বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৯ নারী সাংসদ নির্বাচিত
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন ৪৯ জন সংসদ সদস্য। রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংরক্ষিত নারী আসন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন শনিবারের (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজন রয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ৪৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) যাচাই বাছাই শেষে সবগুলো মনোনয়নপত্রকে বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আওয়ামী লীগের ৪৩ নারী সাংসদ হলেন- ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মুস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তি চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে হোসনে আরা, নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন্নেছা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলী, নংরসিদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম সাকী, ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমীনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।
জাতীয় পার্টির চার সদস্য হলেন- সালমা ইসলাম, রওশনারা মান্নান, নাজমা আক্তার ও মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী।
ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে লুৎফুন নেসা খান এবং স্বতন্ত্র সাংসদ সেলিনা ইসলাম।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের বিপরীতে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। ৪৯টি আসনের বিপরীতে একটি করে মনোনয়নপত্র জমা পড়লেও আর একটি আসন ফাঁকা রয়েছে। সেই আসনটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাতজন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় দলটির জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। সংরক্ষিত আসনে ঐক্যফ্রন্ট একজন প্রার্থী দিতে পারবেন। তবে গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে বিএনপির প্রার্থীরা শপথ গ্রহণ না করলে এই সাতটি আসন নির্বাচন কমিশন শূন্য ঘোষণা করবে। পরবর্তীতে এই আসনগুলোতে নির্বাচন হবে। তাতে যারা এ আসনগুলো পাবে, সেই ভিত্তিতে একটি নারী আসনের প্রার্থী মনোনয়ন ও ভোট অনুষ্ঠিত হবে।