ভারী বৃষ্টি ও তাপমাত্রা কমার আভাস আবহাওয়া অফিসের
কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টিতে ৪ মে অথবা ৫ মে থেকে খুলনা, রাজশাহী অঞ্চলসহ সারা দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ কমা শুরু করবে এবং ২ মে সিলেট, চট্টগ্রামে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, ৪ মে এর পর থেকে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ঢাকা, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে ৪ ও ৫ মে থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমবে।
আগামীকাল বুধবার (১ মে) সকাল ৯টায় পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট শেষ হলেও কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা তীব্র থাকতে পারে। এতে আবারও হিট অ্যালার্ট জারির সম্ভাবনা আছে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে তাপমাত্রা আবারও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
গত সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস পার করল এপ্রিল। এ মাস জুড়ে একটানা দীর্ঘ তাপপ্রবাহের বিস্তার ছিল প্রায় সারা দেশে। এ সময়ে তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এপ্রিলে গড়ে নয়টি কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র একটি। এতেই তাপমাত্রা হয়ে ওঠে অসহনীয়।
জেলার ওপর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় আগেই জেলার মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিকে তীব্র রোদ ও প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ।
এর আগে গতকাল দুপুর ২টায় যশোরে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা যশোরে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরেই যশোরে তাপমাত্রা থাকছে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির ঘরে।