শান্তিনগর-ঝিলমিল ফ্লাইওভার হবে
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: রাজধানীর শান্তিনগর হতে মাওয়া রোডের ঝিলমিল পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানালেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এরইমধ্যে সরকারি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রকল্পটি নীতিগত অনুমোদন লাভ করেছে।
রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর মাধ্যমে শান্তিনগর হতে মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত প্রস্তাবিত ফ্লাইওভারটি বর্তমান সরকারের পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি সরকারি মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন লাভ করেছে। এরপর ২০১৮ সালের ৬ জুন ৫৩৪ দশমিক ৭২ কোটি টাকার ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফিন্যান্সিং প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৬টি প্রতিষ্ঠানের দাখিলকৃত আরএফও সমূহ যাচাই-বাছাই পূর্বক ৩টি প্রতিষ্ঠানকে শর্ট লিস্টেড করার সুপারিশ করা হয়েছে। শিগগিরই সংক্ষিপ্ত তালিকা হতে আরএফপি জারি করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ২০১৯ জানুয়ারি হতে ২০২২ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রাজউক ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৮ ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী লে-আউট প্ল্যাণ অনুমোদন করে এবং উক্ত লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী ভবন নির্মিত হচ্ছে কি-না তা পর্যবেক্ষণ করে।
মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরও জানান, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত রাজউকের আওতাধীন ১ হাজার ৫২৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ২ লাখ ৪ হাজার ১০৬টি ভবন জরিপ করা হয়েছে। জরিপ অনুযায়ী পূর্বে নির্মিত ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৭৬টি ভবনের মধ্যে ১ লাখ ৩১টি ৫৮৩টি ভবনের বিভিন্ন ধরণের ব্যতয় (কম-বেশী) পাওয়া গিয়েছে এবং নির্মাণাধীন ৮ হাজার ৭৩০টি ভবনের মধ্যে ৩ হাজার ৩৪২টি ভবনের অনুমোদিত ন্যায় ব্যতয় (কম-বেশি) পাওয়া গিয়েছে।
তিনি জানান, রাজউকে ঠিকানাসহ তালিকা সংরক্ষিত আছে। উক্ত তালিকা দীর্ঘ হওয়ায় তা সংলাপ আকারে সংযুক্ত করা হয়নি। তবে প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট চাহিদার প্রেক্ষিতে তালিকা সরবরাহ করা যেতে পারে এবং এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, যে সকল নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক ইমরাত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা ২০০৮ না মেনে বিল্ডিং নির্মাণ করছে তাদেরকে সংশোধনের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। সংশোধন না করলে পর্যায়ক্রমে নোটিশ প্রদান করে ব্যতয়কৃত অংশ অপসারণ করা হয়।