আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২ চেয়ারম্যান ও ২ ভাইস চেয়ারম্যান
খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জল্পনা কল্পনা কাটিয়ে দীঘিনালায় চেয়ারম্যান পদে মো. কাশেমের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার বৈধ টিকেট পেয়েছেন ধর্ম জ্যোতি চাকমা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আপীল নিষ্পত্তিতে ধর্ম জ্যোতি চাকমার প্রার্থীতা ফেরত দেয়া হয়। একই সাথে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপীর দায়ে বাতিল হওয়া জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরার প্রার্থীতাও ফেরত দেয়া হয়। পাশাপাশি দীঘিনালা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুসময় চাকমা ও মো. মজিবর ফরাজীর প্রার্থীতা ফেরত দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও পানছড়ির উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতার যাচাই বাছাইয়ে গত ২৩ মে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ধর্ম জ্যোতি চাকমা হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। একই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুসময় চাকমা ও মো. মজিবরের হলফনামায় তথ্য গোপন করায় প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। সদর উপজেলায় ঋণ খেলাপীর দায়ে জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা নামে এক চেয়ারম্যানের প্রার্থীতার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পানছড়ির চেয়ারম্যান প্রার্থী শান্তি জীবন চাকমা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সঞ্চয় চাকমা হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান এবং ফেরারী আসামী হওয়ায় তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
গত ২৪, ২৫ ও ২৬ মে প্রার্থীতা বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের কর্তৃপক্ষের কাছে ৬ প্রার্থী আবেদন করেন। আপীল নিষ্পত্তিতে পানছড়ির ২ প্রার্থী ছাড়া বাকী ৪ জনই প্রার্থীতা ফেরত পেয়েছেন।
আপীল নিষ্পত্তি অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অফিসার জোনায়াদ কবীর সোহাগ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌফিকুল আলম অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ এবং ২১ মে হবে দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলায় ভোট গ্রহণ।