রোগী ও নারী যাত্রীদের দুর্ভোগের এক বছর



মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর: মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সরাসরি বাস চলাচল। ফলে দুঃসহ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে যাত্রীরা। বিশেষ করে হাসপাতালগামী রোগী ও নারী যাত্রীদের কষ্টের সীমা নেই। কুষ্টিয়া জেলার অংশে সড়কের বেহাল দশার কারণে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা মেহেরপুর থেকে রাজধানী ও উত্তরবঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া লোকাল বাসের পাশাপাশি দূরপাল্লার বাসও চলাচল করে। সাধারণ মানুষের সাশ্রয়ী বাহন এই বাস। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই সড়কে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে।
আগে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে দুই জেলার বাস মালিক সমিতির বাস চলাচল করত। তখন মেহেরপুর থেকে প্রতি ১০ মিনিট পর পর একটি করে বাস কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যেত এবং একটি করে বাস মেহেরপুর পৌঁছাত। ফলে ৬০ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই সড়কে যাত্রীরা সহজেই বাস পেত।

কিন্তু প্রায় এক বছর আগে থেকে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে মেহেরপুর স্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে জেলার সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়ার খলিশাকুন্ডি বাজারে গিয়ে যাত্রী নামিয়ে দেয়। ওই যাত্রীরা খলিশাকুন্ডি থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসে ওঠে। মূলত দুই জেলার মধ্যবর্তী স্থান খলিশাকুন্ডিতে বাস স্টপেজ গড়ে উঠেছে। দুই জেলার মালিক সমিতির বাস সেখান থেকে নিজ নিজ জেলার মধ্যে আলাদাভাবে চলাচল করছে। এতে যাত্রীদের কপালে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।

খলিশাকুন্ডি লোকাল বাসের সময় নিয়ন্ত্রক (স্টাটার) আসাদুজ্জামান বাবু জানান, কুষ্টিয়া থেকে খলিশাকুন্ডি পর্যন্ত দীর্ঘ সড়ক পথ চলাচলের অযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত তৈরি হয়ে আছে। কিন্তু রাস্তা ঠিক না হওয়ায় সরাসরি বাস চলাচল করছে না। যাত্রী দুর্ভোগ দেখে নেতাদের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/27/1538033934496.jpg
মেহেরপুর জেলার একটি বাসের চালক শামীম রেজা বলেন,‘লোকাল বাস মালিক সমিতির বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া পৌঁছাতে হয়। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে আমরা ঠিক সময়ে কুষ্টিয়া পৌঁছাতে পারি না। এতে ফিরে আসার নির্ধারিত ট্রিপ হাতছাড়া হয়ে যায়। ফলে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়। এ কারণে মালিক সমিতি সরাসরি বাস চালাচ্ছে না।’

কুষ্টিয়ার একটি বাসের চালক সুমন হোসেন বলেন,‘রাস্তার বেহাল দশার মধ্যে চালাতে গিয়ে বাসের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। নিজেদের আয় ও যাত্রীদের দুর্ভোগ বিবেচনায় রেখে মালিকরা বাস চালাচ্ছে। রাস্তার যে অবস্থা তাতে এ সড়কে বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার কথা।’

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র গাংনীর মিনারুল ইসলাম ও মেহেরপুরের জান্নাতুল আক্তার বিউটি বলেন,‘মধ্যবর্তী স্থানে বাস পরিবর্তন করতে গিয়ে অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে আমরা ঠিক সময়ে কলেজে যেতে পারছি না। পরীক্ষার দিনগুলোতে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রী আমাদের মতোই মেহেরপুর থেকে যাতায়ত করে।’

এদিকে রোগী পরিবহনে চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গরীব মানুষের একমাত্র বাহন হচ্ছে বাস। ছোট ছোট যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সে খরচ বেশি হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রোগী নিয়ে যায় বাসে। কিন্তু মধ্যবর্তী বাস পরিবর্তনের ফলে রোগীরা যেমন অসহনীয় যন্ত্রণার শিকার হচ্ছে তেমনি বেড়ে যাচ্ছে খরচ।

মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়াগামী নারী যাত্রী মুক্তা বলেন,‘মধ্যবর্তী স্থানে বাস পরিবর্তন করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় হয়রানির শিকার হতে হয়। এছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারি না।’

সরাসরি বাস চলাচল শুরুর বিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন,‘রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় সরাসরি বাস চলাচল করছে না বলে মালিক সমিতি আমাকে জানিয়েছে। আমি দুই জেলার মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। জনগণের স্বার্থে পুনরায় সরাসরি বাস চলাচলের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। রাস্তা সংস্কার হচ্ছে। অচিরেই আমরা বাস চলাচল স্বাভাবিক করতে পারব।’

   

সেপটিক ট্যাংক খননের সময় মাটিচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক খননের সময় মাটিচাপা পড়ে আজিম উদ্দিন (৪৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের নাওভাঙা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজিম উদ্দিন উপজেলার পার্থশী ইউনিয়নের রৌহার কান্দা গ্রামের মৃত গেদু সেখের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সদর ইউনিয়নের নাওভাঙা এলাকায় রফিকুল ইসলামপুরের বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খুঁড়তে চারজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। প্রায় ৩০ ফিট খননের পর আকস্মিক বালু ধসে আজিম উদ্দিন নিচে চাপা পড়েন। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে তারা এসে দীর্ঘসময় চেষ্টা করে আজিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে।

ইসলামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বালু ভরাট করা একটি জায়গায় সেপটিক ট্যাংক খনন করার সময় ধসে যায়। এতে চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

;

নোঙর করা ট্রলারে আরেকটির ধাক্কা, জেলে নিখোঁজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার পাথরঘাটা লঞ্চঘাটের খালে নোঙর করা এফবি সাফওয়ান-১ ট্রলারে এফবি তূর্ণা ট্রলারের ধাক্কা লেগে মনির হোসেন (৩০) নামের এক জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিস স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

রোববার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের লঞ্চঘাটের খালে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ জেলে লক্ষ্মীপুর জেলার হাফিজুল্লাহ ওরফে হাফেজের ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলে মনির হোসেনকে পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষ্যদর্শী জেলে কামাল হোসেন জানান, এফবি তূর্ণা ও এফবি সাফওয়ান ট্রলার দুটি পাথরঘাটা লঞ্চঘাটে নোঙর করা ছিলো। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এফবি তূর্ণা ট্রলারটি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় পাশে থাকা এফবি সাফওয়ান ১ ট্রলারের চুকানের ধাক্কা লেগে খালের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন মনির হোসেন। এরপর থেকেই স্থানীয় লোকজন খালে জাল ফেলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে উদ্ধারে কাজে অংশ নেন।

ফায়ার সার্ভিসের পাথরঘাটা স্টেশন লিডার মো: রুহুল কুদ্দুস বলেন, আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। গতকাল একজন শিশু নিখোঁজ থাকার পর আমাদের ডুবুরিদল এসে উদ্ধার করে সকালে চলে গিয়েছিল। তারা পটুয়াখালী পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে। তখন আবারো ফোন দিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

;

বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বরিশাল জেলা কমিটির আয়োজনে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

রোববার (০৫ মে) সকালে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য জানা জানা গেছে।

এতে বলা হয়, উপজেলা নির্বাচনের জের ধরে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুকে হত্যার উদ্দেশ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ৪ মে বিকেলে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, পূজা উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সুরঞ্জিত দত্ত লিটু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হিরণ কুমার দাস মিঠু, বরিশাল শ্মশান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ চন্দ্র দে নাড়, অ্যাডভোকেট শুভাশিস ঘোষ বাপ্পি, বরিশাল ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আজাদ, মহিলা ঐক্য পরিষদের নেত্রী সুচিত্রা রানি, শংকর মঠ কমিটির সম্পাদক ভাষাই কর্মকার, বরিশাল যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমিত রায় প্রমুখ।

বক্তারা অতিদ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ গুরুতর আহত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উলটো দায়ের করা সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার একক আধিপত্য বিস্তারের প্রতিবাদ করায় গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহর ছেলে চারবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু ও তার ছোট ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টুকে চারবার হত্যা চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ গত ২ মে সন্ধ্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়ার সাথে বাটাজোর এলাকায় ভোট চাইতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু ও তার দুই সমর্থককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা হাসপাতালে ছুটে গেলে আহত ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই সলিল গুহ পিন্টু, মা তাপসী রানী গুহকে বেদম মারধর করে মোটরসাইকেল ও টাকা-পয়সা লুটপাট করে নেয়া হয়।

;

নেত্রকোনার হাওরে ৮৫ ভাগ ধান কাটা শেষ, খুশি কৃষক



তোফায়েল আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোনা জেলার হাওর এলাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পুরো দমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এর মধ্যে হাওর এলাকায় প্রায় ৮৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি কৃষক। 

উজান থেকে নেমে আসা বন্যার শঙ্কায় বাকি ধানগুলো দুই এক দিনের মধ্যে কেটে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। জেলা চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লক্ষ ২ হাজার ৪ শত ৪৫ মেট্রিক টন চাল। কিন্তু ফলন ভালো হওয়ায় সম্ভাব্য ১২ লক্ষ ৩৭ হাজার ২২৩ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে হাওর এলাকায় ৪১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হাওরে চাল উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৭ টন চাল। কিন্তু ফলন ভালো হওয়ায় ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। বেশিরভাগ জমিতে বি ২৮, বি -৮৮ হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে।


জেলার হাওর এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান কাটা হয়েছে মদন উপজেলার উচিতপুর হাওর, ফতেহপুর হাওর, খালিয়াজুড়ি উপজেলায় কীর্তনখোলা হাওর, লক্ষীপুর হাওর, চুনাই হাওর, কাটকাইলের হাওর,চৈতারা হাওর, লেপসাই হাওর, চৈতারা হাওর,আশাখালী হাওর, পায়া হাওর ও দৈলং সাপমারা হাওরে। এছাড়া মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা হাওর ও কলমাকান্দা উপজেলার হাওরগুলোর ধান কাটা শেষ পর্যায়ে।

দ্রুত ধান কাটার জন্য নেত্রকোনা কৃষি অধিদফতর অফিস থেকে ৭৩০ টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন হাওর এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

মদন উপজেলার ফতেহপুর হাওর এলাকার কৃষক আরিফ মিয়া বলেন, আমাদের হাওরে ধান কাটা শেষ পর্যায়ে। কিন্তু প্রচণ্ড গরম থাকার পরও পানি না থাকায় নিরাপদে ধান উঠাতে পেরেছি।

কৃষক ফয়েজ আহমেদ বলেন, শুনছি বৃষ্টি ও বন্যার সম্ভাবনা আছে এজন্য কৃষি অফিসের পরামর্শে দ্রুত ধান কেটে ফেলছি।


নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিকভাবে চাষাবাদ করায় প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও কীটনাশক সঠিকভাবে প্রয়োগ করায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওর এলাকায় প্রায় ৮৫ ভাগ ধান কেটে মাড়াই হয়েছে। বাকি ধানগুলো দুই-এক দিনের মধ্যে কাটা ও মাড়াই সম্পন্ন হবে। খুব কম সময়ে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা ও মাড়াই করা হয় বলে কৃষকরা তাদের বোরো আবাদ সহজেই ঘরে তুলতে পারছেন।

;