দৃষ্টিহীনদের কৃতিত্ব



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪.কম
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও তাদের দমাতে পারেনি কোনো প্রতিকূলতা। জেএসসি পরীক্ষায় পাবনার মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ১৩ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেছে। শ্রুতি লেখকের সহায়তায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এ সকল পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অশগ্রহণ করে।

জেএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলকারী শিক্ষার্থীরা হল- কুমিল্লা জেলার নিমাই চন্দ্র দের ছেলে বাপ্পি চন্দ্র দে, রাজশাহী জেলার মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে রুবেল ইসলাম, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. আবদুল্লাহ মিয়া, নাটোর জেলা থেকে সেলিম মৃধার ছেলে আমিরুল ইসলাম মৃধা, পাবনার সুজানগর উপজেলার আজাদ শেখের ছেলে লোকমান হোসেন শেখ, পাবনার দোগাছি ইউনিয়নের মো. চাঁদ আলী শেখের ছেলে আলামিন শেখ, কুমিল্লার রাসেল আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলার মাসুদ রানা, শরীয়তপুর জেলার শাহীন আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আনসার আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন, নওগাঁ জেলার আমিনুল ইসলামের ছেলে মো. কাওসার ইসলাম, পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. আবদুস সবুর এবং বগুড়ার জাকির হোসেনের ছেলে হযরত আলী।

এদিকে পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন অন্ধ শিক্ষার্থীদের ফল আশাব্যঞ্জক দাবি করে বলেন, ‘এদেরকে সরকার সম্ভাব্য সহায়তা করবে। তাদের পাশে আছি।’

পাবনা মানবকল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন জানান, অন্ধদের লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজন ব্রেইল পদ্ধতি। অথচ দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সুযোগ নেই। এখন পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন শ্রুতি লেখকের। দরিদ্র এসব অন্ধের শ্রুতি লেখক সম্মানী তো দূরের কথা, লেখাপড়া করার ন্যূনতম আর্থিক ব্যয় নির্বাহ করার সক্ষমতা নেই। তারপরও থেমে থাকেনি এসব সংগ্রামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর শিক্ষা জীবন।

অধ্যাপক আবুল হোসেন জানান, এই দৃষ্টিহীন মেধাবীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা একার পক্ষে সম্ভব নয়, এ জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পাবনার মানবকল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তায় স্থানীয় শহীদ এম মনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয় এবং চরবলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এসব পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

   

আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২ চেয়ারম্যান ও ২ ভাইস চেয়ারম্যান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জল্পনা কল্পনা কাটিয়ে দীঘিনালায় চেয়ারম্যান পদে মো. কাশেমের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার বৈধ টিকেট পেয়েছেন ধর্ম জ্যোতি চাকমা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আপীল নিষ্পত্তিতে ধর্ম জ্যোতি চাকমার প্রার্থীতা ফেরত দেয়া হয়। একই সাথে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপীর দায়ে বাতিল হওয়া জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরার প্রার্থীতাও ফেরত দেয়া হয়। পাশাপাশি দীঘিনালা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুসময় চাকমা ও মো. মজিবর ফরাজীর প্রার্থীতা ফেরত দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও পানছড়ির উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতার যাচাই বাছাইয়ে গত ২৩ মে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ধর্ম জ্যোতি চাকমা হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। একই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুসময় চাকমা ও মো. মজিবরের হলফনামায় তথ্য গোপন করায় প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। সদর উপজেলায় ঋণ খেলাপীর দায়ে জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা নামে এক চেয়ারম্যানের প্রার্থীতার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পানছড়ির চেয়ারম্যান প্রার্থী শান্তি জীবন চাকমা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সঞ্চয় চাকমা হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান এবং ফেরারী আসামী হওয়ায় তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।

গত ২৪, ২৫ ও ২৬ মে প্রার্থীতা বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের কর্তৃপক্ষের কাছে ৬ প্রার্থী আবেদন করেন। আপীল নিষ্পত্তিতে পানছড়ির ২ প্রার্থী ছাড়া বাকী ৪ জনই প্রার্থীতা ফেরত পেয়েছেন।

আপীল নিষ্পত্তি অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অফিসার জোনায়াদ কবীর সোহাগ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌফিকুল আলম অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ এবং ২১ মে হবে দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলায় ভোট গ্রহণ।

;

চীন থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি কিনবে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ জানিয়েছেন, উৎপাদন বাড়াতে চীন থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে আরও কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানি করা হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কৃষি কাজে আমাদের হারভেস্টার চাই, পাওয়ার টিলার চাই, উৎপাদন বাড়াতে যেগুলো প্রয়োজন সেটি আমরা আমদানি করব ডিসকাউন্ট প্রাইসে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে তারা বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সহায়তা আরও বাড়াবে। আমরা চীন থেকে অনেক যন্ত্রপাতি আনছি, সেটি আরও বাড়াব।

বিপরীতে চীন বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে মিষ্টি আম নিতে তারা খুবই আগ্রহী।

তারা কি শুধু আমই নেবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমের কথা বলেছি এ জন্য যে, এটা সব দেশের মানুষেরই ভালো লাগে। তারা আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। তারা আমাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে, ফ্লাইওভার করছে। তারা অনেক কাজ করছে এ দেশে।

;

ফসলি জমি অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে না: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে তিন ফসলি, দো-ফসলি জমি অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না। কৃষি জমি নষ্ট না করে জনসংখ্যা অনুপাতে খাদ্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে এক ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হলেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রংপুর সফরে এসে সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ভূমিসেবায় হয়রানি বন্ধে মন্ত্রী বলেন, জরিপের ওপর নির্ভর করে খতিয়ান ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভূমিসেবায় ই-নামজারি, ই-খাজনা দেওয়া চালু করা হয়েছে। কোনো গ্রাহককে অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। এছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয় জড়িত। এটিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দরকার। আমরা পর্যায়ক্রমে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ভূমিসেবাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব যেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যাবে।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর শস্য ভাণ্ডার। এসব জমি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, দখল হওয়া নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় উদ্ধার সময় সাপেক্ষ ও কঠিন ব্যাপার। ডিজিটাল জরিপ অনুযায়ী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জেলা ও মৌজা অনুযায়ী খাল-বিল ও খাস জমির তালিকা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর মণ্ডল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাসেম বিন জুম্মন, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

;

নেত্রকোণায় ভারতীয় ৪০০ বস্তা চিনিসহ আটক ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোণায় ৪শ’ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ তিনজনকে আটক করেছে মডেল থানার পুলিশ। একই সাথে চিনি বহনকারী ট্রাকটিও আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নেত্রকোণার রাজুর বাজার এবিসি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে আটক করা হয়। পরে ওইদিন বিকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নেত্রকোণা পৌরসভার চকপাড়ার গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে মো. মাসুম (৪০), গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখলা গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে জায়েদ মিয়া (২২) ও একই জেলার পূবাইল উপজেলার হারবাইত গ্রামের মৃত বারেক মিয়ার ছেলে বাবু (৪৫)।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি আমদানি করে দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্রি করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

তিনি আরও জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করে সোমবার বিকেলে তাদের নেত্রকোণা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;