'এই তোমার লাইসেন্স দাও'



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ওবায়দুল কাদের।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ওবায়দুল কাদের।

  • Font increase
  • Font Decrease

সকাল ১১টা রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে চলছে বিআরটিএ‘র মোবাইল কোর্ট। রাজধানীতে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে বিআরটিএ নিয়মিত এ অভিযান পরিচালনা করছে।

এর ঠিক ১০ মিনিট পরেই সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মোবাইল কোর্ট পরিদর্শন করতে আসেন। মন্ত্রীর আগমনে সঙ্গে সঙ্গেই তৎপরতা বেড়ে যায় অভিযান কার্যক্রমের। এদিকে এতক্ষণে রাস্তার দুই পাশে উৎসুক জনতারও ভিড় বাড়তে থাকে।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কিছুক্ষণ বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিজেই নেমে পড়েন অভিযানে। প্রথমে মন্ত্রী হাত উঠিয়ে কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেন 'মিটারে ভাড়া নেন?'। তখন চালক যাত্রীরা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলে মন্ত্রী তখন বলেন 'ঠিক আছে চলে যান'।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547278102233.jpg

এরপর কিছুক্ষণ রাস্তায় হেঁটে মন্ত্রী এগিয়ে যান রাজধানীতে চলাচলকারী বাসের দিকে। এ সময় মন্ত্রীর পিছনে পিছনে ছুটেন বিআরটিএ‘ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও উৎসুক জনতাও।

প্রথমে মন্ত্রীর নির্দেশে থামানো হয় ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাসকে। তখন মন্ত্রী বাসের কাছে গিয়ে চালককে গিয়ে বলেন, ',এই তোমার লাইসেন্স দাও'। চালক মন্ত্রীর হাতে লাইসেন্স দিলে তিনি তা নিজ হাতে চেক করেন। পরে লাইসেন্স সঠিক পাওয়ায় তিনি চালককে বলেন, 'ঠিক আছে তুমি যাও'।

এ সময় মন্ত্রী আরও বেশ কয়েকটি বাসের চালককে লাইসেন্স ও ফিটনেসের কাগজপত্র চেক করেন। এর মধ্যে দিশারী পরিবহন একটি বাসের সামনের গ্লাস ভাঙাসহ গাড়িটি ছিল জরাজীর্ণ। তাছাড়া ফিটনেস কপির মেয়াদও শেষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547278124956.jpg

বাসের এই হাল দেখে সেতুমন্ত্রী চালককে জিজ্ঞাসা করেন, 'তোমার গাড়ির এ অবস্থা কেন?'। উত্তরে চালক মন্ত্রীকে বলেন, 'স্যার কাল রাতে একটা ট্রাক পিছন দিয়া মাইরা দিছিল তাই গ্লাস ভাইঙা গেছে, আজ ঠিক করামু।' তখন মন্ত্রী চালককে বলেন, ' মোবাইল কোর্ট থেকে জরিমানার স্লিপ নিয়ে যাও, আর যাত্রী নামিয়ে দিয়ে এসে গাড়ি নিয়ে আসবে, তোমার গাড়ি ডাম্পিং এ যাবে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এভাবেই সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রায় আধাঘণ্টা নিজে অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ফিটনেস নেই, জরাজীর্ণ গাড়ি ও মিটার বিহীন সিএনজির বিরুদ্ধে আজ সকাল ৯ টা থেকে দুইটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাত্র ২ ঘণ্টায় ৪২ টি মামলা হয়েছে। তারমধ্যে জেল হয়েছে ৩ জনের, গাড়ি জব্দ করা হয়েছে ৮টি ও জরিমানা হয়েছে ৯৭ হাজার টাকা। মাঝখানে নির্বাচন থাকায় বিআরটিএর অভিযান কিছু সময়ের জন্য স্থগিত ছিল। যে কারণে অনিয়ম বেড়ে গেছে। এ অভিযান নিয়মিত চলবে এখন থেকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547278219097.jpg

তিনি বলেন, অভিযানে যে একবারে সাফল্য এসেছে তা না, আবার অভিযানে যে কিছু ইমপ্রুভমেন্ট হচ্ছে না তাও একেবারে বলা যাবে না। এই সমস্যার সমাধান একদিনে সম্ভব হবে না। আমাদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করা দরকার, মেন্টাল কনস্ট্রাকশন টা আমাদের খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। কেউ আইন মানে না কেউই নিয়ম মানে না।

এ সময় তিনি যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, রাস্তা পারাপার হতে কি অবস্থার সৃষ্টি হয়, ছুটন্ত গাড়ির সামনে হঠাৎ ছোটাছুটি। আমাদের জনগণ ও রাস্তা পারাপারে কোনো ধরনের ট্রাফিক আইন মেনে চলেন না। তাই সে জন্য একটা ক্যাম্পেইন খুব দরকার। শুধুমাত্র আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না।

মালিকদের বিরুদ্ধে আপনারা কোনো অ্যাকশনে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নতুন আইনে অনুযায়ী মালিক হোক বা চালক সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   

নওগাঁয় বিএনপির আরও ২ নেতাকে শোকজ, এক নেত্রীকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপে নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘোড়া মার্কার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় বিএনপির দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, মুরশিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।

এছাড়া একই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করায় মমতাজ বেগমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মমতাজ বেগম পোরশা উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও নওগাঁ জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি।

এর আগে, গত শনিবার (৪ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মমতাজ বেগমকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার আদেশে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন পোরশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে মমতাজ বেগমকে বহিষ্কার করা হলো।

;

মিল্টন সমাদ্দারের কর্মকাণ্ডের দায় তার স্ত্রী এড়াতে পারেন না: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কথিত ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের কর্মকাণ্ডের দায় তার স্ত্রী এড়াতে পারেন না।

রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন ডিবি প্রধান।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, দিনের পর দিন রাতের পর রাত যেভাবে কোটি কোটি সংগ্রহ করেছেন মিল্টন, অন্যদিকে সেবা দেননি তিনি। মিল্টনের স্ত্রী একজন নার্স। তিনি নিয়মিত মিল্টনের কেয়ার সেন্টারে যেতেন। সেখানে অনিয়ম জেনেও তিনি প্রশাসনকে জানাননি। সেক্ষত্রে আমি মনে করি, এসমস্ত দায় তিনিও এড়াতে পারেন না।

তবে মিল্টন সমাদ্দারের এ সংশ্লিষ্ট লেনদেন ও ব্যাংক একাউন্টে স্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলেও জানান ডিবি প্রধান। এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদার বলেন, আমি আইনের ওপর শ্রদ্ধাশীল। আইন যেটা চাইবে, সেটাই হবে।

এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে ডিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।

তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার ‘সাইকো’তে (মানসিক রোগী পরিণত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত ‘মানবতার ফেরওয়ালা’ কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস, কীভাবে আসে, কীভাবে তিনি দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতেন এবং কেনই-বা তাদের টর্চার সেলে এনে পেটাতেন, সবকিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবিপ্রধান আরো বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন, তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন, তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত।

 

;

ময়মনসিংহ বিভাগ কোরবানির জন্য প্রস্তুত পাঁচ লক্ষাধিক পশু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
গরুর খামার

গরুর খামার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় গরু পালনকারী ও খামারিদের প্রস্তুতি শেষ।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বিভাগে কোরবানির জন্য পশু রয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮০টি। চাহিদার চেয়েও প্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪টি বেশি। ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় খামার মালিক-কর্মচারীর পাশাপাশি ঘর গৃহস্থালি গবাদিপশু পালনকারীরা।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানায়, এ বছর ময়মনসিংহ জেলায় কোরবানির জন্য ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৬টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৯৮টি।

নেত্রকোনা জেলায় কোরবানির জন্য পশু রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮২টি। চাহিদা ১ লাখ ৪ হাজার ৩৮৮টি। ঈদুল আজহা উপলক্ষে জামালপুর জেলায় গবাদি পশুর সংখ্যা রয়েছে ৯৫ হাজার ১৭০টি। চাহিদা ৫১ হাজার ৫৩১টি। শেরপুর জেলায় কোরবানির জন্য পশু রয়েছে ৮৩ হাজার ৮০২টি। চাহিদা আছে ৫৭ হাজার ৫৭৯টি।

প্রাণিসস্পদ অধিদফতরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. মনোরঞ্জন ধর বলেন, ময়মনসিংহসহ বিভাগের চার জেলায় খামারি ও কৃষক পর্যায়ে কোরবানির জন্য ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮০টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় ১ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি।

এবারও ক্রেতাদের চাহিদা ও সুবিধার কথা চিন্তা করে পশুর হাটের পাশাপাশি অনলাইনে গবাদিপশু কেনাবেচা করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া হাটগুলোতে থাকবে প্রাণিসম্পদের ভেটেনারি মেডিকেল টিম। তাই আশা করা যায়, খামারিরা ন্যায্য মূল্য পাবেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তাপপ্রবাহের কারণে গবাদিপশু যাতে অসুস্থ না হয় সেজন্য আমাদের টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করার জন্য মাঠ পর্যায়ের খামারিদের মাঝে ব্যানার, ফেস্টুন বিলি করা হচ্ছে। যাতে করে এই গরমে পশুদের সুস্থ রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

পশুপালন খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশুখাদ্যের কিছু উপকরণের দাম বেড়ে এখন দ্বিগুণের বেশি। এছাড়া ওষুধ, বিদ্যুৎ, কর্মচারীদের বেতনসহ সার্বিক উৎপাদন ব্যয় বাড়াতে বেড়েছে পশুপালন খরচ। তাই এবার গত বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর দাম একটু বাড়তে পারে।

;

‘জনগণের ভরসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণের ভরসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে তিনি একথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

;