মোশাররফকে ছেড়ে মেয়র নাছিরের হাত ধরলেন ছালাম



আবদুস সাত্তার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। মোশাররফের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছালাম মেয়র নাছিরের সঙ্গে হাত মেলানোয় মোশাররফ শিবিরে দেখা দিয়েছে ভাঙনের সুর। যদিও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের দাবি, আবদুচ ছালাম মেয়র নাছিরের হাত ধরায় তার উপর কোনো প্রভাব পড়বে না ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনেই। এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সে হিসেবে মোশাররফ হোসেনের বাইরে গিয়ে কোন কিছু করা সম্ভব ছিল না ছালামের। এবার মোশাররফ থেকে বের হয়ে যাওয়ায় গণপূর্ত বিভাগের চলমান প্রকল্প গুলো থমকে যাবে কিনা- এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সুত্র মতে, মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে চাপা বিরোধ চলে আসছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের। সে হিসেবে ছালাম মোশাররফের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে মেয়রের সঙ্গে তারও বিরোধ চলতে থাকে। এ বিরোধের জের ধরে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সমন্বয় সভায় উপস্থিত থাকতেন না সিডিএর চেয়ারম্যান ছালাম।

এদিকে গত সোমবার নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের মধ্যস্থতায় (ছালাম- নাছির) দুই নেতা বসেছিলেন এক টেবিলে। সঙ্গে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও।

নগর ভবনে এ বৈঠকের পরে আওয়ামী লীগ ঘরোয়া সমর্থকদের মাঝেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। শহরজুড়ে “টক অব দ্যা টাউনে” পরিণত হয় এ বৈঠক।

জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। তাই মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন জরুরি। আবার চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে সিটি করপোরেশনের মেয়রও চান তাদের মাঝে রাজনৈতিক দূরত্ব কমে আসুক। ফলে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দূরত্ব ঘুচিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে একসঙ্গে পথচলার বার্তা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান মো.আবদুচ ছালাম। মেয়র নাছির নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ছালাম একই কমিটির কোষাধ্যক্ষ।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছালাম আমার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হলেও আমার কাছ থেকে ‘ছালাম’ চলে গেলে আমার কিছুই আসে যায় না। ছালাম আমার অনুসারী হবে এমন কোন কথা নেই। আমরা সবাই শেখ হাসিনার অনুসারী, বঙ্গবন্ধুর অনুসারী।

ছালাম-নাছিরের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে তালে মাতাল জাতে ঠিক, এর নাম আওয়ামী লীগ। সুতরাং কে কোন দিকে যাবে সেটা মুখ্য নয়, মূখ্য হলো আওয়ামী লীগ।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সভা শেষে মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যান হাত ধরাধরি করে সম্মেলন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।

প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলে আসছিলেন, সিডিএ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করছে না। এতে নগরীতে জনদুর্ভোগ হচ্ছে বলেও মত ছিল মেয়রের।

সমন্বয়হীনতা নিয়ে গত ২১ জুন দলীয় সভায় নাছির ও ছালামের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। এরপর সিডিএ চেয়ারম্যান ২৪ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সমন্বয় সভায়ও অনুপস্থিত থাকেন। পরে আর কোন সমন্বয় সভাতেও উপস্থিত ছিলেন না ছালাম।

তবে সোমবারের সভায় মেয়র দাবি করেছেন, তাদের মধ্যে কোন সমন্বয়হীনতা ছিল না। আর ছালামের দাবি, মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার কোন দূরত্বে নেই।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, সামনে নির্বাচন তাই আমাদের ছোটখাট মনোমালিন্যগুলো দূর করা দরকার। প্রধানমন্ত্রীও চান দলীয় মতভেদ দূর করার জন্য। তাই আমিও সানন্দে হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। কারণ চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য তা দরকার।

মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের মন্তব্যের বিষয়ে নাছির বলেন, তিনি মন্ত্রী, তিনি যা ইচ্ছা তাই বলতে পারেন। আমি ছালাম ভাইকে সঙ্গে পেয়েছি সেটাই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই। তাই আগামী নির্বাচনের পরে ছালাম আমার সঙ্গে না থাকলেও আশ্চর্য হবো না।

আবদুচ ছালাম বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্বের কোন সুযোগ নেই। মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবেই আমি সিডিএ চেয়ারম্যান হয়েছি। সুতরাং কে কি বললো সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। ‘যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের মেসেজ দেওয়ার জন্য আমরা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা বসেছি।

এ ব্যাপারে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য সমন্বয় প্রয়োজন। সেটা রাজনীতির ক্ষেত্রে হোক, উন্নয়নের ক্ষেত্রে হোক। দলের মধ্যে কখনো বিভেদ ছিল না। একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়ত থাকতে পারে। এখন সবাই দলকে এগিয়ে নিতে এবং উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে এক সঙ্গে কাজ করবে।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;