‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ'



শাদরুল আবেদীন, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে ঘন কুয়াশাসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা, ছবি: প্রতীকী

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে ঘন কুয়াশাসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা, ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ’ খনার বচন হিসেবে অতিপরিচিত এই লাইনটি প্রায় সবারই জানা। এই বচনের মর্মার্থও অতি সহজ। মাঘ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়া দেশের ফসল ফলার জন্য উপকারী। খনার সেই বচন এবার হয়ত বাস্তবে মিলতেও চলেছে।

এ বছরের মাঘ মাস শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। বলতে গেলে প্রায় শীতের শেষ বেলা। আর ক’দিন পরেই আগমন ঘটবে ঋতুরাজ বসন্তের। তারপরও দেশের অনেক এলাকায় এখনও শীতের দাপট প্রকট। এর মধ্যে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে ঘন কুয়াশাসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৯০ শতাংশ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে প্রায় এক মিলিমিটার বৃষ্টির হতে পারে। দুপুরের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। এ ছাড়া সন্ধ্যায়ও এক মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরের দিক থেকে কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে , স্বল্পমাত্রার বৃষ্টিতে ফসলের মধ্যে আলুর কোনো ক্ষতি হবে না। তবে আকাশ যদি আরও দুই থেকে তিনদিন মেঘলা থাকে তাহলে আলুর ‘লেড ব্রাইট’ নামক রোগ হতে পারে। বৃষ্টি হলে গমের জন্য উপকার হবে। কারণ আর কিছুদিন পরে গমের জন্য সেচের প্রয়োজন হবে। বৃষ্টির ফলে মাটি নরম হবে এবং নতুন ফসল লাগানোর জন্য উপযুক্ত হবে।

এ সময় বৃষ্টি হলে আমের নতুন মুকুলের জন্য উপকারী। এ ছাড়া পরিণত হবে গাছের সবুজ পাতা। যদি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয় এতে গম, ছোলা, মসুরি, সজিনার (ডাটা) ফুলসহ ডালজাতীয় সকল ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

   

উপজেলা নির্বাচন

কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মো. শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন মনোনয়নপত্র হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিলকৃত প্রার্থীরা আগামী ৬ মে থেকে ৮ মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের সুযোগ রয়েছে। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

নওগাঁয় বিএনপির আরও ২ নেতাকে শোকজ, এক নেত্রীকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপে নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘোড়া মার্কার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় বিএনপির দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, মুরশিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।

এছাড়া একই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করায় মমতাজ বেগমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মমতাজ বেগম পোরশা উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও নওগাঁ জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি।

এর আগে, গত শনিবার (৪ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মমতাজ বেগমকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার আদেশে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন পোরশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে মমতাজ বেগমকে বহিষ্কার করা হলো।

;

মিল্টন সমাদ্দারের কর্মকাণ্ডের দায় তার স্ত্রী এড়াতে পারেন না: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কথিত ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের কর্মকাণ্ডের দায় তার স্ত্রী এড়াতে পারেন না।

রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন ডিবি প্রধান।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, দিনের পর দিন রাতের পর রাত যেভাবে কোটি কোটি সংগ্রহ করেছেন মিল্টন, অন্যদিকে সেবা দেননি তিনি। মিল্টনের স্ত্রী একজন নার্স। তিনি নিয়মিত মিল্টনের কেয়ার সেন্টারে যেতেন। সেখানে অনিয়ম জেনেও তিনি প্রশাসনকে জানাননি। সেক্ষত্রে আমি মনে করি, এসমস্ত দায় তিনিও এড়াতে পারেন না।

তবে মিল্টন সমাদ্দারের এ সংশ্লিষ্ট লেনদেন ও ব্যাংক একাউন্টে স্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলেও জানান ডিবি প্রধান। এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদার বলেন, আমি আইনের ওপর শ্রদ্ধাশীল। আইন যেটা চাইবে, সেটাই হবে।

এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে ডিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।

তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার ‘সাইকো’তে (মানসিক রোগী পরিণত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত ‘মানবতার ফেরওয়ালা’ কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস, কীভাবে আসে, কীভাবে তিনি দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতেন এবং কেনই-বা তাদের টর্চার সেলে এনে পেটাতেন, সবকিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবিপ্রধান আরো বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন, তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন, তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত।

 

;

ময়মনসিংহ বিভাগ কোরবানির জন্য প্রস্তুত পাঁচ লক্ষাধিক পশু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
গরুর খামার

গরুর খামার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় গরু পালনকারী ও খামারিদের প্রস্তুতি শেষ।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বিভাগে কোরবানির জন্য পশু রয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮০টি। চাহিদার চেয়েও প্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪টি বেশি। ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় খামার মালিক-কর্মচারীর পাশাপাশি ঘর গৃহস্থালি গবাদিপশু পালনকারীরা।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানায়, এ বছর ময়মনসিংহ জেলায় কোরবানির জন্য ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৬টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৯৮টি।

নেত্রকোনা জেলায় কোরবানির জন্য পশু রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮২টি। চাহিদা ১ লাখ ৪ হাজার ৩৮৮টি। ঈদুল আজহা উপলক্ষে জামালপুর জেলায় গবাদি পশুর সংখ্যা রয়েছে ৯৫ হাজার ১৭০টি। চাহিদা ৫১ হাজার ৫৩১টি। শেরপুর জেলায় কোরবানির জন্য পশু রয়েছে ৮৩ হাজার ৮০২টি। চাহিদা আছে ৫৭ হাজার ৫৭৯টি।

প্রাণিসস্পদ অধিদফতরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. মনোরঞ্জন ধর বলেন, ময়মনসিংহসহ বিভাগের চার জেলায় খামারি ও কৃষক পর্যায়ে কোরবানির জন্য ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮০টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় ১ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি।

এবারও ক্রেতাদের চাহিদা ও সুবিধার কথা চিন্তা করে পশুর হাটের পাশাপাশি অনলাইনে গবাদিপশু কেনাবেচা করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া হাটগুলোতে থাকবে প্রাণিসম্পদের ভেটেনারি মেডিকেল টিম। তাই আশা করা যায়, খামারিরা ন্যায্য মূল্য পাবেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তাপপ্রবাহের কারণে গবাদিপশু যাতে অসুস্থ না হয় সেজন্য আমাদের টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করার জন্য মাঠ পর্যায়ের খামারিদের মাঝে ব্যানার, ফেস্টুন বিলি করা হচ্ছে। যাতে করে এই গরমে পশুদের সুস্থ রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

পশুপালন খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশুখাদ্যের কিছু উপকরণের দাম বেড়ে এখন দ্বিগুণের বেশি। এছাড়া ওষুধ, বিদ্যুৎ, কর্মচারীদের বেতনসহ সার্বিক উৎপাদন ব্যয় বাড়াতে বেড়েছে পশুপালন খরচ। তাই এবার গত বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর দাম একটু বাড়তে পারে।

;