াও বিভিন্ন দাবি নিয়ে সমাবেশ ও র‍্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস), জাতীয় গগণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ প্রগতিশীল নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, ঢাকা মহানগর সিএনজি- অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ, উত্তরা পূর্ব থানা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার, গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, কুষ্টিয়া সুগার মিল আধুনিকায়ন ও রক্ষা কমিটিসহ আরও কিছু সংগঠন।

;

দিবস মানতে গেলে পেট মানবে না ভাই!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ১ মে মহান মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাঠমিস্ত্রি হাফিজ বলেন, দিবস মানতে গেলে পেট মানবে না ভাই!

রাজধানী আগারগাঁও সংলগ্ন একটি বস্তিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। চার সদস্যের পরিবার চালাতে নিত্যদিন বের হতে হয় কাজের সন্ধানে। কাজ যেদিন থাকে সেদিন খাবার জোটে, না থাকলে অনাহারে থাকতে হয় বলে দিনমজুর হাফিজ।

হাফিজ বলেন, দৈনিক মজুরিতে দোকানে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করি। একটা খাট তৈরি করে বিক্রি করলে ১১০ থেকে ১২০ টাকা পাই। আমাদের কাজ বুঝে টাকা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, সারাদিন কাজ করলে ৬০০-৭০০ টাকা, আবার কোন দিন ১০০০ টাকাও আয় হয়। কাজ না করলে তো এক টাকাও আয় হবে না। তখন না খেয়ে থাকতে হয়। দিবস পালন করে ঘরে বসে থাকলে পেট মানবে না ভাই।

ইলিয়াস নামের আরেক শ্রমিক বলেন, কোনদিন কোন দিবস এটা পালন করার সময় আমাদের নেই। প্রতিদিনই আমাদের কাজের দিবস। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে আমাদের জন্য কেউ এক বেলার খাবার নিয়ে আসবে না। নিজেদের পেটের চিন্তা নিজেদেরই করতে হয়।

;