ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাত গভীর হচ্ছে উপকূলে আতঙ্ক বাড়ছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতি বৃদ্ধির পাচ্ছে। ফলে ঝড়ের সময় যত এগিয়ে আসছে উপকূলবাসীর আতঙ্ক তত বাড়ছে। স্থানীয়রা প্রয়োজনীয় মালামাল গুছিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরের ওপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কথা হয় বরগুনা কাকাচিড়া মাঝেরচর এলাকার বাসিন্দা আল-আমিনের সাথে তিনি বলেন, এর আগেও আমরা অনেক ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করেছি এবার শুনেছি নতুন ঘূর্ণিঝড় রেমাল আসছে। ২০০৭ সালে আমি যখন ছোট সেই সময় থেকে বন্যা মোকাবেলা করে আসছি। বরগুনা কাকচিড়া মাঝের চড়ে বড় কোন আশ্রয় কেন্দ্র নেই, বেড়িবাঁধ নেই, থাকলে ভালো হতো। সরকার একটু সহযোগিতা করে আমাদের পাশে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে একেবারেই নাজুক অবস্থায় মেরামত করলে হয়তোবা আমরা ভালোভাবে থাকতে পারবো।

ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হক জানান, সিডরের সময় বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এরপর থেকে আর কখনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেনি সরকার। বিষখালী নদী পাড়ের এই বাঁধ নির্মাণ না করলে মাঝারি ধরনের কোন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটবে এখানে।

বরগুনা পোটকাখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের থাকা হালিমা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে কথা টিভিতে দেখেছি, ভয় হয়, এর আগে অনেক বন্যা সিডর, আয়লা,মোকাবেলা করেছি,এখন ঘরে ছেলে মেয়ে আছে, বাড়িতে গরু ছাগল হাসঁ মুরগী পালন করি এনিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো।

ইতো মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় বরগুনায় ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা মোহাঃ রফিকুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বরগুনায় ৩টি মুজিব কেল্লা, ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ৪২২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, ৩৭ লাখ নগদ অর্থ প্রস্তুত রয়েছে।

   

সেন্টমার্টিনে আনন্দের বদলে শঙ্কার ঈদ



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপে আনন্দের বদলে শঙ্কার ঈদ কাটছে বলে জানিয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। দুই সপ্তাহ ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ঈদেও দ্বীপে আটকা রয়েছে ১০ হাজার বাসিন্দা।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮-৯ টার মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বেশিরভাগ মসজিদে ঈদের জামাত শেষ হয়েছে। তবে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সেন্টমার্টিনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে নামাজ আদায় করেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ দ্বীপে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের ঈদের জামাত শেষ হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে সেন্টমার্টিনে যে সংকট সেটা কাটিয়ে যোগাযোগ যেন স্বাভাবিক হয় সেটার জন্য দোয়া করা হয়েছে।

তবে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন এবারের ঈদ অন্যান্য বারের মতো নয়। এবারের ঈদে আনন্দের বদলে শঙ্কা বেশি রয়েছে। এবারে কোরবানির পশু টেকনাফ থেকে আনতে না পারায় অনেকেই কোরবানি দিতে পারছে না। অন্যান্য ঈদে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতো সেখানকার বাসিন্দারা। তবে এবার দ্বীপেই আটকে থাকতে হবে তাদের।


সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, যোগাযোগ নিয়ে আমরা সবাই শঙ্কায় আছি। অন্যান্য সব বিষয় ঠিক আছে। বরাবরের মতোই আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য দোয়া চেয়েছি।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ওসমান গনি বলেন, সেন্টমার্টিনের সংকট শেষ হওয়ার জন্য সবাই দোয়া করেছি। আমাদের মাঝে এবারের ঈদ অন্যান্য ঈদের মতো নয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক আত্মীয়স্বজন দ্বীপে আসতে পারেনি। আমরাও দ্বীপে আটকে আছি। এটাই আমাদের মূল শঙ্কার কারণ।

সেন্টমার্টিন ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ৫ জুন থেকে আজকে ১৭ জুন পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একারণে আমাদের এবারের ঈদে আনন্দের চেয়ে শঙ্কা বেশি। সবাই সরকারের কাছে একটাই দাবি জানাচ্ছেন স্বাভাবিক নৌযান চলাচল যেন শুরু হয়। যোগাযোগ যেন স্বাভাবিক হয়।

মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল করলে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে বারবার বাংলাদেশি নৌযান লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়া হচ্ছে। একারণে ৫ জুন থেকে এই নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

;

পশু কোরবানির মাধ্যমে যেন হিংসা-বিদ্বেষ বিসর্জন দিতে পারি: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
পশু কোরবানির মাধ্যমে যেন হিংসা-বিদ্বেষ বিসর্জন দিতে পারি: শিক্ষামন্ত্রী

পশু কোরবানির মাধ্যমে যেন হিংসা-বিদ্বেষ বিসর্জন দিতে পারি: শিক্ষামন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যাতে করে আমরা পশু কোরবানির মাধ্যমে মনের হিংসা-বিদ্বেষ ঘৃণা বিসর্জন দিতে পারি।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে ঈদের জামাত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঈদের নামাজে আমরা দেশবাসীর জন্য দোয়া করেছি। সমাজে যাতে শান্তি ও নিরাপত্তা আসে এজন্য আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেছি।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের মানুষ যাতে অণ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা যাতে যথাযথ পায় সে জন্য দোয়া করেছি। আল্লাহপাক যাতে সবাইকে কোরবানি করার তৌফিক দান করেন সেই দোয়াও করেছি।

এসময় তিনি চট্টগ্রামসহ পুরো দেশবাসিকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে তিনি সকার সাড়ে ৭টায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদগাগে প্রধান জামাতে অংশ নেন।

;

ঈদের দিনেও গ্রামে ফিরছেন অনেকে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাবতলী থেকে: আপনজনের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে ঈদের দিনেও বাড়ি ফিরছেন অনেকে। গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকালে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা এলাকার লোকজনের উপস্থিতি বেশি।

পাবনাগামী বাংলা এক্সপ্রেস এর এসি সার্ভিস সকাল সাড়ে ৯ টায় পাবনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একই সময়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের গাইবান্ধাগামী একটি কোচ ঢাকা ছেড়ে যায়। এসময় আরও কয়েকটি রুটের গাড়িতে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে।


শামলী এন আর পরিবহনের সামনে বিভিন্ন রুটের ৪টি বাস যাত্রী তুলছিলেন। তবে এদিন গাড়িগুলোর নির্দিষ্ট কোনো সময় ঘোষণা করা হচ্ছে না। যাত্রী হলেই ছেড়ে দেবে খানিকটা লোকাল বাসের মতো করে শর্ত দিচ্ছে।

আব্দুলাহ আল মামুন নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, আফতাবনগর একটি মসজিদে নামাজ পড়ান, সে কারণে ঈদের নামাজ শেষ করে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাচ্ছেন।

পাবনাগামী সুজন রায় বলেন, ঈদের আগে জ্যাম থাকে, আর আজকে কোনো জ্যাম নেই। ঈদের আগে যারা বাড়ি গেছেন লম্বা সময় লেগেছে। আর আজকে অল্প সময়ে বাড়ি পৌঁছতে পারবো। তাই ঈদের দিনে বাড়ি যাচ্ছি।

ঈদের জামাতের পর সকাল সাড়ে ৮টায় অনেক বাসের কাউন্টার খোলা হয়েছে। এলেই গাড়ির টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। এসি গাড়ির সংখ্যা কম, দুপুরের পর এসি গাড়ি বাড়বে বলে জানা গেছে।

;

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে হবে: চসিক মেয়র

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে সমাজে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নগরীর বহদ্দারহাট শাহী জামে মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী।

নামাজ আদায়ের পর ঈদ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় মেয়র বলেন, আত্নত্যাগের মাধ্যমে ভেদাভেদহীন সমাজ গড়ার যে শিক্ষা ঈদ আমাদের দেয় তা সমাজে বাস্তবায়ন করতে হবে৷ কোরবানির আত্মত্যাগের মাধ্যমে দরিদ্র শ্রেণির কষ্ট উপলব্ধির যে সুযোগ আমরা পেয়েছি সে শিক্ষাকে ধারণ করে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে লড়তে হবে৷

তিনি আরও বলেন, ঈদ শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি সবার জন্য ঐক্য ও সৌহার্দ্যের বার্তা। এই পবিত্র দিনে আমাদের সবার উচিত ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সবার সঙ্গে মিলে-মিশে আনন্দ উদযাপন করা। আমাদের সবার উচিত ঈদের এই পবিত্র উৎসবে সবার প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ প্রদর্শন করা।

ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করে আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদী এবং উন্নত বাংলাদেশ এই হোক আমাদের শপথ। আসুন আমরা সবাই মিলে ঈদের এই পবিত্র দিনকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করি।

;