ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার ৬ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষিখাত, ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ আনুমানিক ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফেনী জেলাপ্রশাসন।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে ফেনীর আকাশে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা পড়ে বন্ধ থাকে মহাসড়কের যান চলাচল। ভেঙে যায় বহু এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তায় পড়ে যায় বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং অতিবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার ফলে নুইয়ে পড়ে ফসলী জমির ধান। ঝড়ের প্রভাবে জেলার ৬ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারন করেছে জেলাপ্রশাসন।
মঙ্গলবার (৭ মে) জেলাপ্রশাসনের ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অধীন ছয়টি উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী জেলাজুড়ে আনুমানিক ৫৫৭ টি ঘরবাড়ি কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তবে ঝড়ে কোন নিহত বা উল্লেখযোগ্য ভাবে আহতের তথ্য নেই বলে জানান তারা।
একই সূত্র জানায়, ঝড়ের প্রভাবে জেলায় প্রায় ১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। পাশাপাশি আনুমানিক ১৫০০ হেক্টর জমি এবং ২৫ কিলোমিটার রাস্তার গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ফসলের ক্ষতির চিন্তায় আছেন জেলার কৃষকরা।
পরশুরাম উপজেলার কৃষক রবিউল হক বলেন, মাঠের বোরো ধান ঘরে তোলার ঠিক আগমুহূর্তে এমন বৃষ্টি চিন্তায় ফেলেছে। ভালো ফলন হলেও ফসল বাড়ি আনতে পারব কিনা জানি না। বৃষ্টিতে এখনই জমিতে পানি জমে গেছে। বাতাস হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক একরাম উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে ফেনীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। মাঠে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি ধান পেকে গেছে। বৈরী আবহাওয়ার হাত থেকে ফসল রক্ষায় জমির ধান ৮৫ শতাংশ পাকার সঙ্গে সঙ্গেই কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাতাস ও বৃষ্টি স্থায়ী না হলে আশা করি কৃষকের খুব বেশি ক্ষতি হবে না।
ফেনী জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ঝড়ে কোনো নিহত বা উল্লেখযোগ্যভাবে আহতের খবর পাওয়া যায়নি।