ছোট ছোট সচেতনতাই গড়তে পারে পরিচ্ছন্ন নগরী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করলেন শমী কায়সার, সাঈদ খোকন, হাজী মো. সেলিম / ছবি: বার্তা২৪

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করলেন শমী কায়সার, সাঈদ খোকন, হাজী মো. সেলিম / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোট ছোট সচেতনতা এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটা পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মাত্র ৪৫ স্কয়ার কিলোমিটার জায়গায় প্রায় সোয়া কোটি লোকের বসবাস। ঢাকা শহরে প্রতি বর্গ কিলোমিটার জায়গায় দুই লাখ লোক বসবাস করে, যা পৃথিবীর অনান্য শহরের তুলনায় অনেক বেশি। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখানে সবাই যদি অল্প করেও রাস্তায় ময়লা ফেলে তাহলে শহর খুব অল্পতেই নোংরা হয়ে যায়। কিন্তু এসব ময়লা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা সম্ভব যদি আমরা সচেতন হই।’

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর লালবাগ কেল্লার সামনে ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও র‌্যালি-২০১৯’ উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন তিনি৷

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/20/1550652138255.jpg

মেয়র বলেন, ‘আমাদের মা বোনেরা যদি রান্নাবান্না শেষে তাদের রান্নাঘরের ময়লা আবর্জনা রাস্তায় ছুড়ে না ফেলে সিটি করপোরেশনের নির্দিষ্ট কন্টেইনারে ফেলে, তাহলে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সহজেই তা পরিষ্কার করে ফেলতে পারে। এই সামান্য সচেতনতাই পারে আমাদের ঢাকা শহরের পরিবেশকে ভাল রাখতে।’

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শমী কায়সার বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে যে কাজ শুরু হয়েছে আমি তার শুভ কামনা করছি। পরিচ্ছন্ন ঢাকা মানেই আমাদের ঢাকা, এটি আমাদের প্রাণের ঢাকা। আমারা আমাদের যে যার জায়গা থেকে ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কাজ করে যাব।’

পরে এক র‍্যালি লালবাগ কেল্লা থেকে শুরু হয়ে বালুরঘাট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/20/1550652152034.jpg

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী মো. দেলোয়ার হোসেন, ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

   

সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়: ওবায়দুল কাদের 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে স্ট্যাবিলিটি থাকে, এবং স্থিতিশীলতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ জামালের জন্মদিনে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছেন বলে হত্যা ও গুমের রাজনীতি থেকে দেশ বের হয়ে আসতে পেরেছেন। দেশে গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে  স্থিতিশীলতা থাকে, এবং  স্থিতিশীলতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা সে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি তিনি দেশ থেকে নির্মূল করেছেন। তার নেতৃত্বে দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে। সেই রাজনীতি বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তনের দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়েছে। ১৯৭৫ এ যদি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সে দিন ৩২ নম্বরে থাকতেন তাদের বেঁচে থাকার কথা ছিল না।

বিএনপির সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। সেই পাকিস্তানও বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জা পাচ্ছে। শাহবাজ শরীফ বলেন, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত কারণ তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। শাহবাজ শরীফ যা দেখেন তারা (বিএনপি) তাও দেখেন না। 

জাতীয় পার্টি বিদেশি চাপ ও দল ভাঙ্গার হুমকির মুখে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিন বিদেশী শক্তির কথা বলছেন তিনি, সেই চাপটা তিনি অনুভব করছেন কি না জানি না। কারণ তাদের জন্ম তো বন্ধুকের নলে। তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় আসেনি। বাংলাদেশে ৪২ শতাংশ লোক ভোট দিয়েছে। খুন-খারাবি কিছু হয়নি। ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন হয়েছে। আমরা এখানে কোনো বিদেশি শক্তির চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে বা কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই বলতে বলুন।’



;

সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বারঠাকুরী ব্রিকফিল্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের বারঠাকুরী গ্রামের মৃত আব্দুল শুক্কুরের ছেলে কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন (৩৬), ছাদ উদ্দিনের ছেলে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী রেদোয়ান হোসেন (২৬) ও সোনাসার বাজারের ব্যবসায়ী মো. মঞ্জুর হোসেন (২৪)।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন।

জানা যায়, শনিবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে সোনাসার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারা। সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বারঠাকুরী গ্রামে ইট ভাটার পাশে আসা মাত্র ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় রাবেয়া খাতুন চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালে নিলে রেদোয়ান ও মঞ্জুরকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় অপর মোটরসাইকেল আরোহী দেলোয়ার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে নেওয়ার পথে মারা যান।

;

আম-রেশমের দেশে জারুলের মায়াবী ছোঁয়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর আমের মিষ্টতা ও রেশমের মৃদু ছোঁয়া ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। সেখানে জারুল ফুল নতুন এক মায়াজাল রচনা করেছে। মুক্তাধারা খ্যাত এই শহরের বুকে এখন জারুলের নীলাভ আভা এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করেছে। পথে পথে, অলি-গলি জুড়ে, জারুলের ফুলের বিচিত্র নীল থেকে গাঢ় নীল রঙের খেলা রাজশাহীকে এক অন্যরকম সৌন্দর্যের আঁচলে মুড়ে দিয়েছে।

এই সৌন্দর্য কেবল চোখ ধাঁধানো নয়, মনের গভীরে এক স্নিগ্ধ আনন্দের স্পর্শ রেখে যায়। যেখানে আম ও রেশমের জন্য বিখ্যাত সেই রাজশাহী, এখন জারুলের নীলিমায় আচ্ছাদিত, এক নতুন আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

জারুল ফুল সৌন্দর্য ও সুগন্ধে মুগ্ধ করে রাখে প্রকৃতিপ্রেমীদের। বসন্তের শুরু থেকে গ্রীষ্মের প্রান্তে এই ফুল তার পূর্ণ যৌবনে পৌঁছায়।

রাজশাহীর বিভিন্ন পার্ক, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রাস্তার ধারে এবং বাড়ির আঙিনায় জারুলের ছোঁয়া এখন এক স্বাভাবিক দৃশ্য। শহরের মানুষেরা জানায়, জারুলের এই স্নিগ্ধ উপস্থিতি তাদের মনে এক শান্তির অনুভূতি জাগায়, যা দৈনন্দিন হাসপাশের কোলাহল থেকে এক মুক্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে।

পরিবেশবিদ ও উদ্যানতত্ত্ববিদেরা মনে করেন, জারুলের এই ব্যাপক বিস্তার শহরের জলবায়ু ও বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি বায়োডাইভার্সিটি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

রাজশাহী শহরের মানুষের জীবনে এক স্নিগ্ধ অধ্যায়ের সংযোজন করেছে জারুল ফুল

শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জারুলের অপরূপ দৃশ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক অধ্যায়ের এক নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। ফটোগ্রাফার ও পর্যটকদের কাছে এখন এটি এক আকর্ষণের কেন্দ্র। তারা জানায়, জারুলের এই অপূর্ব সৌন্দর্য তাদের ক্যামেরার লেন্সে ধরা দেয় এক ভিন্ন মাত্রা।

রাজশাহী শহরের মানুষের জীবনে এক স্নিগ্ধ অধ্যায়ের সংযোজন করেছে এ ফুল। জারুলের মোহময় ছোঁয়া এখানকার পথে পথে বেড়ে উঠা সৌন্দর্যকে আরো বিশেষ করে তুলেছে, যা রাজশাহীর মুখ চেনায় নতুন এক পরিচয়ে। এই সমৃদ্ধ ভূমি এবার নতুন এক আকর্ষণে মোড়ানো— জারুলের ফুলের মায়াবী ছোঁয়া।

জারুলের নীল আভায় মুগ্ধ হয়ে কবি আহসান হাবীব তার "স্বদেশ" কবিতায় জারুলের প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, মনের কোনায় খুশির আলো জ্বলে ওঠে, তখন এক অনন্য চিত্র আঁকি— এক পাশে বিশাল জারুল গাছ, তার ডালে দুটি হলুদ পাখি।

শুধু আহসান হাবীব নন, 'রূপসী বাংলার কবি' জীবনানন্দ দাশও তার কবিতায় জারুলের শিল্পময় রূপকে জীবন্ত করে তুলেছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দুপুর-চিল একা নদীটির পাশে, জারুল গাছের ডালে বসে বসে চেয়ে থাকে ওপারের দিকে।’ এই কবিতার বন্দনার মতোই জারুল ফুলের মায়াবী সৌন্দর্য রাজশাহীর পথে পথে, প্রান্তরে প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে, শহরটিকে এক নতুন রূপ দান করে।

নগরীর রেলগেট থেকে ঐতিহ্য চত্বর পর্যন্ত এবং বাইপাস সড়কের দ্বীপাংশে জারুল ফুলের শোভা চোখ ধাঁধানো। এ পথ দিয়ে যাতায়াতকারীরা এই মনোরম দৃশ্যের মোহে বিমোহিত, যা তাদের চোখে মুখে প্রকাশ পায়।

অফিস শেষে এই পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছেলেন আলফাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে আমি এক অনন্য সুখ অনুভব করি। অফিসের পরিশ্রম যেন এই পথের মায়াজালে মিলিয়ে যায়। জারুলের ফুলের সৌন্দর্য সত্যিই অনুপম। মনে হয়, এগুলো বাড়ি নিয়ে যাই।

এদিকে দেশসেরা রাজশাহী কলেজের সর্বত্র জারুল ফুলের আধিক্য দেখা যায়, যা শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের চোখ জুড়ায়।

রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ঐশি ইসলাম বলেন, রাজশাহী কলেজের ফুলের বাগানে জারুলের বিশেষ সমাহার অন্য এক প্রশান্তি এনে দেয়। বিশেষ করে নতুন লাগানো চারা গাছগুলোতে ফুটে ওঠা ফুল আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে।

রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, জারুল ফুলের এই সৌন্দর্য শুধু চোখ ধাঁধানো নয়, এর মাধ্যমে রাজশাহী শহরের পরিবেশগত মান ও বৈচিত্র্যময়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জারুল ফুল পরিবেশ বান্ধব একটি উদ্ভিদ এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নগরীর আবহাওয়া ও পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়াও, জারুল ফুল বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রজাপতিদের আকর্ষণ করে, যা পরিবেশগত বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পার্ক ও রাস্তাঘাটে জারুল ফুলের ব্যবহার শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় দ্বিগুণ ভূমিকা রাখছে। এটি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করছে।

ড. মো. রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, গ্রীষ্মের আগমনে জারুল ফুল তার বেগুনি রঙের প্রকোপ দেখায়, গ্রীষ্ম থেকে শরৎ পর্যন্ত তার সৌন্দর্য বিরাজ করে। এই মাঝারি উচ্চতার গাছের প্রতিটির বৈজ্ঞানিক নাম ও পরিচয় শিক্ষার্থীদের জানার সুযোগ করে দেয়। জারুলের বীজ, ছাল, এবং পাতা ডায়াবেটিস, জ্বর, অনিদ্রা, কাশি, ও অজীর্ণতায় কার্যকরী, যা একে শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং এক অমূল্য ঔষধি গাছে পরিণত করে।

 

;

মে মাসের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ আগামী মাসের মধ্যেভাগে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারে। আরব আমিরাতে অবস্থান করা জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন করে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হবে। দেশে পৌঁছতে সময় লাগতে পারে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৩ নাবিকই জাহাজে করে ফিরবেন। তবে চট্টগ্রামে ফিরতে তাঁদের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিও সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মি করার ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে ২১ এপ্রিল বিকেলে। সেখানে কয়লা খালাস শেষে নতুন করে পণ্য নিতে মিনা সাকারে যাচ্ছে জাহাজটি। এরপরই অপেক্ষা ফুরাবে নাবিক ও তাঁদের পরিবারের। স্বদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন নাবিকেরা।

;