খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি রুবা, সম্পাদক নান্নু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ীরা /ছবিঃ বার্তা২৪

ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ীরা /ছবিঃ বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপিপন্থী দুই আইনজীবী।

রোববার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় এ নির্বাচন। সকাল থেকে টানা ভোট গ্রহণ চলে দুপুর ৩টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয় এবং শেষ হয় রাত ১ টার দিকে।

ভোট গণনা শেষে বিএনপিপন্থি সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী শেখ নুরুল হাসান রুবা সভাপতি পদে ও মোল্লা মশিউর রহমান নান্নু সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দেয় পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে বিএনপিপন্থী সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্যানেলের সরদার আব্দুল জলিল ও হালিমা আক্তার খানম, যুগ্ম-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম লিটন, লাইব্রেরি লাইব্রেরি সম্পাদক হাবিবুর রহমান মালী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জয়দেব কুমার সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।

সদস্য পদে আব্দুস সোবাহান সরদার, ফারজানা এলিজা, এস এম সাইফুর রহমান সুমন ও মোল্লা হাবিবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

অপরদিকে আ’লীগপন্থি সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেলের সদস্য পদে তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। এরা হলেন, মেহেদী হাসান, বিধান চন্দ্র ঘোষ ও শাম্মী আক্তার।

নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন ছিলেন, এড. এ এম আহমেদ উল্লাহ্, লিয়াকত আলী মোল্লা ও বেগম আক্তার জাহান রুকু।

উল্লেখ্য, আ’লীগপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও বিএনপিপন্থী সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে দু’টি প্যানেলে মোট ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

   

বেনাপোল বন্দরে অমদানি নিষিদ্ধ চিংড়ির চালান আটক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিথ্যা ঘোষণায় ভারত থেকে আমদানিকৃত সামুদ্রিক মাছের ট্রাকে বিপুল পরিমাণ চিংড়ি মাছের চালান আটক করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

সোমবার(২৯ এপ্রিল) বিকেলে বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সামুদ্রিক মাছের ট্রাকে ৪৭০ কেজি চিংড়ি আমদানি করে সরকারের ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল।

চিংড়ির চালনটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনার বুলবুল ট্রেডার্স। পণ্য চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট শহিদ ট্রেডিং কর্পোরেশন।

কাস্টমস সূত্রে জানায়, মাছের চালানটিতে ঘোষণা দেওয়া হয় ৮৭ কার্টুন মাছ। যার ঘোষিত নিট ওজন ৫ হাজার ১৭ কেজি। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ট্রাকটিতে মিথ্যা ঘোষণার ১১ প্যাকেজ মাছ বেশি পায়। আমদানিকৃত চিংড়ি মাছের চালানে ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো: আব্দুল হাকিম জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভারত থেকে আমদানি করা একটি সামুদ্রিক মাছের চালানের ট্রাকে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি করে ঘোষণা অতিরিক্ত ১১ প্যাকেজে ৪৭০ কেজি বড় আকারের চিংড়ি মাছ আটক করা হয়েছে। আমদানিকারকের বিন লক করা হবে এবং সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হবে জানান তিনি।

জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৈধপথে যাতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি বা অবৈধ পণ্য প্রবেশ না করে এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য প্রবেশ দ্বারে একটি মোবাইল স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। তবে এ স্ক্যানিং মেশিনটি দীর্ঘ ৭ মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলেও সেটি এখনও মেরামত হয়নি। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ বন্দর দিয়ে বৈধ পথে অনিয়ম বেড়েছে। এর আগেও এ ধরনের পণ্য চালান একাধিবার আটক করেছে কাস্টমস। তবে ঘটনার সাথে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক বা সহযোগী কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেনতেন দায়সারা ব্যবস্থা নেওয়ায় থামছেনা এসব অনিয়ম।

সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় নিরাপদ বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে কাস্টমস কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

;

'পেনশন অ্যান্ড রিটায়ার্ড সার্ভিস' সেকশন চালুর ঘোষণা দিলেন ডিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিএমপি থেকে অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের অবসর পরবর্তী সকল সেবা নির্বিঘ্ন করতে পেনশন অ্যান্ড রিটায়ার্ড সার্ভিস নামে নতুন একটি শাখা চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার নতুন এই শাখা চালুর ঘোষণা দেন।

বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোপূর্বে অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের পেনশন পাওয়া অনেক কষ্টকর ছিলো। তখন তাদের সেবা সহজ করার জন্য ডিএমপিতে ‘ওয়ান স্টপ পেনশন সার্ভিস’ চালু করা হয়। এরপরও কিছু সদস্যের পেনশন পেতে কমিশনারের দপ্তরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। এ কারণে ডিএমপির ‘ওয়ান স্টপ পেনশন সার্ভিস’ এর সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি এখন থেকে যারা অবসরে যাবেন তাদের অবসরকালীন সময় পুলিশী সেবা সংক্রান্ত যেকোনো সহযোগিতার ক্ষেত্রে ‘পেনশন অ্যান্ড রিটায়ার্ড সার্ভিস সেকশন’ দায়িত্ব পালন করবে। তাদের সকল সেবা নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে ডিসি হেডকোয়ার্টার্সের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে এই শাখা।

অবসরপ্রাপ্ত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা দীর্ঘদিন এদেশের জন্য, এদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছেন। চাকুরি জীবনে আপনাদের ত্যাগ, কষ্ট ও অবদান পুলিশ বাহিনী বিনয়ের সাথে স্মরণ করবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের চাকরি কেবল চাকরি নয়, এটি একটি ইবাদত বটে। সকল ধর্মে মানবতার সেবা ও প্রাণীর সেবা করার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ তেমন একটা চাকরি, যেখানে চাকরি করার সুবাদে মানষের সেবা করার সুযোগ রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর কখন ঘুমাতে যাবেন ঠিক থাকে না, ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি কাজ মানুষের সেবার জন্য করেন। এটি যদি নিয়ত নিয়ে করেন তাহলে চাকরির পাশাপাশি ইবাদতও হয়। আপনারাও এই মহান পেশা থেকে চাকরি জীবন শেষ করে অবসর নিয়েছেন। আমি আপনাদের সকলের সুস্থতা ও দীর্ঘ আয়ু কামনা করি।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেন, আপনাদের দীর্ঘ দাপ্তরিক জীবন থেকে একটি সফল সমাপ্তি ঘটলো। আপনারা বাকী সময়টুকু পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে সুস্থতার সাথে বসবাস করবে এমন প্রত্যাশা রইল। আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মুনির হোসেন চৌধুরী তার অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘদিন সুনামের সাথে বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি করেছি। অবসর গ্রহণ করাটা চাকরির একটি অংশ। এমন সুন্দরভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ডিএমপি কমিশনার মহোদয়কে ধন্যবাদ।

অবসরপ্রাপ্ত কনস্টবল রইস উদ্দিন তার অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন পুলিশের চাকরি করে খুব সুন্দর ও আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছি। এই স্মৃতি বাকি জীবন আমার স্মরণ থাকবে। ভালোভাবে সুস্থতার সাথে অবসর যেতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।

বাংলাদেশ পুলিশে দীর্ঘ কর্মময় জীবন শেষে সম্প্রতি ডিএমপি থেকে অবসর নিয়েছেন ১৯৬ জন পুলিশ সদস্য। আজ তাঁদেরকে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় সংবর্ধনা দেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। বিদায়ী পুলিশ সদস্যদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ও উপহার প্রদান করেন তিনি। অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার দুইজন, সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার ১৩ জন, পুলিশ পরিদর্শক ২৫ জন, এসআই/টিএসআই ২৭ জন, এএসআই জন/এটিএসআই ১৮ জন, নায়েক ১৯ জন, কনস্টেবল ৮৭ জন ও সিভিল স্টাফ ৫ জন।

ঢাকার বাইরে থেকে যারা বিদায় সংবর্ধনায় এসেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের পক্ষ থেকে তাদের জন্য যাতায়াতের ব্যবস্থাও করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

;

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগ কর্তৃক শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীর পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র, মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়।

তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান মন্ত্রী। শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্ম আগামীতে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক মো. জাফর ওয়াজেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে যারা জড়িত ছিলো তাদের বেশিরভাগই পাকিন্তান আর্মি ফেরত। যদিও এদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো, তথাপি তারা পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখার বিষয়।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর দেশরক্ষার জন্য গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ছিলো আরও একটি যুদ্ধ। এ যুদ্ধে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সমুন্নত হয়েছে, এ যুদ্ধে যুবলীগ সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।

বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের তুলনায় অনেক ছোট ছিলো। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ। অথচ এই জাতিকে তারা শোষণ ও নির্যাতন করে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিলো। এজন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পিছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান শেখ ফজলে শামস পরশ।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু একাডেমির সহ-সভাপতি এমরান হোসেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সৎ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান তৃতীয়। মানবিকতায়ও তিনি নন্দিত রাষ্ট্রনায়কের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। বিশ্বের যে ক’জন নেতাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্ব দেয় তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা অন্যতম। দেশবাসীর নিকট তিনি আশার বাতিঘর হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, সফল নেতৃত্বের সকল বৈশিষ্ট্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মাঝে রয়েছে। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়েন। তাকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাকে ১৯ বার প্রকাশ্যে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কখনোই ভেঙে পড়েননি, মনোবল হারাননি। মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার চিত্ত সর্বদা ভয়শূন্য।

;