দুর্নীতি প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: আইনমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
দুর্নীতিবিরোধী সেমিনারে আইনমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪

দুর্নীতিবিরোধী সেমিনারে আইনমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রের সকল স্তরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে দুর্নীতিবিরোধী এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী ও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, 'দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকা জরুরি। জনগণের মন-মানসিকতা দুর্নীতি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই মানুষের মনে পজিটিভ চেঞ্জ আনতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু জ্ঞান দিয়ে কাজ হবে না। দুর্নীতিবিরোধী কাজে মানুষকে যুক্ত করতে হবে। অন্যথায় কোনো কাজেই সাফল্য আসবে না। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী ও কৌশলী হতে হবে।'

আইনমন্ত্রী বলেন, 'শুধুমাত্র আইন দিয়ে দুর্নীতি দমন করা যায় না। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে থাকা দুর্নীতি দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থার সিলেবাস পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।'

শৈশব থেকে দুর্নীতিবিরোধী মূল্যবোধ তৈরি করে এমন পাঠ্যসূচি অন্তর্ভুক্ত করার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেওয়া হবে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, 'সদা সত্য কথা বলিব আমরা ছোট বেলায় আদর্শলিপি থেকে শিখেছি। এটা কিন্তু আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করে দেয়। আমাদের শিশুদের যদি এইসব ভ্যালুস সম্পর্কে পড়ানো হয়, তাহলে তারা বড় হয়ে দুর্নীতি করবে না। এজন্য আমাদের পাঠ্য পুস্তকের মধ্যে এসব সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করব। আমি চেষ্টা করব নার্সারি থেকে আমাদের পাঠ্য বইয়ে এরকম আদর্শের কথা যেন লেখা হয়। আদর্শ না মানলে তার পরিণাম কি হয়, সে সম্পর্কে বলা থাকবে।'

বক্তব্যে খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, 'খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা দুর্নীতি করেছেন। আড়াই কোটি টাকা দুর্নীতির দায়ে ১০ বছর সাজা বেশি হয়নি। তার থেকেও বড় কথা হল, এটা প্রমাণ হয়েছে যে, দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী ব্যক্তিও আইনের ঊর্ধ্বে নয়।'

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংগঠনটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। ‘দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ও নেতৃত্বের সাফল্য’ শীর্ষক এ সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল একে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব), সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, মিল্টন বিশ্বাস ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম।

   

ভোটারবিহীন নির্বাচন, চুন ছাড়া পানের মতো: ইসি রাশেদা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোটারবিহীন নির্বাচন, চুন ছাড়া পান খাওয়ার মতো বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তাই ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসক হল রুমে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তিনি প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যেক প্রার্থীকে সমান চোখে দেখার নির্দেশনাও দেন।

রাশেদা সুলতানা আরো বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রের সৌন্দর্য থাকে না। তাই নির্বাচনকে সুস্থ অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভায় জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোলেমান আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, এনএসআই’র জয়েন্ট ডিরেক্টর হেমায়েত হোসেন, ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল মো: তানজীর আহম্মদ, ঠাকুরগাঁও জেলা আনসার ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট মিনহাজ আরেফিন, জেলা নির্বাচন অফিসার মঞ্জুরুল হাসান প্রমুখ।

এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ বক্তব্য দেন।

;

আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২ চেয়ারম্যান ও ২ ভাইস চেয়ারম্যান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জল্পনা কল্পনা কাটিয়ে দীঘিনালায় চেয়ারম্যান পদে মো. কাশেমের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার বৈধ টিকেট পেয়েছেন ধর্ম জ্যোতি চাকমা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আপীল নিষ্পত্তিতে ধর্ম জ্যোতি চাকমার প্রার্থীতা ফেরত দেয়া হয়। একই সাথে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপীর দায়ে বাতিল হওয়া জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরার প্রার্থীতাও ফেরত দেয়া হয়। পাশাপাশি দীঘিনালা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুসময় চাকমা ও মো. মজিবর ফরাজীর প্রার্থীতা ফেরত দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও পানছড়ির উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতার যাচাই বাছাইয়ে গত ২৩ মে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ধর্ম জ্যোতি চাকমা হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। একই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুসময় চাকমা ও মো. মজিবরের হলফনামায় তথ্য গোপন করায় প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। সদর উপজেলায় ঋণ খেলাপীর দায়ে জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা নামে এক চেয়ারম্যানের প্রার্থীতার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পানছড়ির চেয়ারম্যান প্রার্থী শান্তি জীবন চাকমা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সঞ্চয় চাকমা হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান এবং ফেরারী আসামী হওয়ায় তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।

গত ২৪, ২৫ ও ২৬ মে প্রার্থীতা বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের কর্তৃপক্ষের কাছে ৬ প্রার্থী আবেদন করেন। আপীল নিষ্পত্তিতে পানছড়ির ২ প্রার্থী ছাড়া বাকী ৪ জনই প্রার্থীতা ফেরত পেয়েছেন।

আপীল নিষ্পত্তি অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অফিসার জোনায়াদ কবীর সোহাগ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌফিকুল আলম অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ এবং ২১ মে হবে দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলায় ভোট গ্রহণ।

;

চীন থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি কিনবে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ জানিয়েছেন, উৎপাদন বাড়াতে চীন থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে আরও কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানি করা হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কৃষি কাজে আমাদের হারভেস্টার চাই, পাওয়ার টিলার চাই, উৎপাদন বাড়াতে যেগুলো প্রয়োজন সেটি আমরা আমদানি করব ডিসকাউন্ট প্রাইসে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে তারা বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সহায়তা আরও বাড়াবে। আমরা চীন থেকে অনেক যন্ত্রপাতি আনছি, সেটি আরও বাড়াব।

বিপরীতে চীন বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে মিষ্টি আম নিতে তারা খুবই আগ্রহী।

তারা কি শুধু আমই নেবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমের কথা বলেছি এ জন্য যে, এটা সব দেশের মানুষেরই ভালো লাগে। তারা আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। তারা আমাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে, ফ্লাইওভার করছে। তারা অনেক কাজ করছে এ দেশে।

;

ফসলি জমি অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে না: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে তিন ফসলি, দো-ফসলি জমি অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না। কৃষি জমি নষ্ট না করে জনসংখ্যা অনুপাতে খাদ্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে এক ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হলেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রংপুর সফরে এসে সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ভূমিসেবায় হয়রানি বন্ধে মন্ত্রী বলেন, জরিপের ওপর নির্ভর করে খতিয়ান ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভূমিসেবায় ই-নামজারি, ই-খাজনা দেওয়া চালু করা হয়েছে। কোনো গ্রাহককে অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। এছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয় জড়িত। এটিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দরকার। আমরা পর্যায়ক্রমে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ভূমিসেবাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব যেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যাবে।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর শস্য ভাণ্ডার। এসব জমি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, দখল হওয়া নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় উদ্ধার সময় সাপেক্ষ ও কঠিন ব্যাপার। ডিজিটাল জরিপ অনুযায়ী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জেলা ও মৌজা অনুযায়ী খাল-বিল ও খাস জমির তালিকা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর মণ্ডল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাসেম বিন জুম্মন, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

;