খুলনায় উপজেলা নির্বাচন: প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই খুলনার ৯টি উপজেলায় শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। প্রকৃতিতে বইছে শীতের হাওয়া। তবে শীত-কুয়াশা কাটিয়ে খুলনায় শুরু হয়েছে নির্বাচনী হাওয়া। উপজেলা নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অপরদিকে বিরোধী শিবির বিএনপি নির্বাচনী মাঠেই নেই। এদিকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলেই ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিভাগ ভিত্তিক ৫ ধাপে এবারের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ।

এছাড়া নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, আগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা- দিঘলিয়া, কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, রূপসা, তেরখাদা, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২য় ধাপে একই সাথে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা- কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা, কুমারখালী, মিরপুর, খোকসা ও দৌলতপুর। ঝিনাইদহ জেলার সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু ও কালীগঞ্জ। যশোর জেলার শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, সদর, বাঘারপাড়া, অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর। মেহেরপুর জেলার সদর, মুজিবনগর ও গাংনীসহ মোট ১২৫টি উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এবারই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রতীকে হবে উপজেলা নির্বাচন। যে কারণে উপজেলা নির্বাচনের ভোট নিয়ে বাড়তি আগ্রহ ক্ষমতাসীন দলে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও স্থানীয় নব-নির্বাচিত এমপিদের কাছাকাছি ভিড়তে শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিতরা চাচ্ছেন উপজেলায় প্রার্থী হতে। মনোনয়নের দৌড়ে থাকা নেতারা এরই মধ্যে এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে সবার কাছে দোয়া চাইছেন। পুরানো প্রার্থীদের সঙ্গে এবার চারদিকে নতুন মুখের ছড়াছড়ি। প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৪-৬ জন করে সম্ভাব্য প্রার্থী সরব রয়েছেন।

অপরদিকে জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিএনপি এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে যাবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে।। প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হলেও বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না। এজন্য বিএনপির কোন প্রার্থী মাঠে নেই।

এছাড়া সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবার ঘোষণা দিলেও খুলনার উপজেলার নির্বাচনী মাঠে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। সদ্য শেষ হওয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনেও খুলনার ৩টি আসনে দলটির প্রার্থী থাকলেও প্রচার প্রচারণা ও ভোটযুদ্ধে মাঠে দেখা যায়নি তাদের।

খুলনার ৯টি উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ তিন পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই গণসংযোগ শুরু করছেন।

এরমধ্যে রূপসা উপজেলায় আ’লীগের ১০জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিৎ অধিকারী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, বেলফুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ অলিউর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও আইচগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আলী আকবার, মালিক সরোয়ার উদ্দিন, নৈহাটি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মিনা, প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য সরদার আবুল কাসেম ডাবলু ও সরদার ফেরদৌস আহমেদ।

দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির ডা. সৈয়দ আবুল কাশেমের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি জেলা জাতীয় যুব সংহতির জেলা সভাপতি ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এভাবে অন্যান্য উপজেলায়ও ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।

বটিয়াঘাটায় ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম খান, এড. নিতাই চন্দ্র রায়, নব কুমার চক্রবর্তী, মনোরঞ্জন মণ্ডল, মোশারেফ হোসেন মুসা, শেখ হাদিউজ্জামান, মানস পাল, প্রফুল্ল কুমার রায় ও শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী সমিরণ গোলদার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. ইকরাম শেখ এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইনের নাম শোনা যাচ্ছে।

দাকোপে ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেনসহ বেশ কয়েক জনের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও প্রার্থী হতে পারেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির এড এম এম রুহুল আমিন।

কয়রায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মো. তমিজ উদ্দিন, ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত মো. মহসিন রেজা, কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নাম শোনা যাচ্ছে।

ডুমুরিয়ায় ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা সারোয়ার, কাজী আলমগীর, সুরঞ্জন বৈদ্য, হুমায়ুন কবির বুলু, মোস্তফা কামাল খোকন, সেলিম আক্তার স্বপন, ও শাহনেওয়াজ জোয়ার্দ্দার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সিরাজুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা দৌলতের নাম শোনা যাচ্ছে।

পাইকগাছায় বর্তমান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এড. বাবর আলী ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির এড. প্রশান্ত মণ্ডল ও গুলজার রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে।

ফুলতলায় ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আকরাম হোসেনসহ একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।

সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই সব সময় এলাকায় যাতায়াত করেন, সাধারণ ভোটারদের খোঁজ খবর নেন। আবার অনেকের নামই শোনেনি এমন প্রার্থীও আছে। এছাড়াও কয়েকজন প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও ৫বছরে তাদের একবার এলাকায় দেখা যায়নি। এবারের নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীরা অংশ নেবে বলে আশা করছেন তারা।

উল্লেখ্য, খুলনা জেলায় ১৮লাখ ৯৮৯জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৯লাখ ২হাজার ৯৫০জন ও নারী রয়েছেন ৮লাখ ৯৮হাজার ৩৯জন। ভোট কেন্দ্র ৭৮৬টি ও কক্ষ (বুথ) ৩হাজার ৮৫৭টি।

   

ফেনীতে ইউপি সদস্যর বাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তা চিনি জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের ওবায়দুল হক নামে এক ইউপি সদস্যের খামারবাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৫ মে) সকালে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিনিগুলো জব্দ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর এলাকায় ইউপি সদস্য ওবায়দুল হকের খামারবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযানে বাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৩ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ইউপি সদস্য ওবায়দুল হকের ছেলে আরিফ এবং তার সহযোগী নুরুকে আসামি করে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ওবায়দুল হক বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে নুরুর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সে সুবাধে সে খামার বাড়িতে নুরু চিনিগুলো রেখেছিল। এতে আমি বা আমার ছেলে জড়িত না। ঘটনার পর নুরু বাড়িতে এসে তার সব শেষ হয়ে গেছে বলে আমাকে জানান। তখন চিনিগুলো আটকের আগে কেন এই বিষয়ে আমাকে জানায়নি সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি।

ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, ইউপি সদস্যের খামারবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুত ১৮৯ টি সাইক্লোন সেল্টার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৮৯ টি সাইক্লোন সেল্টার। এছাড়া ৬৪টি মেডিকেল টিমও গঠন করার হচ্ছে।

দুর্যোগকালীন ত্রাণ তহবিলে ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৪৫০ মেট্টিক টন চাল রয়েছে। দুর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণী রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে।

শনিবার (২৫ মে) রাত ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমটির প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানান।

এ সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেজাই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগারসহ সরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুর্যোগে আমাদের প্রত্যেককে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। আগামীকাল থেকে চরাঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু হবে।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাত গভীর হচ্ছে উপকূলে আতঙ্ক বাড়ছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতি বৃদ্ধির পাচ্ছে। ফলে ঝড়ের সময় যত এগিয়ে আসছে উপকূলবাসীর আতঙ্ক তত বাড়ছে। স্থানীয়রা প্রয়োজনীয় মালামাল গুছিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরের ওপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কথা হয় বরগুনা কাকাচিড়া মাঝেরচর এলাকার বাসিন্দা আল-আমিনের সাথে তিনি বলেন, এর আগেও আমরা অনেক ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করেছি এবার শুনেছি নতুন ঘূর্ণিঝড় রেমাল আসছে। ২০০৭ সালে আমি যখন ছোট সেই সময় থেকে বন্যা মোকাবেলা করে আসছি। বরগুনা কাকচিড়া মাঝের চড়ে বড় কোন আশ্রয় কেন্দ্র নেই, বেড়িবাঁধ নেই, থাকলে ভালো হতো। সরকার একটু সহযোগিতা করে আমাদের পাশে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে একেবারেই নাজুক অবস্থায় মেরামত করলে হয়তোবা আমরা ভালোভাবে থাকতে পারবো।

ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হক জানান, সিডরের সময় বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এরপর থেকে আর কখনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেনি সরকার। বিষখালী নদী পাড়ের এই বাঁধ নির্মাণ না করলে মাঝারি ধরনের কোন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটবে এখানে।

বরগুনা পোটকাখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের থাকা হালিমা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে কথা টিভিতে দেখেছি, ভয় হয়, এর আগে অনেক বন্যা সিডর, আয়লা,মোকাবেলা করেছি,এখন ঘরে ছেলে মেয়ে আছে, বাড়িতে গরু ছাগল হাসঁ মুরগী পালন করি এনিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো।

ইতো মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় বরগুনায় ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা মোহাঃ রফিকুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বরগুনায় ৩টি মুজিব কেল্লা, ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ৪২২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, ৩৭ লাখ নগদ অর্থ প্রস্তুত রয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজার ছাড়ছে পর্যটকরা, বিমান উঠানামা বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারে ৬ নং বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ছাড়ছে পর্যটকরা। যার কারণে কক্সবাজারে দেখা দিয়েছে টিকিট সংকট। কক্সবাজারের কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না বাসের টিকিট। এছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান উঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজকে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল বিমান উঠানামা বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ৬ নং বিদপ সংকেত যেহেতু চলছে সেহেতু বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।

কক্সবাজারের কলাতলী ডলফিন মোড়ের কাউন্টার মালিক জাকির হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পর্যটকরা ভয়ে কক্সবাজার ছেড়ে যাচ্ছে। আজকে কোন টিকিট নেই। বেশিরভাগ বাস চলে গেছে। কালকেও সব টিকিট বুকিং রয়েছে। বিমান চলাচল বন্ধ করায় টিকিটের চাহিদা আরও বেড়েছে।

এদিকে কক্সবাজারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছে প্রশাসন। কক্সবাজারে ৬৩৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মহেশখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছে মানুষ।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০সহ ১০ হাজার ৮০০ সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৪শ ৮৬ মেট্রিক টন জি আর চাল, ২ লক্ষ ৭৫ হাজার নগদ টাকা,জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিন সাথে গৃহ নির্মান মনজুরি অর্থ ৬৯ হাজার টাকা মজুদ আছে।

কক্সবাজার ছাড়াও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরেও ৬ নং বিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ছয়টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪০০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

;