প্যারাসেইলিং করে আকাশে উড়লেন ছাত্রলীগ সভাপতি
সমুদ্রের ওপর খোলা আকাশে ক্ষণিক রোমাঞ্চকর সময় কাটালেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজানুল হক চৌধুরী শোভন। কক্সবাজার হিমছড়ির অদূরে দরিয়ানগর সৈকত থেকে প্যারাসূটে উড়ে যান তিনি। মিনিট পাচেক সমুদ্রের ওপরে উড়াউড়ি শেষে আবার সৈকতে নামেন। সমুদ্রের বিশালতা আর একপাশে পাহাড়ের সবুজেঘেরা অসাধারণ অরণ্য দেখেছেন বলে জানান।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে শোভন দরিয়ানগর বিচে ‘ফানফেস্ট বিচ অ্যাটিভিটিস’-এর এ প্যারাসেইলিং উপভোগ করেন। প্যারাসেইলিং করার পর সেখানে ওয়াটার বাইক রাইড দেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
সাম্প্রতিক কালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্যারাসেলিং পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। একপাশে পাহাড় অন্যপাশে সাগর ঘেঁষে মেরিন ড্রাইভে চলতে গিয়েই চোখে পড়ে আকাশে উড়াউড়ির এমন দৃশ্য।
অনেকেই রোমাঞ্চকর আকাশ যাত্রার স্বাদ নিতে প্যারাস্যুট রশি গায়ে বেঁধে উড়াল দেন। আকাশ থেক সমুদ্র ও পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখার এ মাধ্যম প্যারাসেইলিং।
বাংলাদেশে কেবল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দরিয়ানগর ও হিমছড়িতে আকাশে উড়ার এই সুযোগ মিলে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, প্যারাসেইলিং ইনস্ট্রাকটরের প্রয়োজনীয় বার্তা শুনে রশি বেঁধে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন আকাশের দিকে ওঠে যান।
তারপর পাখির চোখের মত নিচের দিকে চেয়ে দেখেন সমুদ্রের বিশালতা। আর আরেকপাশে পাহাড়ের সবুজ অরণ্য।
দরিয়ানগরে ‘স্যাটেলাইট ভিশন’ এবং হিমছড়িতে ‘ফানফেস্ট’ নামে একই মালিকানাধীন দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন পর্যটকদের এ অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ করায়।
ছাত্রলীগ সভাপতি প্যারাসেইলিং উপভোগ ছাড়াও মেরিন ড্রাইভ সড়ক ঘুরে দেখেন। পরে রাতে ছাত্রলীগের কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানা ছাএলীগদের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
প্যারাসেইলিং প্রতিষ্ঠান ফানফেস্টের কর্মীরা জানান, তাদের কাছে ‘সেফটি ফার্স্ট’। এ কারণে আবহাওয়া অনুকূল না হলে প্যরাশ্যুট উড়ানো হয় না। সে সময় অনেকেই এসে মন খারাপ করে ফিরে যান। কেউ কেউ সারাদিন অপেক্ষা করেন। কেউ কেউ পরের দিন বা তার পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
এখন ‘ফানফেস্ট ও স্যাটেলাইট ভিশন’ কক্সবাজারে প্যারাসেইলিংয়ের ২ টি প্যাকেজ করে থাকে। একটি হলো ‘ফান প্যারাসেইলিং এবং অন্যটি সুপার ফান প্যারাসেইলিং। এছাড়াও এখানে রয়েছে বোট রাইডিং, জেট স্কি, বিচ বাইক, এবং ক্যান্ডেল-লাইট ডিনার করার সুযোগ।
ফান প্যারাসেইলিং এর ক্ষেত্রে সমুদ্র সৈকত থেকে দুই কিলোমিটারের একটি চক্কর দেয়া হয়। আর সুপার ফান-এ বিচ থেকে ফ্লাই করিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের সাড়ে চারশ’ ফুট ওপরে তোলা হয়। সেখান থেকে আবার সি-টাচ বা সমুদ্রে পা ভিজিয়ে দিয়ে আবার ৪শ’ ফুট তুলে আরো দেড়কিলোমিটার রাইড দিয়ে ফের বিচে নামিয়ে আনা হয়।
১৫শ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে রাইড উপভোগ করা যায়।