পৌষ সংক্রান্তিতে লালবাজারে মাছের মেলা



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, সিলেট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তিনদিন ব্যাপী মাছের মেলা জমে উঠেছে। আজ (১৫ জানুয়ারি) মেলার দ্বিতীয় দিন। মেলা চলবে আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে সিলেটের লালবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি এ মেলার আয়োজন করে। মেলায় স্থানীয় জাতের মাছই বেশি চোখে পড়ে।

মেলায় মাছ ব্যবসায়ী পংখিমিয়া নিয়ে এসেছেন সামুদ্রিক মাছ পঙ্খিরাজ। এই মাছটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ টাকা। ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী নিয়ে এসেছেন সবচেয়ে বড় বোয়াল মাছ। দাম চাচ্ছেন ৪০ হাজার টাকা। বড় একটি আইড় মাছও বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। এর দাম হাঁকা হচ্ছে ৪৫ হাজার টাকা। মেলায় স্থানীয় জাতের মাছই বেশি চোখে পড়ে। সঙ্গে সামুদ্রিক নানা জাতের মাছও রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/15/1547525404509.jpg

মেলার পসরায় দেশি ভেদা, কই, মাগুর, পুঁটি, টেংরা, খৈয়া, লাটি, মলা, বাশপাতা, কাকিনা, সরপুঁটি, লাছো মাছও রাখা হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা যাতে কম দামে কিনতে পারে তাই এসব মাছও রাখা হয়েছে।

লালবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমদ জগলু জানান, বড় মাছের মধ্যে বাঘ আইড়, ঘাগট, আইড়, চিতল, সউল, গজার, রুই, কাতলা মৃগেল, ঘাসকাপ ও জাতীয় মাছ ইলিশও রয়েছে।

মাছ ব্যবসায়ী সাহিদ আলী জানান, মেলায় আসা ক্রেতারা যে যার সাধ্যমতো মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মোটামুটি ভালোই বিকিকিনি চলছে। মূলত পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মাছের মেলা বসে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/15/1547525422601.jpg

মাছ কিনতে এসে সুমন চ্যাটার্জি বলেন, ‘পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে আমাদের পরিবারে মাছ দিয়ে খাবার পরিবেশন করা হয়। তাই সবাই মাছ কিনতে আসেন। সবাই এক সঙ্গে মাছ কেনার ফলে অনেক সময় দাম চড়া হয়।’

লালবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত হোসেন জানান, ক্রেতার চাহিদা মতো মাছের সমাহার ঘটাতে মূলত এই আয়োজন। গত দুই বছর ধরে সিলেটের বন্দরবাজার লালবাজারে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

সোমবার সকাল থেকে মাছের মেলা শুরু হয়। ব্যানার ফেস্টুন আর লাইটিং করে সাজানো হয়েছে বাজার। 

   

বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বরিশাল জেলা কমিটির আয়োজনে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

রোববার (০৫ মে) সকালে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য জানা জানা গেছে।

এতে বলা হয়, উপজেলা নির্বাচনের জের ধরে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুকে হত্যার উদ্দেশ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ৪ মে বিকেলে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, পূজা উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সুরঞ্জিত দত্ত লিটু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হিরণ কুমার দাস মিঠু, বরিশাল শ্মশান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ চন্দ্র দে নাড়, অ্যাডভোকেট শুভাশিস ঘোষ বাপ্পি, বরিশাল ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আজাদ, মহিলা ঐক্য পরিষদের নেত্রী সুচিত্রা রানি, শংকর মঠ কমিটির সম্পাদক ভাষাই কর্মকার, বরিশাল যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমিত রায় প্রমুখ।

বক্তারা অতিদ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ গুরুতর আহত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উলটো দায়ের করা সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার একক আধিপত্য বিস্তারের প্রতিবাদ করায় গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহর ছেলে চারবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু ও তার ছোট ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টুকে চারবার হত্যা চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ গত ২ মে সন্ধ্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়ার সাথে বাটাজোর এলাকায় ভোট চাইতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু ও তার দুই সমর্থককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা হাসপাতালে ছুটে গেলে আহত ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই সলিল গুহ পিন্টু, মা তাপসী রানী গুহকে বেদম মারধর করে মোটরসাইকেল ও টাকা-পয়সা লুটপাট করে নেয়া হয়।

;

নেত্রকোনার হাওরে ৮৫ ভাগ ধান কাটা শেষ, খুশি কৃষক



তোফায়েল আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোনা জেলার হাওর এলাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পুরো দমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এর মধ্যে হাওর এলাকায় প্রায় ৮৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি কৃষক। 

উজান থেকে নেমে আসা বন্যার শঙ্কায় বাকি ধানগুলো দুই এক দিনের মধ্যে কেটে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। জেলা চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লক্ষ ২ হাজার ৪ শত ৪৫ মেট্রিক টন চাল। কিন্তু ফলন ভালো হওয়ায় সম্ভাব্য ১২ লক্ষ ৩৭ হাজার ২২৩ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে হাওর এলাকায় ৪১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হাওরে চাল উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৭ টন চাল। কিন্তু ফলন ভালো হওয়ায় ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। বেশিরভাগ জমিতে বি ২৮, বি -৮৮ হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে।


জেলার হাওর এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান কাটা হয়েছে মদন উপজেলার উচিতপুর হাওর, ফতেহপুর হাওর, খালিয়াজুড়ি উপজেলায় কীর্তনখোলা হাওর, লক্ষীপুর হাওর, চুনাই হাওর, কাটকাইলের হাওর,চৈতারা হাওর, লেপসাই হাওর, চৈতারা হাওর,আশাখালী হাওর, পায়া হাওর ও দৈলং সাপমারা হাওরে। এছাড়া মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা হাওর ও কলমাকান্দা উপজেলার হাওরগুলোর ধান কাটা শেষ পর্যায়ে।

দ্রুত ধান কাটার জন্য নেত্রকোনা কৃষি অধিদফতর অফিস থেকে ৭৩০ টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন হাওর এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

মদন উপজেলার ফতেহপুর হাওর এলাকার কৃষক আরিফ মিয়া বলেন, আমাদের হাওরে ধান কাটা শেষ পর্যায়ে। কিন্তু প্রচণ্ড গরম থাকার পরও পানি না থাকায় নিরাপদে ধান উঠাতে পেরেছি।

কৃষক ফয়েজ আহমেদ বলেন, শুনছি বৃষ্টি ও বন্যার সম্ভাবনা আছে এজন্য কৃষি অফিসের পরামর্শে দ্রুত ধান কেটে ফেলছি।


নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিকভাবে চাষাবাদ করায় প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও কীটনাশক সঠিকভাবে প্রয়োগ করায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওর এলাকায় প্রায় ৮৫ ভাগ ধান কেটে মাড়াই হয়েছে। বাকি ধানগুলো দুই-এক দিনের মধ্যে কাটা ও মাড়াই সম্পন্ন হবে। খুব কম সময়ে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা ও মাড়াই করা হয় বলে কৃষকরা তাদের বোরো আবাদ সহজেই ঘরে তুলতে পারছেন।

;

‘বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোহে বলেছেন, বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ভৌগোলিক মিল থাকায় চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে সহায়তা করতে চায় সিঙ্গাপুর। 

রোববার (৫ মে) সকালে টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে মেয়রে সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান। 

মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নাগরিক সেবার জন্য ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৬ টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করছে। সিঙ্গাপুর এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর পাশে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া, নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সম্ভাবনার বিকাশে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।

জবাবে সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহে বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের সফট স্পট রয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং সৎ বিধায় সিঙ্গাপুর বিভিন্ন খাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে নিয়োগ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও দিবে। বিভিন্ন দেশে সিঙ্গাপুর যে কো-অপারেশন প্রোগ্রাম চালায় তার আওতায় চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতের প্রসারে কীভাবে সহায়তা করা যায় তা বিবেচনা করবে সিঙ্গাপুর।

এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মিচেল লি, সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি' অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাইসহ সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

 

;

চাঁদা তোলার সময় পুলিশ দেখে দৌড়, আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
চাঁদা তোলার সময় পুলিশ দেখে দৌড়, আটক ২

চাঁদা তোলার সময় পুলিশ দেখে দৌড়, আটক ২

  • Font increase
  • Font Decrease

আশুলিয়ায় একটি আঞ্চলিক সড়কে রিকশা-অটোরিকশা থেকে চাঁদা তুলছিল কয়েকজন যুবক। হঠাৎ পুলিশের আগমন। পুলিশের গাড়ি দেখে দৌড় দিলে তাদের পিছু নিয়ে দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় চাঁদার টাকাও। পরে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

রোববার (০৫ মে) সকালে আশুলিয়া থানা থেকে আটককৃতদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার (০৪ মে) বিকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর সড়কের নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার মো. সুমন মিয়া (৩৬) ও ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার মো. সাগর খান (২৭)। তারা আশুলিয়ার নরসিংহপুর ও গোমাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। এ ঘটনায় পলাতক আরও ২ সহযোগী হলেন, মো. ছাগির ও নুরুল দেওয়ান। তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির মোট ২ হাজার ২ শ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা নরসিংহপুর এলাকায় রিকশা ও অটোরিকশা চালকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করত। রিকশা প্রতি তারা ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে চাঁদা আদায় করত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গেলেই পুলিশ দেখে দৌড় দিয়েছিল চাঁদা আদায়কারীরা। পরে ধাওয়া করে ২ জনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে আছি। চাঁদাবাজির যেকোনো তথ্য পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরই প্রেক্ষিতে নরসিংহপুর থেকে ২ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তাদের সহযোগীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

;