সড়কে প্রশাসনিক নৈরাজ্য বন্ধে হুঁশিয়ারি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সড়কে প্রশাসনিক নৈরাজ্য বন্ধে হুঁশিয়ারি। ছবি: বার্তা২৪.কম

সড়কে প্রশাসনিক নৈরাজ্য বন্ধে হুঁশিয়ারি। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম: বৈধ কাগজপত্র, লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও চালকের বিরুদ্ধে বিআরটিএসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানকে প্রশাসনিক নৈরাজ্য ও অর্থ বাণিজ্য বলে দাবি করেছে বিভিন্ন পরিবহন সংগঠনের নেতারা।

একই সঙ্গে সড়কে শৃঙ্খলা, মালিক-শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ ও যাত্রীসেবা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করে সংগঠনটি। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবিসমূহ পূরণ না হলে চট্টগ্রামে সকল প্রকার পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে সড়কে নিরাপত্তা ও চালকদের বিরুদ্ধে বিআরটিএসহ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ। চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ।

লিখিত বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময়েও আমাদের অনেক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ ও মৃত্যুর পরেও আমরা ঝুঁকি নিয়ে পরিবহন ব্যবস্থা সচল রেখেছি। এতে দেশের অর্থনীতি সচল ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা ব্যথিত, মর্মাহত ও চিন্তিত। কিন্তু এ সময়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের অজুহাতে বিআরটিএ, জেলা, সিএমপি (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) ও হাইওয়ে পুলিশ মামলা দিয়ে কোটি কোটি আদায় ও রিমান্ড দিচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দোহাই দিয়ে বিআরটিএ, নামসর্বস্ব নেতার কুপরামর্শে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানিতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আবুল কালাম আজাদ।

এছাড়াও যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া রাতারাতি মোটর ভেহিকেল অধ্যাদেশ ২০১৮ আইন পাস হলে সারাদেশের পরিবহন মালিক, শ্রমিকরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেও উল্লেখ করেন।

এ সময় তিনি ছয়টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিসমূহ হল- সাম্প্রতিক সময়ে সংসদে উত্থাপিত মোটর ভেহিকেল অধ্যাদেশ ২০১৭-১৮ আইন পাস হওয়ার পূর্বে যাত্রী সাধারণ, মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ১৯৮৩ সালের আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বলবৎ রাখা, বিনা দোষে মালিকের রিমান্ড না দেওয়া, বিআরটিএ ফিটনেস ও পারমিট নবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি বন্ধ এবং গণ ও পণ্য পরিবহনে আয়কর বৈষম্য দূর করা, গাড়ির ইকোনমিক লাইফের অজুহাতে ফিটনেস, পারমিট বন্ধ না রাখা এবং কাগজপত্র বিহীন গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গণ ও পণ্য পরিবহন টো/ ডাম্পিং না করা, গণ ও পণ্য পরিবহনের গাড়িকে কেইজ স্লিপের মেয়াদ থাকাকালীন পুনরায় মামলা না দেওয়া এবং সড়কে, মহাসড়কে ও উপসড়কে টেম্পু, সিএনজি, থ্রি হুইলারসহ সকল অননুমোদিত গাড়ি পুরোপুরি বন্ধ করা, সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, গণ ও পণ্য পরিবহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফসহ ন্যূনতম ছয় মাস সময় দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের জ্যেষ্ঠ সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন,‘বিদ্যমান অবস্থার পরিপেক্ষিতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ না করে একই গাড়িকে তিনবার মামলা, মালিক ও শ্রমিকদের রিমান্ড, জেল জুলুম দেওয়া হচ্ছে। যা মরার ওপর খড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান আশা করি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের কার্যকরী সভাপতি জহুর আহম্মদ, অতিরিক্ত মহাসচিব গোলাম রসূল বাবুল, মাহবুবুল হক, মোজাফর আহমদ, আমীর পারভেজ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ প্রমুখ।

   

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: সিলেটে কেন্দ্রে ভোটার আনাই চ্যালেঞ্জ প্রার্থীদের



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাত পোহালেই সিলেটে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চারটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এ চার উপজেলায় তিনটি পদে মোট ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শেষ মুহূর্তে এসে এখন আলোচানার টেবিলে চলছে ভোটের হিসেব-নিকাশ। ভোটের দিন যে প্রার্থী যত বেশি ভোটার কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন সেই প্রার্থী পড়বেন বিজয়ের মালা। ভোটারদের কেন্দ্র আনাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। তাই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন প্রার্থীরা। বিশেষ করে অঞ্চল ভিত্তিক ভোটার আনার চেষ্টা করবেন তারা।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া ভোটের দিন চারটি উপজেলায় আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, প্রথম ধাপে সিলেট জেলার সদর, দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চার উপজেলায় ৮ লাখ ১৪ হাজার ৫২ ভোটার রয়েছেন। তিনটি পদে মোট ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন লড়ছেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। আর বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং ৩জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াইয়ে আছেন।

এদিকে, ভোটের দিন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা। সিলেটের চারটি উপজেলার মধ্যে মাত্র শুধু বিশ্বনাথে অংশগ্রহণ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বাকি সবগুলো উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীই প্রার্থী। তাই ভোটার উপস্থিত নিয়ে রয়েছে তাদের মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে ভোটারদের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরেছেন প্রার্থীরা। নিজ অঞ্চলের ভোটের বিষয়টি প্রাধন্য দিয়েছেন তারা।

প্রার্থীরা বলছেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিত ছিল তুলনামূলক কম।তাই তারা এবার ভোটারদের কেন্দ্রমুখী বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা করেছেন। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের কাজ করেছেন। এছাড়াও ভোট কেন্দ্রে নারী নিয়ে আসতে ছুটে ঘিয়েছেন ঘরে ঘরে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভোটে আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য, সাড়ে তিন হাজারের বেশি আনসার সদস্য ও ৪জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এর বাইরে বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যরাও মাঠে থাকবে। চারটি উপজেলায় ৩০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এরমধ্যে ১৭৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ধরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছে সিলেট জেলা ও সিলেট মহানগর পুলিশ( এসএমপি)। এসএমপির আওতাধীন সদরে ৬২ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ও দক্ষিণ ‍সুরমার ৬৩টি কেন্দ্রের ৩৯টি ঝুঁকিপূর্ণ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর জেলার দুই উপজেলায় ৯০টি ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়েছে। তন্মধ্যে গোলাপগঞ্জে ১০৩টি কেন্দ্রের ৬৩টি ও বিশ্বনাথে ৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ২৭টি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভোটার উপস্থিত নিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনে মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ ছিলো না।তাই ভোটের দিন ভোটার উপস্থিত ছিল কম। কিন্তু যেহেতু এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন তাই প্রত্যেকে তার নিজ এলাকাসহ অঞ্চল ভিত্তিক ভোটে জোর দিয়েছেন বেশি। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি প্রতিটি এলাকায় যোগাযোগ করার। এখন দেখি বাকিটা ভোটার উপর ভিত্তি করছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য নির্বাচন থেকে এবারের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিত বেশি হবে বলে আমার ধারণা। কেননা আমাদের কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লা গিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে এসে ভোটপ্রদানের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় তরুণ ভোটারদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।কারণ তরুণরাই যাচাই-বাচাই করে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করবে। আমি আশা করি আমাকে উপজেলাবাসী ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

ভোটের দিন বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক দীলিপ বৈষ্ণব। তিনি বলেন, যে চারটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেগুলোতে দিনের বেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো বিশৃঙখলা তৈরি করার চেষ্টা করলে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও চার উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতি প্রার্থীদের উপর নির্ভর করছে। তারা জনগণের সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত হতে পেরেছেন এবং প্রচার প্রচারণা করেছেন তা ভোটারদের উপস্থিতি বলে দেবে।

;

ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার ৬ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষিখাত, ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ আনুমানিক ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফেনী জেলাপ্রশাসন।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে ফেনীর আকাশে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা পড়ে বন্ধ থাকে মহাসড়কের যান চলাচল। ভেঙে যায় বহু এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তায় পড়ে যায় বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং অতিবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার ফলে নুইয়ে পড়ে ফসলী জমির ধান। ঝড়ের প্রভাবে জেলার ৬ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারন করেছে জেলাপ্রশাসন।

মঙ্গলবার (৭ মে) জেলাপ্রশাসনের ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অধীন ছয়টি উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী জেলাজুড়ে আনুমানিক ৫৫৭ টি ঘরবাড়ি কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তবে ঝড়ে কোন নিহত বা উল্লেখযোগ্য ভাবে আহতের তথ্য নেই বলে জানান তারা।

একই সূত্র জানায়, ঝড়ের প্রভাবে জেলায় প্রায় ১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। পাশাপাশি আনুমানিক ১৫০০ হেক্টর জমি এবং ২৫ কিলোমিটার রাস্তার গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ফসলের ক্ষতির চিন্তায় আছেন জেলার কৃষকরা।

পরশুরাম উপজেলার কৃষক রবিউল হক বলেন, মাঠের বোরো ধান ঘরে তোলার ঠিক আগমুহূর্তে এমন বৃষ্টি চিন্তায় ফেলেছে। ভালো ফলন হলেও ফসল বাড়ি আনতে পারব কিনা জানি না। বৃষ্টিতে এখনই জমিতে পানি জমে গেছে। বাতাস হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক একরাম উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে ফেনীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। মাঠে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি ধান পেকে গেছে। বৈরী আবহাওয়ার হাত থেকে ফসল রক্ষায় জমির ধান ৮৫ শতাংশ পাকার সঙ্গে সঙ্গেই কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাতাস ও বৃষ্টি স্থায়ী না হলে আশা করি কৃষকের খুব বেশি ক্ষতি হবে না।

ফেনী জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ঝড়ে কোনো নিহত বা উল্লেখযোগ্যভাবে আহতের খবর পাওয়া যায়নি।

;

বিমানের পরিত্যক্ত ব্যাগে মিলল প্রায় ৩ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে পরিত্যক্ত একটি ব্যাগ থেকে ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে সৌদি রিয়াল ও ইউএস ডলার ছিল। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকার শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইট থেকে এসব বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। ওই ফ্লাইটটি শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে ৭টার কিছু সময় পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি বলেন, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে আসা বিজি-১৪৭ ফ্লাইটে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া একটি ব্যাগ থেকে বেশকিছু বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রিয়াল ও ইউএস ডলার রয়েছে। যা আনুমানিক ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকার সমমূল্যের। মূলত ওই ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে এসেছিল। পরে ফ্লাইটটি দুবাইয়ের উদ্দেশে শাহ আমানত বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. আকরাম হোসেন জানান, ব্যাগটি স্ক্যানিং করে ১ হাজার ৮৭৫ পিস ৫০০ সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০০ পিস ১০০ মার্কিন ডলার (১১ লাখ টাকা) পাওয়া যায়। এ অভিযানে বিমান বাংলাদেশ সিকিউরিটি ও এপিবিএন কাস্টমসকে সহযোগিতা করে। বৈদেশিক মুদ্রাগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য ডিএম মূল্যে আটক করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে একই বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক এ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি করে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্য এবং বাংলাদেশি ২৭ লাখ টাকা।

;

প্রভাব দেখিয়ে সিগন্যাল ক্রসিং অমান্য, আটক ভুয়া পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রভাব দেখিয়ে সিগন্যাল ক্রসিং অমান্য, আটক ভুয়া পুলিশ

প্রভাব দেখিয়ে সিগন্যাল ক্রসিং অমান্য, আটক ভুয়া পুলিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রভাব খাটিয়ে সিগন্যাল অমান্য করে এগিয়ে যেতেই দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মকর্তার জেরার মুখে পড়ে মো. আসিফ ইকবাল। পরিচয় জানতে চাইলে জানান তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। গতিবিধি সন্দেহজনক হলে আইডিকার্ড দেখতে চান দায়িত্বরত সার্জেন্ট। কিন্তু তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন এবং পালানোর চেষ্টা করেন। প্রমাণ মেলে তিনি একজন ভুয়া পুলিশ সদস্য।

এমনই এক ভুয়া এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগ। আটককৃত ওই ব্যক্তির নাম মো. আসিফ ইকবাল।

মঙ্গলবার (৭ মে) ডিএমপির ট্রাফিক-শেরেবাংলা নগর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. তারেক সেকান্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘটনাটি আজ সকালে রাজধানীর উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের সামনে। প্রতিদিনের মতো উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ে দায়িত্বপালন করছিলেন পুলিশ সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সকাল অনুমান দশটার দিকে উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের উত্তর সিগন্যাল চলার সময় পশ্চিম সিগন্যালের লেকরোড থেকে সিগন্যাল অমান্য করে এক ব্যক্তি তার মোটরসাইকেল নিয়ে সামনে এগিয়ে আসলে দায়িত্বরত সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ তার গতিরোধ করেন। সিগন্যাল অমান্য করা সেই ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেন, তিনি একজন এসআই। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হলে সার্জেন্ট তার পুলিশ আইডি কার্ড দেখতে চান, কিন্তু তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন এবং পালানোর চেষ্টা করেন। তখন দায়িত্বরত সার্জেন্ট মোটরসাইকেলসহ সেই ব্যক্তিকে আটক করে উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের তদারকি অফিসার পুলিশ পরিদর্শক শহর ও যানবাহন মো. ইসমাইল করিমের নিকট নিয়ে যান।

সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, পরবর্তী সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে এভাবে অনেকদিন ধরেই ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করছেন। পরবর্তীতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মো. আসিফ ইকবালকে গ্রেফতার করে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ শেরেবাংলা নগর থানায় প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;