আরও চারটি সংসদীয় কমিটি গঠন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় সংসদ ভবন, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: একাদশ জাতীয় সংসদের আরও চারটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার ৫টি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংসদীয় কমিটিগুলোর সভাপতি ও সদস্যদের নাম প্রস্তাব করেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।

নবগঠিত কমিটিগুলো হলো- শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে আফছারুল আমিনকে। এই কমিটির সদস্যরা হলেন- শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আব্দুল কুদ্দুস, এ কে এম শাহজাহান কামাল, ফজলে হোসেন বাদশা, মো. আব্দুস সোবহান মিয়া, এম এ মতিন, গোলাম কিবরিয়া টিপু ও মাহি বি চৌধুরীকে।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সাবের হোসেন চৌধুরীকে। এই কমিটির সদস্যরা হলেন- মো. শাহাব উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মোজাম্মেল হোসেন, দীপঙ্কর তালুকদার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম ও রেজাউল করিম বাবলু।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। কমিটির সদস্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, মঈনুদ্দিন খান বাদল, এ বি তাজুল ইসলাম, এ কে এম রহমতুল্লাহ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।

নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি হয়েছেন মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, এম এ লতিফ, মো. মাজহারুল হক প্রধান, রঞ্জিত কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আসলাম হোসেন ও এসএম শাহজাদা। 

   

উত্তর চট্টগ্রামের ২৫ রুটে পরিবহন ধর্মঘট, যাত্রীদের ভোগান্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রেফতার চার শ্রমিককে বিনা শর্তে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তর চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ ২৫টি রুটে পরিবহন ধর্মঘট পালন করছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়কের যাত্রীরা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টা থেকে তারা এই ধর্মঘট পালন করছে।

মঙ্গলবার সকালে উত্তর চট্টগ্রামের প্রবেশপথ অক্সিজেন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ২৫টি সড়কের কোন বাস চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যায়নি। এবং চট্টগ্রাম শহরেও প্রবেশ করেনি। এতে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে বের হওয়া যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকে সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও বাস না পেয়ে দ্বিগুণ ভাড়ায় অটোরিকশা যোগে গন্তব্যে রওনা দেন। আবার কেউ কেউ ফেরত যান।

দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অক্সিজেন এসেছেন নাইম। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বাসের কোনো দেখা পাননি। নাইম বলেন, সকাল ৮টায় এসেছি। কোনো বাস নাই। অটোরিকশা করে এই গরমের পাহাড়ি পথে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া তারা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছে। বাস না পেলে বাধ্য হয়ে যেতে হবে।

রাঙামাটি যেতে অক্সিজেন মোড় এসেছেন ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ব্যবসার কাজে রাঙামাটি যেতে বাসা থেকে বের হয়েছি। এসে শুনি বাস বন্ধ। সিএনজি ভাড়া চাচ্ছে দ্বিগুণ। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। সরকারের বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেওয়া দরকার।

বাসের অপেক্ষায় ক্লান্ত যাত্রীরা মাটিতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন

নাজিরহাট লাল কার্ড শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত ২৮ তারিখ বিনাদোষে আমাদের ৪ জন শ্রমিককে অক্সিজেন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিনা শর্তে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা সোমবার বিকেল ৫টা থেকে বাস বন্ধ রেখেছি। আমাদের শ্রমিক ভাইয়ের যতক্ষণ মুক্তি দেওয়া না হবে। ততক্ষণ আমরা বাস চালাব না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট খাগড়াছড়ি বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজাহান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাস তো আমরা বন্ধ রাখিনি। শ্রমিকরা বন্ধ রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে এই কর্মবিরতি পালন করছে। আমরাও চাই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক। বিনা দোষে গ্রেফতারদের মুক্তি দেওয়া হোক।

;

গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে বেপরোয়া দালাল চক্র



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
বেপরোয়া দালাল চক্র

বেপরোয়া দালাল চক্র

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিসে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দালাল চক্র। কর্মকর্তাদের পোশাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখাসহ সকল কার্যক্রমই পরিচালিত হচ্ছে দালালের মাধ্যমে। অভিযোগ রয়েছে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তারা নিজেদের সুবিধার্থে এসব দালালদের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করেছে। নিজেদের স্বার্থ হাসিলে বিভিন্ন কাজে দালালদের ব্যবহার করে থাকেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও সড়কে শৃঙ্খলা জোরদার করতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যৌথ অভিযান চালায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও হাইওয়ে থানা পুলিশ। ওই অভিযানে রুহুল আমিন নামে চিহ্নিত এক দালাল বিআরটিএ এর পোশাক পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজ করতে দেখা গেছে।

মহাসড়কে চলমান ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে মামলা-জরিমানা আদায় করছেন সালনা হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ এর মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আদিয়াত রহমান। সে সময় কাগজ হাতে এই কর্মচারীর সাথে সেসব তথ্যের হিসাব রাখছেন দালাল রুহুল।

জানা যায়, এসব দালালরা বিআরটিএ সেবা প্রত্যাশীদের কাছে নিজেদেরকে অফিসের লোকজন হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। অফিস কর্তাদের সাথে সখ্যতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কাজ করে দেওয়ার কথা বলে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে সেই টাকার একটি মোটা অংশ চলে যায় অফিস প্রধানের পকেটে। এভাবে দালালের মাধ্যমে গাজীপুর বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক এবং মোটরযান পরিদর্শক দালালদের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

দালালের ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিতির কথা স্বীকার করে গাজীপুর বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক আবু নাঈম বলেন, আমাদের জনবল সংকট তাই সে সহযোগিতা করে।

বিআরটিএ’র পোশাক পরার বিষয়ে তিনি বলেন, ভুল করে হয়তো পরেছে। আমি সবাইকে ডেকে মানা করে দিবো যেন আর কেউ বিআরটিএর পোশাক না পরে।

;

প্রাতিষ্ঠানিক কলকারখানায় শিশুশ্রম নেই: শ্রম প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাতিষ্ঠানিক কলকারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই বলে দাবি করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, অনানুষ্ঠানিক খাতে শিশু শ্রম আছে। যেমন কোনো বাসায় কাজের ছেলে কিংবা কাজের মেয়ে রাখা বা গ্যারেজে কোনো গরিব ঘরের সন্তানকে কাজ শেখানোর জন্য কাজে লাগানো হয়। এসব খাতে আমরা হস্তক্ষেপ করলেও বন্ধ করা সম্ভব হয় না। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কলকারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই।

শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা নিয়ে এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাত থেকে বেশির ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আসে। তারা যখন বিদেশি অর্ডার বাস্তবায়ন কিংবা রফতানি তাড়াতাড়ি করাতে শ্রমিকদের ওভারটাইম করান। এ জন্য তাদের পাওনা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এটা পারস্পরিক বিষয়, সমঝোতার ভিত্তিতে করা হয়। আবার অনানুষ্ঠানিক খাতে এগুলো হয়। যেমন দোকানে আটঘণ্টার বেশি শ্রম দিতে হচ্ছে। এসব বিষয় নিরসনে আমরা কাজ করছি।

ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে বিধান অনেক শিথিল করা হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইনে ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন আমরা দিচ্ছি। সেক্ষেত্রে তাদের বাধাগুলো শিথিল করে তারা যাতে সহজে ট্রেড ইউনিয়ন পেতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।

শ্রম আইন নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আইন না মানলে আমরা শ্রম আদালতে মামলা করতে পারি। সেটা বাস্তবায়ন করতে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে পরিদর্শকরা আছেন। তারা পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেন। শ্রম আইন না মানলে লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয় না, এমনটা বলা যাবে না।

;

ফেরিঘাটে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, টেম্পুচালকের বিরুদ্ধে মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফেরিঘাটে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, টেম্পুচালকের বিরুদ্ধে মামলা

ফেরিঘাটে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, টেম্পুচালকের বিরুদ্ধে মামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কালুরঘাট ফেরিঘাটের বেইলি ব্রিজে সিএনজি চালিত টেম্পুর ধাক্কায় কলেজ শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জোহরার (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে টেম্পুচালক রেজাউল করিম জিসানকে (২২) গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

টেম্পুচালক রেজাউল করিম জিসান বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের খরঞ্জপাড়ার বাসিন্দা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে নিহত কলেজ শিক্ষার্থীর ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে টেম্পুচালকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে বোয়ালখালী থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছহাব উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরপরই টেম্পুটি জব্দ ও টেম্পু চালককে আটক করা হয়েছিলো। মামলা দায়েরের পর চালককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে, সোমবার সকাল ১০টার দিকে বোয়ালখালী থেকে নগরীর কলেজে যাওয়ার পথে কালুরঘাট ফেরিঘাটের বেইলি ব্রিজে টেম্পুর ধাক্কায় শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জোহরা (১৮) মারা যান। তিনি বোয়ালখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কধুরখীল হানিফা বাড়ির মো. হাসানের মেয়ে।

;