ভূমিদস্যুর পেটে ময়ূর নদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
ভূমিদস্যুর পেটে ময়ূর নদ। ছবি: বার্তা২৪.কম

ভূমিদস্যুর পেটে ময়ূর নদ। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দখল আর দূষণের ফলে মৃতপ্রায় খুলনার ময়ূর নদ। খুলনা নগরীর একটি প্রবেশদ্বার গল্লামারীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা এ নদটির অস্তিত্ব আজ বিলীনের পথে। অবৈধ ভাবে দখল করে নদের গল্লামারী অংশের ব্রিজের পশ্চিম পাশে মার্কেট নির্মাণের কাজ করছে একটি মহল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় নদীর মূল অংশ গিলে খাচ্ছে ভূমিদস্যুরা।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন গল্লামারী ব্রিজের পশ্চিম পাশে ময়ূর নদের মূল অংশের প্রায় ৩০-৩৫ ফুট দখল করে বালু ও মাটি ভরাটের কাজ চলছে। শ্রমিকরা দ্রুত গতিতে বালি ও মাটি ভরাটের কাজ করছে। নদের এ অংশে মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে আলোকিত মুকুল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রকিবুল জাহিদ মুকুল।

আলোকিত মুকুল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রকিবুল জাহিদ মুকুল বলেন, ‘আমি আমার জমিতে মার্কেট তৈরি করছি। ময়ূর নদের জায়গা দখল করিনি। যদি এক ইঞ্চি জায়গাও আমার মার্কেটের মধ্যে পড়ে, তাহলে আমি সেই জায়গা ছেড়ে দেব।’

নদী দখলের ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও শুনেছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিনে তদন্তের জন্য লোক পাঠানো হয়েছিল। আমরা কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। এরপর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশনের খাল দখল ও অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান ও বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির খাল দখল মুক্তকরণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সময় নদ দখলের এমন ঘটনায় হতাশ কর্মীরা। এছাড়াও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উন্নয়নকর্মী ও পরিবেশবাদীরা।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ জামান বলেন, ‘দখল ও দূষণের কারণে ময়ূর নদ অনেক আগেই নাব্যতা হারিয়েছে। নদী ও খালের দখল দূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে হঠাৎ করে নদের পাড়ে দখলদারদের আনাগোনা বেড়েছে। এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। তাছাড়া এ নদের পানি অনেক আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে নদ রক্ষার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভূমিদস্যুরা নদ খেয়ে ফেলবে।’

উন্নয়নকর্মী জনউদ্যোগের সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথ সেন জানান, ময়ূর নদের দুই পাড় থেকেই সরকারি-বেসরকারিভাবে দখলযজ্ঞ চলছে। এ নদটিকে বাঁচাতে হলে খুলনার ২২টি খালের উপর থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে।

২২টি খালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নিরালা, মান্দার, ক্ষেত্রখালী, মতিয়াখালী, লবণচরা, তালতলা, মিস্ত্রিপাড়া, নবীনগর, ছড়িছড়া, লবণচরা গোড়া, লবণচরা গেট, সবুজ বাগ, মিয়াপাড়া পাইপের মোড়, বাস টার্মিনালের পশ্চিম পাশ, রায়ের মহল পশ্চিমপাড়া, বাস্তুহারা, গল্লামারী নর্থ, দেয়ানা দক্ষিণপাড়া, বাটকেমারী, সাহেব খালী, হাজী তমিজ উদ্দিন, নারকেলবাড়িয়া, সুড়িমারি, ডুবি, বেতবুনিয়া, দেয়ানা, তেঁতুলতলা দশগেট, হাতিয়া, মাথাভাঙ্গা, মাস্টারপাড়া, হরিণটানা, খুদে, মজুমদার, কাদের, চকমথুরাবাদ, কাস্টমঘাট, নবপল্লী, ছোট বয়রা শ্মশানঘাট, রায়ের মহল মোল্লাপাড়া ও বিল পাবলা খাল। এসব খালের অধিকাংশই প্রভাব খাটিয়ে দখল করে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা। অবিলম্বে দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি জানান তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/22/1548144131881.jpg

ময়ূর নদের অদূরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) অবস্থিত। এ নদের উপর দিয়েই প্রতিদিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী খুবি ক্যাম্পাসে যাতায়াত করে। নদের দূষণ, দখল আর দুর্গন্ধের কারণে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরাও।

গল্লামারী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা আল মামুন প্রবাল জানান, ময়ূর নদটি আগে খরস্রোতা ছিল। অবৈধ দখলদারদের কারণে ময়ূর নদ এখন খালের মতো। এ নদটি খুলনা নগরের হৃৎপিণ্ড। প্রতি মুহূর্তে দখলের কারণে নদের আয়তন সংকুচিত হচ্ছে। দূষণে পানির চেহারাও বুড়িগঙ্গার মতো কুচকুচে কালো। দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না। জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার মতো পর্যাপ্ত অক্সিজেন (ডিও) নেই এই নদে। এলাকাবাসীর পক্ষে দ্রুত নদটি রক্ষার দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী অ্যাড. বাবুল হাওলাদার জানান, মানুষের দখল-দূষণে ময়ূর নদ মৃতপ্রায়। দ্রুত নদী উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তা খুলনাবাসীর জন্য খারাপ পরিণাম বয়ে আনবে।

উল্লেখ্য, ময়ূর নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। তাতে পুরোপুরি দখল মুক্ত হয়নি নগরীর খালগুলো। এছাড়া ২০০৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অবৈধভাবে খাল দখলকারীদের মধ্যে ৮১ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ৫০টি নদী ও খালের মালিক জেলা প্রশাসন। এগুলো তদারকি করে কেসিসি।

   

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনগুলোকেও মানুষ লাল কার্ড দেখিয়ে দেবে: সরোয়ার আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার আলমগীর বলেছেন, ডামি জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনগুলোকেও মানুষ লাল কার্ড দেখিয়ে দেবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দংয়ে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মোবারক হোসেন কাঞ্চন।

সরোয়ার আলমগীর বলেন, হিন্দুস্থানে এখন দেশটির জনগণের অংশগ্রহণে প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন হচ্ছে। আর বাংলাদেশে তাদের দোসররা একতরফা নির্বাচন করছে। তবে কথিত এই নির্বাচনকে এদেশের মানুষ বরাবরের মতো লাল কার্ড দেখিয়ে দেবেন। আগামী ২১ তারিখের এই 'আমি ডামি'র নির্বাচনেও ফটিকছড়িবাসী ভোট দিতে যাবেন না।

পাইন্দং ইউনিয়ন বিএনপি'র আহ্বায়ক আবু আজম তালুকদার এর সভাপতিত্বে এসময় বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন শাহীন, আহাম্মেদ সাফা মেম্বার, শাহারিয়ার চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, মহিন চৌধুরী, জিয়াদ মাহমুদ চৌধুরী, শাহাবুদ্দিন, মোঃ পারভেজ, উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এস এম আবু মুনসুর, প্রিন্স ওমর ফারুক, যুবদল নেতা মোজাহারুল ইকবাল লাভলু, হাছান, তারেক, ওসমান, আতাউল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

;