চার বছরের উন্নয়নের গল্প শোনালেন মেয়র তাপস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দায়িত্বভার গ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে বিগত দিনে ১২'শ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

রোববার (১৯ মে) নগর ভবনে 'উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ৪ বছর' প্রতিপাদ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিগত ৪ বছরের সামগ্রীক কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, করোনা মহামারী সংকটকালে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি। সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রায় সকল ক্ষেত্রে আমরা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হই। বাসযোগ্য ঢাকা বিনির্মাণে বিগত চার বছরে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করে সুশাসন নিশ্চিত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলসহ মাণ্ডা, শ্যামপুর, জিরানি ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ, বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ঢাকার সচলতা আনয়নে বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, দশকের পর দশক ধরে চলা দখল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটানো, প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ-উদ্যান-কাঁচাবাজার, গণশৌচাগার প্রতিষ্ঠা, জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ও বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ঢাকাকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং তা অব্যাহতভাবে চলমান রয়েছে।

সিটি করপোরেশনের আয় বৃদ্ধিসহ নিজস্ব অর্থায়নে অবকাঠামো নির্মাণ:

বিগত ৪ বছরে কোনো খাতে কোনো ধরনের কর বৃদ্ধি করা হয়নি জানিয়ে মেয়র বলেন, নির্বাচনের পর আমি ঢাকাবাসীর ওপর কোনো রকমের করের বোঝা না চাপিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিগত ৪ বছরে আমরা কোনো খাতে কর বৃদ্ধি করিনি। বরং এ সময়ে ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১৪টি নতুন খাত হতে আমরা রাজস্ব আদায় শুরু করেছি। ফলে করোনা মহামারীর মতো বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে, যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে করপোরেশনের রাজস্ব আদায় ছিল মাত্র ৫১৩ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা, যা ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে যথাক্রমে ৭০৩ দশমিক ৩১ কোটি, ৮৭৯ দশমিক ৬৫ কোটি ও ১০৩১ দশমিক ৯৭ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে রাজস্ব আদায় হয়েছে তা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি টাকা বেশি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সফলতা:

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সফলতা তুলে ধরে মেয়র তাপস বলেন, এক সময় ঢাকা শহরের অলিগলি হতে শুরু করে মূল সড়ক পর্যন্ত সর্বত্রই যত্রতত্র উপছে পড়া বর্জ্যে সয়লাব ছিল। কিন্তু বিগত ৪ বছরে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে আমূল পরিবর্তন সাধন করেছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়নে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। কিন্তু বিগত ৫০ বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় মাত্র ২৪টি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু আমি দায়িত্ব নেবার পর বিগত ৪ বছরে নতুন ৪১টি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। বাকী ওয়ার্ডগুলোতেও অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কন্দ্রে নির্মাণে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়নে বিগত ৪ বছরে নতুন ২৫টি ডাম্প ট্রাক ক্রয়, প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রাথমিক বর্জ্য সংগ্রহকারী নিবন্ধন (PCSP), পুরাতন ৫টি অঞ্চলে চিকিৎসা-বর্জ্য সংগ্রহকারী নিবন্ধন করেছি। নতুন ৫টি অঞ্চলে চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহকারী নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সর্বোপরি সূচি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি ঝাড় দেওয়া ও রাতের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র হতে মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে বর্জ্য স্থানান্তর নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন ১৫টি ডাম্প ট্রাক ও ১০টি পে- লোডার ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে, সামষ্টিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে আধুনিকায়ন নিশ্চিত হয়েছে। এতে করে শহরের সৌন্দর্য যেমন বেড়েছে তেমনি নগরবাসীকে এখন আর যত্রতত্র উপচে পড়া বর্জ্যের উৎকট গন্ধ পথ চলতে হয় না।

নগর বাসীর জন্য বিগত ৪ বছরে ১০্টি উন্মুক্ত উদ্যান ও ১১টি খেলার মাঠা সংষ্কারের করা হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ ও গণপরিসর সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে খেলার মাঠ বা উদ্যান প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিগত ৪ বছরে ১১টি খেলার মাঠ সংস্কার ও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৫টি ওয়ার্ডে নতুন খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি বিগত ৪ বছরে ১০টি উদ্যান প্রতিষ্ঠা করে তা জনগণের জন্য অবমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এবং ৪টি মুক্তাঙ্গন উদ্যান প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে। 

ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম:

প্রতিটি ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র, গণশৌচাগার ও কাঁচাবাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, বিগত ৪ বছরে ৩টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে ও ৬টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ১৫টি ওয়ার্ডে নতুন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে নতুন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মজীবী মানুষ বিশেষ করে নারীদের সুবিধার্থে প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম একটি করে গণশৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৪ বছরে ৩৬টি গণশৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।

মেয়র বলেন, বর্তমানে ৫টি নতুন কাঁচাবাজার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং ৪টি ওয়ার্ডে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২টি কাঁচাবাজারের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ২টি কাঁচাবাজারের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মশা নিয়ন্ত্রণে যা করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন :

সারা বছর মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় জানিয়ে মেয়র বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ঢেলে সাজাতে আমরা সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেই। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২০২০ সালের ৬ জুন আমরা বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু করি। বর্তমানে সূচি অনুযায়ী সারাবছরই আমরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছি।

মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করতে আমরা নতুন মশককর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, পূর্বে ৪২৪ জন মশককর্মী এই কার্যক্রম পরিচালনা করতো। বর্তমানে ১ হাজার ৫০ জন মশককর্মী ও মশক সুপারভাইজার নিয়মিতভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। একইসাথে আমরা প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতিও বৃদ্ধি করেছি।

তিনি বলেন, আমার দায়িত্বভার গ্রহণের পূর্বে ৫৫১টি ফগার মেশিন, ৪৩১টি হস্তচালিত মেশিন ও ১৭টি হুইলব্যারো মেশিন দিয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। বিগত ৪ বছরে আমরা নতুন আরো ৫৩৫টি ফগার মেশিন, ৬০০টি হস্তচালিত মেশিন ও ২৯টি হুইলব্যারো মেশিন ক্রয় করেছি।

তিনি বলেন, পাশাপাশি কোন ওয়ার্ডে সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হলে সে ওয়ার্ডকে লাল চিহ্নিত এলাকা (রেড জোন) ঘোষণা করে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

মেয়র বলেন, গত বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৯ হাজার ৭৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। তখন সারাদেশে রোগী ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার ১৭৫ জন। যা সারাদেশের মোট রোগীর মাত্র ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। ফলে সফলতার সাথে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।

মেয়র আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে কর্মপরিকল্পনা রয়েছে সেটি ২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কেউই এরকম পরিকল্পনার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কিন্তু আমরা সেটি করেছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কর্মপরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এক হাজারেরও অধিক জনবল থাকা প্রয়োজন সেটি আমার রয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে সাতজন এবং বিকেলে ছয়জন মশক-কর্মী গিয়ে যেখানে মশা বেশি থাকতো সেখানে ওষুধ ছিটাতো। প্রত্যেকটা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বাসায় আমার মশক-কর্মীরা গিয়েছে।

আগে কীটনাশকের মান নিয়ে কথা আসলেও এখন কিন্তু কীটনাশক নিয়ে আর কোনো কথা শোনা যায় না। আমরা কীটনাশকের মান ধরে রেখেছি। আমাদের সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানান ডিএসসিসি মেয়র।

   

মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মী, তদন্তে কমিটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্রসহ দরকারি সব কাগজপত্র পেয়েও ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ মে পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জনকে মন্ত্রণালয় (প্রবাসী কল্যাণ) অনুমোদন দিয়েছে। বিএমইটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে। আর ৩১ মে পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন গেছেন মালয়েশিয়ায়। সে হিসেবে কমবেশি ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। সংখ্যাটা কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যেতে না পারার কারণ খুঁজতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই কমিটির কাছে ভুক্তভোগীদের যে কেউ অভিযোগ করতে পারে, বলেন তিনি।

বিপুল সংখ্যক এই কর্মী না যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেটভুক্ত ১০০টি এজেন্সি দায়ী, যার মধ্যে ৪ জন সংসদ সদস্যের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে– এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যিনি বা যারা দায়ী থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমপি চিনি না। তাদের সাথে কোন ডিল নাই। আমরা শুধু এজেন্সিকে কাজ দিব।

ভবিষ্যতে আবার সিন্ডিকেট হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। যে দেশ কর্মী নেবে তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন এজেন্সি কর্মী পাঠায়। আমরা চাই আমাদের নিবন্ধনকৃত আড়াই হাজার এজেন্সির সবাই যেন কর্মী পাঠাতে পারে।

এ সময় প্রবাসী কল্যাণ সচিব রুহুল আমিন বলেন, মালয়েশিয়া যেতে না পারা শ্রমিকরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবে। তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

;

আদাবরে চাঁদা না পেয়ে চা-দোকানির ওপর হামলা যুবলীগ নেতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আদাবর থানার ১৬ রোড এলাকায় চাঁদা না পেয়ে এক চা-দোকানির ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

অনুসারীদের দিয়ে চা-দোকানির ওপর হামলা করিয়েছেন যুবলীগের ওই নেতা। এ সময় চা-দোকনি ও তার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হামলা নির্দেশদাতা যুবলীগ নেতার নাম- আব্দুর রাজ্জাক। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি। শুক্রবার (৩১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় আদাবর ১৬ নম্বর কাঁচা বাজারের সামনে চা দোকানদারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী চা-দোকানি সেদিন বিকেলে আদাবর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রোববার (২ জুন) এ তথ্য প্রকাশ পায়।

মারধরের শিকার ভুক্তভোগী চা-দোকানি তোফাজ্জল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি আদাবর ১৬ নম্বর ব্রিজের ওপর চা দোকান বিক্রি করি। পাশাপাশি আমার কয়েকটা রিকশা আছে। সেগুলো দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাই।

কয়েকদিন আগে আমার দোকানে যুবলীগ নেতা রাজ্জাক ও তার সহযোগী সোহাগসহ কয়েক জন এসে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা চান।

দোকান চালাতে হলে এককালীন ২০ হাজার টাকাসহ প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে বলেন।

এরপর শুক্রবার দুপুরের নামাজের আগে রাজ্জাকের অনুসারী সোহাগ, শাকিল, শাকিলের বোনের স্বামী ‘অটো জামাল’সহ প্রায় ৭০-৮০ জনের একটি বিশাল দল আমার এক রিকশাচালককে রিকশাসহ আটক করে মারধর করেন। আমি রিকশাচালককে বাঁচাতে গেলে আমাকেও আটকে মারধর করা হয়।

এ সময় আমার চিৎকার শুনে স্ত্রী রাশিদা বেগম, ছেলে রাসেলসহ স্বজনরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পাশেই কাঁচা বাজারের তিন চারজন দোকানদার আমাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করে।

যারা আমার ওপর হামলা করেছেন, তারা সবাই ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগী ও কিশোর গ্যাং সদস্য।

এ ঘটনায় আমি থানায় শুক্রবার বেলা আড়াইটায় হাসপাতালের কাগজপত্রসহ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশের কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি।

এমন নৃশংস হামলার পরও পুলিশ নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। হামলার পর শুক্রবার রাতে রাজ্জাক আমার দোকানে এসে আবারও আমাকে হুমকি দিয়ে যায়।

ওই সময় বলে যায়, ‘আজকে মাল (ধারালো অস্ত্র) ছাড়া পোলাপাইন হালকার ওপর দিয়ে গেছে। এরপর আবার আসতে হলে হাত-পা, মাথা আলাদা করে দিয়ে যাবে। তার আগেই টাকা রেডি রাখ’।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, অন্য একটি ঘটনা সমাধান করতে আমাকে আদাবর থানার এক এসআই ডেকে নিয়ে গেছিলেন। আমার সঙ্গে তোফাজ্জল হোসেনের কোনো বিরোধ নেই।

চাঁদা দাবির বিষয়ে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো চাঁদা চাইনি। এমন কী কোনো ছেলেকে আমি তার কাছে পাঠাইনি। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে, আমি আরো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেবো।

ঢাকা মহানগর উত্তর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, আব্দুর রাজ্জাক আমাদের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি। মারামারির খবর আমরা পেয়েছি। তবে এ বিষয়টি সমাধান করার জন্য সন্ধ্যার পর আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসবো।

এ বিষয়ে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল হক জানান, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।

;

রাঙ্গাবালী উপজেলায় সেই তিন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ কালে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়রম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের প্রার্থীর পক্ষে ত্রান প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্য ভোট দেওয়ায় আহব্বান জানানোর কারণে শুনানি শেষে তিন জনের প্রার্থীতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২ জুন) বিকেলে শুনানি শেষে এই নিশ্চিত করেছে ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

এর আগে এই ঘটনায় বিকেল তিনটায় ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এমপি সশীরের এসে নির্বাচন কমিশনের কাছে এসে ভোট প্রকাশ্য ভোট চাওয়ার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পরবর্তীতে অভিযুক্ত তিন প্রার্থীর শুনানি হয়। শুনানি শেষে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন ইসি।

তারা হলেন, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেগম ফেরদৌসী।

এর আগে, গত ৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রতিমন্ত্রীকে শোকজ করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট নামক স্থানে এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রান বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর লঙ্ঘন।

সেজন্য আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন দোষী সাব্যস্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আজ নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছিল।

;

রাউজানে বাসের ধাক্কায় বাইক আরোহী তরুণের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের রাউজানে বাসের ধাক্কায় বাইক আরোহী মো. ইমন (২১) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইমন রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মগদাই গ্রামের মনসুর আলীর বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন। আহত সামির ওই এলাকার মো. মুসার ছেলে।

রোববার (২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের বাগোয়ান ইউনিয়নের ধরেরটেক গঙ্গা মন্দিরের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়া পথে যাত্রীবাহী বাস হানিফ পরিববণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়। পরে দুইজনকে উদ্ধার করে নোয়াপাড়া পাইওনিয়ার হাসপাতালে পাঠান হলে সেখানে চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পূর্বগুজরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ বলেন, হানিফ পরিববণের সাথে মোটরসাইক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে, অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীর রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করেছি। বাসের চালক পালাতক। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;